অনিকেত গাঢ় চোখে তাকায়। তার বয়েসি একজন যার কাঁধে কলেজ বা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাগ সে প্রশ্নটা করে। অনিকেত উত্তর দেওয়ার প্রয়োজন বোধ করে না। এদের সবকিছুতেই সীমাহীন কৌতূহল আর জিজ্ঞাসা। যা কখনোই মেটে না। বান্ধবীর ডাগর চোখের মণিটাকে যেমন মিটবলের মতো গিলে খেতে চায়, তেমনি আটোসাঁটো বুকের ভেতরে ঢুকে উষ্ণতা ছিনিয়ে আনতে চায়। তাতেও ক্ষুধা দূর হয় না। এরা আসলে কী চায় জানে না। বলেই সব পেতে চায়, সব খেতে চায়। সর্বভুক হয়ে বাঁচতে চায়। অনিকেতের অত ক্ষুধা নেই। সে কোনো মেয়ের শারীরিক উষ্ণতায় বিলীন হওয়ার নয়। তার ভেতরের উষ্ণতা নিয়েই তুষ্ট থাকতে চায়। কী হলো ভাই জবাব দিচ্ছেন না যে! সে হাঁটার গতি বাড়িয়ে দেয়। দূরত্ব না বাড়া পর্যন্ত ঝঞ্ঝাট দূর হবে না, পেছনে আঠার মতো লেগেই থাকবে। যেচে পড়ে আলাপ করা মানুষেরা সুবিধার হয় না। এমন মানুষদের নিয়ে তার বিচ্ছিন্ন কিছু অভিজ্ঞতা আছে, যার কোনোটাই তেমন সুখকর নয়। সেখানে নতুন অভিজ্ঞতা জমানোর ইচ্ছে বা সময় নেই। সে ব্যস্ত, মহাব্যস্ত। আরও অনেকটা পথ যাওয়ার বাকি।
বইঃ ফুল অথবা ফিনাইলের গন্ধ
লেখকঃ সোহেল নওরোজ
প্রকাশনীঃ কিংবদন্তী পাবলিকেশন
ধরনঃ গল্পগ্রন্থ