জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুল
হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশনী : অনন্যা
পৃষ্ঠাসংখ্যা : ৭৯
মলাট মূল্য : ১৫০/=
অল্প আয়তনের বইটি একবসাতেই পড়ে শেষ করা যায়।গল্পটি নীলগঞ্জ নামক ছোট্ট একটি গ্রামের বহুবছরের পুরোনো একটি স্কুলকে নিয়ে।
এই স্কুল বিগত বছরগুলোতে একাধিক কৃতি ছাত্র তৈরি করেছে।বর্তমানে স্কুলটির অবস্থা ঢাল তলোয়ারবিহীন নিধিরাম সরকারের মতোন।এই স্কুলের অল্প ক’জন শিক্ষক আছেন যারা ঠিকমতো বেতন অবধি পান না।তবুও কেনো যেনো তারা রয়ে গেছেন।এমনকি ভালো কোনো শিক্ষকও স্কুলটিতে বেশিদিন টেকেন না। স্কুলের একমাত্র দপ্তরি হরিপদ।
ধুকে ধুকে স্কুলটি যা-ও চলছিলো এলাকার প্রতিপত্তিসম্পন্ন মন্ত্রী মহাশয় নিজের মায়ের মৃত্যুদিবসে নতুন একটি স্কুল স্থাপনের পর নতুন ঝা-চকচকে দালান এবং সুন্দর স্কুলে দলে দলে চলে যেতে থাকে ছাত্র আর সাথে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুলের শিক্ষকেরা।
পড়ে থাকে জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুলের কঙ্কাল এবং স্কুলঅন্তপ্রাণ হেডমাস্টার ফজলুল করিম সাহেব।নিয়তির বিরুদ্ধে স্বপ্নকে বাচাতে লড়ে যাওয়া একা সৈনিকের গল্প ‘জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল হাইস্কুল’।
হুমায়ূন আহমেদ স্যার বইএর শেষে কোন এক অদ্ভূত কারণে পাঠককে হ্যাপি এন্ডিং এর মুখ দেখান না।দুরুদুরু বুকে বইটা পড়ছিলাম কেননা বারবার মনে হচ্ছিলো প্রয়োজনে গল্প মাঝপথে শেষ হয়ে যাক তবু যেনো ফজলুল করিমের পরাজিত মুখ দেখতে না হয়।
শুরু থেকেই মনে হচ্ছিলো অথবা খুব করে চাইছিলাম কোনো এক সুন্দর ভোরে নীলগঞ্জের পোস্টম্যান জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুলের হেডমাস্টারের জন্য একখাম আনন্দ নিয়ে আসুক আর স্কুলটি আবার প্রাণ ফিরে পাক।
বইটি পড়েছেন কি?
Books you must read
#জীবনকৃষ্ণ মেমোরিয়াল স্কুল