বিকেল বেলা একা একা বসে আছে অয়ন। লোকচক্ষুর আড়ালে। হাতে সিগারেট।

মোবাইলে কল বাজতেছে।

আনমনে পকেট থেকে মোবাইলটা হাতে নিল অয়ন।

হাতে নিয়ে দেখি অপরিচিত নাম্বার। কল ধরি নি। এখন কারো কলই খুব একটা ধরা হয় না। পৃথিবী থেকে লুকাতে চায় প্রতি মুহূর্তে। তাই আর কারো সাথে নতুন করে পরিচিত হতে চাই না। চাই না যোগাযোগ বাড়াতে। পৃথিবীর মায়ায় নিজেকে আর আচ্ছন্ন করতে চাই না।

আবার কল দিল। কল রিসিভ করে চুপচাপ কানে ধরে আছে অয়ন।

ঐ পাশ থেকে কেউ একজন সালাম দিলো মেয়েলি কন্ঠে। আসসলামু আলাইকুম। কেমন আছেন?

চোখ দিয়ে পানি বেরিয়ে আসল অয়নের। সিগারেটটা খুব জোরে টানতেছে। অনেকটা অনাহারীকে খাবার দিলে যেমন ভাবে খায়।

মাস তিনেক পর তানহা কল দিল। আমি এখনও চুপ করে আছি। তানহার বিয়ের পর আজ অবধি মিথ্যে ভালো আছি বলার সাহস পাই নি।

   – কি হলো কথা বলছেন না কেন? কেমন আছেন? তানহা আবার জিজ্ঞাস করল।

   – যেমনট। থাকার কথা। যেমনটা রেখে গেছ তুমি।

তানহা কাঁদতেছে, কোন কথা বলতেছে না। গভীর শোকে মানুষ যেমন করে কাঁদে। কোন মায়া বা মেকি কান্না না। কেউ অভিনয় করে মনে হয় না এমন করে কান্না করতে পারে। আবার হয়তো অভিনয়ও হতে পারে। নারী চরিত্র ভেজায় জটিল।

কাচের দেয়াল (উপন্যাস)

~এম.এইচ.আরিফ

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?