শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ কোনো স্বামী বা স্ত্রী তার জৈবিক চাহিদা পূরণ করতে চাওয়ার আকাঙ্ক্ষাকে কোনোভাবেই উপেক্ষা করতে পারে না। একজন মানুষকে যেমন খাবার খেতেই হয়, নিশ্বাস নিতেই হয়, জৈবিক চাহিদা পূরণও তেমনই অপরিহার্য একটা বিষয়। তা ছাড়া বিবাহ করার প্রধানতম কারণ হলো–বৈধ উপায়ে যৌন ক্ষুধা নিবারণ করা এবং নিজের পরবর্তী প্রজন্মকে পৃথিবীতে নিয়ে আসা। একজন স্ত্রী মানসিক বা শারীরিকভাবে অসুস্থ থাকলে ভালবাসার মানুষ হিসেবে তার স্বামীর অবশ্যই সেটা বোঝা উচিত এবং তাদের মাঝে সুন্দর সম্পর্ক বজায় থাকলে স্বামী সেটা বুঝবেও।
কোনো কারণ ছাড়া একজন স্ত্রী তার বিবাহিত সঙ্গীর সাথে যৌন সম্পর্ক করতে না চাওয়ার মানে হলো, সেই স্ত্রী অবৈধ কোনো সম্পর্কের মধ্যে জড়িয়ে পড়েছে। তা ছাড়া স্বামীও যদি পরকিয়ায় জড়ায়, তখন সেও তার স্ত্রীকে উপেক্ষা করে চলে। এসব ক্ষেত্রে স্ত্রী শক্তির দিক থেকে অপেক্ষাকৃতভাবে দূর্বল হওয়ায় স্বামীর ওপর কোনো জোর খাটিয়ে নিজের প্রাপ্য অধিকার আদায় করতে পারে না। যদি পারত তবে অবশ্যই আদায় করে নিত। উলটোদিকে স্বামী কিন্তু ঠিকই জোর খাটিয়ে নিজের প্রাপ্য অধিকার আদায় করে নেয়। তা ছাড়া পরকিয়ায় জড়ানো এসব দম্পতির মাঝে সুন্দর সম্পর্ক থাকা তো দূরের কথা; বরং সব সময় একটা সন্দেহপূর্ণ পরিবেশ বিরাজ করে। যেটা একটা দাম্পত্য জীবনের জন্য শুধুই অশান্তি, অশান্তি আর অশান্তি।
পরকীয়ার মতো এমন জঘন্যতম একটা কাজে জড়িয়ে থাকা কোনো স্ত্রীর ওপর স্বামী যদি জোরপূর্বক তার অধিকার আদায় করতে যায় আর সেটাকে ধর্ষণ বলে চালানো হয়, তবে তো স্বামীর শাস্তি হওয়ার আগে স্ত্রীকে শাস্তির সম্মুখীন করা উচিত। কারণ, স্ত্রী জেনে বুঝে প্রতিনিয়ত প্রতারণা করছে তার স্বামীর সাথে। তিলে তিলে গড়ে তোলা একটা সুন্দর পরিবার ভেঙে তছনছ করছে, সন্তানদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নষ্ট করছে। কি একমত হতে পারবে দালাল সুশীলরা আমার এই কথার সাথে? এরা একমত হতে পারবে না, এরা পরকীয়ায় জড়ানো স্ত্রীর শাস্তি চাইবে না; বরং এরা পরকীয়াকে বৈধ বলে আইন করে।
বিশ্বের উন্নত এবং উন্নয়নশীল অধিকাংশ দেশে পরকীয়াকে বৈধ করা হয়েছে সেসব দেশের নীতিহীন আদালত কর্তৃক। অধিকারের দোহাই দিয়ে এসব নামধারী সুশীলরা পরকীয়াকে বানিয়েছে স্বাভাবিক কাজ। আর পরিবার-বিধ্বংসী পরকীয়ায় জড়ানো স্ত্রীর কাছ থেকে স্বামী জোরপূর্বক তার প্রাপ্য অধিকার আদায় করতে চাওয়াকে বানিয়েছে ধর্ষণ।
- বই : নারীবাদী বনাম নারীবাঁদি
- লেখক : Karim Shawon
- প্রকাশনী : ফেরা প্রকাশন