বই : হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের ইতিহাস review no 2

Post ID 111588

বই : হিন্দু, বৌদ্ধ, জৈন ও শিখ ধর্মের ইতিহাস
লেখক : ড. জিয়াউর রাহমান আজমি
অনুবাদক : মহিউদ্দিন কাসেমী
মুদ্রিত মুল্য : ২৩০৳
ছাড় মুল্য : ১৫০৳ (৩৫% ছাড়)
কালান্তর প্রকাশনী
বিশুদ্ধ আকিদা,বিশুদ্ধ ইতিহাস।
বৌদ্ধধর্মে স্রষ্টার ধারণা।
গৌতম বুদ্ধ প্রথমদিকে স্রষ্টা সম্পর্কিত আলোচনা এড়িয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেছিলেন। তিনি পরস্পরবিরোধী বক্তব্য থেকে নিস্তার পেতে এবং মানুষ যাতে বিভ্রান্ত না হয়, এ উদ্দেশ্যে তিনি তা এড়িয়ে গিয়েছিলেন। পাঠক হয়তো অবাক হবেন, গৌতম বুদ্ধ কীভাবে নির্বাণ তথা মুক্তিলাভ এবং ঐশীজ্ঞান পেয়েছিলেন! অথচ স্রষ্টা সম্পর্কে তাঁর কোনো জ্ঞানই ছিল না! তিনি জানতেন না, কে তার উপাস্য! এতৎসত্ত্বেও তিনি সাধারণ মানুষকে তার ধর্মের প্রতি আহ্বান করতেন। তিনি চেয়েছিলেন মানুষকে দুঃখ-দুর্দশা ইত্যাদি থেকে মুক্তি দিতে। এ কারণে বৌদ্ধ মতবাদকে ধর্ম হিসেবে আখ্যায়িত করতে অনেক গবেষক দ্বিধাগ্রস্ত ছিলেন। কেননা, পৃথিবীর সব ধর্মেই স্রষ্টা ও প্রভু সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা থাকে।
একদল গবেষক মনে করেন, বৌদ্ধ মতবাদ বিশেষ কোনো ধর্ম নয়; বরং এটি তৎকালীন হিন্দুধর্মের কুসংস্কারপূর্ণ ও মানবতাবিবর্জিত মতবাদসমূহের বিরুদ্ধে চলা একটি আন্দোলন। বিশেষত অত্যাচারী হিন্দু গোষ্ঠীর বিরুদ্ধে আত্মপ্রকাশ করা একটি বিপ্লব, যার মাধ্যমে গৌতম বুদ্ধ দলিত হিন্দুদের নিজের দলে ভেড়াতে চেয়েছিলেন।
বাস্তবেও অন্যদের তুলনায় ভারতের নিপীড়িত দলিত হিন্দুদের মধ্যে বৌদ্ধধর্ম ব্যাপক প্রসার লাভ করেছিল। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, সে-সকল দরিদ্র, বঞ্ছিত ও দলিত হিন্দুরা এ ধর্মে দীক্ষিত হয়ে তাদের কাঙ্ক্ষিত বস্তুর দেখা কি পেয়েছিল? তারা স্রষ্টার পরিচয়লাভের মাধ্যমে আত্মিক প্রশান্তি অর্জন করতে সক্ষম হয়েছিল কি? নিঃসন্দেহে এর উত্তর হবে নেতিবাচক। যদিও হিন্দুসমাজের চেয়ে তাদের কিছুটা সামাজিক উন্নতি হয়েছিল; কিন্তু তারা এ মতবাদের মাধ্যমে সত্য ও সঠিক পথের দিশা পেতে সক্ষম হয়নি।
এখানেই ইসলাম তার উন্নত শিক্ষার মাধ্যমে এই আধ্যাত্মিক শূন্যস্থান পূরণ করতে সক্ষম। ইসলাম হিন্দুধর্মে প্রচলিত শ্রেণিবিভাজনে বিশ্বাস করে না। ইসলামেরদৃষ্টিতে প্রত্যেক আদমসন্তান মাটির সৃষ্টি। এদের মধ্যে যে আল্লাহকে বেশি ভয় করবে, সে বেশি কল্যাণের অধিকারী।
মুহস্বানাত (পবিত্র নারীদের পাঠশালায়)
সংকলক- শাইখ আব্দুল্লাহ আল মামুন, আব্দুল্লাহ ইবনে জা’ফর, বারিয়াহ বিনতে আতিয়ার, সায়মা সাজ্জাদ মৌসি, খন্দকার মারিয়াম হুমায়ুন
নারী, যাদের জীবনে অনেক দায়িত্ব। শৈশবকাল থেকেই তার সেই দায়িত্ব শুরু হয়ে যায়। কৈশোরের চৌকাঠে পা দিলেই বাবার বাড়ির সংসার গুছানোর দায়িত্ব চেপে বসে কাঁধে। তারপর বয়স হলে বিয়ে, বিয়ের পর শ্বশুর বাড়ি বা নিজের সংসার। স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকদের নিয়ে গড়ে ওঠে আরেকটি নতুন জীবন। এরই মাঝে কোল জুড়ে আসে এক চিলতে মায়া। সন্তানকে মানুষ করার ঝোঁক তখন চেপে বসে মাথায়। অনেক দায়িত্ব! আর সেই নারী যদি হয় আল্লাহর মনোনীত দ্বীনের প্রকৃত অনুসারী, তাহলে তো তার দায়িত্ব বেড়ে যায় কয়েকগুণ। সাথে যুক্ত হয় জবাব্দিহিতার ভয়। আল্লাহর সন্তুষ্টি কামনা, স্বামীকে খুশি রাখা, নিজেকে পর পুরুষের দৃষ্টি থেকে হেফাযত করা, সন্তানদের দ্বীনি পরিবেশ দেয়া, চারপাশের মানুষগুলোকে দ্বীনের পথে আহ্বান করা, একবিংশ শতাব্দীর বড় বড় ফিতনাগুলোর বিরুদ্ধে প্রতিনিয়ত যুদ্ধ করে যাওয়া…আরও কত কি!
আল্লাহ সুব. তাআলা পবিত্রতা পছন্দ করেন। সেই পবিত্রতা দেহের, সেই পবিত্রতা আত্মার। একজন মুসলিমাহ নিজের দেহ, পোশাক, সৌন্দর্য, চরিত্র, আখলাক সবকিছুই পবিত্র রাখবে, কলুষিত হতে দিবে না। তারাই তো ‘মুহস্বানাত’, তাবৎ দুনিয়ার সবচেয়ে দামী সম্পদ।
আবার নারী যদি হয় জেনারেল পড়ুয়া তাহলে তো কথাই নেই, তার ভিতরে থাকে অনেক প্রশ্ন।  নারীদের দৈনন্দিন জীবনের আবশ্যকীয় বিষয় সুন্দর ভাবে বিশ্লেষণ করা আছে যা প্রতিটি মেয়ের জানা প্রয়োজন। 
মুদ্রিত মূল্য- ৩৯৫৳
অফার মূল্য-২৭৬৳(৩০% ছাড়ে
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?