Book name : A Study in Scarlet
Novel by Arthur Conan Doyle
উপন্যাসের নাম ‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট’। স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের ‘শার্লক হোমস’ সিরিজের প্রথম উপন্যাস এটি। শার্লক হোমস এর নাম শুনেনি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। খুব অল্প ঐতিহাসিক চরিত্রই আছে যার নাম কিনা লেখক এর চাইতেও অধিক সমাদৃত।
‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট’ এর কাহিনীটা শুরু হয় শার্লক হোমস ও তার বন্ধু ডক্টর ওয়াটসন এর পরিচয় এর মধ্য দিয়ে। গ্রেগসন আর লেসট্রেড এই মানিকজোড়ের গোয়েন্দা বন্ধু বলে খ্যাতি থাকলেও তারা একজন আরেকজনকে দেখে মাথামোটা হিসেবে। শখের গোয়েন্দা শার্লক হোমস ড্রেভার হত্যার কোনো কূলকিনারা করতে না পেরে দুই বন্ধু সাহায্যের হাত পাতে শার্লক হোমস এর কাছে। এদিকে শার্লক হোমস আবার মহা পন্ডিত। সে সিগারেটের ছাই দেখে বলে দিতে পারে সেটা কোন ব্র্যান্ডের। পায়ের ছাপ, হাতের লেখা দেখে বলে দিতে পারে একজন মানুষের উচ্চতা কত। লাশের পাশে রক্তে লেখা RACHE এর মানে বুঝে নিতেও সমস্যা হলো না তার। RACHE জার্মান শব্দ। যার অর্থ প্রতিশোধ। শুরুতেই রহস্যের আগাগোড়া বুঝে নিলেন বিজ্ঞ শার্লক হোমস।
কাহিনী গড়ায় ধীরে ধীরে। একসময় গিয়ে পৌঁছায় সল্টলেক সিটির মর্মোন সম্প্রদায়ে। কুসংস্কারাচ্ছন্ন বর্বর জাতি এই মর্মোন সম্প্রদায়। যদি কেউ প্রচলিত রীতির বিরুদ্ধে অবস্থান করতো তাহলে তার আর কখনো হদিস মেলতো না এই সম্প্রদায়ে।
ধর্মে যদিও খ্রিস্টান তবে ঘটনাক্রমে বাধ্য হয়ে মর্মোন প্রথা গ্রহণ করতে হয় জন ফেরিয়ার ও তার শিশু মেসে লুসিকে।
সুন্দরী যুবতী লুসি। শৈশবের খোলস ছাড়িয়ে মেলে ধরল সে যৌবনের ডানা। ওদিকে বলিষ্ঠ ও তীক্ষ্ণ বুদ্ধি সম্পন্ন খ্রিস্টান যুবক জেফারসন হোপ। স্বজাতির মায়া ত্যাগ করতে পারে না কেউ, তা পারে নি লুসির বাবা জন ফেরিয়ারও। মর্মোনদের বর্বর প্রথা কে বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে সে নিজ কন্যাকে তুলে দিতে চেয়েছিলেন জেফারসন হোপের কাছে। তবে লুসি আর জেফারসনের প্রণয় উপাখ্যান মেনে নিতে পারেনি মর্মোনদের কেউ। সমস্যা বাধে তখন।
ফিরে যাই বিখ্যাত শার্লক হোমসের কাছে। তাকে ধরা দিলো এক নতুন সমস্যা। খুন হলো ড্রেবারের সেক্রেটারি স্টেনজারসন।
ড্রেবার আর স্টেনজারসনের অতীত ইতিহাস ঘাটলে দেখা যায় তারা দুজনেই মর্মন সম্প্রদায়ের সন্তান। ঠিক সেই সময়টার যখন বিনা দোষে খুন হতে হয় জন ফেরিয়ারকে। সে লুসির বাবা।
কিন্তু অপরুপা লুসি? তার সঙ্গে ঠিক কী ঘটে যার কারণে জেফারসন কে টানা ২০ বছর ঘুরতে হয়েছিল দেশের পর দেশ, শহরের পর শহর, এক মহাদেশ থেকে আরেক মহাদেশে। ঠিক কী কারণে একজন জরাজীর্ণ বৃদ্ধের মনে প্রতিশোধের আগুন দাউ দাউ করে জ্বলছিল? কিসের সেই প্রতিশোধ? সে কি তার প্রতিশোধ নিতে পেরেছিল? আর সেই বলিষ্ঠ তরুণ জেফারসন? সে কি তার ন্যায্য বিচার পেয়েছিল? আর এই সবের সাথে শার্লক হোমস এরই বা কি সম্পর্ক? সে কি এই রহস্যের জট খুলতে পেরেছিল? নাকি আরও রহস্য এসে ধরা দিয়েছিলো তাঁকে? সে কি বের করতে পেরেছিল কে এই ড্রেবার ও স্ট্রেনজারসন হত্যার ঘাতক? জানতে হলে পড়তে হবে স্যার আর্থার কোনান ডয়েলের ‘এ স্টাডি ইন স্কারলেট’ বইটি। অসম্ভব সুন্দর আর রোমাঞ্চকর এই বইটি আপনাকে নিয়ে যাবে চিন্তাশক্তির অতল গভীরে। আর শার্লক হোমসের দূরদর্শিতা আর চিন্তার গভীরতা মুগ্ধ করবে সকল বয়সের পাঠককে।
ধন্যবাদ।
✍️ মাহফুজুর রহমান মাহী।
শিক্ষার্থী – দশম শ্রেণি
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?