আদম থেকে মুহাম্মদ লেখক : মাওলানা মুহাম্মদ রফী

রিভিউ লিখেছেন 💕 শেখ ইসরাত
বইয়ের নাম: আদম থেকে মুহাম্মদ
লেখক : মাওলানা মুহাম্মদ রফী।
প্রকাশক : হাসানাহ

পৃথিবীতে বহু নবী-রাসুল এসেছেন মহান আল্লাহ তায়ালার বাণী মানুষের নিকট পৌছে দিতে।

যুগের আবর্তনে বহু নবী রাসুল-গত হয়েছেন।

আমরা দুনিয়াবি কাজ কর্মে ব্যস্ত থাকায় অনেক সময় কুরআন-হাদিস পড়া হয়ে ওঠে না। অনেকেই এই মহান নবীদের ব্যাপারে জানতেও পারে না।

তাই বলে কি তারা পিছিয়ে থাকবে?

মাওলানা মুহাম্মদ রফীর লেখা আর রুহুল আমীন উবাইদীর অনূবাদিত কুরআনে বর্ণিত সকল নবীর জীবনী ” আদম (আ.) থেকে মুহাম্মদ (স.)..

পৃথিবীতে বহু নবী-রাসুলের আগমন ঘটলেও কুরআনে মাত্র ২৫ জন নবী-রাসুলের কথা বর্ণিত আছে।

এই সর্ম্পকে আল্লাহ

তায়ালা বলেছেনঃআমি তোমার পূর্বে বহু নবী -রাসুল প্রেরণ করেছি তাদের কারো কথা তোমায় বলেছি আর কারো কথা বলিনি। ( আল কুরআন)

 

তেমনি বইটিতে ধারাবাহিক ভাবে একের পর এক নবী-রাসুলের কাহিনী বর্ণনা করা হয়েছে।

বইটির প্রথমেই পূর্ববর্তী উম্মতগণের ব্যাপারে বলা হয়েছে।

তারপর আল্লাহ তায়ালার সর্ম্পকে আলোচনা করা হয়েছে।

পরবর্তীতে ফিরিশতাও শয়তান কে নিয়ে কিছু সংক্ষিপ আলোচনা করা হয়েছে।

 

আদম (আ.) কে সৃষ্টি থেকে শুরু করে জান্নাত থেকে বহিষ্কৃত হওয়ার ঘটনা গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

এর পরবর্তীতে হাবিল কে কাবিলের হত্যার কাহিনি বর্ণনা করা হয়েছে। ক্রমানুসারে নূহ আ. হুদ আ. সালিহ আ. এর উম্মতের ব্যাপরে বলা হয়েছে। তাদের উম্মত ছিলো সীমালঙ্ঘনকারী।তাই আল্লাহ তায়ালা তাদের ধ্বংস করেন।

 

ইব্রাহীম (আ.) ছিলেন নবীদের মধ্যে সম্মানিত নবীদের একজন যাকে আল্লাহ কুরআনুল কারিমে খলিল বলে অবহিত করেন।

আল্লাহ তায়ালা কুরআনে বার বার ঘোষণা করেছেন, নিশ্চয় ইব্রাহীম মুশরিকদের অন্তর্ভুক্ত ছিলো না।

যখন তার সম্প্রদায় তাকে আগুনে নিক্ষেপ করে তখন আল্লাহ বলেন:

 

قُلْنَا يَٰنَارُ كُونِى بَرْدًا وَسَلَٰمًا عَلَىٰٓ إِبْرَٰهِيمَ

 

আমি বললাম, ‘হে আগুন, তুমি শীতল ও নিরাপদ হয়ে যাও ইব্রাহীমের জন্য’ । (সূরা আম্বিয়া:৬৯)

 

ইব্রাহীম আ. এর অধ্যায়ে এছাড়া জমজমকূপ,কুরবানি, কাবা শরিফ নির্মাণ এর কাহিনী গুলো বিষদ ভাবে বর্ণনা করা হয়েছে।

ইউসুফ (আ.) এর প্রতি তার ভাইদের ষড়যন্ত্র সহ তার ঈমানের দিক গুলো উল্লেখ করা হয়েছে।

শোয়াইব আ. ও মুসা আ. এর অধ্যায়টা বনী ইসরাইলের কাহিনী দিয়ে সাজানো হয়েছে।

এর পরবর্তী অধ্যায়ে দাঊদ (আ.), লুকমান (আ.), সুলাইমান (আ.), এবং ঈসা (আ.) এর জন্ম ও তাকে আল্লাহ তায়ালা আসমানে তুলে নেওয়ার ঘটনা গুলো ব্যাখা করা হয়েছে।

সবার শেষে আমাদের প্রিয় নবী (স.) এর জীবনীর কিছু অংশ তুলে ধরা হয়েছে..

এই অধ্যায়ে:

জাতিকে দ্বীন ও ঈমাদের প্রতি দাওয়াত,মিরাজ,হিজরত,ইসলামের বড় বড় যুদ্ধের ব্যাপারে বর্ণনা করা হয়েছে…

 

এরপর ক্রমানুসারে ইসলামের মূল ভিত্তি নিয়ে আলোচনা করা হয়েছে।

সব মিলিয়ে বইটি একজন মুসলিমের জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি।

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *