10টি লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়া – New Business idea

10টি লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়া

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে আপনাদের সাথে কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া নিয়ে আলোচনা করবো যা সত্যি লাভজনক ব্যবসা হিসেবে পরীক্ষিত ।

 

আপনি যদি একজন চাকরিজীবী ও ছাত্র হয়ে থাকেন সেক্ষেত্রে আপনি আপনার চাকরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি পার্ট টাইম হিসেবে এই লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়া গুলোকে কাজে লাগিয়ে ব্যবসা করতে পারেন ।

 

বর্তমানে যত ব্যবসা রয়েছে তার মধ্যে কোন ব্যবসায় ছোট বা বড় হয় না ।  ব্যবসা করার জন্য কিছু নির্দিষ্ট নিয়ম কানুন ও উপায় মাধ্যম রয়েছে যা আপনাকে অনুসরণ করতে হবে ।

 

পূর্বের মানুষ ব্যবসা করার ক্ষেত্রে প্রচুর টাকা ইনভেস্ট করত । কিন্তু আজকের এই আধুনিক যুগে এমন শতশত ব্যবসা আইডিয়া রয়েছে যা শুরু করতে আপনার টাকা খরচ করতে হবে না ।

 

বর্তমানের মানুষ দিন দিন ব্যবসা এর গুরুত্ব সম্পর্কে বুঝতে পারছেন যার কারণে এখন অনেক মানুষই তাদের নিজের একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে চেষ্টা করছে ।

 

আর এই জন্যই বন্ধুরা নিচে আপনাদের সাথে বর্তমানে অনেক ব্যবহৃত ও লাভজনক  কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করতে যাচ্ছি ।

 

একজন ব্যক্তির জন্য একটি ব্যবসায়িক পরিকল্পনা খুঁজে সেটাকে নিয়ে ব্যবসা গড়ে তোলা সহজ কোনো কাজ নয়।

 

আর একটি ভুলে এবং ভুল সিদ্ধান্তে তার সম্পূর্ণ টাকা, কষ্ট ও সময় সব জলে ভেসে যেতে পারে ।

 

আর এই জন্য ব্যবসা শুরু করার পূর্বে যতটা সম্ভব নানান ধরনের ব্যাবসা আইডিয়া সম্পর্কে জ্ঞান অর্জন করার চেষ্টা করুন ।

 

ব্যবসা শুরু করার পূর্বে যে পণ্য নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে আগ্রহী আপনি তার বাজার বিশ্লেষণ করা অত্যন্ত জরুরি একটি কাজ ।  আর্থিক অবস্থা, চাহিদা, জনসংখ্যা, ব্যাবসায়িক অভিজ্ঞতা, প্রতিযোগিতা ইত্যাদির উপর বিশ্লেষণ করেই ব্যবসা শুরু করা উচিত ।

 

চলুন বন্ধুরা এখন আমরা সরাসরি কিছু নতুন ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত জেনে নিই :

 

বর্তমানে কিছু লাভজনক নতুন ব্যবসার আইডিয়ার তালিকা : 

আমরা আজকের আর্টিকেলে নিচে যে আইডিয়াগুলো শেয়ার করতে চলেছি তা ইতিমধ্যে অনেকেই করছে ।  এবং অনেকে এই ব্যবসা গুলো করে সফলও হয়েছে আবার অনেকে ব্যর্থও হয়েছে । ব্যবসায় আপনি সফল হবেন কিনা ব্যর্থ হবেন নির্ভর করছে ব্যবসা সম্পর্কে আপনার জ্ঞান, পরিশ্রম, ধৈর্য ও অধ্যবসায়ের উপর ।

 

নিয়মিত আপনার ব্যবসায় নতুন নতুন সৃজনশীল উপায় খাটিয়ে ব্যবসাটিকে আপডেট রাখতে হবে । এছাড়াও আপনি চাইলে  ব্যবসাগুলোকে পার্ট টাইম হিসেবেও নিতে পারেন ।

 

আপনি ব্যবসায় কত টাকা বিনিয়োগ করতে পারবেন আপনার সামর্থের মধ্যে, আপনার ব্যবসা সম্পর্কে জ্ঞান কতটুকু, অভিজ্ঞতা এবং আরো প্রয়োজনীয় জিনিস এর উপর নির্ভর করে নিচে দেওয়া  নতুন ব্যবসার আইডিয়াগুলো থেকে আপনি আপনার ব্যবসাটি নির্বাচন করবেন ।

 

১/ নিজের একটি ব্লগ তৈরী করুন

বর্তমানে অনলাইন থেকে আপনি যদি অর্থ উপার্জন করার কথা কখনো চিন্তা করে থাকেন তাহলে অবশ্যই ব্লগিং করে অর্থ উপার্জন করার কথা শুনেছেন । ব্লগিং ব্যবসা অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার ক্ষেত্রে দিন দিন জনপ্রিয় একটি উপায় হয়ে উঠছে । এবং এটি একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া হওয়ার পাশাপাশি এটি লাভজনক একটি ব্যবসাও বটে ।

 

সঠিকভাবে ব্লগিং করতে পারলে কয়েক মাসের মধ্যেই আপনি একটি ভালো পরিমাণ অর্থ আপনার ব্লগ ব্যবসা থেকে উপার্জন করতে পারবেন ।  একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে যোগাযোগ করুন আমাদের সাথে

 

বর্তমানে একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট থেকে নানান উপায়ে অর্থ উপার্জন করা যায় যেমন : আফিলিয়েট মারকেটিং, গুগোল প্রচার , প্রচার, লোকাল প্রচার, ছাড়াও আরও নানান ধরনের উপায় রয়েছে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট থেকে অর্থ উপার্জন  করার ।

 

আপনি যদি লেখালেখি করতে ভালবাসেন এবং লেখালেখির উপর আপনার ভালো দক্ষতা থাকে সেক্ষেত্রে ব্লগে হতে পারে আপনার জন্য দারুন একটি  নতুন ব্যবসার আইডিয়া । আপনি আপনার পছন্দের একটি নির্দিষ্ট টপিক নিয়ে আপনার ব্লগে নিয়মিত লেখালেখি করুন । 

 

 

এবং ব্লগগুলোকে এসইও অপটিমাইজ করে পাবলিশ করুন ।  তাহলেই দ্রুত আপনি আপনার ব্লগ থেকে অর্থ উপার্জন করতে সক্ষম হবেন ।

 

তাই আপনি যদি একজন ছাত্র-ছাত্রী অথবা  চাকুরীজীবী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার পড়াশোনার ও চাকরির পাশাপাশি এই ব্লগিং নতুন ব্যবসার আইডিয়াটিকে কাজে লাগিয়ে আরো কিছু অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করতে পারেন। 

 

এবং যখন আপনার ব্লগটি প্রতিষ্ঠিত হয়ে উঠবে তখন আপনি চাইলে ফুল টাইমার হিসেবে ও ব্লগিং করতে পারেন । 

 

একটি ব্লগিং ওয়েবসাইট শুরু করতে হলে আপনাকে ডোমেইন ও হোস্টিং শুরুতে ক্রয় করা প্রয়োজন হবে ।  পরবর্তীতে সেই ডোমেইন ও হোস্টিংয়ে একটি  ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করতে হবে ।

 

তবে একটি সফল ব্লগ ওয়েবসাইট প্রতিষ্ঠা করতে হলে আপনাকে অবশ্যই এসইও এর উপর দক্ষতা অর্জন করতে হবে । তাই ব্লগিং সম্পর্কে আপনার দক্ষতা, অভিজ্ঞতা, সময়য়ের উপর নির্ভর করে আপনি এই ব্যবসাটি নির্বাচন করতে পারেন ।

 

২/  কনটেন্ট রাইটিং ব্যবসা

বর্তমানে কন্টেন রাইটারদের প্রচুর চাহিদা রয়েছে । ইন্টারনেটে এখন প্রতিনিয়ত হাজার হাজার ওয়েবসাইট তৈরি হচ্ছে ।  এবং এই ওয়েবসাইটগুলোর জন্যে প্রয়োজন হচ্ছে শত শত কনটেন্ট ।  

 

যার জন্য প্রচুর চাহিদা দেখা যাচ্ছে কনটেন্ট রাইটারদের ।  আপনার যদি বাংলা ও ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা এবং একটি বিষয়কে গুছিয়ে বিস্তারিতভাবে আর্টিকেল আকারে প্রকাশ করতে পারেন তাহলে আপনি কন্টেন্ট রাইটিং এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন ।

 

বিভিন্ন ধরনের ব্লগিং ওয়েবসাইটে আপনার কনটেন্টগুলো পাবলিশ করে বিপরীতে তাদের থেকে অর্থ ডিমান্ড করতে পারেন ।  এছাড়াও ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে নিয়মিত কাজ করতে পারেন ।

 

 

ফ্রীলান্সিং মারকেটপ্লেসে বর্তমানে নতুনদের জন্য অনেকটাই কঠিন হয়ে উঠেছে তাই আপনি যদি একজন কনটেন্ট রাইটার হিসেবে ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে কোন চিন্তাই করতে হবে না । 

 

এর কারণ হচ্ছে আপনি চাইলে একটি ব্লগ ওয়েবসাইট তৈরি করার মাধ্যমে সেখানে কোয়ালিটিফুল কনটেন্ট পাবলিশ করে প্রচার প্রচারনার ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অর্থ উপার্জন করতে পারেন ।

 

এছাড়াও আপনি আপনার সার্ভিসটিকে বিভিন্ন ধরনের সামাজিক মাধ্যমে মার্কেটিং করতে পারেন ।   ফেইসবুকে অনেক ধরনের কনটেন্ট রাইটার গ্রুপ রয়েছে সেখানে যুক্ত  হলে আপনি নানান ধরনের কাজ পেতে পারেন ।

 

কনটেন্ট রাইটিং এই ব্যবসাটি নতুন একটি ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে গড়ে উঠেছে ।  এবং এই কনটেন্ট রাইটিং দীর্ঘস্থায়ী একটি  ইনকামের উপায় হবে সেটা বলা যায় ।

 

আপনি যদি একজন ছাত্র ছাত্রী ও চাকরিজীবী হয়ে থাকেন তাহলে আপনি আপনার পড়াশুনা ও চাকরির পাশাপাশি কনটেন্ট রাইটিং এই কাজটি করে অতিরিক্ত আরো অর্থোপার্জন করতে পারবেন । বিশেষ করে ছাত্রছাত্রীদের জন্য কনটেন্ট রাইটিং পেশাটি অত্যন্ত দারুণ একটি কাজ হবে বলাই যায় ।

 

৩/ ডিজিটাল মার্কেটিং এর ব্যবসা

বর্তমান যুগ হচ্ছে তথ্য ও ডিজিটাল প্রযুক্তির যুগ ।  তাই এই ডিজিটাল মাধ্যম গুলোর প্রচুর ব্যবহার বর্তমানে দেখা যাচ্ছে ।

 

ডিজিটাল মার্কেটিং বর্তমানে অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি ফ্যাক্টর হয়ে দাঁড়িয়েছে এর প্রধান কারণ মানুষ এখন ডিজিটাল পণ্য সামগ্রী  ও সেবা  বেশি ব্যবহার করছে ।  যেমন : ফেইসবুক, ইউটিউব, গুগোল, আমাজন, ইত্যাদি এখন ডিজিটাল প্রযুক্তি ।

 

এবং এই সাইটগুলোতে  শত শত কোটি মানুষ প্রতিদিন ভিজিট করছে এবং বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান তাদের পণ্য সামগ্রী ও সেবার মার্কেটিং করার জন্য ডিজিটাল মার্কেটিংকে তাই নির্বাচন করছে ।

 

এইসব প্ল্যাটফর্মগুলোতে শত শত কোটি মানুষ থাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো তাদের পণ্য সামগ্রী ও সেবার মার্কেটিং করছে সহজে ডিজিটাল মার্কেটিং এর মাধ্যমে ।

 

 

তাই আপনি যদি ডিজিটাল মারকেটিং এই কাজটি শিখে নিজেকে দক্ষ করে তুলতে পারেন তাহলে আপনি আপনার ব্যবসার পণ্য সামগ্রী, সেবা অথবা ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেস গুলোতে কাজ করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

