কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব লেখক : অধ্যাপক ড. বেদপ্রকাশ উপাধ্যায়
প্রকাশনী : মাকতাবাতুত তাকওয়া
কভার : হার্ড কভার
অনুবাদঃ মোহাম্মদ শামসুজ্জামান
ধরন : 📂পিডিএফ ডাউনলোড ফ্রি
“কল্কি অবতার এবং মোহাম্মদ সাহেব” ( ছল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) বইটি রচনা করেছেন ভারতের ইলাহাবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন সু-প্রসিদ্ধ অধ্যাপক, হিন্দু ধর্মের পণ্ডিত অধ্যাপক ড. বেদ-প্রকাশ উপাধ্যায়। বইটিতে তিনি একটি বিস্ময়কর তথ্য তুলে ধরেছেন। তিনি বলেছে, হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদ যাঁকে ‘কল্কি অবতার বলে উল্লেখ করেছেন এবং হিন্দুরা যাঁকে পূজা দেবে বলে প্রতীক্ষায় রয়েছে, তিনি আর কেউ নন, তিনি মুসলমানদের সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠ নবী মুহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ( ছল্লাল্লহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম)গ্রন্থটি সমগ্র ভারতে গবেষণা ক্ষেত্রে স্বনামধন্য এমন কয়েকজন পণ্ডিতকে তথ্য যাচাইয়ের জন্য দেয়া হয়েছিল, তাঁরা ব্যাপক গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর বইটির তথ্য সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য এ সিদ্ধান্তে মতবাদ ব্যক্ত করেছেন।
১৯৯৮ সনের জানুয়ারী মাসের ১৫ তারিখে যুক্তরাষ্ট্রের নিউইয়র্ক থেকে প্রকাশিত সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকায় বাংলা অনুবাদ সংক্রান্ত বইটি সম্পর্কে মন্তব্য এক বিস্ময়কর তথ্যতুলে ধরেছেন…
ভারতীয় হিন্দু পণ্ডিত অধ্যাপক বেদ প্রকাশ । তিনি বলেছেন , হিন্দু ধর্মগ্রন্থ বেদ যাঁকে ‘ কল্কির অবতার বলে উল্লেখ করেছেন এবং হিন্দুরা যাঁকে পূজা দেবে বলে প্রতীক্ষায় রয়েছে , তিনি আর কেউ নন , তিনি মুসলমানদের সর্বশেষ এবং শ্রেষ্ঠ নবী মোহাম্মদ ইবনে আবদুল্লাহ ( সাঃ ) । । হিন্দি ভাষায় এ বইটি প্রথম প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে সারা ভারত জুড়ে হৈ চৈ শুরু হয়ে যায় । গ্রন্থটির লেখক যদি মুসলমান হতেন তাহলে তার ভাগ্যে কি জুটত বলা যায় না । তবে লেখককে নিশ্চিত ভাবেই বলা যায় জেলে যেতে হত এবং বইটি নিষিদ্ধ হত । এ ব্যাপারে কোন সংশয় বা সন্দেহ ছিল না । কিন্তু গ্রন্থটির লেখক একজন হিন্দু পণ্ডিত ব্যক্তি । তাছাড়া তিনি এলাহবাদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সু – প্রসিদ্ধ অধ্যাপক । ওপরন্তু পণ্ডিত এবং একজন উচ্চ বংশীয় ব্রাহ্মণ । সংস্কৃত ভাষাসহ অন্যান্য ভাষায় পণ্ডিত এবং গবেষক । সমস্যাটা এখানেই । ভারতের হাতে গোণা কয়েকজন গবেষকের মধ্যে তাঁর স্থান । গ্রন্থটি সমগ্র ভারতে গবেষণা ক্ষেত্রে স্বনামধন্য এমন কয়েকজন পণ্ডিতকে তথ্য যাচাইয়ের জন্য দেয়া হয়েছিল ।
তাঁরা ব্যাপক গবেষণা ও অনুসন্ধানের পর বইটির তথ্য সঠিক এবং বিশ্বাসযোগ্য – এ সিন্ধান্তে মতবাদ ব্যক্ত করেছেন । ভারতের গুরুত্বপূর্ণ ধর্মীয় গ্রন্থসমূহে কল্কির অবতার এ সুনির্দিষ্ট নামে তাঁকে পথ প্রদর্শক এবং নবী উল্লেখ করা হয়েছে ; যা মক্কায় জন্মগ্রহণকারী মহা মানব মোহাম্মদ ( সা . ) – এর ওপরই আরোপিত হয় । তাই বিশ্বের যেখানে যত হিন্দু – রয়েছেন , তাদের উচিত অন্য কোন অবতারের অপেক্ষা না করে ইসলাম গ্রহণ এবং আল্লাহ্র প্রেরিত রাসূলের ( সাঃ ) পদাঙ্ক অনুসরণ করা । আল্লাহ্ তাঁর নবীকে প্রায় এক হাজার চারশত বছর আগে এ ধরাধামে প্রেরণ করেছিলেন এবং তিনি তাঁর দায়িত্ব পরিপূর্ণ করে এ পৃথিবীর মায়া ত্যাগ করে চলে গিয়েছেন । পণ্ডিত বেদপ্রকাশ তাঁর গবেষণার বিশ্বাসযোগ্যতার পেছনে হিন্দুদের পবিত্র গ্রন্থ বেদ থেকে ৯ টি যুক্তি হিন্দুসহ অন্য ধর্মাবলম্বীদের সামনে তুলে ধরেছেন ।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?