বই: প্রিয়তম
লেখক:আবিদ সালেহ
একবুক আশা নিয়ে বাড়ি ফিরি, কিন্তু ঘরটা আজও হয়নি সুখের তরী। অথচ আল্লাহ তায়ালা বলেন,
“তিনি তোমাদের জন্য তোমাদের থেকেই স্ত্রীদের সৃষ্টি করেছেন, যাতে তোমরা তাদের কাছে প্রশান্তি পাও। আর তিনি তোমাদের মধ্যে সৃষ্টি করছেন ভালোবাসা ও দয়া। ” সুরা রূম-২১
তাহলে আমাদের ঘরটা সুখের তরী হলো না কেন? আল্লাহর আয়াত তো মিথ্যা না? তার কারণ আমরা আমাদের ঘরটাকে ইসলামের আলোয় আলোকিত করতে পারিনি। পারিনি আমাদের জীবনে রাসুলুল্লাহর সুন্নাহ ধারণ করতে। কেমন ছিলো রাসুলুল্লাহর আদর্শ?
“খায়বার বিজয় করে ফিরছেন রাসুল। সাথে আম্মাজান সাফিয়্যা। ওনি উটে ওঠবেন। রাসুলুল্লাহ এগিয়ে আসলেন, বসে গেলেন হাঁটু গেড়ে। আম্মাজান সাফিয়্যা [রাদিআল্লাহু তায়ালা আনহা ] কে বললেন, ওঠতে রাসুলুল্লাহর হাঁটু মোবারকে ভর করে। “-বুখারি
কি সুমহান আদর্শ। পত্নী প্রেমের কী বিরল দৃষ্টান্ত। এমন আদর্শে অনুপ্রাণিত হলেই তবে প্রতিটি ঘর পরিণত হবে জান্নাতে। আর পরকালে থাকা যাবে বেহেশতে একসাথে। সেদিকে ইঙ্গিত দিয়ে আল্লাহ সুবহানাহু ওয়াতাআ’লা বলেন,
” তোমরা এবং তোমাদের সহধর্মিণীগণ সানন্দে জান্নাতে প্রবেশ কর।” সুরা যুখরফ-৭০
আখেরাতে জান্নাত পেতে হলে দুনিয়ার ঘরটাকেও জান্নাতে পরিনত করতে হবে। আর সেই জন্য প্রয়োজন সকলের সম্মেলিত প্রয়াস।
ঘরে স্ত্রীদের হাতে টিভি রিমোট না দিয়ে তুলে দিতে হবে কুরআন। শুনতে হবে, শুনাতে হবে ইসলামের বয়ান। তবেই পরিবার হয়ে উঠবে জান্নাতের একটুকরো অংশ।
একটি পরিবার জীবন কেমন হওয়া চাই সেই আলোকে রচিত “প্রিয়তম” গ্রন্থটি। আশা করি পাঠক হৃদয় তা পাঠে অভিভূত হবেন। পাবেন সংসার জীবন সুন্দর করার কিছু নসীহা।
“আচ্ছা আপনার নাম যেন কী?”
“কী অদ্ভুত ব্যাপার! বিয়ে করে ঘর অবধি নিয়ে আসলেন অথচ নামটাই জানেন না? ও আল্লাহ! এ কেমন বর? বিয়ের রাতে বউয়ের নামটাই ভুলে গেছে।”
“আসলে হয়েছি কি! গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বিশেষ ব্যক্তিদের নাম আমার মনে থাকে না। ”
“তাহলে একটু আগে যে “জামিলা ” বললেন? “
“সেটা আপনার অপরূপ সৌন্দর্যে মুগ্ধ হয়ে। তবে আপনি অনুমতি দিলে এই নামেই ডাকতে চাই!”
“যদি সেটা ভালোবাসা থেকে হয়। রাসুল যেমন আম্মাজান আয়েশাকে হুমায়রা বলে ডাকতেন, তেমন হলে আপত্তি নেই। আমি তো আপনার জীবনে জামিলা হয়ে থাকতে চাই! যেমন আয়েশা [রাদিআল্লাহু তাআ’লা আনহা ] ছিলেন রাসুলুল্লাহর জীবনে হুমায়রা হয়ে।”
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?