বই : দ্য ক্রসিং
লেখক : মাইকেল কনেলি
অনুবাদ : ইশরাক অর্ণব
প্রচ্ছদ : পরাগ ওয়াহিদ
প্রকাশক : শিরোনাম প্রকাশনী
মূদ্রিত মূল্য : ৫৫০৳
পাঠ প্রতিক্রিয়া : দ্য ক্রসিং
হ্যারি বশ সিরিজের বই ‘দ্য ক্রসিং’ শেষ করলাম মাত্র। আমার কাছে দুর্দান্ত লেগেছে। সাধারণত পুলিশ প্রসিকিওরাল উপন্যাসগুলোর একটা কমন প্যাটার্ন হলো প্রথমে কোনো এক বিভৎস খুন এবং পরবর্তী সেই খুনের তদন্তের মাধ্যমে খুনিকে পাকড়াও করা। এক্ষেত্রে মাইকেল কনেলির ‘দ্য ক্রসিং’ ভিন্ন বলা যায়। যেখানে খুন হওয়ার পর তদন্তের মাধ্যমে খুনিও ধরা পড়েছে আগেই। তবে লয়ার মিকি হলারের মতে ধরা পড়া খুনি নির্দোষ যার ফলে দৃশ্যপটে হাজির হয় হ্যারি বশ। তারপরই শুরু হয় তদন্ত। এক্ষেত্রে গল্পে খুনি কে? তা জানার পাশাপাশি গল্প এগিয়ে গেছে খুনটা কেন করা হয়েছে তা নিয়ে, এই কেনতেই গল্পের ফোকাসটা বেশি ছিলো।
গল্পের প্রথম প্রথমে অল্পকরে কোর্টরুম ড্রামা উপভোগ করলেও পরের দুই-তৃতীয়াংশের পুরোটাই উঠে এসেছে খুন হওয়া ভিক্টিম এবং ডিটেকটিভদের তদন্ত নিয়ে হ্যারি বশের পেপারওয়ার্ক , এক্ষেত্রে উঠে এসেছে ডিটেকটিভ চিন্তাধারা, খুনের প্যার্টার্ন, এভিডেন্স পর্যালোচনা, মার্ডারবুক, টাইমলাইন সহ বিস্তারিত বেশ কিছু বিষয়। যদিও তা পড়তে বোরিং ফিল হয়নি আমার। সেই সাথে বইয়ের এন্ডিং এ পোঁছার অনেক আগেই জানা হয়ে যাবে খুনি কে? শুধু গল্প এগোবে কেন এবং কীভাবে সেই প্রশ্নের খুঁজে।
তবে এতো কিছুর ভিতরে বেশ কয়েকটা প্লটহোল রয়েছে বা বলতে গেলে লেখক কিছু বিষয় খোলাসা করেনি যেগুলো নিয়ে আলোচনা করছি না, করলে স্পয়লার হয়ে যাবে।
সেই সাথে গল্পে দেখা মেলে হ্যারি বশের ভাই লয়ার মিকি হলারের যার জন্য বইয়ে কোর্টরুম ড্রামারও মেলবন্ধন ঘটেছে। হ্যারি বশের পাশাপাশি মিকি হলার চরিত্রটার ভূমিকাও ছিলো প্রচুর, উপভোগও করেছি মিকি হলার চরিত্রটা। তাছাড়া এই চরিত্র দিয়ে লেখকের সম্ভবত আলাদা বইও আছে। আর ‘দ্য ক্রসিং’ এ লেখক দুটো চরিত্রকে এক মলাটে বন্দী করেছেন।
বইটির অনুবাদক ইশরাক অর্ণবের অনুবাদ দুর্দান্ত হয়েছে, একেবারে সহজ-সাবলীল অনুবাদ, যার ফলে বইটা পড়ে গেছি দ্রুত গতিতে। এছাড়াও শিরোনাম প্রকাশনীর প্রোডাকশন, পরাগ ওয়াহিদের প্রচ্ছদও চমৎকার হয়েছে।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?