১০টি সেরা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া – 10 village business idea

১০টি সেরা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া

আসসালামু আলাইকুম বন্ধুরা আশা করি সবাই ভাল আছেন।বর্তমান সময়ে দেখা যায় যে গ্রামের মানুষ ব্যবসার দিকে দিন দিন ঝুঁকছে তাই আমরা আমাদের আজকের এই আর্টিকেলে বেশকিছু গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে আলোচনা করব।

 

আগে বলে নেয়া ভাল যে এই ব্যবসা গুলো শুধুমাত্র গ্রামে করতে পারবেন তা কিন্তু নয় আপনি চাইলে সহরেও ব্যবসা গুলো করতে পারবেন। 

 

আপনি যেহেতু গ্রামে ব্যবসা করবেন তাই এই ব্যবসা গুলো করতে আপনার তেমন কোনো মূলধনের প্রয়োজন পড়বে না আপনি কম পুঁজি দিয়েও এই ব্যবসা গুলো গ্রামে করতে পারবেন । 

 

তবে যদি আপনি বেশি টাকা বিনিয়োগ করেন তাহলে আরো বেশি টাকা মুনাফা করতে পারবেন এই ব্যবসা গুলো করে।

 

তাহলে বন্ধুরা চলুন জেনে নেয়া যাক গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াগুলো কি কি এবং কয়েকটি লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া।

 

১। কাঁচামালের ব্যবসা

আমরা জানি শহরের যেসব কাঁচা-মাল ও শাকসবজি পাওয়া যায় তার বড় বড় যোগান কিন্তু আসে আমাদের বিভিন্ন গ্রামের খেত খামার থেকে। তাই যে কারণে গ্রামে ব্যবসা করার জন্য সবচেয়ে সেরা লাভজনক ব্যবসা আইডিয়া হতে পারে এই কাঁচামাল ও শাকসবজি ব্যবসা।

 

যদি আপনি জানতে চান যে সবচেয়ে লাভজনক গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া কি তাহলে আমি আপনাকে সবার আগে বলবো যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা হলো কাঁচামালের গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া। 

 

কারন গ্রামে অনেক কাঁচামাল উৎপাদন করা হয় আর এই কাঁচামাল থেকে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করা সম্ভব।

 

এবং কাঁচামাল হিসেবে হতে পারে গ্রামের বিভিন্ন ধরনের শাকসবজি। কেননা গ্রামের এই কাঁচা মালের চাহিদা শহরে প্রচুর রয়েছে তাই আপনি চাইলে গ্রামের বিভিন্ন শাক-সবজির ক্ষেত থেকে পাইকারি মূল্যে কাঁচামাল ক্রয় করে তা শহরে বিভিন্ন খুচরা দোকানে বিক্রি করতে পারবেন।

 

এবং সবচেয়ে মজার বিষয় হল যে আপনি কাঁচামালের ব্যবসাটি সল্প পুজিঁতেই শুরু করতে পারবেন  । দেখা যায় গ্রামের যে কোন ব্যবসা করার জন্য অনেকের পুজিঁ বা মূলধন অনেক কম লাগে সে কারণে তাদের জন্য গ্রামে ব্যবসা করার সেরা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হলো কাঁচামাল ও শাক সবজির ব্যবসা।

 

২। ফার্মেসি ব্যবসা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে গ্রামে কিংবা শহরে মধ্যে সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে রয়েছে ফার্মেসি ব্যবসা। কারণ গ্রামে ও শহরে ফার্মেসি ব্যবসার প্রচুর চাহিদা রয়েছে। 

 

দেখা যায় শহরে মানুষ অসুস্থ হলে খুব দ্রুত ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে পারে। অন্যদিকে গ্রামের মানুষ অসুস্থ হলে ডাক্তারের কাছে যেতে হয় অনেক দূর পর্যন্ত।

 

এছাড়াও গ্রামে খুব কমই ফার্মেসি দেখা যায় চাহিদা অনুযায়ী ফার্মেসি না থাকার কারণে গ্রামের মানুষের অনেক কষ্ট হয় এবং তারা বাধ্য হয়ে শহরে যায় বিভিন্ন অসুখের কারণে এবং ওষুধের জন্য। 

 

 

 

তাই আপনি চাইলে তিন থেকে ছয় মাসের একটি ফার্মেসি কোর্স নিয়ে গ্রামের হাট বাজারে এবং যাতায়াত ব্যবস্থা ভালো আছে এরকম স্থানে একটি ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন।

 

বর্তমানে এটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা আপনার ফার্মেসীতে যদি সকল প্রকার ওষুধ পাওয়া যায় এবং সাশ্রয়ী মূল্যে যদি ওষুধ পাওয়া যায় তাহলে গ্রামের মানুষ আর শহরমুখী হবে না। 

 

গ্রামে ফার্মেসি ব্যবসা শুরু করতে আপনার যা প্রয়োজন হবে :

১। ড্রাগ লাইসেন্স

২। ট্রেড লাইসেন্স

৩। মেডিকেল সার্টিফিকেট

৪। ফার্মেসি স্থল

৫। ওষুধ ক্রয়ের জন্য মূলধন

 

উপরোক্ত সকল বিষয় মেনে যদি আপনি ফার্মেসীর ব্যবসা শুরু করেন তাহলে আমি সেই ব্যবসাতে আপনি ভালো পরিমাণে অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

 

৩। রেস্টুরেন্ট গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া

বর্তমানে শহরের সাথে তাল মিলিয়ে গ্রামের ব্যবসাও বেড়ে চলছে । ফাস্টফুড খাবারের চাহিদা সেইসাথে যেখানে সেখানে গড়ে উঠেছে বিশাল বিশাল রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। বর্তমানে গ্রামের মানুষদের রেস্টুরেন্টে গিয়ে খাবার খাওয়ার চাহিদাও দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে।

 

তাই আপনি গ্রামে ব্যবসা করতে চাইলে রেস্টুরেন্ট এর গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ একটি ব্যবসা। বর্তমানে রেস্টুরেন্ট ব্যবসার মাধ্যমে যেমন প্রচুর টাকা আয় করা সম্ভব তেমনি খুব তাড়াতাড়ি বিনিয়োগ করা পুঁজি ফিরিয়ে আনা সম্ভব।

 

 

তাছাড়া বর্তমানে সবচেয়ে অগ্রগামী লাভজনক গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হলো রেস্টুরেন্ট ব্যবসা। তাই আপনারা যারা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান তাদের বলব আপনারা দুই থেকে তিন লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে গ্রামে রেস্টুরেন্ট ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

রেস্টুরেন্ট একটি ইউনিক নাম ও ডেকোরেশন, লোকজন নিয়োগ করে শুরু করে দিতে পারেন গ্রামের লাভজনক এই ব্যবসাটি । 

 

কারণ গ্রামে খুব কমই রেস্টুরেন্ট ব্যবসা গড়ে উঠেছে তাই আপনি চাইলে নতুন যুগের সাথে তাল মিলিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াটি কাজে লাগিয়ে ।

 

প্রত্যেক ব্যবসার ন্যায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসায়ও আপনাকে স্থাপন করতে হবে যেসব জায়গায় লোকসমাগম আছে এবং হাট-বাজার ও যেখানে পর্যটন কেন্দ্র রয়েছে । 

 

সেই সব জায়গায় রেস্টুরেন্ট ব্যবসা গড়ে তুলতে পারলে সবচেয়ে বেশি ভালো হয়। রেস্টুরেন্ট ব্যবসার ক্ষেত্রে আপনি ২ লক্ষ টাকা থেকে ৩ লক্ষ টাকা বিনিয়োগ করে মাসে কমপক্ষে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত অর্থ উপার্জন করতে পারবেন।

 

তাই যারা গ্রামের ব্যবসা আইডিয়া সম্পর্কে জানতে চান এবং যাদের হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন রয়েছে তাদের বলব রেস্টুরেন্ট ব্যবসা গড়ে তোলার জন্য । বর্তমানে এটি সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি ব্যবসা এবং রেস্টুরেন্ট ব্যবসার চাহিদাও রয়েছে শহর কিংবা গ্রামে সমান হারে।

৪। চা পাতার ব্যবসা

প্রাচীন আমলে সুদূর চীন থেকে ব্রিটিশরা আমাদের জন্য যা এনেছিল সেটা হল চা । চা এর উৎপত্তি চীনে হলেও বর্তমানে সারা বিশ্বে চা এর ব্যাপক চাহিদা রয়েছে। 

 

এবং আমাদের দেশ মোটামুটি সবাই চা পান করে থাকে। আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি যে দোকান গুলো রয়েছে সেগুলোর প্রথমে হল চায়ের দোকান ।

 

আমরা প্রায়ই অলিতে-গলিতে চায়ের দোকান দেখতে পাই। এবং এই চা তৈরীর প্রধান উপাদান হলো চা পাতা । তাই বুঝা যায় চা পাতার কেমন চাহিদা রয়েছে বাংলাদেশেও।

 

আপনি যদি চা পাতার ব্যবসা করতে আগ্রহী হন তাহলে আপনি চাইলে সিলেটের বিভিন্ন চা বাগান থেকে কম দামে চা পাতা ক্রয় করে গ্রামে গ্রামে বিভিন্ন চায়ের দোকানে তা বিক্রি করতে পারবেন।

 

আপনি কেন গ্রামের চা পাতার ব্যবসা করবেন? এর কারণ হলো গ্রামে প্রচুর পরিমানের চায়ের দোকান রয়েছে এবং চা পাতার চাহিদা ব্যাপক। 

 

তাই আপনি চাইলে এই চা পাতার ব্যবসাটি করতে পারেন গ্রামে ব্যবসার আইডিয়ার এর মধ্যে চা পাতার ব্যবসাটি অন্যতম। 

 

আপনি যদি চা কোম্পানির থেকে কম দামে চায়ের দোকানে চা পাতা বিক্রি করতে পারেন তাহলে চা দোকানিরা আপনার থেকে হুমরি খেয়ে কিনতে থাকবে। 

 

এখানে একটা বিষয় মাথায় রাখতে হবে অবশ্যই অবশ্যই আপনার চা পাতা গুলো ভালো হতে হবে যদি আপনার চাপাতার মান ভাল হয় তাহলে আপনি প্রচুর পরিমানের চা পাতার কাস্টমার পাবেন কারণ গ্রামে অনেক চা পাতার দোকান রয়েছে। 

 

আপনি চাইলে অল্প পুঁজি খাটিয়ে এই চা পাতার ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। আপনি যদি আপনার গ্রামের মধ্যে অন্তত ২০ থেকে ৩০ টি চায়ের দোকান ধরতে পারেন তাহলে আপনি দৈনিক ৫০ কেজি চা পাতা বিক্রি করতে পারবেন। 

 

এক কেজি চা পাতা দিয়ে যদি আপনি মিনিমাম ৩০ টাকা করে আয় করেন তাহলে দেখা যায় ৫০কেজিতে আপনার পনেরশো টাকা লাভ হবে। এবং এটি মাস শেষে দাঁড়াই ৪০ থেকে ৫০ হাজার টাকা পর্যন্ত।

 

গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে চা পাতার ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা এবং চাহিদা পূর্ণ একটি ব্যবসা । আপনি চাইলে খুব সহজেই এই ব্যবসাটি আপনার এরিয়ার মধ্যে করতে পারেন এবং খুব অল্প পুঁজি খাটিয়ে ব্যবসাটি শুরু করা সম্ভব ।

 

৫। ডিলারশিপ গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া

 

বর্তমানে গ্রামে ডিলারশিপ ব্যবসা করা খুবই লাভজনক এবং নিরাপদ একটি ব্যবসা। সময়ের সাথে সাথে তাল মিলিয়ে শহরের মত গ্রামেও বাড়ছে জীবন যাত্রার মান। তাই বর্তমানে যেকোনো বিভিন্ন ধরনের খাদ্যদ্রব্য থেকে শুরু করে আসবাবপত্র ও ইলেক্ট্রনিক পণ্য এর চাহিদা দিন দিন বৃদ্ধি পাচ্ছে গ্রামে ।

 

যদি আপনার মূলধন বেশি থাকে তাহলে গ্রামের মধ্যে যেকোনো খাদ্যদ্রব্য অথবা ইলেকট্রনিক পণ্যের ডিলারশিপ নিয়ে আপনি ব্যবসা শুরু করতে পারেন। 

 

প্রথমে একটু গ্রামের হাট-বাজারগুলো বিশ্লেষণ করবেন যে সবাই কোন জিনিস গুলোর চাহিদা বেশি অনুভব করে।

 

এরপর ওই জিনিসটা ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন যেমন আপনার গ্রামে যদি কোন টিভি, ফ্রিজ, মোটরসাইকেল, রাইস কুকার এরকম জিনিসপত্র কেনার জন্য শহরে গিয়ে থাকে গ্রামের মানুষ।

 

তাহলে আপনি চাইলে এইসব ইলেকট্রনিক্স পণ্যের ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে পারেন । যদি আপনার হাতে পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন থাকে তাহলে আপনি অনায়াসে এই ব্যবসাটি করে স্বাবলম্বী হতে পারবেন ।

 

আবার আপনি চাইলে বিভিন্ন খাদ্যদ্রব্যের ডিলারশিপ নিয়ে ব্যবসা শুরু করতে পারেন।

 

একটি বিষয় মাথায় রাখবেন ডিলারশিপ ব্যবসার ক্ষেত্রে কোন ধরনের লসের সম্ভাবনা নেই ।কারণ আপনার প্রোডাক্ট যদি বিক্রী না হয় তাহলে সেগুলো আবার কোম্পানি ফেরত নিতে বাধ্য। 

 

 

আপনার হাতে যদি পর্যাপ্ত পরিমাণ মূলধন থাকে আপনাকে পরামর্শ দিব গ্রামের হাট-বাজারগুলোতে যেসব জায়গায় মানুষের আনাগোনা বেশি সেসব জায়গায় যেকোনো ডিলারশিপ ব্যবসা শুরু করতে। গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে ডিলারশিপ ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা।

 

৬। সাপ্লাই ব্যবসা

লাভজনক গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে আরেকটি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া হলো সাপ্লাই ব্যবসা 

 

আমরা জানি ইন্টারনেট ব্যবহার এর জন্য ওয়াইফাই লাইন এর প্রয়োজন হয়, টিভি দেখতে হলে ডিস লাইনের প্রয়োজন পড়ে, আবার নিরাপদ খাবার পানির জন্য পানি সরবরাহ করা হয়। আর যারা এইসব সার্ভিস বা সেবা আমাদের কাছে পৌঁছে দেই মূলত এটাই হলো সাপ্লাই ব্যবসা।

 

শহরে যেমন বিভিন্ন ধরনের সেবা খুব সহজে পাওয়া যায় কিন্তু গ্রামে এখনো ততটা সেবা পাওয়া যায় না তাই আপনি চাইলে গ্রামে শুরু করে দিতে পারেন যেকোন সার্ভিস বা পণ্যের সাপ্লাই ব্যবসা। 

 

এটি হতে পারে ইন্টারনেট সাপ্লাই অথবা ডিস লাইন সাপ্লাই । যেকোনো কিছু সাপ্লাই করে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন আপনি।

 

আপনি যদি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজতে থাকেন তাহলে সাপ্লাই ব্যবসা টি আপনার জন্য অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা হবে যদি আপনার এই পরিমাণ অর্থ পুজি  থাকে।

 

বিভিন্ন ধরনের সেবা এবং সাপ্লাইয়ের ব্যবসা করে আপনি খুব সহজেই আপনার বিনিয়োগ করা পুঁজি ফিরিয়ে আনতে পারবেন। যেহেতু গ্রামে এখনো এসব সেবাগুলো তেমন পাওয়া যায় না আপনি চাইলে এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে সাপ্লাই ব্যবসা শুরু করে দিতে পারেন। 

৭। হোটেল ব্যবসা 

গ্রামে ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে বর্তমানে আরেকটি লাভজনক ব্যবসা হল হোটেল ব্যবসা বর্তমানে বিভিন্ন হাট-বাজারে প্রায়ই দেখা যায় এখানে সেখানে হোটেল রয়েছে। 

 

হোটেল ব্যবসা যদি আপনি গ্রামে করতে চান তাহলে দুটি উপায় করা যেতে পারে একটি হলো খাবার হোটেল ব্যবসা ও অন্যটি হল থাকার হোটেল ব্যবসা বা  আবাসিক হোটেল ব্যবসা। 

 

আপনি যদি গ্রামে কম পুঁজিতে লাভজনক ব্যবসা শুরু করতে চান তাহলে খাবার হোটেল ব্যবসাটি শুরু করা যেতে পারেন । কারণ বর্তমানে খাবার হোটেলের ব্যবসা সবচেয়ে লাভজনক ব্যবসা গুলোর মধ্যে একটি । খাবার হোটেল ব্যবসা যেমন কম টাকা দিয়ে শুরু করা যায় তেমন এই ব্যবসায় লাভ হয় প্রচুর পরিমাণে।

 

অনেকের একটি কমন প্রশ্ন হল যে হোটেল ব্যবসা করলে কি কি খাবার বিক্রি করা যায় ? এই বিষয়টা সম্পূর্ণ আপনার উপর নির্ভর করবে যে আপনি কি কি খাবার তৈরি করে বিক্রি করতে চান ।

 

এই খাবারগুলো আপনি চাইলে আপনার হোটেলে রাখতে পারেন যেমন : ভাত, মাছ, ডাল, ডিম, পরোটা, রুটি, সিঙ্গারা, সমুচা ইত্যাদি খাবারগুলো আপনি আপনার খাবার হোটেল রাখতে পারেন। 

 

প্রতিটি ব্যবসার  ন্যায় এই ব্যবসায়টি আপনাকে যেসব জায়গায় মানুষের লোকসমাগম আছে সেসব জায়গায় স্থাপন করতে হবে তাহলে আপনার ব্যবসা ভালো হবে। অল্প টাকার পুজিতে আপনি চাইলে গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া গুলোর মধ্যে এই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন  ।

 

৮।স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা

 

বর্তমানে দেখা যায় শহরের মতো গ্রামেও কিন্তু পাইকারি ব্যবসার ব্যাপক চাহিদা রয়েছে আপনি গ্রামে বসেই শুরু করে দিতে পারেন খাতা,কলম, পেন্সিল, রাবার সহ সকল প্রকার স্টেশনারি পণ্যের পাইকারি ব্যবসা 

 

আমরা জানি খাতা ,কলম, রাবার, পেন্সিলসহ পড়ালেখার প্রতিটি পণ্য যে দোকানে বিক্রি করা হয় তাকে স্টেশনারি পণ্যের দোকান বলে।

 

আপনি চাইলে সব থেকে কম মূল্যে পাইকারি স্টেশনারি পণ্য কিনে এনে তা গ্রামের বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পাশে ষ্টেশনারী দোকানে তা বিক্রি করতে পারবেন।

 

আপনি মাত্র ১০ হাজার টাকা দিয়ে স্টেশনারি পণ্য পাইকারি ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন এবং ১০,০০০ টাকা বিনিয়োগ করে আপনি ৫০০০ টাকা পর্যন্ত লাভ করতে পারবেন। 

 

এভাবে গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে স্টেশনারি পাইকারি ব্যবসায়ী ও  অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। আপনি খুব সহজেই ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। গ্রামে বিভিন্ন স্কুল-কলেজের পাশে হাট-বাজারে স্টেশনারি ব্যবসা প্রচুর চাহিদা রয়েছে।

 

৯। কৃষি পণ্যের ব্যবসা

আমরা জানি আমাদের দেশ হলো কৃষিপ্রধান দেশ তাই শহরের চেয়ে গ্রামে সবচেয়ে বেশি কৃষিকাজ হয়ে থাকে । যেহেতু গ্রামের অধিকাংশ মানুষ কৃষি কাজের সঙ্গে জড়িত তাই গ্রামে কৃষিকাজে প্রয়োজনীয় পণ্যের প্রচুর চাহিদা থাকে।

 

আপনি যদি গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া খুঁজেন তাহলে এই কৃষিপণ্যের লাভজনক ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। 

 

আপনি কৃষিকাজের প্রয়োজনীয় পণ্য বা যন্ত্রপাতিও বিক্রি করতে পারেন অথবা কৃষি কাজে ব্যবহৃত হয় যেমন : বিভিন্ন ফসলের বীজ ,কীটনাশক সার, কৃষি যন্ত্রাংশ, ইত্যাদি এই ব্যবসাটি আপনি গ্রামে শুরু করে দিতে পারেন ।

 

গ্রামে যেহেতু এই পণ্যগুলোর চাহিদা রয়েছে তাই আপনি হাট-বাজারে অল্প টাকা পুঁজি দিয়ে এই ব্যবসাটি শুরু করে ভালো অর্থ উপার্জন করতে পারবেন। 

 

তাছাড়াও আপনার মূলধন বাড়িয়ে আপনি চাইলে কিছু পণ্যের পাশাপাশি বিভিন্ন পাওয়ার টিলার অথবা সেচ সেবা চালু করতে পারেন যেটা হতে পারে আপনার ব্যবসার অতিরিক্ত মুনাফা।

 

যদি আপনার মূলধন বেশি হয় তাহলে এটা শুরু করে দিতে পারেন । গ্রামে বসে মাসে লাখ লাখ টাকা আয় করতে পারবেন এই কৃষিপণ্যের ব্যবসাটি করার মধ্যে। 

 

তাই গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া মধ্যে এই ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা চাইলেই যে কেউ শুরু করে অনায়াসে স্বাবলম্বী হতে পারবে ।

 ১০। মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসা

বর্তমান যুগ তথ্য প্রযুক্তির যুগ, তথ্যপ্রযুক্তির এই যুগে শহরের তুলনায় গ্রামেও মানুষজনের কাছে স্মার্টফোন ব্যবহারে লক্ষনীয়। তাই আপনি চাইলে গ্রামে মোবাইল সার্ভিসিং ব্যবসাটি শুরু করে মাসে অনেক টাকা আয় করতে পারবেন। 

 

লোকসমাগম আছে এমন জায়গায়  অথবা হাট-বাজারে একটি ছোট্ট দোকান নিয়ে আপনি মোবাইল সার্ভিসিংয়ের ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন।

 

মোবাইল সার্ভিসিং সম্পর্কে আপনার যদি পূর্বের কোন ধারনার না থাকে তাহলে আপনি ৩ থেকে ৬ মাসের একটি কোর্স নিয়ে নিজেকে দক্ষ করে এই ব্যবসাটি শুরু করতে পারেন। 

 

মোবাইল সার্ভিসিং এর পাশাপাশি আপনি চাইলে আপনার দোকানে বিভিন্ন মোবাইলের সরঞ্জাম যেমন : ব্যাটারি, চার্জার, কভার, কেবল ইত্যাদি পণ্যগুলো রেখে বিক্রি করে বাড়তি টাকা আয় করতে পারবেন।

 

বর্তমানে মোবাইল সার্ভিসিংয়ের ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা গ্রামের মধ্যে । কারণ শহরের তুলনায় মোবাইল সার্ভিসিং এর দোকান গ্রামের মধ্যে অনেক কম তাই আপনি এই সুযোগটাকে কাজে লাগিয়ে গ্রামে মোবাইল সার্ভিসিং এর ব্যবসা শুরু করে নিজেকে স্বাবলম্বী করতে পারবেন ।

 

গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া  মধ্যে মোবাইল সার্ভিসিং এই ব্যবসাটি অত্যন্ত লাভজনক একটি ব্যবসা। 

 

পরিশেষে- Conclusion

বন্ধুরা আজকে আমরা ১০টি সেরা গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করলাম

এই আর্টিকেলে। আপনারা যদি গ্রামে ব্যবসার আইডিয়া খুঁজে থাকেন তাহলে আমাদের এই লাভজনক গ্রামের ব্যবসার আইডিয়াগুলোর মধ্যে যেকোনো একটি আইডিয়াকে কাজে লাগিয়ে আপনার ব্যবসাটি শুরু করে দিতে পারেন। 

 

আর আমাদের আজকের এই গ্রামের ব্যবসার আইডিয়া আর্টিকেলটি আপনাদের কেমন লাগলো তা অবশ্যই আমাদের কমেন্ট বক্সে জানাবেন এবং আমাদের আর্টিকেলটি শেয়ার করবেন,পাশে থাকবেন ধন্যবাদ ।

 

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *