বাড়িতে বসে ব্যবসা করার 10টি সেরা আইডিয়া – best home business idea 2022

বাড়িতে বসে ব্যবসা করার 10টি সেরা আইডিয়া

বর্তমানে তথ্যপ্রযুক্তির যুগে ব্যবসা-বাণিজ্য করার জন্য আপনাকে ঘরের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই ।  আপনি এখন বাড়িতে বসে ব্যবসা করতে পারবেন । আজকে বাড়িতে বসে ব্যবসা করার কয়েকটি লাভজনক আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করব ।

 

আজ এই বাড়িতে বসে ব্যবসা করার আর্টিকেলটি যারা চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী ও ব্যবসায়ী রয়েছেন তাদেরকে অতিরিক্ত আরো কিছু অর্থ উপার্জন করতে সাহায্য করবে ।  চাকুরীজীবীরা ইচ্ছা করলে তাদের চাকুরী শেষ করে বাড়ি ফিরে তাদের অবসর সময়ে এই  ব্যবসাগুলো করতে পারবে ।  এছাড়াও ছাত্র- ছাত্রীরা তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি বাড়িতে বসেই ব্যবসাগুলো স্বাচ্ছন্দে করতে পারবে । 

 

অন্যদিকে যারা ব্যবসায়ী রয়েছে তারাও চাইলে তাদের বাড়িতে বসেই এই ব্যবসা গুলো করতে পারবে । তারা তাদের ব্যবসার পাশাপাশি বাড়িতে বসে ব্যবসাগুলো করার মাধ্যমে আরও অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবে  যা বর্তমানে এই ব্যয়বহুল জীবনে তাদেরকে আরও সাহায্য করবে ।

 

আজকের এই আর্টিকেলে যে বাড়িতে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো শেয়ার করা হয়েছে তার বেশির ভাগই আপনি খুব অল্প টাকায় শুরু করে দিতে পারবেন ।  এমনও কিছু ব্যবসার আইডিয়া আজকে শেয়ার করেছি যা আপনি মাত্র দশ হাজার টাকা পুঁজি দিয়ে শুরু করে দিতে পারবেন ।

 

এছাড়াও আরও কয়েকটি ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করেছি যা আপনি কোন টাকা ছাড়াই ব্যবসাটি শুরু করতে পারবেন কয়েকটি এমন ব্যবসা আইডিয়ার নাম হল : ব্লগিং, ইউটিউবিং, আফিলিয়েট মারকেটিং ইত্যাদি ।

 

এই ব্যবসা গুলো আপনি একদম অল্প কিছু টাকা দিয়েই শুরু করতে পারবেন । 

 

তাহলে বন্ধুরা চলুন বাড়িতে বসে ব্যবসা করার আইডিয়া গুলো দেখে নিই :

 

১/ বাড়িতে ‍বসে ব্লগিং ব্যবসা

যখন কথা আছে বাড়িতে বসে ব্যবসা করার তখন সবার প্রথমে যা মাথায় আসে তা হল ব্লগিং ব্যবসা ।  ব্লগিং এই ব্যবসাটি আপনি পার্টটাইম এবং ফুলটাইম এই দুই উপায়ে করতে পারবেন ।  অর্থাৎ আপনি যদি একজন চাকুরীজীবি, ব্যবসায়ী, ও ছাত্র বা ছাত্রী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ব্লগিং ব্যবসা আপনার জন্য বাড়তি একটি ইনকামের সোর্স হয়ে দাঁড়াবে ।

 

বিশেষ করে আপনি যদি একজন চাকরিজীবী হয়ে থাকেন এবং কিছু বাড়তি উপার্জন করতে চান সেক্ষেত্রে আপনি আপনার চাকরি শেষে অবসর সময়ে  ব্লগিং করে প্রতিমাসে আরো কিছু বাড়তি উপার্জন করতে পারবেন ।  যা আপনার দৈনন্দিন জীবন ও পরিবার পরিচালনায় আর্থিক সহায়তা করতে সাহায্য করবে ।

 

ব্লগিং আপনি প্রধানত দুটি উপায় অবলম্বন করে করতে পারবেন যেমন : ১/  ইউটিউব অর্থাৎ ভিডিও ব্লগিং ২/ ওয়েবসাইট এর মাধ্যমে ব্লগিং করা অর্থাৎ ওয়েবসাইটে নানান কিছু নিয়ে আর্টিকেল বা ব্লগ পাবলিশ করা ।

 

দুটি উপায় বর্তমানে অনেক জনপ্রিয় ব্লগিং করার জন্য ।  আপনি যদি ভিডিও এডিটিং এবং ক্যামেরার সামনে কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ভিডিও ব্লগিং করতে পারেন ।  ভিডিও ব্লগিং করার জন্য আপনি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুক, এবং ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবকে ব্যবহার করে ব্লগিং করতে পারেন । 

 

অন্যদিকে আপনি যদি নিজস্ব একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে সেখানে ব্লগিং করতে চান তাহলে আপনার একটি ডোমেইন ও হোস্টিং প্রয়োজন হবে ।  এবং পরবর্তীতে সে ডোমেইন ও হোস্টিংয়ে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করে নিতে হবে ।  এরপর আপনাকে ওয়েবসাইটে নিয়মিত নানান বিষয়ে আর্টিকেল পাবলিশ করতে হবে ।

 

পরবর্তীতে আপনি আপনার ওয়েবসাইটে বিভিন্ন প্রচার দেখিয়ে ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে আয় করতে পারবেন ।

 

আপনি যদি ইংরেজিতে পারদর্শী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ব্লগিং আপনার জন্য সুন্দর একটি ভবিষ্যৎ ক্যারিয়ার হতে পারে ।  তবে ইংরেজি দক্ষতার পাশাপাশি আপনাকে ব্লগিং সম্পর্কেও বিস্তারিত জ্ঞান অর্জন করতে হবে । 

 

তাই আপনি যদি বাড়িতে বসে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে থাকেন আপনি ব্লগিং এই ব্যবসাটিকে নির্দ্বিধায় বেছে নিতে পারে ।  এছাড়াও আপনি যদি একজন মেয়ে হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে ব্লগিং ব্যবসা আপনার জন্য দারুণ একটি উপায় হবে ।  সাধারণত বাংলাদেশের রক্ষণশীল সমাজে মেয়েরা বাহিরে গিয়ে কোন ধরনের কাজ করাকে উৎসাহিত করা হয় না ।

 

এছাড়াও যারা সাংসারিক মহিলা রয়েছেন তাদের জন্য ব্লগিং ব্যবসা অন্যতম ইনকামের একটি উপায় । তাই আপনি যদি বাড়িতে বসে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করেন তাহলে ব্লগিং ব্যবসাটি সবার আগে চিন্তা করে দেখবেন ।

 

ব্লগিং ব্যবসা করার জন্য কি কি প্রয়োজন ?

 

  •  একটি কম্পিউটার/ ল্যাপটপ অথবা স্মার্ট ফোন
  •  ইন্টারনেট কানেকশন
  •  ধৈর্য  এবং
  •  নিয়মিত শেখার আগ্রহ

 

এই জিনিসগুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ ব্লগিংয়ে আপনি সফল হতে হলে ।  ব্লগিং এমন কোন পেশা নয় যার মাধ্যমে আপনি রাতারাতি কোটিপতি বনে যাবেন ।  তাই ব্লগিং ব্যবসায়েও আপনাকে নিয়মিত শেখার পাশাপাশি ধৈর্য্যসহকারে কাজ করে যেতে হবে ।  

 

তাহলেই ব্লগিং ব্যবসায় আপনি অন্যান্য ব্লগারদের মত নিজেকে একজন সফল ব্লগার হিসেবে প্রতিষ্ঠা  করে তুলতে পারবেন।

২/ ইউটিউব চ্যানেল এর মাধ্যমে ব্যবসা

বন্ধুরা ঘরে বসে ব্যবসা করার আইডিয়ার একটু উপড়েই আজকে আপনাদেরকে  বলেছিলাম ব্লগিং করা হতো আপনি দুটি উপায়েকে অবলম্বন করে করতে পারবেন ।  তারমধ্যে ভিডিও ব্লগিং অন্যতম একটি উপায় ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করার ।

 

আর বর্তমানে ভিডিও ব্লগিং এর সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি প্ল্যাটফরম হচ্ছে ইউটিউব চ্যানেল । আপনি আপনার দক্ষতা ও পছন্দের একটি বিষয় নির্বাচন করে  ইউটিউব চ্যানেলে সে বিষয়ে ভিডিও আপলোড করতে পারেন ।  

 

ইউটিউবে বিলিয়ন বিলিয়ন মানুষ ইতিমধ্যে রয়েছে তাই আপনি যদি কোয়ালিটিফুল ভিডিও এবং আপনার ভিডিও গুলোকে সঠিকভাবে মার্কেটিং করতে পারেন তাহলে বলা যায় খুব দ্রুতই আপনি আপনার পরিচিতি ছড়িয়ে দিতে পারবেন ।

 

এবং ভিডিও ব্লগিং অর্থাৎ ইউটিউবিং করে আপনি ঘরে বসে ব্যবসা করতে পারবেন । আপনার ইউটিউব চ্যানেলে 1000 সাবস্ক্রাইবার এবং 4000  ঘন্টা ওয়াচ টাইম সম্পন্ন হলে আপনার চ্যানেল টি প্রচার মনিটাইজেশন করার জন্য এলিজেবল হবে । 

 

তাই নিয়মিত আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভিডিও আপলোড করে এই লক্ষ্য পূরণ করতে হবে ।  পরবর্তীতে আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশন হয়ে গেলে আপনি আপনার ইনকাম ব্যাংক একাউন্ট সংযুক্ত করার মাধ্যমে টাকা উইথড্র করতে পারবেন ।

 

ইউটিউবে চ্যানেল খুলে অর্থ উপার্জন করতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই ভিডিও এডিটিং এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে ।  

 

 

আপনার কাছে বা আপনার যদি ভিডিও এডিটিং এর উপর ভালো দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে আপনি আরও কয়েকটি উপায় অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন  যেমন:  আপনি সে ভিডিওগুলোকে ফেইসবুক এর মত জনপ্রিয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ও আপলোড করতে পারবেন ।  

 

এছাড়াও  আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনার এই ভিডিও এডিটিং সার্ভিসটি বিক্রয় করতে পারবেন ।

 

তাই  বাড়িতে বসে ব্যবসা করার চিন্তা করে থাকলে আপনি ইউটিউব চ্যানেল খুলে বা ভিডিও ব্লগিং করতে পারেন ।

 

৩/পিটিসি ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আয় করুন

অনলাইনে নানান ধরনের ওয়েবসাইট রয়েছে এবং সেই ওয়েবসাইট গুলো থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করে অর্থ উপার্জন করা যায় ।  ঠিক তেমনি অনেকগুলো পিটিসি ওয়েবসাইট অনলাইনে রয়েছে যার মাধ্যমে আপনি কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

পিটিসি ওয়েবসাইটগুলো থেকে আপনি নানান ধরনের কাজ পাবেন যেমন : তাদের প্রচার দেখার মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা, অনলাইনে তাদের গেম খেলা, তাদের বিভিন্ন সার্ভেতে অংশগ্রহণ করে অর্থ উপার্জন করা, ক্যাপচা পুরন করা ইত্যাদি পিটিসি ওয়েবসাইট এর অন্তর্ভুক্ত ।

 

তাই আপনি যদি বাড়িতে বসে কিছু অর্থ উপার্জন করার ইচ্ছা পোষণ করে থাকেন সেক্ষেত্রে পিটিসি ওয়েবসাইট আপনাকে বাড়িতে বসে আয় করার সহজ একটি উপায় হবে ।

 

 

আপনি যদি প্রফেশনালি এই পৃথিবীর গুলোতে নিয়মিত কাজ করতে পারেন তাহলে বাড়িতে বসেই আপনি মোটামুটি ভালো ইনকাম করতে পারবেন আশা করা ।

 

এছাড়াও আপনি যদি একজন চাকরিজীবী ও ছাত্র হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার চাকরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইমার হিসেবে এই কাজটি করতে পারেন ।

৪/কাপড়ের ঘরোয়া ব্যবসা

কাপড়ের ব্যবসা বাংলাদেশের মতো দেশের জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসার আইডিয়া ।  কাপড় বা গার্মেন্টস শিল্পে বাংলাদেশের অবস্থান সারা বিশ্বে  দ্বিতীয় স্থানে ।  তাই বুঝতেই পারছেন কাপড়ের ব্যবসা বাংলাদেশের মত দেশে কি পরিমান লাভজনক হতে পারে ।

 

 এবং এই ব্যবসাটি করার জন্য বাংলাদেশে সবচেয়ে সেরা একটি স্থান ।  এখানে রয়েছে প্রচুর দক্ষ গার্মেন্টস কর্মী যা আপনি স্বল্প বেতনে নিয়োগ করতে পারবেন । 

 

আপনি বিভিন্ন ধরনের পাইকারি কাপড়ের দোকান থেকে থ্রি পিস, টি-শার্ট, শাড়ি, পায়জামা, শার্ট, পাঞ্জাবি এই কাপড় গুলো ক্রয় করে আপনার বাসায় বিক্রি করতে পারেন ।

 

প্রথমদিকে আপনাকে এই ব্যবসা করার জন্য কিছুটা মার্কেটিং করতে হবে ।  পরে কিছুদিন মার্কেটিং করার পর এই ব্যবসা অটোমেটিক মার্কেটিং হতে থাকবেন ।  আপনি কিছু কাস্টমারের কাছে কাপড় বিক্রি করার পর তারাই একে অপরকে আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জানাবে । তাই ভালো মানের এবং কম মূল্যের মধ্যে কাপড় বিক্রি করার চেষ্টা করতে হবে ।

 

 

আপনি আপনার কাপড়ের মার্কেটিংয়ের জন্য অনলাইন মাধ্যমটিকেও ব্যবহার করতে পারেন । এছাড়াও আপনি চাইলে আপনার কাস্টমারদের থেকে অনলাইনের মাধ্যমে কাপড়ে অর্ডার নিতে পারেন । যদি ঘরে বসে বা বাড়িতে বসে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে থাকেন তাহলে এই কাপড়ের ব্যবসাাটি আপনার জন্য একটি লাভজনক ব্যবসা হবে ।

 

বিশেষ করে মেয়েদের জন্য বা মহিলাদের জন্য এই ব্যবসাটি দারুন একটি ব্যবসার আইডিয়া হবে বলে আশা করি ।  বাড়িতে বসেই মহিলারা চাইলে এই কাপড়ের ব্যবসাটি করতে পারেন ।  আপনি যদি গ্রামের দিকে বসবাস করে থাকেন তাহলে আপনি অবশ্যই এইরকম দৃশ্য দেখতে পাবেন যেখানে  অনেক মহিলা তাদের বাড়িতেই কাপড় বিক্রি করে বাড়িতে বসে ব্যবসা করে ।

৫/মোবইল এবং কম্পিউটার রিপেয়ারিং ব্যবসা

আপনি মাত্র চার মাসে একটি মোবাইল অথবা কম্পিউটার রিপেয়ারিং এর উপর পোস্ট করে নিজেকে একজন দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন ।  এরপর আপনি চাইলে বাজারে বা জনসমাগম রয়েছে এমন স্থানে দোকান দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।

 

অন্যথায় আপনি চাইলে বাড়িতে বসে ব্যবসাটি করতে পারবেন । তবে সেক্ষেত্রে আপনাকে কিছুটা মার্কেটিং করতে হবে যে আপনি এই ধরনের সার্ভিস দিয়ে থাকেন ।  পরবর্তীতে মানুষ আপনাকে মোবাইলের মাধ্যমে যোগাযোগ করে  আপনার বাসায় চলে আসবে এই সেবা নেওয়ার জন্য ।

 

তাই বাড়িতে বসে ব্যবসা করার ইচ্ছা থাকলে আপনি মোবাইল ও কম্পিউটার রিপেয়ারিং কাজ শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারেন । 

৬/টিউশনি এবং কোচিং বিজনেস

টিউশনি  এবং কোচিং ব্যবসা দিনদিন সাংঘাতিক ভাবে বেড়ে চলছে । আপনি আপনার বাড়িতেই একটি রুম নিয়ে সেখানে ব্যাচ আকারে টিউশনি এবং কোচিং এর ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন ।

 

আপনি যদি গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ইংরেজি, হিসাববিজ্ঞান, রসায়ন এই বিষয়গুলোর উপর ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি প্রচুর টিউশনি করতে পারবেন ।এবং এই টিউশনি করার জন্য আপনাকে ছাত্রছাত্রী খুঁজতে হবে না তারাই আপনার বাসায় পড়ার জন্য চলে আসবে ।

 

