ডিজাইন ইওর লাইফ | লেখক আরিফ হৃদয় | Design Your Life : Arif Hridoy

লেখক পরিচিতি

জন্ম ১৮ অক্টোবর ১৯৯১ সালে। তবে স্কুল কর্তৃপক্ষের নির্দেশে সার্টিফিকেটে ১৯৯৩ সাল লেখা হয়েছে। কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক সম্পন্ন করা হয়েছে। ২০১১ সাল থেকেই পড়াশােনার পাশাপাশি একজন মুক্তপেশাজীবী হিসেবে কাজ শুরু করেছেন তিনি। পেশাজীবনের শুরুটা ছিল প্রােগ্রামিং দিয়ে, এছাড়া ডিজিটাল মার্কেটিং পেশায়ও কাজ কর এবং পরবর্তীতে বাঁশিওয়ালা টেকনােলজিস নামক প্রতিষ্ঠান শুরু করার মাধ্যমে পূর্বের চাইতে আরাে বড় পরিসরে কাজ চলছে।

ফ্রিল্যান্সিংয়ের পাশাপাশি ড্রপশিপিং ও ই-কমার্স ব্যবসার সাথে যুক্ত ২০১৫ সাল থেকে। ২০১৮ সালে পেশাজীবন থেকে অবসর নেয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। বর্তমানে লেখালেখি ও বিনিয়ােগে মনােনিবেশ করছি। নিজেকে এক বাক্যে প্রকাশ করতে পছন্দ করি, আর তা হলাে “A kid in the candy store.”

বইটা লেখার কারণ

আমার চলার পথে আমি যেসব পরিস্থিতির সম্মুখীন হয়েছি, যেসব ভয় আমার মধ্যে কাজ করেছে, যেসব অনুভূতি আমার মধ্যে কাজ করেছে, যেসব ইচ্ছা আমার মধ্যে কাজ করেছে, যেসব স্বপ্ন আমি দেখেছি, আমি বিশ্বাস করি অনেক মানুষ প্রতিনিয়ত একই পরিস্থিতি, একই ভয়, একই অনুভূতি, একই ইচ্ছা ও স্বপ্নের সম্মুখীন হচ্ছে। ছাত্রজীবনে আমি যেরকম অগণিত ভুলের মাধ্যমে নিজের জীবনের মূল্যবান সময়গুলাে নষ্ট করেছিলাম, যে ভুলগুলাে আমার পথ চলায় সবচাইতে কঠিন পরিস্থিতির সৃষ্টি করেছে, ঠিক একই ভুল হাজারও ছাত্র-ছাত্রী অতীতে করেছে, বর্তমানেও করছে, এবং ভবিষ্যতেও করবে। আমি যেমন ছাত্রজীবনে স্বপ্ন দেখেছি সুন্দর একটা জীবনের, ঠিক একইভাবে লাখাে মানুষ স্বপ্ন দেখছে এবং দেখবে।

At A Glance : Design Your Life

  • বই : ডিজাইন ইওর লাইফ
  • লেখক : আরিফ হৃদয়
  • প্রকাশনী : শব্দশৈলী
  • বিষয় : আত্ম উন্নয়ন ও মোটিভেশন
  • পৃষ্ঠা : 248, কভার : হার্ড কভার,
  • সংস্করণ : 1st Published, 2021
  • আইএসবিএন : 9789849574330,
  • ভাষা : বাংলা
যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেক বছর জিপিএ-৫ পাচ্ছে এবং যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী দেশের নামকরা বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিযুদ্ধ জয় করছে তার চেয়ে বহুগুণ বেশি ছাত্র-ছাত্রী নিয়মিত মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি নামক যুদ্ধে হেরে যাচ্ছে। যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেক বছর উচ্চশিক্ষার উদ্দেশ্যে উন্নত দেশগুলােতে পাড়ি জমাচ্ছে তার চাইতে বহুগুণ বেশি শিক্ষার্থী তিবছর শিক্ষা সফর নামক অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যাত্রায় হোঁচট খেয়ে পড়ছে। যে পরিমাণ ছাত্র-ছাত্রী প্রত্যেক বছর উচ্চশিক্ষা শেষ করে ভালাে চাকরিতে যােগদান করছে তার চাইতে বহুগুণ বেশি মানুষ। প্রতিদিন চাকরি নামক সােনার হরিণ শিকারে ব্যর্থ হচ্ছে।
যে পরিমাণ মানুষ জীবনের শেষ পর্যায় পর্যন্ত পেশাজীবনকে উপভােগ করছে তার চাইতে বহুগুণ বেশি মানুষ প্রচণ্ড অনীহা থাকা সত্ত্বেও প্রতিদিন বাধ্য হয়ে কাজে ফিরে যাচ্ছে। যে পরিমাণ মানুষ নিয়মিত অর্থনৈতিক উন্নতি এবং অর্থনৈতিক মুক্তি লাভ করছে তারচেয়ে বহুগুণ বেশি মানুষ জীবনের মৌলিক চাহিদা মেটানাের যুদ্ধে আজীবন লড়তে থাকে।

Read PDF Design Your Life

যারা প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষা নামক পথে হেঁটেছে তারা সবাই একই বইয়ের একই পাতাগুলাে পড়েছে। তারা সবাই শিক্ষাব্যবস্থার যােগ্যতা পরিমাপের পরীক্ষাগুলােয় অংশগ্রহণ করেছে। একই পরীক্ষার একই প্রশ্নের উত্তর লিখে লাখাে মানুষ পাস করেছে। একই বই পড়ে লাখাে মানুষ শিক্ষা অর্জন করেছে। লাখাে শিক্ষক কোটি কোটি শিক্ষার্থীকে একই বিষয়গুলাে নিয়ে পাঠদান করেছেন, তারপরও কেন সবাই আত্ম-উন্নয়নের পথে সফল হয় না? কেন এদের মধ্যে কেউ কেউ সৎপথে বিলাসবহুল জীবন-যাপন করার যােগ্যতা অর্জন করছে কিন্তু অগণিত মানুষ নিয়মিত অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা ও চিকিৎসা নামক দায়িত্ব পালন করার পথে প্রতিনিয়ত লড়াই করে যাচ্ছে?
শিক্ষাব্যবস্থা তাে সবার জন্যই সমান। তাহলে শিক্ষাব্যবস্থা কি কাজ করে না? নাকি সমস্যা অন্য কোথাও? শিক্ষাব্যবস্থায় যদি
সমস্যা থাকে তাহলে সমস্যাটা কি? শিক্ষাব্যবস্থায় এমন কি আছে যেটার মাধ্যমে এই মায়াজাল থেকে একটা মানুষ বের হয়ে আসতে পারবে? জ্ঞান অর্জনের মূল লক্ষ্য হলাে মুক্তি লাভ করা ও জ্ঞানের আলােয় পথ খুজে পাওয়া। জ্ঞান অর্জনের মূল লক্ষ্যই হলাে এই মায়াজাল থেকে মুক্তি লাভ করা, যাতে করে একজন মানুষ প্রয়ােজনীয় শিক্ষা অর্জন করতে পারে, সেগুলাে ব্যবহারের মাধ্যমে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন সমস্যার সমাধান করতে পারে এবং দ্রুত বেগে এগিয়ে যেতে পারে।
আমার পথ চলায় আমি যে উত্তরগুলাে খুঁজে পেয়েছি, আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি যে পথগুলাে খুঁজে পেয়েছি সেগুলাে আমি শেয়ার করতে চাই। যারা আমার মতাে সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছে তাদের জানাতে চাই। আমার অভিজ্ঞতা থেকে আমি যা শিখেছি তা জানাতে চাই। আমার পথ চলায় আমি অগণিত পন্থা ব্যবহার করেছি, তার মধ্যে বেশিরভাগই কাজ করেনি, কিন্তু এমন কিছু সূত্র এবং পথ খুঁজে পেয়েছি যেগুলাে শতভাগ কার্যকরী। আমি সেগুলাে শেয়ার করতে চাই। আমার পথ চলায় আমি এমন অনেক বিষয় উপলব্ধি করেছি যেগুলাে স্কুলপড়ুয়া সব ছাত্র-ছাত্রীর উপলব্ধি করা অত্যন্ত প্রয়ােজন বলে আমি মনে করি।
সেজন্যই আমি এই বইটা লিখেছি। আমার পথ চলায় যেসব শিক্ষা, যেসব উপায় শতভাগ কাজ করেছে এবং আমাকে আমার গন্তব্যে পৌঁছাতে সাহায্য করেছে তা সম্পূর্ণরূপে তুলে ধরব এ বইয়ে। আশা করি আপনি আমার অভিজ্ঞতা থেকে শিখতে পারবেন এবং তা নিজের জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে ব্যবহার করে উপকৃত হবেন। শুধু যে স্কুল বা কলেজের শিক্ষার্থীদের জন্য লিখেছি তা না। আমার বিশ্বাস এই বইটা যেকোনাে শ্রেণি ও পেশার মানুষের কাজে আসবে
Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *