আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভালো আছেন। আমাদের কাছে অনেকেই জানতে চেয়েছেন ফার্মেসি ব্যবসা সম্পর্কে। আজকে আমরা আলোচনা করব ফার্মেসি ব্যবসা সম্পর্কে । বর্তমানে এই ব্যবসাটি আমাদের বাংলাদেশে অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরিচিত হয়েছে।
এখন এই ফার্মেসি ব্যবসা করে আমাদের বাংলাদেশের অনেক মানুষ স্বাবলম্বী হয়েছেন। আমরা আজকের এই আর্টিকেলে আলোচনা করব pharmacy ব্যবসা কি? কিভাবে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করা যায়? pharmacy ব্যবসা শুরু করতে কি কি প্রয়োজন? ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে কত টাকা মূলধন এর প্রয়োজন হবে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করব।
বন্ধুরা যারা ফার্মেসি ব্যবসা করতে আগ্রহী মূলত আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি তাদের জন্য। আশা করা যায় আমাদের এই আর্টিকেলটি সম্পূর্ণ মনোযোগ সহকারে পড়লে pharmacy ব্যবসা সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ কিছু তথ্য ও ধারণা পেয়ে যাবেন।
তাহলে বন্ধুরা আর দেরি না করে চলুন শুরু করা যাক আমাদের আজকের মূল আলোচনা ফার্মেসি ব্যবসা নিয়ে ।
ফার্মেসি ব্যবসা কি?
আমরা সবাই জানি ফার্মেসি ব্যবসা হলো এমন একটি ব্যবসা যেখানে একজন সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বিভিন্ন ধরনের ওষুধ পত্র বিক্রি করে থাকে তাকে ফার্মেসি ব্যবসা বলে।
তাছাড়া দেখা যায় প্রেসক্রিপশন ছাড়াও বিভিন্ন সময়ে সাধারণ অসুখের রোগীদের বিভিন্ন রোগের ঔষধ বিক্রয় করা হয় ।
তবে আমরা প্রায়ই দেখি যে pharmacy ব্যবসায় বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী ওষুধ বিক্রি করে থাকে । ফার্মেসি ডাক্তাররা পাইকারি দরে বিভিন্ন ধরনের ঔষধ ক্রয় করে রোগীদের নিকট খুচরা বিক্রয় করে।
আমাদের বিভিন্ন প্রয়োজনীয় ঔষধ আমরা ফার্মেসি দোকানে খুব সহজে পেয়ে থাকি। এবং এই ওষুধগুলো পাইকারি ও খুচরা বিক্রি করার জন্য ফার্মেসির দোকান এর প্রয়োজন পড়ে ।
কেন ফার্মেসি ব্যবসা করবেন?
আপনি হয়তো আপনার গ্রেজুয়েশন কমপ্লিট করে বেকার অবস্থায় ঘোরাফেরা করছেন। অথবা একটি ভালো চাকরির আশায় হয়তো আপনি ঘরে বসে রয়েছেন।
এই ধরনের অনেক শিক্ষিত যুবক যুবতী রয়েছে যারা তাদের পড়াশোনা শেষ করে ভালো একটি চাকরির আশায় এই দিক সে দিক ঘুরে বেড়াচ্ছে।
কিন্তু কোথাও একটা ভালো চাকরি জোগাড় করতে পারছে না। আমাদের বাংলাদেশে চাকরি পাওয়াটা বেশ কঠিন হয়ে দাঁড়িয়েছে ।
তাই বন্ধুরা যারা গ্র্যাজুয়েশন কমপ্লিট করে এখনও বেকার অবস্থায় ঘোরাফেরা করছেন। অথবা চাকরির আশায় ঘোরাফেরা করছেন তাদের জন্য অত্যন্ত লাভজনক এবং সহজলভ্য একটি ব্যবসা হল ফার্মেসি ব্যবসা।
কারণ আমাদের প্রতিদিন বিভিন্ন অসুস্থতার কারণে বিভিন্ন ধরনের ওষুধ খেতে হয়। আর এই ওষুধের প্রয়োজন মেটানোর জন্য আমরা সবাই ফার্মেসির দোকানে গিয়ে থাকি।
বর্তমানে আমাদের বাংলাদেশে ফার্মেসি ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা লক্ষ করা যাচ্ছে। তাই আপনি অযথা বেকার অবস্থায় না থেকে অথবা চাকরির পেছনে না ঘুরে pharmacy ব্যবসায় গড়ে তুলে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারেন ।
এবং অল্প টাকা মূলধন বিনিয়োগ করে লাভজনক ফার্মেসি ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন।
তাই আমি মনে করি প্রতিটি শিক্ষিত যুবক যুবতীদের চাকরির পিছনে অযথা সময় নষ্ট না করে কোনো না কোনো একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে পারলেই অনেক ভালো হবে।
ফার্মেসি ব্যবসা কেমন লাভ ?
অনেকেই হয়তো আমাদের আর্টিকেলটি এতোটুকু পড়েই ফার্মেসি ব্যবসা করার আগ্রহ প্রকাশ করতে পারেন। এবং অনেকের মনে আরও একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে ফার্মেসির ব্যবসায় লাভ কেমন ? অর্থাৎ pharmacy ব্যবসায় করে কি পরিমাণ মুনাফা অর্জন করা সম্ভব?
তাহলে বন্ধুরা চলুন এবার আমরা জেনে নেই ফার্মেসি ব্যবসায় কেমন লাভ বা মুনাফা রয়েছে সে বিষয় সম্পর্কে। দেখুন আপনি কোন একটি ব্যবসা করে বছরে কি পরিমাণ টাকা মুনাফা করতে পারবেন সেটা সম্পূর্ন ভাবে বলা সম্ভব না।
আরো পড়ুন ,,
এর কারণ কোন ব্যবসায় কি পরিমাণ মুনাফা আসবে সেটা কিন্তু অনেকগুলো কারনের উপর নির্ভর করে থাকে।
ফার্মেসি ব্যবসায় কি পরিমান আয় করতে পারবেন তা সম্পর্কে আপনাকে একটা সম্পূর্ণ ধারণা দিতে চাই। তাহলে চলুন লাভজনক ফার্মেসি ব্যবসা করে কি রকম মুনাফা করতে পারবেন সে কারণগুলো দেখে নিই।
১/ ওষুধ কোম্পানির উপর নির্ভর
আপনি যেহেতু ফার্মেসি ব্যবসা করবেন সেহেতু আপনার ব্যবসার প্রধান এবং মূল উপকরণ হলো ঔষধ। এখন একটি ফার্মেসিতে কি শুধুমাত্র একটি কোম্পানির ওষুধ থাকবে ? আসলে কিন্তু তা নয়।
আপনাকে বিভিন্ন ধরনের ভালো ভালো কোম্পানির ভালো ভালো ওষুধগুলো আপনার ফার্মেসিতে রাখতে হবে। এবং এখানে প্রতিটি কোম্পানি আপনাকে একই পরিমাণ কমিশন প্রদান করবে না । এক এক কোম্পানি একেকভাবে কমিশন প্রদান করবে ।
যেমন ধরুন আপনি স্কয়ার কোম্পানির ঔষধ বিক্রি করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে কিন্তু স্কয়ার কোম্পানি বেশি হারে কমিশন দেবে না ।
আবার ধরুন আপনি ইনানী বা হামদ কোম্পানির ওষুধগুলো বিক্রি করতে চাচ্ছেন তাহলে আপনাকে ইনানী ওষুধের উপর ভালো পরিমাণের কমিশন প্রদান করবে।
তাছাড়াও আরো অনেক ধরনের ওষুধ কোম্পানি রয়েছে যারা মূলত বেশি হারে কমিশন প্রদান করে থাকে। এখন আপনি কোন কোম্পানির ঔষধ বিক্রি করবেন সেটা আপনার উপর নির্ভর করবে।
আরো পড়ুন,,
অবশ্য ফার্মেসি ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনাকে ভালো মানের কোম্পানির ওষুধ বিক্রি করতে হবে।
আপনি যত বেশি ঔষধ বিক্রি করতে পারবেন কোম্পানিগুলো আপনাকে ততো বেশি কমিশন প্রদান করবে।
২/ ঔষধ বিক্রয় এর উপর নির্ভর
আপনি যে ব্যবসা করুন না কেন আপনার সে ব্যবসায় যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ কাস্টমার না আসে তাহলে আপনি কিন্তু সে ব্যবসা থেকে তেমন মুনাফা করতে পারবেন না।
তাই শুধু আপনি ফার্মেসি দোকান দিলে হবে নাহ আপনার পর্যাপ্ত পরিমাণ কাস্টমারও থাকতে হবে।
এবং ভালো মানের ঔষধ বিক্রি করতে হবে যত বেশি ওষুধ বিক্রি করতে পারবে তত বেশি মুনাফা করতে পারবেন।
৩/ আপনার দক্ষতার উপর নির্ভর
যেহেতু আপনি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন সেহেতু এই ফার্মেসি ব্যবসা পরিচালনা করার জন্য আপনাকে নিজেকে ব্যবসার সাথে সংযুক্ত থাকতে হবে।
প্রথমদিকে আপনি চাইলে আপনার pharmacy ব্যবসা একাই পরিচালনা করতে পারবেন।
যখন আপনার ব্যবসাটি বড় হবে তখন আস্তে আস্তে আপনার কাস্টমারও আরো বাড়তে থাকবে। ঠিক তখনই আপনাকে বুদ্ধি খাটিয়ে আপনার ফার্মেসির দোকানে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার বসাতে হবে।
যদি আপনি আপনার ফার্মেসির দোকানে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার বসাতে পারেন তাহলে আপনি আরও বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।
ধরুন আপনি আপনার ফার্মেসি দোকানে একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার বসালেন এবং তখন আপনার দোকানের আশেপাশের এলাকাগুলো থেকে প্রতিদিন বিভিন্ন ধরনের রোগী আসতে থাকবে তার পরিপ্রেক্ষিতে আপনার দোকানে ভালো বিক্রি হবে।
একজন ডাক্তার দোকানে বসানোর ফলে আপনার দোকানে দূরদূরান্ত থেকে বিভিন্ন রোগের রোগী আসতে থাকবে ।
এবং রোগীদের প্রয়োজনীয় ওষুধপত্রগুলো যদি আপনার দোকানে থাকে তাহলে তারা আপনার দোকান থেকেই ঔষধ ক্রয় করে নিয়ে যাবে।
এবং দিনশেষে আপনি আগের তুলনায় অনেক বেশি ঔষধ বিক্রি করতে পারবেন এবং আপনার লাভের পরিমাণ অনেক হারে বেড়ে যাবে।
ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?
উপরোক্ত আলোচনা থেকে আমরা অনেক গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সম্পর্কে জানতে পেরেছি যেমন : ফার্মেসি ব্যবসা বলতে কি বুঝায় ? ফার্মেসি ব্যবসা কেন করা উচিত ? ফার্মেসি ব্যবসায় লাভ কেমন? ইত্যাদি আমরা জানতে পেরেছি।
সে ধারাবাহিকতায় এখন আপনার আরও একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় সম্পর্কে জানা প্রয়োজন হবে সেটি হল ফার্মেসি ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন?
নতুন কেউ যদি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে চায় তাহলে সেই ব্যক্তিটি কিভাবে pharmacy ব্যবসা শুরু করতে পারবে ? সেই বিষয়ে আমাদের আর্টিকেলের এই অংশে আমরা আলোচনা করব।
তাহলে চলুন বন্ধুরা কিভাবে একজন নতুন ব্যক্তি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবে এবং কি কি প্রয়োজন হবে সে বিষয়গুলো এক নজরে দেখে নিন:
- আপনাকে প্রথমে ঔষধ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে ।
- ঔষধ কেনার জন্য ভালো একটি মূলধন বিনিয়োগ করতে হবে ।
- ফার্মেসি ব্যবসার জন্য একটি দোকান নির্বাচন করতে হবে ।
- ফার্মেসি দোকানে ভালো একজন অভিজ্ঞ ডাক্তার রাখতে হবে ।
- সব ধরনের ভালো কোম্পানিগুলোর ঔষধ আপনার ফার্মেসিতে রাখতে হবে ।
এই বিষয়গুলো ভালভাবে জেনে বুঝে আপনাকে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে হবে। আপনি যদি এই বিষয়গুলো না জেনে – বুঝে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করে দেন তাহলে ব্যবসায় ক্ষতির সম্ভাবনা রয়েছে।
ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার প্রাথমিক ধাপ গুলো কি কি?
বর্তমান সময়ের লাভজনক ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে প্রাথমিক যে ধাপগুলো রয়েছে সেগুলো নিম্নরূপ:
- মেডিকেল সার্টিফিকেট অথবা ফার্মেসি সার্টিফিকেট ।
- ওষুধ লাইসেন্স ।
- ট্রেড লাইসেন্স ।
- একটি দোকান বা ফার্মেসি স্টল ।
- মূলধন বা পুজি ।
উপরোক্ত এই কাগজগুলো যদি আপনার হাতে থাকে তাহলে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারবেন।
১/ মেডিকেল সার্টিফিকেট
আপনি হয়তো এখন ভাবছেন যে আমি মেডিকেলের স্টুডেন্ট নয় অথবা আমিতো মেডিকেলে পড়াশোনা করিনি।
তাহলে আমি কোথায় মেডিকেল সার্টিফিকেট পাবো ? এই ধরনের একটি প্রশ্ন আপনার মনে জাগতেই পারে ? এবং আপনার মনে আরও একটি প্রশ্ন জাগতে পারে যে ওষুধের বিষয়ে কিভাবে অভিজ্ঞতা বা ধারণা অর্জন করব?
বন্ধুরা চিন্তার কোন কারণ নেই চলুন জেনে নিই কিভাবে আপনি মেডিকেল সার্টিফিকেট সংগ্রহ করতে পারবেন এবং ওষুধ সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারবেন সেই বিষয়ে ।
আপনি খুব সহজেই ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে পারবেন তার জন্য আপনার মেডিকেলে পড়ার বা সাইন্সের স্টুডেন্ট হওয়া জরুরী বিষয় নয়।
আপনি সাইন্স, কমার্স, আর্টস যেকোনো বিষয়ে পড়ালেখা করুন না কেন খুব সহজেই আপনি ফার্মেসি ব্যবসা করতে পারবেন।
আমাদের বাংলাদেশে বর্তমানে অনেক ধরনের সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্টান রয়েছে যারা ফার্মেসি বিষয়ে কোর্স করিয়ে থাকে।
আপনি চাইলে এই ধরনের সরকারি লাইসেন্স প্রাপ্ত প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে ৬ থেকে ৯ মাসের একটি ফার্মেসি কোর্স নিয়ে লাভজনক ফার্মেসি ব্যবসার শুরু করে দিতে পারবেন।
২/ ওষুধ লাইসেন্স
বিভিন্ন রোগীদের জন্য প্রেসক্রিপশন অনুযায়ী বা তাদের চাহিদা অনুযায়ী ওষুধ পত্র বিক্রি করার জন্য আপনাকে সরকার নিয়ন্ত্রিত একটি ওষুধ লাইসেন্স নিতে হবে ।
ওষুধ লাইসেন্সটি নেওয়ার জন্য আপনাকে কিছু টাকা খরচ করতে হবে । এবং আপনি আপনার ফার্মেসি লাইসেন্স দিয়ে খুব সহজেই ওষুধ লাইসেন্সটি সংগ্রহ করতে পারবেন ।
একটি বিষয় মাথায় রাখবেন যে ওষুধ লাইসেন্স ছাড়া কোনো ধরনের ওষুধ বিক্রি করতে পারবেন না এবং তা আইনত দণ্ডনীয় অপরাধ।
তাছাড়া ঔষধ লাইসেন্স ছাড়া যদি আপনি ওষুধ বিক্রয় বা সংরক্ষণ করেন। তাহলে কোন ধরনের ঝামেলা হলে তার জন্য আপনি আইনের আওতায় অপরাধী হিসেবে বিবেচিত হবেন।
আবার অনেক সময় এমনও হতে পারে যে আপনি ওষুধ লাইসেন্স ছাড়া কোনো রোগীকে ওষুধ দিলেন এবং ঔষধ কার্যকরী না হওয়ার ফলে সে রোগী মারা গেল।
মারা যাওয়ার কারণে ভুক্তভোগী পরিচিত কেউ যদি আপনার নামে আদালতে মামলা করে তাহলে আপনার আইনত অপরাধ হতে পারে।
সেজন্য ফার্মেসির ব্যবসার ক্ষেত্রে অবশ্যই সরকারি ওষুধ লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হয়। আপনার যদি মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং সকল কাগজপত্র থাকে তাহলে খুব সহজেই আপনি ওষুধ লাইসেন্স পেয়ে যাবেন।
৩/ ট্রেড লাইসেন্স
মেডিকেল সার্টিফিকেট এবং ওষুধ লাইসেন্স সংগ্রহ করার পর আপনাকে দোকান দেওয়ার জন্য বা ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার জন্য প্রয়োজন হবে একটি ট্রেড লাইসেন্সের।
ট্রেড লাইসেন্স নিতে হবে আপনি যে স্থানে বা যে জায়গায় ফার্মেসি ব্যবসা প্রতিষ্ঠা করতে যাচ্ছেন সে জায়গার পৌরসভার কাছ থেকে ।
এছাড়া আপনি যদি জেলা পর্যায়ে ফার্মেসি ব্যবসা করতে চান তাহলে আপনাকে থানা অথবা জেলা থেকে ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে হবে।
ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে আপনার কিছু টাকা খরচ হতে পারে যেমন ৫০০ টাকা থেকে ২০০০ হাজার টাকা পর্যন্ত।
আপনার যদি মেডিসিন লাইসেন্স ও মেডিকেল সার্টিফিকেট থাকে তাহলে আপনি খুব দ্রুত ট্রেড লাইসেন্স সংগ্রহ করতে পারবেন।
এছাড়া আমাদের বাংলাদেশে বর্তমান যে কোন ব্যবসা করার পূর্বে সরকার অনুমোদিত ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।
৪ / ফার্মেসি দোকান বা ফার্মেসি স্টল
ফার্মেসি ব্যবসাটি আপনাকে এমন স্থানে দেওয়া উচিত যেখানে ক্রেতারা খুব সহজে ওষুধ কিনতে আসতে পারবে। এবং লোকসমাগম আছে ও যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এসব স্থানে যদি আপনি ফার্মেসির দোকানটি প্রতিষ্ঠা করতে পারেন তাহলে আপনার ভালো ওষুধ বিক্রি হবে।
তাই মাথায় রাখবেন ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করার আগে মানুষজনের আনাগোনা আছে অথবা লোকসমাগম আছে এমন স্থানে ও মানুষজনের যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো এই ধরনের স্থানে ফার্মেসির ব্যবসাটি শুরু করার ।
৫/ মূলধন বা পুঁজি
মেডিকেল সার্টিফিকেট, ওষুধ লাইসেন্স, ট্রেড লাইসেন্স এসব কিছুর পেছনে আপনাকে পর্যাপ্ত পরিমাণ টাকা খরচ করতে হবে।
বর্তমানে আপনি যদি লাভজনক pharmacy ব্যবসাশুরু করতে চান তাহলে মোটামুটি আপনার ৫ লক্ষ টাকা থেকে ১০ লক্ষ টাকা পর্যন্ত মূলধন হিসেবে হাতে রাখতে হবে।
তবে আপনি চাইলে আরও বেশি টাকা খরচ করে ফার্মেসির ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন । এটা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে আপনি কত টাকা খরচ করে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে চান।
আপনাকে মাথায় রাখতে হবে সর্বনিম্ন পাঁচ লক্ষ টাকা মূলধন দিয়ে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে হবে কেননা বর্তমানে সবকিছুর দাম ঊর্ধ্বগতিতে।
পরিশেষে – Conclusions
বন্ধুরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা আপনাদের সাথে আলোচনা করলাম কিভাবে আপনি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করবেন? ফার্মেসি ব্যবসা বলতে কি বুঝায়? pharmacy ব্যবসা শুরু করতে কি কি প্রয়োজন হবে?
ফার্মেসি ব্যবসা কত টাকা মূলধন প্রয়োজন হবে? এবং ফার্মেসি ব্যবসায় কি পরিমাণ আয় হতে পারে যাবতীয় বিষয়ে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা করেছি ।
আশাকরি আমাদের আজকের এই আর্টিকেলটি যদি আপনারা মনোযোগ সহকারে পড়ে থাকেন তাহলে ফার্মেসি ব্যবসা সম্পর্কে পূর্ণ একটি ধারণা পাবেন।
আজকের এই আলোচনাটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই অবশ্যই সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করবেন এবং এই ধরনের নতুন নতুন ব্যবসা ও চাকরি সংক্রান্ত নিয়মিত আর্টিকেল পেতে আমাদের সাথে থাকবেন ধন্যবাদ ।
#ফার্মেসি ব্যবসা #ফার্মেসি ব্যবসা করার নিয়মসমূহ