সুইসাইড নোট উপন্যাসের প্রিয় কিছু লাইন।

১.’নির্মম জীবনগুলোর জন্য পৃথিবী কেন যেন অনেক বেশিই নির্বোধ হয়।’

২.’অতিরিক্ত যে কোন জিনিস বিপরীত ফলাফলের জন্ম দেয়।’

৩.’তুমি আমার অন্ধকার জীবনে একটুকরো আলোর মতো যাকে আমি আমার সবটুকু দিয়ে আগলে রাখতে চাই।’
৪.’তাকে আটকে রাখার জন্য করা চেষ্টাগুলোই তাকে হারিয়ে ফেলার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।’
৫.’একদিনের আত্মহত্যা মহাপাপ বলে আমরা অনেকেই তা ধীরে ধীরে করি।’
৬.’অথচ তুমিও জানতে তোমাকে ছাড়া আমার ঠিক কতটা কষ্ট হবে।’
৭.’আমার কষ্ট হবে এ ভেবে পিছন ফিরে কেউ তাকায়নি কখনো।’
৮.’তোমাকে দেখার এক অদ্ভুত লোভ আমাকে আজীবন দুঃখী করে রাখবে।’

৯. বাবা মা একবারই আসে, একবরাই হয়। এদের পরে অন্য কেও বাবা মা হয় না, তারা বড়জোর চেষ্টা করতে পারে। কিন্তু বাবা মা হতে পারে না।

১০. কিছু কিছু মানুষ খুব অদ্ভুত, যখন তাদের অধিকার থাকে না তখন তারা অনেক বেশি অধিকার দেখাতে চায়, আর যখন অধিকার থাকে ;তখন তারা প্রাপ্ত অধিকারের প্রতি উদাসীনতা দেখায়।

১১. শব্দহীন কান্নাগুলো বোধ হয় শব্দযুক্ত কান্না থেকেও অনেক বেশি ভারী।

১২. মানুষের মন সবসময় এক জায়গায় পড়ে থাকে না, মাঝেমাঝে বিকল্প খুঁজে। আর বিকল্প পেলে সে অতীতকে পায়ে ঠেলে দিতেও কুণ্ঠাবোধ করে না, এইটা সম্ভবত মানুষের সবচেয়ে খারাপ দিক।

১৩. “আমাদের রুমের বাঁ পাশে- না ঠিক মাঝ বরাবর থাকবে খাট, ডান পাশে আয়নার ঘর। বাঁ পাশে আলমারি এবং আলনা।

বারান্দায় থাকবে কয়েকটি ক্যাকটাস, একটি নাস্তার টেবিল আর দুটি চেয়ার, না না তিনটি। না দুইটি।

উফফ নীলা এলোমেলো হওয়া যাবে না, ঘর সাজাতে এলোমেলো হতে নেই, এতে ঘরটা ঠিকঠাক আর হয়ে ওঠে না।”

১৪. যেখানে প্রত্যাশার পরিমান অনেক বেশী থাকে সেখানে ফলাফল থাকে শূন্যের ঘরে, কিংবা তারও কম- ঋণাত্মক।

১৫. মাঝেমাঝে শূন্যতা বোঝার জন্য একটুআধটু দূরত্ব রাখতে হয়। এতে সত্যি কারের ভালোবাসা বোঝা যায়।

১৬. “মানুষের হঠাৎ বদলে যাওয়াটা তার খুব কাছের মানুষগুলোকে যে কতটা কষ্ট দেয় তা যদি বদলে যাওয়া মানুষটি একবার বুঝতে পারতো তবে সে কখনোই হয়তো বদলাতো না, সে নিজেকে হয়ত কখনোই ক্ষমাই করতে পারতো না। আর যদি বিপরীত পরিবেশই মানুষটাকে বদলে যেতে বাধ্য করে তখন সেটা অন্য পর্যায়ে চলে যাবে, সেক্ষেত্রে হয়তো মানুষটাকে দোষ না দিয়ে বরং নিরুপায় বলা চলে।”

১৭. ” ‘প্রতীক্ষা’ শব্দটির সৃষ্টি সম্ভবত মেয়েদের জন্য, তারা প্রিয় মানুষ কিংবা প্রিয় যে কোনোকিছুর জন্য কারনে- অকারনে অনেক বেশী প্রতীক্ষা করতে পারে, মাঝেমাঝে আসবে না জেনেও প্রতীক্ষা করে। প্রিয় কোনোকিছুর জন্য অহেতুক প্রতীক্ষা করার মাঝেও তারা একপ্রকার সুখ পায়।”

১৮. “অশ্রুের কোনো রঙ নেই বলে ঠিক বুঝানো যায় না কোনটা রাগের, কোনটা কষ্টের, কোনটা অভিমানের, কিংবা কোনটা আনন্দের।”

১৯. “জীবন অনেক বড় অধ্যায়, এখানে একে অন্যের যতই কাছের হোক না কেন ততক্ষণ কেউ কারো অবস্থা, অনুভূতি, আনন্দ কিংবা বেদনা বুঝতে পারবে না যতক্ষণ না একে অন্যের বিদ্যমান পরিস্থিতির সম্মুখীন হবে। কাছের কিংবা দূরের মানুষটি কেবল তার সম্বন্ধে না বুঝেই মন্তব্য করতে পারে নতুবা বোঝার চেষ্টা করেও ব্যর্থ হয় এর বেশি কিছু না।

২০. মানুষ তখনই চূড়ান্ত ভাবে পরাজিত হয় যখন সে নিজের কাছে পরাজয় স্বীকার করে নেয়।

~সুইসাইড নোট
~মোঃ সহিদুল ইসলাম রাজন
ছবিঃ উম্মে আইমান ফাইজা

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *