- বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর
- লেখক : মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ
- ভাষান্তর : আব্দুল্লাহ আল মাহমুদ
- পৃষ্ঠা সংখ্যা : ৬৪
- নির্ধারিত মূল্য : ৯৪৳
- Last Update : 31/08/2022
মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ রচিত ‘বিয়ে : স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর’ বইটি সিয়ানের একটি অন্যতম পাঠক নন্দিত বই। বইটির অষ্টম মুদ্রণ এসেছে নির্ধারিত মূল্যে। বিয়ের মতো অনবদ্য একটি আশীর্বাদ যাতে দুঃসহ অভিশাপে পরিণত না হয়—সে লক্ষ্যে উস্তাদ মির্জা ইয়াওয়ার বেইগ বিয়ের প্রস্তুতি পর্বের বিভিন্ন খুটিনাটি সম্পর্কে ছোট্ট বইটিতে সংক্ষেপে আলোচনা করেছেন। আশা করি পাঠক এই বইটি থেকে উত্তম জ্ঞান ও বারাকাহ অর্জন করতে পারবেন।
জীবনসঙ্গীর কাছে নিজের গুরুত্ব ধরে রাখার জন্য কী করা যেতে পারে?
জীবনসঙ্গীর কাছে নিজের গুরুত্ব বজায় রাখতে হলে পরস্পরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করুন এবং তা নিয়মিত প্রকাশও করুন। ভালো কাজে পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করুন। শুধু তার মুখে একটুখানি হাসির ঝলক দেখার জন্য কিছু করুন। শুধু আপনারা দুজনে বুঝবেন এমন একটি ভাষা তৈরি করুন। আমরা আমাদের রুমের টেবিলে একটা নোটবুক রেখে দিতাম। আমরা আমাদের পরস্পরের পছন্দের বিষয়গুলো, অনুভূতিগুলো, বলতে-চাওয়া কথাগুলো সেখানে লিখে রাখতাম। কথাগুলো আমরা সামনা-সামনি বলতে পারতাম না—ব্যাপারটা এমন নয়; কিন্তু অনেক সময় যে কথা মুখে বলা যায় না তা সহজে লিখে প্রকাশ করা যায়। একে অন্যকে ফুল আর চকোলেট উপহার দিন। মনে রাখবেন, পুরুষরাও কিন্তু ফুল পছন্দ করে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, আপনার সঙ্গীর সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। হজম করতে কষ্ট হলে দশটা লম্বা দম নিন। এরপর ভুলে যান। প্রতিক্রিয়া শুধু প্রতিক্রিয়ারই জন্ম দেবে। অবশেষে সেটা চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
আমি জানি আপনি গোটা পরিবারকে বিয়ে করেননি। কিন্তু আমাদের মধ্যপ্রাচ্য ও উপমহাদেশীয় সংস্কৃতিতে যৌথ পরিবার ব্যাপক প্রচলিত।
আপনি যদি জীবনের বাকি সময়টাতে স্বামী বা স্ত্রীকে সঠিক পথে রাখার যুদ্ধে ব্যতিব্যস্ত হয়ে কাটাতে না চান, তা হলে নিশ্চিত করুন, আপনি যে পথে আছেন পরিবারটিও সেই পথেই রয়েছে কি না! একই কথা প্রযোজ্য তাদের জীবনধারা, আচার-আচরণ, খাদ্যাভ্যাস যেসব বিষয়ে তারা বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকেন ইত্যাদি বিষয়েও।
একদম নিজের মনমতো হতে হবে এমন কোনো কথা নেই; কিন্তু অমিল কতখানি তা খেয়াল রাখতে হবে। কেননা সেটুকু হয় আপনাকে বদলাতে হবে, অথবা মানিয়ে নিতে হবে। মনে রাখবেন, পরিবর্তন সাধন সবসময়ই কষ্টকর, তাই যত কম ভিন্নতা থাকবে আপনি তত বেশি সুখী হবেন।
বিয়ে স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর রিভিউ
বিয়ে স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর বইটা পড়ছিলাম, লেখক সুরা রুমের ২১ নম্বর আয়াতের মাধ্যমে বিয়ের আলোচনার সূত্রপাত করেছেন, আয়াতে বিয়েকে সুকুন বা স্থির বলে অবিহিত করা হয়েছে। অর্থাৎ তোমরা বিয়ে করো, যেন স্ত্রীর কাছে সুকুন পাও। এখানে সুকুনের বাংলায়ন ‘শান্তি’ বলতে পারি। মানে বউ হলো শান্তির স্থান। একটু এগিয়ে দেখলাম বিয়ের গুরুত্ব ও প্রচ্ছন্ন সংজ্ঞা দেওয়া হলো এভাবে—
তারা আল্লাহকে সাক্ষী রেখে এই প্রতিজ্ঞা করছেন যে, তারা জীবনসঙ্গীর কাছ থেকে পূরণীয় একান্ত বিষয়গুলো আর কোথাও খুঁজবেন না। তাদের চোখ, কান ও হৃদয় জীবনসঙ্গী ছাড়া অন্য কোথাও গিয়ে দিকহারা হবে না। তারা জীবনসঙ্গীর প্রতি কোনো অবহেলা করবে না, তাকে ছেড়ে যাবে না, ফেলে যাবে না।
জীবনের গুরুত্বপূর্ণ একটি অধ্যায় বিয়ে। বিয়ের প্রয়োজনীয়তা কেন—এইটা আর এখন বয়ান করার অপেক্ষা রাখে না; কিন্তু বিবাহপূর্ব কিছু আলাপ জরুরি বটে।
প্রথমেই আমাদের অ্যাকাডেমিক শিক্ষাব্যবস্থার সময়কাল নিয়ে আলোচনা করা যায়। এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে, আমাদের শিক্ষাকাল খুবই দীর্ঘ এবং শিক্ষা সমাপন হওয়ার পর কারও কারও বয়স ২৫-২৬-এ এসে ঠেকে। একজন ছেলেকে মোটামুটি প্রতিষ্ঠিত হতে পাঁচ থেকে দশ বছর অপেক্ষা করতে হয়। সাধারণত এই অঞ্চলের মানুষের গড় আয়ু ৭০ বছর বলে জানা যায়, কিন্তু মানুষের জীবনের মূল সময় হচ্ছে ২৫-৫০। এটা যেকোনো কাজের জন্যই গুরুত্বপূর্ণ। এর পরের সময়টাকে অবসর বলা যায়। কেউ যদি ৩০/৩৫-এ এসে বিয়ে করে, তাহলে এই লোকের অবসরযাপন আর হয়ে ওঠে না। পরিবারের হাল নিয়েই তার পড়ন্তবেলা পার করতে হয়। আর এটা যে কী দুঃখ ও বিষাদময় জীবন, ভুক্তভোগী মাত্রই এটা বুঝেন।
দ্বিতীয় ব্যাপার হচ্ছে বিয়ের কথা বললেই একটা কমন প্রশ্ন শুনতে হয়—বিয়ে করে খাওয়াবি কী?
কুরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন—আল্লাহ হচ্ছেন রিজিকদাতা, আরেক জায়গায় বলেছেন— তিনিই উত্তম রিজিকদানকারী। মানুষের রিজিক যেহেতু আল্লাহ দান করেন, পরিবারপ্রধান কেবল একজন মাধ্যম। তার অধীনে থাকা তার স্ত্রী-সন্তান সবাই ওসিলা হয়ে তার বরকতকে বৃদ্ধি করে। রাসুল বলেছেন, রিজিক হচ্ছে বণ্টিত, মানুষ তাকে যত বেশি খুঁজে তার চেয়েও রিজিক তাকে বেশি খুঁজে। সুতরাং ‘খাওয়াবি কী’ জাতীয় প্রশ্ন বেমানান।
সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে গার্জিয়ানদের অসতর্কতা এবং খাওয়াবি কী টাইপের নানা মন্তব্য অধুনা ছেলেমেয়েদের বিয়ের মনমানসিকতা দূর করে দেয়। বয়সে বিয়ের যে চাহিদা সেটাও এক সময় হতাশায় পরিণত হয়, হতাশ হওয়া যাবে না। জীবন সম্পর্কে জানুন, নিরাশা দূর করতে পড়ুন সিয়ানের বই— বিয়ে স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর।
নূর মুহাম্মদ সাইফুল্লাহ
বাংলাবাজার, ঢাকা।
জীবনসঙ্গীর কাছে নিজের গুরুত্ব বজায় রাখতে হলে পরস্পরকে সঠিকভাবে মূল্যায়ন করুন এবং তা নিয়মিত প্রকাশও করুন। ভালো কাজে পরস্পরের সাথে প্রতিযোগিতা করুন। শুধু তার মুখে একটুখানি হাসির ঝলক দেখার জন্য কিছু করুন। শুধু আপনারা দুজনে বুঝবেন এমন একটি ভাষা তৈরি করুন।
আমরা আমাদের রুমের টেবিলে একটা নোটবুক রেখে দিতাম। আমরা আমাদের পরস্পরের পছন্দের বিষয়গুলো, অনুভূতিগুলো, বলতে-চাওয়া কথাগুলো সেখানে লিখে রাখতাম। কথাগুলো আমরা সামনা-সামনি বলতে পারতাম না—ব্যাপারটা এমন নয়, কিন্তু অনেক সময় যে কথা মুখে বলা যায় না তা সহজে লিখে প্রকাশ করা যায়।
একে অন্যকে ফুল আর চকোলেট উপহার দিন। মনে রাখবেন, পুরুষরাও কিন্তু ফুল পছন্দ করে। দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাজ হলো, আপনার সঙ্গীর সবকিছুতেই প্রতিক্রিয়া দেখাবেন না। হজম করতে কষ্ট হলে দশটা লম্বা দম নিন। এরপর ভুলে যান। প্রতিক্রিয়া শুধু প্রতিক্রিয়ারই জন্ম দেবে। অবশেষে সেটা চলে যাবে নিয়ন্ত্রণের বাইরে।
বিয়ে – স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর বইটির পিডিএফ ডাউনলোড লিংক
বিয়ে – স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর বইটির অরিজিনাল কপি যারা সংগ্রহ করতে চান :- Rokomari | Wafilife | Sean Publication
বিয়ে – স্বপ্ন থেকে অষ্টপ্রহর বইটির ভিডিও রিভিউ
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?