* বইয়ের নাম: ভয়ের ঠিকানা;
* লেখক: মহুয়া ঘোষ;
* প্রকাশক: শপিজেন বাংলা;
* পেপারব্যাক, ১২৩ পৃষ্ঠা (১৪ সেমি X ২০ সেমি), ₹ ১৭০/-
জনপ্রিয় সাহিত্যিক মহুয়া ঘোষের লেখা একাধিক বই পড়ে আমার মনে হয়েছে, তাঁর লেখার দু’টি বিশেষত্ব আছে। সেগুলো হল~
প্রথমত, তিনি খুব সহজ, অনাড়ম্বর, প্রায় ঘরোয়া কথা বলার মতো ভঙ্গিতে লেখেন।
দ্বিতীয়ত, তাতে যে ভয় থাকে তা আপাতভাবে অলৌকিক হলেও আদতে ভীষণভাবে জাগতিক— অনেক ক্ষেত্রে একান্ত ব্যক্তিগত কিছু হারানোর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে। সেজন্যই গল্পগুলো পড়লে ভয় হয়। নিজের বা একান্ত নিজের কারও সঙ্গে ঠিক এমনটাই হতে পারে, এমন অনুভূতি জেগে ওঠে গল্পগুলো পড়ে।
এই বইয়ের পাঁচটি লেখাও ব্যতিক্রম নয়। এতেও আমরা এই দু’টি বৈশিষ্ট্যেরই প্রকাশ দেখি। বইয়ে আছে~
১. অমাবস্যার সেই রাত;
২. অগ্নিকে সাক্ষী রেখে;
৩. সাত ঘণ্টা— এটি বড়ো গল্প;
৪. সেদিন শিকারায়;
৫. অন্তর্দাহ— এটি বড়ো গল্প।
গল্পগুলো পড়া শুরু করলে শেষ না করে থামা যায় না। কয়েকটি মুহূর্তে সত্যিই গায়ে কাঁটা দেয়। একান্ত নিভৃত, অনেকাংশে মেয়েলি ভয় বলে আমরা যাদের খোঁজ রাখি না, সেই ভয়ের জমাট, ভারী, মারাত্মক রূপ এতে তুলে ধরেছেন লেখক।
বইটিতে বেশ কিছু বানানগত অশুদ্ধি দেখলাম। সামান্য পরিমার্জনা করিয়ে নিলেও লেখাগুলো আরও উপাদেয় হত। তবে ওটুকু উপেক্ষণীয় ভেবে ভয় পেতে চাইলে, এই বইটি অতি অবশ্যই পড়তে পারেন। অলমিতি।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?