বই- পুণ্যময়ী লেখক- মাহিন মাহমুদ প্রকাশনী-মাকতাবাতুল হাসান

Post ID 111413

বই- পুণ্যময়ী
লেখক- মাহিন মাহমুদ
প্রকাশনী-মাকতাবাতুল হাসান
মুদ্রিত_মূল্য- ৩৩০ টাকা
পৃষ্ঠা_সংখ্যা-২০০
জারা। নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে। বাবা এবং ছোট একবোন নিয়ে সংসার। বাবা একজন সামান্য চাকরিজীবী ছিলেন। রিটায়ার্ড করেছেন। সংসারে তেমন সচ্ছলতা নেই।
হঠাৎ, বড় ধরনের একটা সুযোগ আসে ‘জারা’র জীবনে। নাম, যশ, খ্যাতি এবং বিপুল অর্থ উপার্জনের এমন বিশাল সুযোগ খুব কম মানুষের জীবনেই আসে। অবাক ব্যাপারটা হচ্ছে, লোভনীয় সে সুযোগ পেয়েও হাতছাড়া করলো জারা!!

কোন এক ঘটনায় ‘জারা’র জীবনে আসে আমূল পরিবর্তন! কী ছিলো সে ঘটনা? যার কারণে এমন একটা বিশাল সুযোগ সে পায়ে ঠেলে দিলো?
.
*কোন বই থেকে এ অংশটা তুলে ধরেছি তা হয়তো এতক্ষণে অনেকেই বুঝে গেছেন। আর যারা বুঝেননি,  তারা এ অংশটা পড়েই নিশ্চিত বইটি পড়ার আগ্রহ পাবেন।
*জারা’র জীবনে সে আমূল পরিবর্তনটা ছিলো,  জান্নাতের সিঁড়ি খুঁজে পাওয়া, হিদায়াতের অমীয় সুধা পান করা। 
লেখক বইটিতে ‘জারা’র চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলেছেন একজন ‘পূণ্যময়ী’র আদলে। যে ‘পূণ্যময়ী’ হিদায়াতের পথ পেয়ে এরপর আর বসে থাকেনি। পর্দার মাঝে থেকেই নিজের জীবনে পাওয়া হিদায়াত সমাজের অন্য মেয়েদের কাছে পৌঁছানোর লক্ষ্যে কাজ করতে থাকে।
এক্ষেত্রে জারা’র প্রথম লক্ষ্য হয় অভিনেত্রী কাবেরি। বইয়ের কাহিনী এভাবেই শুরু। এর মাঝেই আস্তে আস্তে কাহিনী এগিয়ে যায়। বিভিন্ন রহস্য আর চমক-এর মধ্য দিয়ে ফুটে উঠে ‘পুণ্যময়ী’ জারা’র চরিত্র। যে কি’না সকল দুঃখ কষ্ট এবং মানুষের  তিরস্কারপূর্ণ কথাকেও হাসিমুখে মেনে নেয় মহান আল্লাহর জন্য।
নিম্ম মধ্যবিত্ত হওয়ায় সংসার জীবনেও হাজারো সমস্যার মুখোমুখি হতে হয় জারা’কে। অথচ কোন সমস্যাতেই ‘জারা’ বিচলিত হয় না! বাবা এবং বোনকে নিয়ে সংসার সামলে চলে ধৈর্যের সাথে। 
তার মাধ্যমেই হিদায়াত পায় ছাত্রী ‘মৃন্ময়ী’। কিন্তু হিদায়াত পাওয়ার আগ পর্যন্ত শিক্ষক হয়েও ছাত্রীর কাছ থেকে পেতে হয় নানারকম অপমান। কিন্তু ‘জারা’ আল্লাহর উপর তায়াক্কুল করে, ধৈর্য ধরে এবং কাংখিত ফলও পায়।
.
*লেখক মাহিন মাহমুদের লেখা এটি চতুর্থ উপন্যাস। উনার বই পড়ার আলাদা একটা আকর্ষণ হচ্ছে ‘রহস্য’। বইতে অনেকগুলো চরিত্র নিয়ে লেখেন অনেকটা জটিল করে, তারপর সব শেষে অসাধারণ করে রহস্যের জট খোলেন। 
*বইতে দেয়া লেখকের ‘অর্পণ এবং ভূমিকা’টাও দারুণ।  আমাদের দেশে এমন ধর্মীয় পটভূমিতে লেখা সামাজিক উপন্যাস নেই বললেই চলে। অথচ এমন বইয়ের প্রয়োজনীয়তা কিন্তু ব্যাপক। 
কারণ অনেকেই বিশেষ করে মেয়েরা যারা ইসলামি কঠিন কঠিন বই পড়তে চায় না তাদের জন্য কাহিনীকারে লেখা এসব বই খুবই উপকারী। টিভি দেখে যাদের মনে নায়িকা হওয়ার শখ জাগে তাদের এমন বই পড়ে পুণ্যময়ী হওয়ার আকাঙ্খা তৈরি হবে।
আর একটা বই এসব ক্ষেত্রে দারুণ ভূমিকা রাখে। মনে স্থায়ী চাপ ফেলতে সক্ষম হয়। তাই লেখকের কাছে, প্রকাশনীর কাছে অনুরোধ এমন বই বেশি বেশি লেখা এবং প্রকাশ করা হয় যেন।
*পরিশেষে লেখক এবং প্রকাশনীর সর্বাঙ্গীন কল্যাণ কামনা করছি এবং বইয়ের বানান, কভার, বাঁধাইয়ের মান আরো উন্নত হওয়ার আশা প্রকাশ করছি।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?