এছাড়াও আপনি যদি ইংরেজি বিষয়ে ভালো দক্ষ হয়ে থাকেন সে ক্ষেত্রে ইংরেজি কোর্স চালু করতে পারেন ।  বর্তমান বাংলাদেশের তরুন তরুনীদের মাঝে ইংরেজী শিক্ষার প্রচুর প্রবণতা দেখা যাচ্ছে ।  তাই আপনি ইংরেজি বিষয়ের উপর কোর্স তৈরি করতে পারেন ।

 

বাড়িতে বসে সম্মানজনক এবং লাভজনক একটি ব্যবসা হচ্ছে টিউশনি এবং এই  কোচিং এর  ব্যবসাটি ।

 

৭/সেলাই এবং টেইলারিং ব্যবসা

সেলাই এবং টেইলারিং ব্যবসা বাংলাদেশের বিশেষ করে মহিলারা বা মেয়েদের কাছে একটি জনপ্রিয় কাজ । আমাদের বাংলাদেশের বিশেষ করে গ্রামের প্রতিটা মেয়েরা সেলাই এর কাজ  জানে । এছাড়াও আপনি যদি সেলাই এবং টেইলারিং কাজটি না জানেন সেক্ষেত্রে আপনি কোন টেইলার্স এর কাছ থেকে দুই-তিন মাস কোর্স করে কাজটি শিখে নিতে পারেন ।

 

আপনি বিভিন্ন ধরনের ড্রেস, শার্ট, পায়জামা, পাঞ্জাবি, থ্রি পিস সেলাই করে বাড়িতে বসে ব্যবসাটি করতে পারেন । বাড়িতে বসে এই ব্যবসাটি করার পাশাপাশি আপনি রেডিমেড বিভিন্ন ধরনের শাড়িও বিক্রি করতে পারেন ।

 

প্রথমদিকে তুলনামূলক কাজ কম পেলেও কাজের দক্ষতা প্রমাণ দিতে পারলে ধীরে ধীরে আপনার কাস্টমার বৃদ্ধি পাবে ।  এবং আপনার ব্যবসাটি যখন বড় হয়ে উঠবে তখন আপনি চাইলে আপনার বাসায় আরো কিছু দক্ষ কর্মী রেখে ব্যবসাটি পরিচালনা করতে পারেন ।

 

এছাড়াও যখন ব্যবসাটি জনপ্রিয় হয়ে উঠবে তখন আপনি নানান জায়গা থেকে বেশি বেশি অর্ডার পেতে শুরু করবেন তখন আপনি চাইলে বাড়িতে লোক সমাগম বেশি না করে অন্য কোথাও দোকান নিয়ে ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।

 

৮/ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা

ফ্রিল্যান্সিং ব্যবসা বাড়িতে বসে ব্যবসা করার জন্য অন্যতম লাভজনক একটি ব্যবসা হিসেবে  পরীক্ষিত ।  আপনি যদি একজন চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী, অথবা ব্যবসায়ী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার চাকরির, পড়াশোনার,  এবং ব্যবসার পাশাপাশি এই ফ্রিল্যান্সিং  ব্যবসাটি বাড়িতে বসেই করতে পারবেন ।

 

 ফ্রীলান্সিং ব্যবসা করতে হলে আপনাকে এর পূর্বে কোন কাজের উপর নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে ।  যেমন : ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট, ডিজিটাল মার্কেটিং, গ্রাফিক ডিজাইন, ভিডিও এডিটিং, কনটেন্ট রাইটিং, এসইও,  ওয়ার্ডপ্রেস ডেভলপিং ইত্যাদি কাজ আপনি  শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে হবে ফ্রিল্যান্সিং শুরু করার পূর্বে ।

 

এই কাজগুলো শিখে যে কেউ চাইলে বাড়িতে বসে ব্যবসাটি করতে পারবে ।  ফ্রীলান্সিং মেয়েদের জন্য দারুণ একটি উপায় অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা ।  রক্ষণশীল এই সমাজে  বাংলাদেশের মেয়েদের জন্য অর্থ উপার্জন করার দারুণ একটি উপায় ।

 

৯/অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা

আফিলিয়েট মারকেটিং ব্যবসা বর্তমানে  অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার সবচেয়ে ট্রেন্ডিং একটি ব্যবসা । বাড়িতে বসে ব্যবসা করার কথা চিন্তা করে থাকলে আফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা হতে পারে আপনার জন্য একটি স্থায়ী এবং লাভজনক ব্যবসা ।

 

আফিলিয়েট মারকেটিং বলতে বুঝায় অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের পণ্য বা সেবা প্রমোট করার মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়া এবং প্রতিটি বিক্রীত পণ্য ও সেবা থেকে আপনি একটি নির্দিষ্ট কমিশন লাভ করে থাকবেন ।

 

আপনি অনলাইনের মাধ্যমে এই কাজটি খুব সহজেই করতে পারবেন । এই কাজটি করে বর্তমানে অনলাইনে প্রচুর তরুণ-তরুণী অর্থ উপার্জন করছে ।  

 

এই কাজে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর কোর্স  করতে পারেন । এই ধরনের প্রচুর কোর্স পাওয়া যায়  ইউটিউব, ইউডেমি, স্ক্রিল-শেয়ার প্ল্যাটফর্মগুলোতে ।

 

আফিলিয়েট মারকেটিং আপনি বিভিন্ন উপায়ে করতে পারবেন তার মধ্যে সবচেয়ে অন্যতম একটি উপায় হচ্ছে ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা ।  

 

অর্থাৎ আপনি আপনার ওয়েবসাইটে যে পণ্য সামগ্রী নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তার বিভিন্ন ভিডি ও ব্লগ লিখুন । এবং ব্লগের মধ্যে এফিলিয়েট  গুলো যুক্ত করে দেন ।

 

এছাড়াও আপনি সোশ্যাল মিডিয়া বা সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন ।  তাই বাড়িতে বসে ব্যবসা করার লাভজনক একটি উপায় হচ্ছে আফিলিয়েট মারকেটিং যা চাকরিজীবী, ছাত্র-ছাত্রী, ও ব্যবসায়ীরা করতে পারবে । 

 

১০/ সার্ভে করে আয় করুন

বাড়িতে বসে কোন ধরনের টাকা ইনভেস্ট না করে যদি আপনি অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করতে চান সে ক্ষেত্রে আপনি কিছু সার্ভে ওয়েবসাইটে সহযোগিতা নিতে পারেন । সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে আপনি প্রতিদিন ২ থেকে ৩ ঘন্টা কাজ করে মোটামুটি ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে কাজ করার জন্য আপনার প্রয়োজন হবে একটি ল্যাপটপ বা কম্পিউটার যুক্ত ইন্টারনেট কানেকশন ।

 

সার্ভে ওয়েবসাইটগুলোতে বিভিন্ন ধরনের ফরম দেয়া হয় এবং আপনাকে নির্দেশ দেয়া হয় যে ফর্ম গুলো সঠিক তথ্য দিয়ে পূরণ করার ।

 

সার্ভে ওয়েবসাইটগুলো বিভিন্ন কোম্পানি বা প্রতিষ্ঠান থেকে তাদের পণ্য সামগ্রী ও সেবার সম্পর্কে প্রচার ও তথ্য সংগ্রহ করার জন্য অর্থ নিয়ে থাকে । 

 

এবং আমরা যখন বিভিন্ন তথ্য দিয়ে তাদের ফর্ম গুলো পূরণ করে দেই তখন তার বিপরীতে আমাদের কিছু অর্থ প্রদান করে ।

 

প্রতিটি  সার্ভে ওয়েবসাইটের ফর্ম পূরণ করতে আপনার ১ থেকে ৫ মিনিট সময় লাগবে ।  এবং প্রতিটি  সফলভাবে ফরম পূরণ করার পর আপনি ০.৫ সেন্ট থেকে ৩  ডলার পর্যন্ত আয় করতে  পারবেন ।  

 

তবে আপনি কত টাকা আয় করতে পারবেন তা নিশ্চিতভাবে বলা সম্ভব নয় এর কারণ হচ্ছে প্রতিটা  সার্ভে ওয়েবসাইট নানানভাবে অর্থ প্রদান করে থাকে । 

 

পরিশেষে – Conclusions

বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে দশটি বাড়িতে বসে ব্যবসা করার লাভজনক আইডিয়া শেয়ার করা হলো ।  এই আইডিয়া গুলো কে কাজে লাগিয়ে আপনি চাইলে বাড়িতে বসে  ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন । আজকের আর্টিকেলটি আপনার কাছে বন্ধুরা  কেমন লেগেছে তা আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন ধন্যবাদ ।

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *