বিভাজ্যতা জানার শর্টকাট নিয়ম

শতকরা যেকোনো প্রতিযোগিতা মূলক পরিক্ষার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তার দুটি কারণ আছে।

প্রথম কারণ,
বড়  সংখ্যায় ভাগের সুবিধার জন্য। অর্থাৎ বিভাজ্যতা জানা থাকলে আমরা খুব সহজেই বড় সংখ্যাগুলোর ভাগ করতে পারবো। 

এবং দ্বিতীয়টি হলো,
কৌশালপূর্ন প্রশ্নের জবাব দেওয়ার জন্য। তাহলে চলুন, সংখ্যার বিভাজ্যতা জানার কৌশালগুলো দেখে নেই।

বিভাজ্যতা Divisibility

২দ্বারা বিভাজ্যতা 

কৌশলটি হচ্ছে, কোনো সংখ্যার ডানে শূন্য বা জোড় সংখ্যা  থাকলে তা ২ দ্বারা বিভাজ্য।
যেমন, ৫০, ১২ ৪২ ইত্যাদি। 

৩ দ্বারা বিভাজ্যতা

কোনো সংখ্যার অংকগুলির যোগফল ৩ দ্বারা বিভাজ্য হলে সংখ্যাটি ৩ দ্বারা বিভাজ্য হবে। 

        যেমন, ৪৫ = ৪+৫ =৯

এখানে, ৯,৩ দ্বারা বিভাজ্য

অতএব, ৪৫, ৩ দ্বারা বিভাজ্য.

৯ দ্বারা বিভাজ্যতা

 ৯ এর ক্ষেত্রেও বিষয়টি একই।অর্থাৎ  কোনো সংখ্যার অঙ্কগুলির যোগফল ৩ বা ৯ দ্বারা বিভাজ্য হলে তা ৯ দ্বারা  বিভাজ্য।

এরমানে,৩ এর ক্ষেত্রে যে নিয়মটি বলা হয়েছে, সেটি ৯ এর ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য। 

৬ দ্বারা বিভাজ্যতা 

  ৬ এর ক্ষেত্রে ২টি বিষয় খেয়াল করতে হবে,

  • সংখ্যাটি জোর হতে হবে 
  • সংখ্যাটির অংকগুলির যোগফল  ৩ দ্বারা বিভাজ্য হতে হবে

অর্থাৎ যে জোর সংখ্যার অঙ্কগুলির যোগফল ৩ দ্বারা বিভাজ্য তা ৬ দ্বারা  বিভাজ্য

৮ দ্বারা বিভাজ্যতা

  প্রদত্ত সংখ্যাটির শেষ ৩ টি অঙ্ক যদি ৮ দ্বারা বিভাজ্য হয়, তাহলে সংখ্যাটি ৮ দ্বারা বিভাজ্য।
যেমন, ২৩৭৯১৩৬

      এর শেষ ৩ টি অঙ্ক  ১,৩,৬
এখানে, ১৩৬ ➗ ৮ = ১৭         

তাহলে,  শেষ ৩ টি অঙ্ক যেহেতু  ৮ দ্বারা বিভাজ্য সংখ্যাটি ও ৮ দ্বারা বিভাজ্য

১১ দ্বারা বিভাজ্যতা

প্রথমে,  একটি উদাহরণ দেখা যাক।
যেমন, ৩১৬২৮১৯
এ ক্ষেত্রে,
৩-১+৬-২+৮-১+৯=২২ যা ১১ দ্বারা বিভাজ্য।
অতএব, সংখ্যাটি ১১ দ্বারা  বিভাজ্য।

অর্থাৎ  কোনো সংখ্যার অঙ্কগুলোকে এভাবে পর্যায়ক্রমে যোগ – বিয়োগ করার পরে প্রাপ্ত যোগফল যদি ১১ দ্বারা বিভাজ্য হয় তাহলে সংখ্যাটি ১১ দ্বারা বিভাজ্য।

শিক্ষার্থী বন্ধুরা, এই ছিল আজকের মতো।  আজকের বিষয়টির কোনো অংশ বুঝতে সমস্যা হলে কমেন্টের মাধ্যমে আমাদের জানান।
ধন্যবাদ!

ভিডিও লেকচারঃ

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *