এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসার করার নিয়মসমূহ ২০২২

এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসার করার নিয়মসমূহ ২০২২

এফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমানে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করার বা অনলাইনে ব্যবসা করার ক্ষেত্রে জনপ্রিয় একটি  টপিক  উঠেছে ।  এবং বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই অনলাইন ব্যবসাটি একটি ট্রেন্ডিংয়ে পরিণত হয়েছে । এবং দিন যাওয়ার সাথে সাথে এই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর জনপ্রিয়তাও দ্বিগুণ হারে বৃদ্ধি পাচ্ছে ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করে সারা বিশ্বে তরুণ-তরুণী থেকে নানান দেশের মানুষ এখন অনলাইনে ইনকাম করছে । 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সবচেয়ে ভালো দিক হলো এই ব্যবসায় আপনাকে কোন ধরনের প্রোডাক্ট বা সার্ভিস নিজেকে তৈরি করতে হবে না আপনি শুধুমাত্র অন্যদের পণ্য সামগ্রী ও সেবাগুলো বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে প্রচার করবেন এবং বিপরীতে প্রতিটি পণ্য ও সেবা বিক্রয়ের মাধ্যমে আপনি কমিশন লাভ করবেন ।

 

বর্তমানে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি মাধ্যম হচ্ছে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রাম ।  

 

অ্যামাজন বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে বড় এবং সফল ই-কমার্স ইন্ডাস্ট্রি । আমাজনয়ে রয়েছে ছোট বড় নামিদামি সকল ব্র্যান্ডের পণ্য ও সেবা ।  তাই আপনি সহজেই এই প্রণ্যগুলো গ্রাহকের নিকট মার্কেটিং করতে পারলে বিক্রি করা নিয়ে আপনাকে দুশ্চিন্তা করতে হবে না ।

 

তাই আজকের এই আর্টিকেলটিতে আপনাদের সাথে এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ?  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে কি বুঝায় ?  এফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা কিভাবে শুরু করবেন ?  এবং বাংলাদেশের কিছু আফিলিয়েট মারকেটিং সাইটের সাথে আপনাদের পরিচয় করিয়ে দেব ।

 

যার ফলে আপনি যদি ইংরেজিতে ভালো দক্ষ হয়ে না থাকে সে ক্ষেত্রেও আপনি বাংলা ভাষাকে ব্যবহার করে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং করে উপার্জন করতে পারবেন ।  তাহলে বন্ধুরা চলুন আপনি সম্পর্কে আরো নানান বিষয় জেনে নেওয়া যাক । 

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি ?

এফিলিয়েট মার্কেটিং বলতে বুঝায় আপনি অন্য ব্যবসা প্রতিষ্ঠান এর পণ্য সামগ্রী এবং তাদের সেবাগুলো প্রচার করে দেওয়ার মাধ্যমে বিক্রি করা এবং বিক্রিত পণ্য থেকে লভ্যাংশ অর্জন করায় এফিলিয়েট মার্কেটিং ।

 

অর্থাৎ সহজ কথায় যদি বলি আপনি একটি মার্কেটিং পদ্ধতিতে আপনি অন্যের প্রোডাক্ট ও সার্ভিস বিভিন্ন উপায় অবলম্বন করে বিক্রি করে দিবেন এবং সেই বিক্রিত পণ্য থেকে আপনি কিছু নির্দিষ্ট হারে কমিশন অর্জন করবেন ।

 

আশা করি আপনি মার্কেটিং কি আপনি ভালভাবে বুঝতে পেরেছেন ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো ?

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবেন ?  অনেকের মধ্যে এ ধরনের প্রশ্ন জেগে উঠেছে যে আপনি এফিলিয়েট মার্কেটিং কেন করবো । 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অন্যতম একটি প্রধান কারণ হচ্ছে এর মাধ্যমে আপনি প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন । 

 

প্যাসিভ ইনকাম বলতে বোঝায় আপনি দীর্ঘদিন কাজ করার পর একটা পর্যায়ে পর্যন্ত আপনার ব্যবসারটিকে নিয়ে যেতে পারলে পরবর্তীতে আপনি কাজ করতে সময় দিতে না পারলেও আপনার ব্যবসা থেকে অটোমেটিক ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন ।

 

উদাহরণস্বরূপ :  একজন লেখক একটি বই লিখে থাকেন কিন্তু প্রতিটি বই বিক্রি হওয়ার পর তিনি বই থেকে আয় বা ইনকাম করে থাকেন । ঠিক তেমনই রিয়েল এস্টেট ব্যবসায়ীরা প্রথমে বিনিয়োগ করে বিভিন্ন বড় বড় দালান তৈরি করে পরবর্তীতে বছরের-পর-বছর তারা সেই দালানগুলো থেকে নিয়মিত অর্থ উপার্জন করে । তাদের পরবর্তীতে তেমন বড় কোনে ইনভেস্ট করতে হয় নাহ ।

 

 

আশা করি বন্ধুরা এখন বুঝতে পেরেছেন প্যাসিভ ইনকাম বলতে কী বোঝায় । এছাড়াও এই কাজে রয়েছে আপনার স্বাধীনতা আপনি আপনার অবসর সময়ে বা চাকরি ও পড়াশোনার পাশাপাশি এই কাজটি করতে পারবেন ।

 

যা আপনাকে আরও কিছু বাড়তি আয়ের যোগান দেবে ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শিখব ?

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং অত্যন্ত জনপ্রিয় ও ট্রেন্ডিং একটি টপিক হওয়ার কারণে বর্তমানে ইন্টারনেটে  এর প্রচুর ডকুমেন্টেশন এবং টিউটিরিয়াল রয়েছে ।  আপনি ইন্টারনেটের বিভিন্ন ওয়েবসাইট এর সহায়তায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে বিস্তারিত শিখে নিতে পারবেন । 

 

এছাড়াও জনপ্রিয় ভিডিও প্ল্যাটফর্ম ইউটিউবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর উপর প্রচুর টিউটোরিয়াল খুঁজে পাবেন ।  যা আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কাজটি শুরু করতে সাহায্য করবে । 

 

এছাড়াও আপনি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং যদি অ্যাডভান্স লেভেলের শিখতে আগ্রহী হয়ে থাকেন সেক্ষেতে আপনি বিভিন্ন কোর্স প্ল্যাটফর্ম এর থেকে ঘরে বসেই কোর্স করে নিতে পারেন ।

 

এমন কয়েকটি জনপ্রিয় কোর্স  প্ল্যাটফর্ম ওয়েবসাইট হল :  ইউডেমি, ইনস্ট্রাক্টরি, স্ক্রিল-শেয়ার ইত্যাদি । 

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কয়েকটি জনপ্রিয় এবং  সেরা ওয়েবসাইট এর সাথে আপনাকে এখন পরিচিত করিয়ে দেবো ।  আপনি ঘরে বসেই এই ওয়েবসাইট গুলোর মাধ্যমে হাজার হাজার পণ্য সামগ্রী নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন । এবং এই এফিলিয়েট মার্কেটিং সাইটগুলো ভালো পরিমাণ কমিশনও দিয়ে থাকে ।

 

কয়েকটি জনপ্রিয় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সাইট হল :

 

  • অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • থিমফরেস্ট অ্যাফিলিয়েট
  • Bluehostঅ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম
  • নেইমচিপ আফিলিয়েট
  • গো ড্যাডি আফিলিয়েট সাইট
  • শপিফাই আফিলিয়েট সাইট
  • এলিমেন্টর আফিলিয়েট 
  • ক্লিকব্যাংক অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাম 

 

এছাড়াও ইন্টারনেটে হাজার হাজার অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ওয়েবসাইট রয়েছে ।  বর্তমানে ছোট-বড় সব প্রতিষ্ঠানে এখন তাদের পণ্য সামগ্রী ও সার্ভিসগুলো প্রচার করার জন্য অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সুযোগ করে দিচ্ছে ।  যার ফলে পণ্য সামগ্রী মালিক ও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার উভয় উপকৃত হচ্ছে । 

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুবিধা

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার অনেক ধরনের সুযোগ-সুবিধা রয়েছে ।  কি কি সুযোগ সুবিধা রয়েছে তা সম্পর্কে আরো বিস্তারিত জানতে পারবেন আজকের আর্টিকেলের এই অংশে । 

 

  1. অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অন্যান্য ব্যবসার মতো তেমন ইনভেস্ট এর প্রয়োজন হয় না
  2.  কোন ধরনের নিজস্ব প্রোডাক্ট এর প্রয়োজন হয় না
  3.  আপনি আপনার পছন্দ মত যে কোন প্রোডাক্ট নিয়ে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করতে পারবেন 
  4.  ঘরে বসে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং ব্যবসা করতে পারবে ।
  5.  প্রোডাক্ট সেল করার পর তার সার্ভিস নিয়ে আপনাকে কোন ধরনের চিন্তা করতে হবে না ।
  6.  ফুলটাইম একটি ক্যারিয়ার গড়ে তুলতে পারবেন ।
  7.  আপনি নিজেই নিজের বস হিসেবে কাজ করতে পারবেন ।
  8.  আপনার থাকবে সময়ের সম্পূর্ণ স্বাধীনতা ।
  9.  যার ফলে যেকোনো সময় আপনি ভ্রমণে ও ঘুরতে যেতে পারবেন ।
  10.  বিভিন্ন কোম্পানি ও প্রতিষ্ঠানের কাছে যথেষ্ট সম্মান পাবেন ।
  11.  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য কোন ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে আপনাকে বিড করার প্রয়োজন হবে না ।
  12.  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের মাধ্যমে প্যাসিভ ইনকাম জেনারেট করতে পারবেন ।

অর্থাৎ একটি সময় আপনি ঘুমিয়ে থাকলেও অ্যাফিলিয়েট ব্যবসা থেকে ইনকাম হবে ।  যাকে আমরা ঘুমিয়ে ঘুমিয়ে টাকা ইনকাম করা বলে থাকে 

 

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার সুবাদে আপনি এই সুযোগ সুবিধা গুলো পাবেন ।  যা আপনি অন্যান্য কম ব্যবসায় এই ধরনের সুযোগ পেয়ে থাকবেন ।  আর এই কারনেই অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং দিন দিন সারা বিশ্বে জনপ্রিয় ও ট্রেন্ডিং একটি ব্যবসা হিসেবে গড়ে উঠেছে ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং বাংলাদেশ

 

সময় বাড়ার সাথে সাথে এখন বাংলাদেশেও অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের ছোঁয়া লেগেছে । বাংলাদেশের মানুষ এখন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর প্রতি প্রচুর আগ্রহ দেখাচ্ছে ।  বাংলাদেশের প্রচুর ফ্রিল্যান্সার ভাইবোনেরা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার মাধ্যমে নিজেদের ক্যারিয়ার ইতিমধ্যে গড়ে তুলেছে ।

 

বাংলাদেশী ফ্রিল্যান্সারদের পাশাপাশি বর্তমানে বাংলাদেশের ই-কমার্স ব্যবসায়গুলোও তাদের পণ্য সামগ্রী ও সেবাগুলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য সুযোগ করে দিচ্ছে । যার ফলে দেশে তৈরি হচ্ছে অনলাইন থেকে অর্থ উপার্জন করা আরো নানান উপায় ।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি জনপ্রিয়  সাইট  হল : daraz.com, chaldal.com, ajkerdeal.com, সহ আরো কয়েকটি ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ।  এবং ধীরে ধীরে ছোট ছোট ব্যবসা প্রতিষ্ঠানগুলো  অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এই সুযোগটাকে কাজে লাগানোর চেষ্টা করছে ।

 

 তাই,ধারণা করা যাচ্ছে দ্রুতই বাংলাদেশের ছোট বড় সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান এফিলিয়েট মার্কেটিং এই সার্ভিসটি সবার জন্য উন্মুক্ত করে দিতে যাচ্ছে ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার কয়েকটি  ধাপ অনুসরণ করতে হবে  সেগুলো হলো :

 

  •  আপনার একটি অবশ্যই ওয়েবসাইট প্রয়োজন হবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ।
  •  ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য একটি ডোমেইন ও হোস্টিং প্রয়োজন হবে ।
  •  যে ধরনের পণ্য সামগ্রী নিয়ে আফিলিয়েট মার্কেটিং করতে চান তা নিয়ে নিয়মিত ওয়েবসাইটে আর্টিকেল প্রকাশ করতে হবে ।
  • আর্টিকেল গুলোকে  এসইও অপটিমাইজ করতে হবে তাহলে গুগল থেকে ভিজিটর আপনার ওয়েবসাইটে আসবে ।
  • পরবর্তীতে যে প্রোডাক্ট বা সেবাগুলো সম্পর্কে আপনি আগ্রহী সেই ওয়েবসাইটগুলোর অ্যাফিলিয়েট প্রোগ্রাময়ে যুক্ত হতে হবে ।

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করা থেকে অর্থ উপার্জন করা পর্যন্ত আপনাকে এই ধাপ গুলো নানান সময়ে অনুসরণ করতে হবে ।

 

তবে ব্যবসাটি শুরু করতে প্রথমে আপনার শুধুমাত্র একটি প্রফেশনাল ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হবে ।

 

আমাজন এফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করবো ?

 

অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় একটি উপায় অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য ।  অ্যামাজন সর্বোচ্চ ১০% পার্সেন্ট কমিশন দিয়ে থাকে তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের । 

 

অ্যামাজন অ্যাসোসিয়েট নামে তারা অ্যাফিলিয়েট মার্কেটারদের জন্য একটি প্রোগ্রাম রেখেছে সেখানে আপনি যুক্ত হয়ে তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটার হতে পারেন ।

 

তাদের অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং প্রোগ্রামে যুক্ত হতে হলে আপনাকে অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট পেজে গিয়ে এপ্লাই করতে হবে ।  

 

তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিংয়ের জন্য এপ্লাই করার পুর্বে আপনার অবশ্যই একটি ওয়েবসাইট এর প্রয়োজন হবে ।  এবং যে প্রোডাক্ট বা সেবা নিয়ে আপনি অ্যাপলেট মার্কেটিং করতে আগ্রহী তা সম্পর্কে কমপক্ষে ১০ থেকে ২০ টি আর্টিকেল আপনার ওয়েবসাইটে থাকতে হবে । 

 

অন্যথায় তারা আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য একসেপ্ট বা অনুমতি দেবেনা ।  তাই ওয়েবসাইটটিকে প্রফেশনালভাবে ডিজাইন এবং কোয়ালিটিফুল  কনটেন্ট লেখার পর অ্যাফিলিয়েট এর জন্য আবেদন করতে হবে ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং করতে কত টাকা লাগে

 

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং করার জন্য অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় তেমন মূলধন বা পুজী এর প্রয়োজন হয় না তবে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করতে সামান্য কিছু টাকার প্রয়োজন হয় ।  শুরুতে একটি ওয়েবসাইট তৈরি করার জন্য আপনার ৫ থেকে ১০ হাজার টাকা প্রয়োজন হতে পারে ।

 

এছাড়া আপনার অন্য কোন খরচ বা ইনভেস্ট করতে হবে না অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য ।  তাই আপনি চাইলে দ্রুতই এই আফিলিয়েট মারকেটিং কাজটি শিখে একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং বিজনেস শুরু করতে পারেন ।

 

এফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল ?

কোন ব্যবসা হালাল কি হারাম তা নির্ভর করছে আপনি কোন উপায় অবলম্বন করে ব্যবসাটি করছেন । আপনি যদি শরীয়ত মোতাবেক ব্যবসা করে থাকেন তাহলে আপনার ব্যবসাটি অবশ্যই হালাল হবে কিন্তু আপনি যদি একটা হালাল ব্যবসা কেও অবৈধভাবে পরিচালনা করে থাকেন তা অবশ্যই হালাল হবে না ।

 

তবে আফিলিয়েট মারকেটিং ব্যবসার সিস্টেমটা হালাল ব্যবসার মধ্যেই রয়েছে ।  তবে আপনি যে পণ্য ও সেবাগুলো প্রচার করবেন সে ক্ষেত্রে আপনাকে লক্ষ রাখতে হবে আপনি কি ধরনের পণ্য ও সেবা প্রচার করছেন । 

 

 

আপনি কি মানব সমাজের জন্য ক্ষতি হয় এমন পণ্য সামগ্রী এর প্রচার করছেন এমন যদি হয় তাহলে আপনার ব্যবসাটি কখনোই হালাল ব্যবসা হিসেবে গ্রহণযোগ্য হবে না ।

 

পরিশেষে-Conclusions

বন্ধুরা আজকের আর্টিকেলে আপনাদের সাথে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি ? মার্কেটিং কিভাবে শুরু করা যায়, এফিলিয়েট মার্কেটিং এর সুযোগ সুবিধা, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর কোর্স, অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং এর সাইট এবং জনপ্রিয় অ্যামাজন অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কিভাবে শুরু করা যায় ? সর্বশেষে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং কি হালাল তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করার চেষ্টা

 

আজকের এই আর্টিকেলটি আশা করা যায় আপনাকে অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং সম্পর্কে  অনেক ধারণা দিয়েছে এবং একটি অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং শুরু করার জন্য আপনার এখন যথেষ্ট জ্ঞান রয়েছে ।  আজকের এই আর্টিকেলটি বন্ধুরা আপনাদের কাছে কেমন লেগেছে তা জানাতে নিচে কমেন্ট বক্সে ভুলবেন না ধন্যবাদ। 

 

Leave a Reply 1

Your email address will not be published. Required fields are marked *