বর্তমানে বাংলাদেশের তরুন তরুনীদের মাঝে ডিজিটাল মার্কেটিং কাজটি শেখার প্রতি প্রচুর আগ্রহ দেখা যাচ্ছে ।  এর কারণ হচ্ছে তারা ফেইসবুক, ইউটিউব, গুগোল এই  ধরনের প্ল্যাটফর্ম গুলোতে প্রতিদিন প্রচুর সময় ব্যয় করছে, তাই তারা চিন্তা করছে এই প্ল্যাটফর্মগুলোকে কাজে লাগিয়ে একটি পেশা বা ব্যবসা প্রতিষ্ঠান কিভাবে দাড়ঁ করা যায় এই চিন্তা থেকেই তারা ডিজিটাল মার্কেটিং এর প্রতি দিন দিন আগ্রহী হয়ে উঠছে । 

 

এছাড়াও আপনি যখন ডিজিটাল মার্কেটিং এর উপর দক্ষ হয়ে উঠবেন তখন আপনি বিভিন্ন ধরনের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করে অথবা আপনার অভিজ্ঞতা ও দক্ষতার উপর ভিত্তি করে  এখনই  আপনি  ডিজিটাল মার্কেটিং কোর্স তৈরি করে ফেলতে পারেন ।

 

এবং পরবর্তীতে সেই কোর্সটি বিভিন্ন ধরনের জনপ্রিয় কোর্স প্ল্যাটফর্মগুলোতে বিক্রি করতে পারেন ।  কয়েকটি জনপ্রিয় কোর্স প্ল্যাটফর্ম হচ্ছে :  ইউডেমি, স্ক্রিলশেয়ার, ইনস্ট্রাক্টরি  ইত্যাদি ।

 

৪/ মাস্ক তৈরির ব্যবসা

করোনার পূর্ববর্তী সময়ে  এই  মাস্ক তৈরির ব্যবসা ছিল না অর্থাৎ এটি একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ।  তবে বর্তমানে এই পণ্যটি সবার কাছেই পরিচিত এটি করোনাভাইরাস থেকে এবং ধুলাবালি থেকে মানুষকে নিরাপদ রাখার ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয় । 

 

 তাই আপনিও চাইলে এই সুযোগে ফায়দা নিয়ে এই নতুন ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগাতে পারেন  । মাক্স তৈরি করতে তেমন বিশেষ কিছুর প্রয়োজন হয় না আপনি চাইলে এটি সেলাই করেও তৈরি করতে পারবেন ।

 

 

তাই আপনি যদি দক্ষতার সাথে এই  নতুন ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে ব্যবসাটি গড়ে তুলতে পারেন । এই ব্যবসাটি আপনি প্রতিষ্ঠিত করতে পারলে ভালো লাভবান হতে পারবেন ।

 

৫/ ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট

বর্তমান সময়ে ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে পার্সোনাল পোর্টফোলিও এর জন্যও মানুষ এখন ওয়েবসাইট তৈরি করছে । প্রতিদিন হাজার হাজার নতুন নতুন ওয়েবসাইট ইন্টারনেটে যুক্ত হচ্ছে ।

 

কারণ এখন প্রতিটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে তাদের ব্যবসাকে অনলাইনে নিয়ে আসতে চেষ্টা করছে  ।  অফলাইন ব্যবসার তুলনায় অনলাইন ব্যবসায় কম খরচে ও কম ঝামেলায়  প্রতিষ্ঠা করা যায় ।

 

যার ফলে ওয়েব ডিজাইন এবং ডেভেলপমেন্ট প্রচুর চাহিদা দেখা দিচ্ছে ।  আপনি ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট শিখে নিজেকে এই সেক্টরে একজন দক্ষ কর্মী হিসেবে গড়ে তুলতে পারেন ।  আপনি এই কাজটি শিখে বিভিন্ন ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে চাইলে চুক্তিভিত্তিক কাজ করতে পারেন ।

 

এছাড়াও আপনি ওয়েব ডিজাইন এন্ড ডেভেলপমেন্ট এর কাজ জানলে বিভিন্ন এজেন্সি ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের সাথে বিজনেস শুরু করতে পারেন ।  আজকাল কোডিং করা ছাড়াও ওয়ার্ডপ্রেসের মতো জনপ্রিয় সিএমএস ব্যবহার করে প্রফেশনাল ওয়েবসাইট তৈরি করে ফেলা সম্ভব হচ্ছে ।

 

তাই আপনি কোডিং করতে ঝামেলা মনে হলে ওয়ার্ডপ্রেসের মতো প্রফেশনাল মানের সিএমএস শিখে নিতে পারেন । এবং ফ্রিল্যান্সিং মার্কেটপ্লেসগুলোতে ক্লায়েন্টের চাহিদা অনুযায়ী ওয়েবসাইট বানাতে থাকুন এবং নিয়মিত অর্থ উপার্জন করতে থাকুন । এটিও একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে সফল পরীক্ষিত ব্যবসা ।

 

৬/ জিমনেসিয়াম বা ব্যায়ামাগার

বর্তমান সময়ে সবাই আমরা নিজেদেরকে মানসিক এবং শারীরিক ভাবে সুস্থ রাখতে চাই ।  এক্ষেত্রে প্রায় আমরা বিভিন্ন ধরনের জিমনেসিয়াম, ইয়োগা, ইত্যাদিতে গিয়ে শারীরিক ও মানসিক ব্যায়াম করে থাকি ।

 

এই ব্যবসাটি করতে হলে আপনাকে সর্বপ্রথম একটি জনসমাগম রয়েছে এবং যাতায়াতের সুযোগ সুবিধা রয়েছে এমন জায়গা খুঁজে বের করে সেখানে একটি জিমনেশিয়াম  প্রতিষ্ঠা করতে হবে ।

 

 

এই ব্যবসাটি শুরু করতে আপনার অন্য ব্যবসা তুলনায় ভালো করে  বিনিয়োগ করতে হবে । ব্যায়ামাগারের জন্য একটি বড় জায়গা নিতে হবে এবং তার জন্য প্রতি মাসে মাসে ভাড়া দিতে হবে ।  ব্যায়াম করার জন্য নানান ধরনের ব্যায়ামের মেশিন ক্রয় করতে হবে ।

 

তবে ধীরে ধীরে জিম করতে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়তে থাকলে আপনি আপনার অ্যাডমিশন ফি এবং মাসিক ফি এর মাধ্যমে প্রচুর টাকা আয় করতে পারবেন ।

 

৭/ Tea Cafe

আপনি হয়তো ভাবছেন চায়ের দোকান তো আমরা অনেক  আগে থেকেই দেখে আসছি এটা তাহলে নতুন ব্যবসার আইডিয়া হলো কিভাবে ?

 

দেখুন যা আমরা সবাই পছন্দ করে থাকি এবং রাস্তার বিভিন্ন পাশে ছোট ছোট দোকানে চায়ের দোকান আমরা দেখতে পাই ।

 

আপনি যদি এই ছোট ব্যবসারটিকে একটু ভিন্ন রূপে আধুনিক ভাবে শুরু করতে পারেন তাহলে অবশ্যই এটি একটি দারুন ও লাভজনক ব্যবসা হয়ে দাঁড়াবে ।

 

আপনাকে আলাদা আলাদা বিভিন্ন রকমের আপনার ক্যাফে বানাতে হবে ।

 

যেমন :  Cold Tea, masala tea,black tea,raw tea,green tea ইত্যাদি । 

 

এই ধরনের আধুনিক ও আপডেটেড ব্যবসা করার জন্য আপনাকে অবশ্যই সঠিক স্থান নির্বাচন করতে হবে ।  যে বা যারা এই ধরনের চা পান করবে অথবা যেসব এলাকায় এ ধরনের চা বিক্রি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে আপনি তেমন এলাকায় আপনার Tea Cafe টি  তৈরি করুন ।

 

 

আপনি এই চায়ের ব্যবসার সাথে এই সম্পর্কিত আরো কিছু খাবার বিক্রি করতে পারেন : যেমন বিভিন্ন ধরনের ভাজা খাবার ।

 

৮/ সিসিটিভি ইনস্টলেশন ব্যবসা

বর্তমান সময়ে ছোট-বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের স্কুল, কলেজ, হাসপাতাল ও কর্পোরেট প্রতিষ্ঠান গুলোতে সিসিটিভির প্রচুর ব্যবহার দেখা যায় ।

 

কিন্তু সিসিটিভি লাগানো এবং ইন্সটল করার কাজ সবাই জানে না আর তাই আপনি এই কাজটি ভালোভাবে শিখি নিতে পারলে দারুণ একটি উপায় গড়ে তুলতে পারবেন ।  যেহেতু এই কাজে প্রতিযোগিতা কম সে ক্ষেত্রে আপনি সহজেই অর্থ উপার্জন করতে পারবেন ।

 

 

আপনি শুরুতে আপনার ঘর থেকে এই কাজটি শুরু করতে পারেন পরবর্তীতে প্রচার প্রচারণা বাড়লে ফোনের মাধ্যমে অনলাইনে অর্ডার নিয়ে কাজটি করে দিতে পারেন । আপনি আপনার ব্যবসার ভালো প্রচার করতে পারলে দ্রুতই এই নতুন ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে একটি লাভজনক ব্যবসা গড়ে তুলতে পারবেন । 

 

৯/ ইউটিউব চ্যানেল

আজকাল অনলাইন ব্যবসার ক্ষেত্রে একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি করে অর্থ উপার্জন করাও একটি প্রফেশনাল এবং লাভজনক ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে গড়ে উঠেছে ।

 

বর্তমানে বাংলাদেশের প্রচুর তরুণ-তরুণীরা এই ইউটিউবকে কাজে লাগিয়ে তাদের পড়াশোনার পাশাপাশি আরও অতিরিক্ত অর্থ উপার্জন করছে । অনেকে পার্ট টাইমার হিসেবে ইউটিউবিং শুরু করলেও পরবর্তীতে ফুল টাইমার হিসেবে ইউটিউবকে পেশা হিসেবে বেছে নিচ্ছে । 

 

ইউটিউব এর মাধ্যমে আপনি নানা উপায় অবলম্বন করে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন যেমন : প্রচার  এর মাধ্যমে অর্থ উপার্জন করা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করা, বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানকে প্রচারনার করা আরও ইত্যাদি উপায় অবলম্বন করে আপনি ইউটিউব থেকে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন । এটিও একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া হিসেবে পরিচিত ও লাভজনক ব্যবসা ।

 

১০/ অনলাইনে কোর্স বিক্রি

আপনি যদি নির্দিষ্ট কোনো বিষয় বা টপিকের উপর দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে আপনি সে বিষয়ে ও টপিকের উপর বিভিন্ন ধরনের ভিডিও তৈরী করে কোর্স বানাতে পারেন ।  এবং সেই কোর্সগুলো নানান ধরনের কোর্স প্লাটফর্মে বিক্রি করতে পারেন । কয়েকটি জনপ্রিয় কোর্স প্লাটফর্ম হল : ইউডেমি, স্কিল-শেয়ার, ইনস্ট্রাক্টরি ইত্যাদি ।

 

এর ফলে মানুষ ঘরে বসেই অল্প টাকায় বিভিন্ন ধরনের প্রফেশনাল কোর্স করতে পারবে । এছাড়াও আপনি শুরুর দিকে আপনার প্রচারণার জন্য ইউটিউব ,ফেইসবুক  সামাজিক মাধ্যমগুলোকে ব্যবহার করতে পারেন ।  সেখানে বিভিন্ন ধরনের কোন সম্পর্কিত ভিডিও দিয়ে আপনার প্রচার প্রচারনা করতে পারেন ।

অনলাইন কোর্স বিক্রি এই ব্যবসাটি ও একটি নতুন ব্যবসার আইডিয়া ও লাভজনক ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে ।  আপনি আপনার চাকরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি অবসর সময়ে এই অনলাইনে বিক্রির ব্যবসা করতে পারেন ।

 

পরিশেষে – Conclusions

বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলে কয়েকটি ইউনিক এবং নতুন ব্যবসার আইডিয়া আপনাদের সাথে শেয়ার করা হয়েছে প্রতিটি ব্যবসার আইডিয়া নতুন হলেও অত্যন্ত লাভজনক ব্যবসা ।

 

প্রতিটি ব্যবসা লাভজনক ব্যবসা তবে আপনার ব্যবসা করার দক্ষতা, ধৈর্য ও সৃজনশীলতার ব্যবহারই পার্থক্য গড়ে দিবে  আপনি কি পরিমান লাভ করবেন আপনার ব্যবসা থেকে ।

 

আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে আমরা যথেষ্ট চেষ্টা করেছি লাভজনক কিছু নতুন ব্যবসার আইডিয়া শেয়ার করা । আর্টিকেলটি ভালো লাগলে আপনার পছন্দের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে শেয়ার করতে পারেন ।  এছাড়াও নিচে কমেন্ট বক্সে জানাতে পারেন আপনার পছন্দের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে । 

Leave a Reply 1

Your email address will not be published. Required fields are marked *