১০টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজ – 10 best freelancing jobs

১০টি সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজ

বর্তমানে বাংলাদেশ সহ বিশ্বের তরুণ-তরুণীদের কাছে ফ্রিল্যান্সিং কাজ অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পেশা হয়ে দাঁড়িয়েছে। বর্তমানে বাংলাদেশে প্রায় ৭ লক্ষ ৫০ হাজার ফ্রিল্যান্সার বিভিন্ন ইন্টার্নেশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে প্রতিনিয়ত কাজ করছে এবং তারা প্রতি মাসে হাজার হাজার কোটি টাকা আয় করে আমাদের দেশে নিয়ে আসছে। 

 

যা আমাদের দেশের রেমিটেন্স আয় বৃদ্ধি করছে তাই আজকের এই আর্টিকেল কি ধরনের ফ্রিল্যান্সিং কাজগুলো অনলাইনে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে  প্রচুর পাওয়া যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব।

 

এবং যদি আপনিও ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি আপনাকে অনেক সাহায্য করবে এবং কোন কাজটি শিখিয়ে নিজেকে দক্ষ করে তুলবেন। 

 

ফ্রিল্যান্সিং কাজ করতে হলে আপনাকে অবশ্যই কোনো না কোনো একটি কাজে পারদর্শী হতে হবে। অতঃপর সেই কাজের উপর বিভিন্ন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে আপনাকে প্রোফাইল তৈরি করে নিতে হবে। আপনার দক্ষতার মাধ্যমে আপনি বিভিন্ন দেশের ক্লায়েন্টের কাজ করে দিয়ে অর্থ আয় করতে পারবেন। 

 

তাহলে বন্ধুরা চলুন দেখে নেয়া যাক কয়েকটি জনপ্রিয় এবং সেরা ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর আইডিয়াগুলো সম্পর্কে। আশা করি আজকের এই আর্টিকেলটির মাধ্যমে আপনারা উপকৃত হবেন তাই আর্টিকেলটি মনোযোগ সহকারে পড়ার অনুরোধ রইল।

 

১। গ্রাফিক ডিজাইন – Graphic design

বর্তমানে গ্রাফিক ডিজাইন ( graphic design )  ফ্রিল্যান্সিং কাজ গুলোর মধ্যে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি কাজ। বর্তমানে বাংলাদেশের বেশিরভাগ ফ্রিল্যান্সারদের মধ্যে গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ করতে আগ্রহ দেখা যায় তাছাড়া ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে গ্রাফিক ডিজাইন এর প্রচুর চাহিদা রয়েছে এবং গ্রাফিক ডিজাইনের ভালো ডিমান্ড রয়েছে। 

 

যদি আপনি নিজেকে একজন গ্রাফিক ডিজাইনের উপর দক্ষ করে তুলতে পারেন সেক্ষেত্রে আপনি সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন । গ্রাফিক ডিজাইন এর কাজ দীর্ঘস্থায়ী একটি কাজ যার ফলে আপনি এই কাজটি করে যেতে পারবেন অনেকদিন যাবত নিঃসন্দেহে। 

 

বর্তমান সময়ে গ্রাফিক ডিজাইনের প্রচুর কাজ রয়েছে যেমন: লোগো ডিজাইন,  বিজনেস ব্যানার ডিজাইন,  বিজনেস কার্ড ডিজাইন, পার্সোনাল কার্ড ডিজাইন, টি-শার্ট ডিজাইন, ওয়েবসাইট ও অ্যাপসের জন্য ডিজাইন করা, পোস্টার ডিজাইন, ক্যাটালগ ডিজাইন, বিয়ের কার্ড ডিজাইন, ভাউচার ডিজাইন ,ইত্যাদি গ্রাফিক ডিজাইনার দ্বারা করা হয়ে থাকে। 

 

নিঃসন্দেহে আপনি গ্রাফিক ডিজাইন কাজটি শিখে আপনার ফ্রিল্যান্সিং ক্যারিয়ার শুরু করতে পারেন। ফ্রিল্যান্সিং এই কাজ আপনি নানান ধরনের আইটি ইন্সটিটিউট থেকে কোর্স করে শিখে নিতে পারবেন। তাছাড়া আপনি অনলাইনে রিসোর্সকে কাজে লাগিয়ে গ্রাফিক্সের কাজ শিখে নিতে পারেন। 

 

২। ওয়েব ডিজাইন অ্যান্ড ডেভলপমেন্ট – web design 

ওয়েব ডিজাইন ও  ডেভলপমেন্ট অতন্ত চাহিদা এবং সম্মানজনক একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ। আপনি ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট শিখে আউটসোসিং ও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন । ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট এর প্রচুর কাজ পাওয়া যায়।

 

বর্তমানে ইন্টারনেটের সবকিছুই হচ্ছে ওয়েবসাইট নির্ভর আমরা আমাদের ইন্টারনেট খরচ করে থাকি কোনো না কোনো ওয়েবসাইট ব্রাউজ করার মাধ্যমে । তাই বুঝতে পারছেন ওয়েবসাইটের কেমন চাহিদা রয়েছে।

 

তাছাড়াও বর্তমানে দিন দিন মানুষ ওয়েবসাইটের প্রতি আরো বেশি সচেতন হচ্ছে এখন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে ব্যক্তিগত ওয়েবসাইটেরও প্রচুর লক্ষ্য করা যায়।

 

তাই আপনি চাইলে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভলপমেন্ট এই কাজটি শিখে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন। তবে এ কাজটি শিখা তুলনামূলক গ্রাফিক ডিজাইনের চেয়ে একটু কঠিন।

 

 

কারণ এখানে আপনাকে কম্পিউটার প্রোগ্রামিং নিয়ে কাজ করতে হবে তাই আপনাকে সময় নিয়ে এই কাজটি শিখে নিজেকে দক্ষ করে গড়ে তুলতে হবে। একজন ওয়েব ডিজাইনারকে প্রথমে এইচটিএমএল (html), সিএসএস(css), জাভাস্ক্রিপ্ট(javascript), জেকোয়েরি(jquery) বুটস্ট্রাপ(bootstrap) ইত্যাদি শিখতে হবে।

 

এই ল্যাঙ্গুয়েজগুলি শিখার পর তাকে একজন স্ট্যাটিক ওয়েব ডিজাইনার বলা হবে ।অর্থাৎ তখন তিনি একটি স্ট্যাটিক মানের ওয়েব ডিজাইন করতে পারবেন। পরবর্তীতে এই স্ট্যাটিক ডিজাইনটিকে ডাইনামিক ওয়েবসাইটের পরিণত করতে বিভিন্ন ধরনের উচ্চতর প্রোগ্রামিং ল্যাঙ্গুয়েজ শেখার প্রয়োজন হবে যেমন: পিএসপি( php ), পাইথন( python ), জাভা ( java ) ইত্যাদি।

 

যখন কোন একজন ব্যক্তি এইসব ল্যাঙ্গুয়েজ শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারবে তখন তাকে বলা হবে একজন full-stack ওয়েব ডেভলপার। আর একজন ফুলস্টাক ওয়েব ডেভলপার এ প্রচুর বিমান রয়েছে। 

 

৩। এসইও – SEO

বর্তমান সময়ে এসইও  বা সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ এবং এই কাজটির ইন্টারনেটে প্রচুর চাহিদা রয়েছে ।যতদিন পর্যন্ত গুগল সার্চ ইঞ্জিন থাকবে আশা করা যায় সার্চ ইঞ্জিন অপটিমাইজেশন অর্থাৎ এসইও এর চাহিদা ততদিন থাকবে। 

 

একটি ওয়েবসাইটকে এসইও করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় কাজ । সঠিকভাবে একটি ওয়েবসাইট বা আর্টিকেলকে এসইও করা গেলে সহজে এবং ফ্রীতে গুগল থেকে ট্রাফিক পাওয়া যায়।

 

ইন্টারনেটে হাজার হাজার কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং এক একটি ওয়েবসাইটে শত শত ব্লগ আর্টিকেল রয়েছে এবং প্রতিটি ব্লগ আর্টিকেলকে খুব ভালো করে এসইও করা প্রয়োজন হয়ে থাকে । তাই সহজেই অনুমান করা যায় যে এসইও এর কি পরিমান কাজ ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে রয়েছে। 

 

 

আপনি যদি একজন দক্ষ এসইও অপটিমাইজার হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোর উপর নির্ভর না হয়েও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

 

আপনি নিজে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করে সেখানে নিয়মিত এসইও অপটিমাইজ ব্লগ আর্টিকেল পাবলিশ করে সেখান থেকে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

 

তাছাড়া আপনি ইন্টারনেট থেকে প্রচুর ক্লায়েন্ট খুঁজে পাবেন যাদের ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য এসইও এক্সপার্ট প্রয়োজন পড়ে।

 

আপনি গুগলে নির্দিষ্ট কোনো কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করবেন এরপর যারা গুগল সার্চে 10 এর নিচে অবস্থান করছে আপনি তাদেরকে মেইল করে বলতে পারেন যে আমি আপনার আর্টিকেলটিকে গুগলের প্রথম পঞ্চম স্থান এর মধ্যে রেংক করে দিব এবং বিপরীত আমি এই পরিমাণ অর্থ নিয়ে থাকবো ।

 

এই কাজটি আপনি চাইলে কোন ধরনের ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ছাড়াও অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

 

৪। ডিজিটাল মার্কেটিং – Digital marketing

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমান সময়ে অত্যন্ত চাহিদা যোগ্য একটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ এবং ডিজিটাল মার্কেটিং এর আকাশচুম্বী চাহিদা রয়েছে প্রতিটি ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সামগ্রী ও তাদের ব্যবসাকে প্রচার প্রচারণা করতে ডিজিটাল মার্কেটারদের সাহায্য-সহযোগিতা নিয়ে থাকে।

 

উপরে বলা এসইও এই কাজটিও কিন্তু ডিজিটাল মার্কেটিং এর অন্তর্ভুক্ত তবে এ কাজটি অত্যন্তচাহিদাপূর্ণ এবং বিশাল হওয়ায় একে আলাদা করে বলতে হয়েছে।

 

আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং থেকে বিভিন্ন ধরনের কাজ করতে পারবেন ।

 

 

যেমন: সোশ্যাল মিডিয়া মার্কেটিং, সোশ্যাল মিডিয়া এডভার্টাইজিং, ভিডিও মার্কেটিং, ইমেইল মার্কেটিং ,টেক্সট ইমেজ মারকেটিং, ই-কমার্স মার্কেটিং, ইনসুলেন্স মার্কেটিং, মিউজিক প্রমোশন, বুক এবং ই-বুক মার্কেটিং, এফিলিয়েট মার্কেটিং ইত্যাদি। আপনি ডিজিটাল মার্কেটিং শেখার মাধ্যমে এইগুলো করতে পারবেন।

 

এখন আপনি বুঝতেই পারছেন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর নিজেকে দক্ষ করে তুলে এই কাজগুলো যেকোনো একটি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে জব করতে পারবেন।

 

৫। ওয়ার্ডপ্রেস – wordpress

বর্তমানে সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি সফটওয়্যার হল ওয়ার্ডপ্রেস যার মাধ্যমে ওয়েবসাইট তৈরি করা হয়ে থাকে। ওয়াডপ্রেস হচ্ছে একটি সি এম এস অর্থাৎ কনটেন্ট ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম। সি এম এস সফটওয়্যারটি ব্যবহার করে যেকোন ওয়েবসাইট খুব সহজেই তৈরি করা যায়। 

 

বর্তমানে ইন্টারনেটের 40% ওয়েবসাইট ওয়ার্ডপ্রেস ব্যবহার করে তৈরি করা হয়েছে। এবং ওয়ার্ডপ্রেস এর জনপ্রিয়তা দিন দিন ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

 

ওয়াডপ্রেস ফ্রি রিসোর্স সফটওয়্যার তাই যে কেউ চাইলেই ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করে প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করতে পারবেন। বর্তমানে বাজারে ছোট ,বড়, মাঝারি ধরনের হাজার হাজার ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যাদের সামর্থ নেই একটি কাস্টম কোডিং করে লক্ষ টাকা খরচ করে ওয়েবসাইট তৈরি করা। 

 

এর কারণ হচ্ছে কাস্টম কোডিং করে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করতে গেলে প্রচুর অর্থের প্রয়োজন পরে এবং বিপরীতে ওয়ার্ডপ্রেসকে ব্যবহার করে খুব অল্প খরচে প্রফেশনাল মানের ওয়েবসাইট তৈরি করা যায়। 

 

যার ফলে দিন দিন ওয়ার্ডপ্রেস এর চাহিদা ব্যাপক হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে তাই আপনি চাইলে ওয়ার্ডপ্রেস ডেভেলপমেন্ট এই কাজটিকে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলে নিসন্দেহে সুন্দর একটি ক্যারিয়ার গঠন করে তুলতে পারবেন। ওয়ার্ডপ্রেস শিখে কি কি উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যায় তার সম্পর্কে বিস্তারিত পড়ুন

 

৬। ভিডিও এডিটিং – video editing

বর্তমানে আরও একটি জনপ্রিয় এবং সবচেয়ে চাহিদাযোগ্য ফ্রিল্যান্সিং একটি কাজ হলো ভিডিও এডিটিং। কারণ বর্তমানে সকল ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সামগ্রী মার্কেটিংয়ের জন্য ভিডিও মার্কেটিংকে বেছে নিচ্ছে এর কারণ হলো ভিডিও এর মাধ্যমে পণ্য সামগ্রী সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করা সম্ভব এবং খুব সহজে তা মানুষকে বোঝানো যায়।

 

তাছাড়া ভিডিও দেখতে মানুষ স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে থাকে যার ফলে ভিডিও মার্কেটিং করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো এর  বিক্রি বৃদ্ধি পায় এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের প্রচারনা বৃদ্ধি পায়।

 

তাছাড়া আপনি যদি প্রফেশনাল মানের ভিডিও এডিটিং কাজটি শিখে নিজে বিভিন্ন সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম । যেমন: ফেসবুক, ইউটিউব এই প্ল্যাটফর্মগুলোতে যদি বিভিন্ন বিষয়ের উপর ভিডিও পাবলিশ  করেন তাহলে সেখান থেকেও আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

 

ভিডিও এডিটিং শেখার মাধ্যমে আপনি শিখতে পারবেন শর্ট ভিডিও তৈরি করা, হোয়াইটবোর্ড অনিমেশন তৈরি করা, ক্যারেক্টার এনিমেশন ভিডিও তৈরি করা, মিউজিক ভিডিও তৈরি করা, লোগো এনিমেশন করা ইত্যাদি কাজ করতে পারবেন ভিডিও এডিটিং শেখার মাধ্যমে। 

 

আর বর্তমানে সবচেয়ে ভালো মূল্যে কাজ করা যায় ভিডিও এডিটিং কাজের মাধ্যমে। একটি ১ থেকে ৫ মিনিটের ভিডিও তৈরি করে দিয়ে আপনি ১০০ থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত ইনকাম করতে পারবেন।

 

কি আপনার বিশ্বাস হচ্ছে না? যদি বিশ্বাস না হয়ে থাকে তাহলে আপনি জনপ্রিয় ইন্টারন্যাশনাল ফ্রীল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস ফাইবার থেকে ঘুরে আসতে পারেন সেখানে গিয়ে দেখলেই বুঝবেন ভিডিও এডিটরদের কিরকম ডিমান্ড রয়েছে। 

 

৭। কনটেন্ট রাইটিং – Content writing

কনটেন্ট রাইটিং এই কাজটিও দিনদিন ব্যাপকহারে জনপ্রিয় হয়ে উঠছে বর্তমান সময়ে। ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কনটেন্ট রাইটিং এর ব্যাপক চাহিদা  রয়েছে। কারণ ইন্টারনেটের হাজার হাজার – কোটি কোটি ওয়েবসাইট রয়েছে এবং প্রতিটি ওয়েবসাইটের জন্য প্রয়োজন নিয়মিত শত শত আর্টিকেল।

 

আর এই আর্টিকেলগুলো লিখে থাকে বিভিন্ন কন্টেন রাইটাররা ।তাই কনটেন্ট রাইটিং এই কাজটি বর্তমান সময়ে অতন্ত জনপ্রিয় এবং চাহিদাযোগ্য একটি কাজ বর্তমানে এর প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে।

 

একটি ১০০০ শব্দের ইংরেজিতে এসইও অপটিমাইজ আর্টিকেল লিখে দিতে পারলে আপনি কমপক্ষে ৫০ ডলার থেকে ৫০০ ডলার পর্যন্ত আয় করতে পারবেন ।

 

তাই আপনার যদি লেখালেখি করতে পছন্দনীয় হয়ে থাকে এবং লিখালিখির উপর আপনি যদি দক্ষ হন তাহলে এই কনটেন্ট রাইটিং কাজটি আপনার জন্য সবচেয়ে ভালো হবে এবং যারা ইংরেজিতে ভালো পারদর্শী তাদের জন্য এই কাজটি আরো প্লাস পয়েন্ট হবে।

 

 

৮। অনুবাদক – Translation

বর্তমান সময়ে অনুবাদ করার এই কাজটি দিনদিন ব্যাপক জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে। এখানে আপনাকে কোনো একটি ভাষায় লিখিত ডকুমেন্টস প্রদান করা হবে এবং আপনাকে তার ক্লাইন্টের চাহিদা অনুযায়ী অন্য যেকোন ভাষায় অনুবাদ বা ট্রান্সলেট করে দিতে হবে ।বর্তমান সময়ে আমাদের এই পৃথিবীতে প্রায় ৭১১৭টি ভাষা রয়েছে। 

 

তাই সবার পক্ষে এতগুলো ভাষা শেখা সম্ভব হয়ে উঠে না যার ফলে এই কাজটির প্রয়োজনীয়তা বর্তমান সময়ে বেশ লক্ষ্য করা যায়। তাই এখানে আপনি একজন অনুবাদক হিসেবে ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে  কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

 

৯। টি-শার্ট ডিজাইন T-shirt Design

আপনারা অনেকেই রয়েছেন যারা ফটোশপ বা ইলাস্ট্রেটর এর ভালো কাজ এবং ব্যবহার করতে জানেন তাদের জন্য টি-শার্ট ডিজাইন ফ্রিল্যান্সিং এই কাজটি দারুন একটি কাজ হবে।

 

কারণ হচ্ছে টি-শার্ট ডিজাইন করতে হলে একেবারে প্রফেশনাল গ্রাফিক্স ডিজাইনার হওয়া প্রয়োজন পড়ে না আপনি শুধু টি-শার্ট ডিজাইন করার কাজটি শিখে নিতে পারলেই ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে এই কাজটি করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

তাছাড়া আপনি অ্যামাজনে টি-শার্ট ডিজাইন করে পাবলিশ করে সেখান থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। আপনার তৈরিকৃত টি-শার্ট ডিজাইন যদি কেউ পছন্দ করে এবং অর্ডার করে সেক্ষেত্রে আমাজন তা তাদের ফ্যাক্টরি থেকে তৈরি করে কাস্টমারের কাছে পাঠিয়ে দিবে। 

 

পরবর্তীতে অ্যামাজন লভ্যাংশ থেকে ডিজাইন করার বিপরীতে আপনাকে কিছু অর্থ প্রদান করবে। যদি আপনি ডিজাইনের প্রতি আগ্রহী হন তাহলে ফ্রিল্যান্সিং কাজ হিসেবে আপনি টি-শার্ট ডিজাইন কাজটি বেছে নিতে পারেন এটি অত্যন্ত দারুণ একটি কাজ এবং সৃজনশীল কাজ। 

 

১০। ফিনান্সিয়াল কনসাল্টিং – Financial Consulting

আপনি একজন ফিনান্সিয়াল কনসাল্টিং হিসেবে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারবেন। বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের জন্য বিজনেস প্লান, বিজনেস কনসালট্যান্ট, মার্কেট রিসার্চ প্রেজেন্টেশন তৈরি, ভার্চুয়াল অ্যাসিস্ট্যান্ট, ই-কমার্স ম্যানেজমেন্ট, লিগেল কনসাল্টিং, প্রজেক্ট ম্যানেজমেন্ট, সাপ্লাই চেইন ম্যানেজমেন্ট, কাস্টমার কেয়ার, সিআরএম ম্যানেজমেন্ট, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট ইত্যাদি কাজ করে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে অর্থ আয় করতে পারবেন। 

 

এখানে প্রতিটি কাজের ব্যাপক চাহিদা রয়েছে ইন্টারন্যাশনাল ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে । এবং এই কাজগুলোর প্রচুর ডিমান্ড রয়েছে। তাই আপনি চাইলেই একজন ফিনান্সিয়াল কনসাল্টিং হিসেবে এই ধরনের ফ্রিল্যান্সার ও আউটসোর্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে কাজ করতে পারেন।

 

পরিশেষে  – Conclusions

বন্ধুরা আমাদের আজকের এই ফ্রিল্যান্সিং কাজের আর্টিকেলে আমরা বর্তমান সময়ে সেরা দশটি ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর আইডিয়া নিয়ে আপনাদের সাথে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি। এবং সব কয়টি ফ্রিল্যান্সিং কাজ বর্তমান সময়ে খুবই জনপ্রিয়।

 

এখান থেকে আপনি যেকোনো একটি কাজ শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারলে নিঃসন্দেহে আপনি ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । এবং একটি সুন্দর ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন।

 

বন্ধুরা আমাদের আজকের এই ফ্রিল্যান্সিং কাজ এর আর্টিকেলটি আপনাদের যদি ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন আপনার বন্ধুদের মাঝে ।

 

এবং কমেন্ট বক্সে কমেন্ট করে আপনাদের ভালো লাগার বিষয়টি আমাদের জানাবেন এবং এরকম নতুন নতুন বিজনেস ও চাকরি রিলেটেড যেকোনো আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথেই থাকবেন ধন্যবাদ ।

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *