- নাম: যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ পিডিএফ | PDF
- লেখক: হুমায়ূন আহমেদের সকল বই ফ্রি ডাউনলোড
- জনরা: অতিপ্রাকৃত ও ভৌতিক
- প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
- প্রকাশনী: জ্ঞানকোষ
- প্রথম প্রকাশ: ফেব্রুয়ারি ১৯৯৪
- পৃষ্ঠা সংখ্যা: ৬৪
- মুদ্রিত মূল্য: ১০০
যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ
মরিবার হ’লো তার সাধ;
বধূ শুয়েছিলো পাশে— শিশুটিও ছিলো;
প্রেম ছিলো, আশা ছিলো— জ্যোৎস্নায়– তবু সে দেখিল
কোন্ ভূত? ঘুম কেন ভেঙে গেল তার?
— জীবনানন্দ দাশ (আট বছর আগের একদিন)
নন্দিত কথাসাহিত্যিক হুমায়ূন আহমেদের একটি উপন্যাস হলো যখন গিয়েছে ডুবে পঞ্চমীর চাঁদ PDF। ১৯৯৪ সালে উপন্যাসটি প্রথম প্রকাশিত হয়।
বহুসময় ধরে বহু পরিকল্পনা করে অবশেষে আকাঙ্খিত কাজটি যখন মাত্র পনেরো মিনিটে শেষ হয়ে গেল কোনো ঝামেলা ছাড়াই, মিজান সাহেব স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেলেন। তবে এখনও কিছু কাজ বাকি। বিছানায় পড়ে থাকা লাশটিকে টুকরো টুকরো করে কেটে বিভিন্ন জায়গায় ছড়িয়ে দেওয়া বাকি! যেন খুঁজে পাওয়া না যায় লাশের পরিচয়। নিখুঁত পরিকল্পনা নয়কি? প্রিয় স্ত্রীর লাশ এইভাবে কাটতে খারাপ লাগবে কিন্তু উপায়ও তো নেই।
হঠাৎই ওলটপালট হয়ে যায় সবকিছু! লাশ নড়াচড়া শুরু করে! কথা বলে! জীবিতদের দুনিয়ায় তাহলে কি আবার ফিরে এসেছে রুবা? নাকি সবই মিজান সাহেবের কল্পনা-হ্যালুসিনেশন? কিন্তু অন্যরাও যে কথা শুনেছে রুবার!
চিরচেনা রুবা আর তো আগের মতো নেই…
অধিকাংশ সময়ই বই পড়ার আগে জনরা জেনে নেয়। কিন্তু এইবার জনরা জানার পরও শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত দ্বিধায় ছিলাম আদোও কি অতিপ্রাকৃত নাকি সবই অতিকল্পনা মিজান সাহেবের। শেষ করার পরও ঘোরের মধ্যে ছিলাম। কোনটা সত্য, কোনটা মিথ্যা?
পড়ার সময় বিভিন্ন সময় বিভিন্ন পয়েন্ট মাথায় এসেছে। প্রথমেই মনে হয়েছে খুন হয়েছে। সাধারণত যেমনটা থাকে তারপর ফিরে আসবে আত্মা। কিন্তু তারপরই টুইস্ট। মনে হলো কোনো খুনই হয়নি। জাস্ট রাগের মাথায় সবই অবাধ্য মনের কল্পনা। বাকিদের সাথে কলে কথা হলো কীভাবে? তারপর একের পর এক ঘটনা আরও কনফিউজড করে দিয়েছে। কী হচ্ছে আদোও হচ্ছে কিনা ভাবতে ভাবতেই যে কখন শেষ হয়ে গেল! সাথে যদি থাকে হুমায়ূন আহমেদের জাদুর লেখনশৈলী তাহলে আর কি কিছু বলার থাকে?
| রিভিউ এবং ছবি : রাফিয়া রহমান।
কাহিনী সংক্ষেপ
সেদিন ছিল মিজানের ছোটবেলার বন্ধু অরুণের বিয়ে। রুবার মাথা ব্যথা হওয়ায় সে বিয়েতে না যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয়। দুটি সিডাকসিন এবং একটি প্যারাসিটামল খেয়ে ঘুমাতে যায়। কিন্তু ঘুম একটু গভীর হতেই রুবার মুখে বালিশ চেপে ধরে মিজান। একসময় রুবা মারা যায়।
রুবাকে খুন করার পর নিজেকে শান্ত করার জন্য মিজান কখনো সিগারেট টানতে থাকে এবং ১৯ এর ঘরের নামতা পড়ে নিজেকে পরীক্ষা করে দেখে তার লজিক কতখানি ঠিক আছে। বাথরুম থেকে এসে মিজান দেখতে পায় রুবার শরীরের উপর দেখে তেলাপোকা এসে বসে আসে। সে রুবার শরীরের উপর এরোসল স্প্রে করে।
নিজেকে স্বাভাবিক দেখানোর জন্য মিজান অরুণের বিয়েতে যায় কিন্তু অরুণের বিয়েতে যাওয়ার পর রুবার বাবার সাথে তার দেখা হয়। রুবার বাবা তাকে বলে রুবা তার বাড়িতে গিয়েছে। কথাটা শুনে মিজান চমকে যায়। তবে সে স্বাভাবিক থাকার চেষ্টা করতে থাকে।
রাত ১০ টায় যখন সে বাড়িতে আসে সে দেখতে পায় বাড়ির আলো জ্বলছে এবং রুবা চলাফেরা করছে। একপর্যায়ে সে তার মৃত বাবাকেও দেখতে পায় কিন্তু শেষমেশ সে থানায় ফোন করে তার অপরাধ স্বীকার করে নেয়। wikipedia
Jokhon Giyeche Dube Ponchomir Chand PDF Download From Here
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?