বিয়ের বায়োডাটা লেখার নিয়ম – best way to write biodata 2022

বিয়ের বায়োডাটা লেখার নিয়ম

বন্ধুরা আজকে আপনাদের সাথে কিভাবে নিজের জন্য , বিয়ে অথবা চাকরির জন্য একটি বায়োডাটা লিখতে হয় তা সম্পর্কে বিস্তারিত আলোচনা করব । একটি বায়োডাটার মাধ্যমে একজন চাকরি প্রার্থী নিয়োগকর্তাদের নিকট নিজেকে আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরতে পারবে ।  

 

অনেক সময় যোগ্যতা থাকা সত্ত্বেও ভালোভাবে বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জ্ঞান না থাকায় চাকরি পেতে ব্যর্থ হতে হয় ।  

 

এজন্যই আপনারা অনেকেই জানতে চেয়েছেন কিভাবে বিবাহের,  নিজের ও চাকরির জন্য একটি বায়োডাটা তৈরি করা যায় তা সম্পর্কে ।  তাহলে চলুন বন্ধুরা দেখে নেয়া যাক কিভাবে একটি সঠিক উপায়ে বায়োডাটা লেখার নিয়ম পদ্ধতি ।

 

একটি প্রতিষ্ঠান এর নিয়োগকর্তাদের নিকট নিজেকে আকর্ষনীয় ভাবে তুলে ধরার অন্যতম একটি উপায়  হচ্ছে স্মার্ট ও তথ্যবহুল একটি বায়োডাটা ।  

 

আপনার বায়োডাটাটি দেখে যদি নিয়োগকর্তা আকর্ষিত ও খুশি হয়ে থাকে তাহলেই আপনার সেই চাকরি বা জবটি পেতে সহজ হবে ।  তবে আমাদের বাংলাদেশে এই বায়োডাটা শব্দটি সাধারণত বেশিরভাগ সময় ব্যবহার করা হয়ে থাকে শুধুমাত্র বিবাহের ক্ষেত্রে ।

 

আবার চাকরির ক্ষেত্রে একই  বায়োডাটাটি সিভি হিসেবে পরিচিত ও ব্যবহার করা হয়ে থাকে । তাহলে বন্ধুরা চলুন দেখে নেয়া যাক কিভাবে একটি আকর্ষণীয়ভাবে বায়োডাটা তৈরি ও বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করতে হয় ।

 

বায়োডাটা কি ? What is biodata ?

 

বায়োডাটা এটি একটি ইংরেজী শব্দ যার বাংলা অর্থ হচ্ছে জীবন বৃত্তান্ত ।  সাধারণত একটি বায়োডাটাতে বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য,  শিক্ষাগত যোগ্যতা, দক্ষতা ও অভিজ্ঞতা বিষয়গুলো সম্পর্কে সুন্দরভাবে তুলে ধরা হয় । 

 

তবে আমাদের মধ্যে অনেকেই বায়োডাটা লেখার ক্ষেত্রে কয়েকটি বিষয় নিয়ে গোলমাল পাকিয়ে ফেলি । যেমন : সিভি , বায়োডাটা , ও রিজুম ।

 

আমরা প্রায় সময়ই বায়োডাটা লেখার নিয়ম অথবা বায়োডাটা লেখার ক্ষেত্রে এই তিনটি বিষয়গুলোতে বিভিন্ন ভুল করে থাকি । তাই আপনাদের ধারণাটি স্বচ্ছ ও পরিষ্কার করার জন্য এখন আমি বায়োডাটা, সিভি এবং রিজিউম এর মধ্যকার পার্থক্যগুলো আপনাদের সামনে তুলে ধরব ।

 

বায়োডাটা, সিভি, ও রিজিউমের পার্থক্য 

 

বায়োডাটা এই ডকুমেন্টটি সাধারণত আমাদের বাংলাদেশে বিবাহের ক্ষেত্রে বেশিরভাগ সময় তৈরি করা হয়ে থাকে ।  বিভিন্ন ধরনের ব্যক্তিগত তথ্য দিয়ে এই বায়োডাটা ডকুমেন্ট তৈরি করা হয় । 

 

আপনার বিয়ের জন্য বায়োডাটা তৈরি করা একটি নিয়ম হচ্ছে আপনার পরিবারের অবস্থান, পরিবারের সদস্যদের সম্পর্কে পরিচিতি ও পিতা-মাতার পেশা সম্পর্কে পরিস্কার ভাবে বায়োডাটায়  উল্লেখ করতে হয় ।

 

এছাড়াও আপনার ব্যক্তিগত  তথ্যসমূহের পাশাপাশি  আপনাকে বিভিন্ন ধরনের একাডেমিক যোগ্যতা, আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ইত্যাদি দিয়ে আকর্ষণীয়ভাবে আপনার  বায়োডাটাটিকে  তথ্যবহুল করে তুলতে হয় ।

 

সিভি ( cv )

 

সাধারণত বহির্বিশ্বে বা বিদেশে উচ্চ শিক্ষা গ্রহণের জন্য যে ডকুমেন্টস তৈরী করতে হয় তাকেই সিভি বলা হয় ।

 

এখানে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষা থাকাবস্থায় যেসব দক্ষতা সমূহ অর্জন করা হয়ে থাকে তারা সিভিতে উল্লেখ করার প্রয়োজন পড়ে ।

 

বিশ্ববিদ্যালয় পড়াশোনা চলাকালীন আপনার তৈরীকৃত বিভিন্ন প্রজেক্ট এবং তার ফলাফল, থিসিস থিস টপিক, এবং শিক্ষাজীবনে প্রাপ্ত পুরস্কার সমূহ, ও আপনার পছন্দের উচ্চ শিক্ষার বিষয় এর তথ্য আপনার সিভির মধ্যে উল্লেখ করে দিতে হয় ।

 

এছাড়াও আপনার যদি ইন্টারন্যাশনাল ও ন্যাশনাল পর্যায়ে কোন ধরনের  লেখা বা বই প্রকাশনা প্রকাশিত হয়ে থাকে অথবা আপনি যদি উল্লেখযোগ্য কোন প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেন যেমন: IELTS বা GRE স্কোর আপনার সিভিতে তা উল্লেখ করতে পারেন ।কিভাবে প্রফেশনাল উপায়ে সিভি লিখতে হয় তা জানতে এই আর্টিকেলটি পড়ুন

 

রিজিউম ( Resume )

 

একজন শিক্ষার্থীর তার চাকরি জীবনে প্রবেশ করার ক্ষেত্রে রিজিউম  এর প্রয়োজন হয়ে থাকে ।  সিভি এবং রিজিউমের এর মধ্যকার বিশাল পার্থক্য রয়েছে । একটি সিভিতে যে ধরনের তথ্যসমূহ দেওয়া হয়ে থাকে তা আপনি কখনো আপনার রিজিউমে উল্লেখ করতে পারবেন না ।

 

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপট অনুযায়ী আপনি রিজিউমে  যেসকল বিষয় উল্লেখ করে থাকবেন তা অবশ্যই জীবনের লক্ষ কেন্দ্রে হতে হবে ।

 

রিজিউমের কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় হলো : আপনার নির্দিষ্ট দক্ষতা সমূহ, পূর্বের চাকরির অভিজ্ঞতা, স্বেচ্ছাকর্মী হিসেবে কোথাও কাজ করে থাকে তার অভিজ্ঞতা রিজিউমে তুলে ধরতে পারেন । তবে নিয়োগকর্তারা সবসময় আপনার কর্মজীবনের দক্ষতা অর্জন গুলোর দিকে বেশি নজর দিয়ে থাকে ।

 

আশা করি বন্ধুরা এখন বায়োডাটা, সিভি ও রিজিউম এর মধ্যকার পার্থক্যটি আপনাদের বোধগম্য হয়েছে ।’

 

আরো পড়ুন : ইংরেজীতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম ।

 

বায়োডাটা লেখার নিয়ম ( how to write biodata )

 

আপনাকে বায়োডাটা লেখার নিয়ম জানার পূর্বে অবশ্যই জানতে হবে কোন কোন বিষয়গুলো আপনাকে এড়িয়ে চলতে হবে বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করার ক্ষেত্রে । একটি বায়োডাটা লেখার পূর্বে অবশ্যই নিম্নে উল্লেখিত বিষয়গুলোর সর্তকতা অবলম্বন করে বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ।

 

  • চাকরির নিয়োগ কর্তারা কখনো অধিক সময় নিয়ে আপনার বায়োডাটা বা  জীবন বৃত্তান্তটি দেখবে না ।  বায়োডাটা দেখতে চাকুরীদাতারা গড়ে ৩০ থেকে ৩৫ সেকেন্ড সময় নিয়ে থাকে । 

 

