📚বই সম্পর্কে-
লেখাঃ উম্মে আয়মান।
পিকঃ কালেক্ট।
“সেদিন ও বৃষ্টি ছিলো” নামটি পড়তেই মনের অজান্তে বইয়ের উপর একরাশ মুগ্ধতা ভর করছে।এই ব্যথাতুর মন একটি বার পরম যত্নে ছুঁয়ে দিতে চাচ্ছে বইটিকে। বৃষ্টি কার না ভালো লাগে! মহান রব তার রহম দ্বারা শিক্ত করতে হঠাৎ হঠাৎ রহমতের বারী বর্ষণ করেন অবনীর বুকে।পুরো জমীন তার রহমতের প্লাবনে ভেসে ঈমানের ভেলায় চড়ে তার নিকট ফিরে আসেন।তওবা করেন অতীতের পাপের জন্য।রব তো প্রতিস্রুতি দিয়েছেন,বান্দা যদি পাহাড় সম পাপ করার পরেও ফিরে আসে তার দিকে, অনুতাপের অশ্রু সজল চোখে ক্ষমা চাই তিনি ক্ষমা করে দিবেন।তাহলে আর দেরি কিসের! আসুন ফিরে আসুন। আপনার পালনকর্তার, সৃষ্টিকর্তা, রিজিকদাতার রহমতের ছায়ায়।
🌸শর্ট পিডিএফ পড়ে অনুভূতি:
___________________________________
সামান্য ১২ পৃষ্ঠা পড়ার পর মন টা অস্থিরতা আর বিষাদে ছেয়ে গেছে।এ বিষাদ অস্থিরতা সেই মানুষটির জন্য যার অকাঠ্য আত্মত্যাগ, পরিশ্রম আর সবরের ফল। ইচ্ছে করে হাতের কাছে বইটা পেলে এক নিঃশ্বাসে শেষ করে দিতাম।এত সুন্দর লিখনী! “সে দিন ও বৃষ্টি ছিলো” একটি উপন্যাস। তবে,এটা ইসলামীক উপন্যাস। এই উপন্যাস মানুষের কামভাব জাগায় না বরং ঈমানের সুপ্ত মৃষ্ট পথের সন্ধান দেয়। প্রতিটি লাইনে সমাজের বাস্তব চিত্র ফুটে উঠেছে। হেদায়াতের মশাল হাতে আত্মত্যাগী ফাতেমা কঠোর সাধনা করে যাচ্ছেন।
আমাদের এই সমাজে কখনো কখনো নিজের ইচ্ছেকে দাফন করতে হয় নিজের হাতে। ঠিক তেমনই একটি চিত্র তুলে ধরেছেন লেখক। আকরাম সিকদার এর প্রথম স্ত্রী জোবাইদা তার নির্যাতনে আত্মহুতির পথ বেঁচে নেই।রেখে যায় তিন সন্তান মিলি,ইভান,নাঈম। আকরাম সিকদার অঢেল সম্পত্তির মালিক হওয়ার বাবার বয়সের নামধারী মুসলিমকে বিয়ে করতে ফাতেমা বাধ্য হয়।ফাতেমা গরীব ঘরের সন্তান। গরীবের কি ইচ্ছে,শখ,আহ্লাদ থাকতে আছে?তাই নিজের ঈমানী চাওয়া পরহেজগার কোনো মানুষকে তার জীবন সঙ্গী করে পাওয়া হয়নি।তবে,সে কঠোর সাধনা করে যাচ্ছেন যাতে আকরাম সিকদারকে ভুলের পথ থেকে সঠিক পথের সন্ধান দিতে পারেন।
🌸পরিশেষে:
_________________
এই বইটি সকল পাঠকের হৃদয় নাড়িয়ে দিবে।ঈমানী স্পৃহা জাগিয়ে তুলবে। সমাজের নামধারী মুসলিমকে কিভাবে দ্বীনের পথে ফিরিয়ে আনতে হবে, তার গাইডলাইন হিসেবে কাজ করবে। সকল পাঠকের প্রতি আহ্বান থাকবে যেনো এই বইটি সংগ্রহ করে। জীবন জাগার উপন্যাস।