বর্তমানে বিটিএস নামটি অনেকের কাছে খুবই পরিচিত। বিশেষ করে তরুণ সমাজ এটি নিয়ে অধিক আগ্রহ প্রকাশ করে থাকে।
আপনাকে যদি বলা হয় যে বিটিএস এই দশকে ঘটে যাওয়া সবচেয়ে বড় জিনিসগুলির মধ্যে একটি তা বিস্ময়কর হবে না। আপনি কোরিয়ান গান অনুসরণ করুন বা না করুন, আপনি অবশ্যই এমন গান গাইতে দেখেছেন যা বিলবোর্ডের সমস্ত রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে। আজকের ব্লগটিতে আমরা জানবো বিটিএস সম্পর্কে ১০টি আকর্ষণীয় বিষয়-
১) BTS এর পুরো নাম হলো Bangtan Boys (ব্যাংটন বয়েজ) অথবা Bangtan Sonyandan (ব্যাংটন সোনিয়ান্দন)। যার আক্ষরিক অর্থ কোরিয়ান ভাষায় ‘বুলেটপ্রুফ বয় স্কাউটস’। সহজ ভাবে বলতে গেলে, বিটিএস হলো সাত সদস্যের একটি দক্ষিণ কোরিয়ান একটি প্রখ্যাত বয় ব্যান্ড।
২) তারা পুরো বিশ্বের সংগীত জগতে নিজেদের বিখ্যাত জায়গা করে নেয় ২০১৭ সালে। ২০১৭ সালের লাভ ইয়োরসেলফ: হার (২০১৭) অ্যালবামটি সারা বিশ্বের মানুষের কাছে ছড়িয়ে পড়ে। তারা মাইক ড্রপ গানটির জন্য Korean Group Recording Industry Association of America থেকে সার্টিফিকেট গ্রহণ করে।
৩) BTS (বিটিএস) মূলত পরিচিত ’বিটিএস আর্মি’ নামে। আপনি জেনে অবাক হবেন, টুইটারে অনুসরণকারী এই আর্মির সংখ্যা ৩১ মিলিয়নের বেশি। ২০১৭ সালে তারা গিনেস বুক রেকর্ড করে তারকাদের মধ্যে সর্বোচ্চ রিটুইট পেয়ে। সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সংগীততারকা জাস্টিন বিবারের রিটুইটকে পেছনে ফেলে এই রেকর্ড করে বিটিএস।
৪) মিউজিক সেল, ট্যুরিং এবং ব্র্যান্ড এন্ডোর্সমেন্ট, সব মিলিয়ে বিটিএস এর Net Worth আনুমানিক ১০০ মিলিয়ন ডলার!
৫) একটি সাক্ষাত্কারে, বিটিএস সদস্য আরএম জানান যে, জনপ্রিয় আমেরিকান সিটকম “ফ্রেন্ডস” তাকে ইংরেজি শিখিয়েছে। তিনি আরও বলেছিলেন যে তার বয়স যখন চৌদ্দ বা পনেরো, তার বাবা-মা, তাকে “ফ্রেন্ডস” সিরিজ দেখার জন্য উত্সাহিত করেছিলেন।
৬) আরেকজন বিটিএস সদস্য জে হোপ “নিউট্রন” নামক একটি ড্যান্স ক্লাবের সাথে স্ট্রিট ড্যান্সার ছিলেন। জে-হোপ এমনকি কিছু জাতীয় নৃত্য প্রতিযোগিতা জিতেছে।
৭) বিশ্বাস করুন বা না করুন, কিন্তু বিটিএস হওয়ার আগে জংকুক একজন ট্যাটু শিল্পী হতে চেয়েছিলেন। এছাড়াও তিনি চেয়েছিলেন একটি হাঁসের মাংসের দোকান পরিচালনা করবেন।
৮) এক সময় BTS এর মেম্বাররা এক রুমের অ্যাপার্টমেন্টে থাকতেন। এখন এটা বিশ্বাস করা একটু কঠিন। বিটিএস? যাদের ১০০ মিলিয়ন ডলার নেটওর্থ ? অবাক লাগলেও এটা সত্যি যে, তারা তখন আজকের মতো এতো ধনী এবং জনপ্রিয় ছিলেন না।
৯) টাইম ম্যাগাজিন একাধারে ২০১৭, ২০১৮ ও ২০১৯ সালে ইন্টারনেটে সেরা ২৫ ইনফ্লুয়েন্সারের নামের তালিকায় স্থান দেয় বিটিএসকে।
১০) বিটিএস আর্মিদের নিয়ে আলোচনার পাশাপাশি সমালোচনারও কমতি নেই। সমালোচকদের দাবী উঁচু স্কেলের সুর কিংবা র্যাপ মিউজিক নাকি ঠিকঠাক গাইতে পারেন না দলটির সদস্যরা! অনেকে মনে করেন, তাদের বেশিরভাগ গানের সারমর্মই নাকি এক, ভিন্নতা নেই। তবে সমালোচকদের এসব কথার প্রতিবাদ করেন আর্মিরা। তাঁদের মতে, যেকোনো মানুষ সুর শুনে গানকে আপন করে নিতে পারে। কোরিয়ান (বয়) ব্যান্ড সদস্যদের সাজগোজ করার ব্যাপারটাও নেতিবাচকভাবে দেখেন কেউ কেউ।
সুতরাং দেখা যাচ্ছে, বিটিএস-এর জনপ্রিয়তা যেমন আছে, সমালোচনাও আছে তেমন। বর্তমানে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক আকারে অনুসরণ করা ব্যান্ডগুলির মধ্যে অন্যতম এটি। ২০১৩ সালে আত্মপ্রকাশ করার পর, এই ব্যান্ডটি পরবর্তী বছরগুলিতে অনেক কিছু অর্জন করেছে।
প্রিয় পাঠক, আজ এই পর্যন্তই। আপনার নিজেকে কি মনে হয়? বিটিএস ফ্যান নাকি হেটার? নাকি কোনোটাই নয়!
আর্টিকেল ক্রেডিট : ফাহিম মোরশেদ
তথ্যসূত্র- উইকিপিডিয়া, ফোরবস, প্রথম আলো, আইটিউন্স।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?