উপন্যাসটি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধ পরবর্তী সময়ের পটভুমিতে রচিত। এখানে লেখক বিভিন্ন চরিত্রের মাধ্যমে সমসাময়িকভাবে নিজেকেও উপস্থাপন করেছেন। এই উপন্যাসের কয়েকটি চরিত্র হল: অবন্তি, শফিক, সরফরাজ খান, ইসাবেলা, পীর হামিদ কুতুবি, ক্যাপ্টেন শামস, হাফেজ জাহাঙ্গীর, মেজর ফারুক, মেজর ইশতিয়াক, শেখ মুজিবুর রহমান, খালেদ মোশাররফ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, জিয়াউর রহমান, কর্নেল তাহের, মোশতাক আহমেদ, তাজউদ্দিন আহমেদ, সৈয়দ নজরুল ইসলাম, ডোরা রাসনা, ছানু ভাই, আওয়ামী লীগার মোজাম্মেল, মেজর নাসের, মেজর রশীদ, আন্ধা পীর, মেজর ডালিম, ভারতীয় গুপ্তচর কাও, রাধানাথ, চা বিক্রেতা কাদের মোল্লা, শামীম শিকদার প্রমুখ।[৩] – Source | Wikipedia
বইয়ের নাম:দেয়াল
লেখক:হুমায়ূন আহমেদ
প্রকাশক: অন্যপ্রকাশ
মুদ্রিত মূল্য:৪৫০
বিদ্যা বিচিত্রা মূল্য:৩১৫ টাকা
“নিঃশেষে প্রাণ যে করিবে দান
ক্ষয় নাই তার ক্ষয় নাই। “
নন্দিত কথা সাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের চল্লিশ বছরের বর্ণাঢ্য লেখক জীবনের সর্বশেষ উপন্যাস “দেয়াল“।
তিনি দেয়াল রচনা শুরু করেছিলেন ২০১১ সালের মাঝামাঝি সময়ে। তার মৃত্যুর পর ২০১৩ সালের অমর একুশে বই মেলায় উপন্যাসটি প্রকাশিত হয়। সদ্য স্বাধীন বাংলাদেশের পরবর্তী সময়ের পটভূমিতে লেখক হুমায়ূন আহমেদ এ উপন্যাসটি লিখেছেন। চপলমতি তরুণী অবন্তিকে কেন্দ্র করে আবর্তিত হয়েছে এর কাহিনী।
দেয়াল উপন্যাসে অবন্তির গৃহশিক্ষক শফিক চরিত্রটি পাঠক মনে বিশেষ স্থান দখল করে নেয়।নিজেকে প্রচন্ড ভীতু মনে করলেও সময় তাকে সাহসী করে তোলে।সামরিক শাসনের ঐ আতংকময় সময়ে সে রাস্তায় দাঁড়িয়ে “মুজিব হত্যার বিচার চাই ” বলে স্লোগান দেয়
অন্যসব রচনার মতো এ উপন্যাসটি পাঠের সময়ও একটি মোহাচ্ছন্নতা কাজ করে।সদ্য স্বাধীন একটি দেশের যাত্রা শুরুর রক্ত রঙিন পথে পরিভ্রমণ করতে করতে আমরা ক্রমাগত বিস্মিত হই।খালেদ মোশাররফ এবং কর্নেল তাহেরের মতো অসীম বীরদের করুন মৃত্যু আমাদেরকে ব্যথিত করে।
লেখক বইটির একাংশে নিজের ও পরিবারের সাথে উপন্যাসের সম্পৃক্ততা উল্লেখ করেন এবং ঘটনা প্রবাহ চলমান রাখেন।
সর্বোপরি ইতিহাসের সত্য আর লেখকের সৃজনী ভাবনা দুইয়ের মিলে “দেয়াল” পরিনত হয়েছে একটি হৃদয়গ্রাহী উপাখ্যানে।
যেকোন ধরনের বইয়ের জন্য যোগাযোগ করতে পারেন বিদ্যা বিচিত্রা পেইজে।
ছবি: সংগৃহীত
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?