  • তাই এই অল্প সময়ের মধ্যে চাকরিদাতাদের আপনার বায়োডাটার্টি নজরে আনার জন্য প্রয়োজনীয় তথ্য দিয়ে বায়োডাটাটি সাজাতে হবে । কখনো অপ্রয়োজনীয় ও অতিরিক্ত তথ্যবলি দিয়ে বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করবেন না ।

 

  • বায়োডাটা কখনো দুই পৃষ্ঠার অধিক লিখবেন না ।

 

  • বায়োডাটাকে বলা হয়ে থাকে এক ধরনের মার্কেটিং প্রক্রিয়া তাই আপনার বায়োডাটার খুব সুন্দর করে তথ্যবহুল আকারে উপস্থাপন করতে হবে ।  এখানে আপনি আপনার বায়োডাটা লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে হাইলাইটস, বোল্ট, অথবা ইতালিক করে আপনার বায়োডাটাটিকে আরো সুন্দর করে তুলতে পারেন ।

 

  • নির্ভুলতারসহিত বায়োডাটাটি লেখার চেষ্টা করতে হবে,বানান ভুল ও গ্রামাটিক্যাল সমস্যার কারণে আপনার বায়োডাটা প্রতি নেতিবাচক মনোভাব সৃষ্টি হতে পারে ।  এবং আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা ও আপনার মনোযোগ এই দুইটি বিষয় চাকরিদাতার কাছে প্রশ্নবিদ্ধ হতে পারে ।

 

  • বায়োডাটা লেখার নিয়ম অথবা বায়োডাটা লেখার পূর্বে আপনি যে চাকরির জন্য আবেদন করবেন তা সম্পর্কে ভালভাবে গবেষণা করে দেওয়ার চেষ্টা করুন ।  বায়োডাটাতে অযথা অতিরিক্ত তথ্য না দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো দিয়ে সংক্ষেপে লেখার চেষ্টা করুন ।

 

বন্ধুরা এখন আমরা কিভাবে একটি বায়োডাটা লেখার নিয়ম সঠিকভাবে অনুসরণ করতে হয় তার সম্পর্কে বিস্তারিত জানব ।  বায়োডাটা লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে কোন কোন বিষয়গুলো আমাদেরকে বায়োডাটার মধ্যে উল্লেখ করতে হবে তা নিচে দেওয়া হল । 

 

 

তাহলে বন্ধুরা চলুন জেনে নেওয়া যাক বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে বিস্তারিত সমূহ ।

 

বায়োডাটা শিরোনাম ( Biodata Headline )

 

বায়োডাটার ক্ষেত্রে আমাদের সর্বপ্রথম আমরা পুরো নামটি লিখবো । বায়োডাটা শিরোনামে আমাদের সম্পূর্ণ নামটি বোল্ড আকারে বড় অক্ষর করে লিখতে হবে । এরপর নামের নিচে আপনার বর্তমান ঠিকানা, স্থায়ী ঠিকানা সুন্দর করে লিখতে হবে ।  

 

এছাড়াও আপনার একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার ও ইমেইল ঠিকানা উল্লেখ করে দেওয়ার অবশ্যই চেষ্টা করতে হবে ।

 

আপনি যে প্রতিষ্ঠানে আপনার বায়োডাটা সাবমিট করবেন সেখান থেকে যদি কোন ধরনের চিঠি আসে তাহলে আপনার দেওয়া ঠিকানায় যাবে ।  

 

তাই অবশ্যই খুব সুন্দর ও পরিষ্কার করে সঠিক ঠিকানাটি উল্লেখ করে দিতে হবে ।  এমনভাবে ঠিকানাটি উল্লেখ করে দিতে হবে যাতে সবার প্রথমে তার উপর নজর পড়ে ।

 

পেশাগত লক্ষ্য ( Career Goal )

 

 আপনার সিভির মধ্যে অবশ্যই সংক্ষিপ্ত আকারে আপনার  পেশাগত লক্ষটি মেনশন করে দিতে হবে । আপনাকে তা খুবই সংক্ষেপে গুছিয়ে উপস্থাপন করার চেষ্টা করতে হবে ।  অবশ্যই বানান ও ব্যাকরণ এর ভুলের দিকে খেয়াল রাখতে হবে ।

 

পেশাগত লক্ষ হতে হবে অবশ্যই যে চাকরিটির জন্য আপনি আবেদন করবেন তার সম্পর্কিত ।  কোন ধরনের কাল্পনিক বা আজগুবি  লেখা সিভিতে  লিখবেন না ।

 

বিশেষ যোগ্যতা সমূহ

 

বিশেষ কোন ধরনের যোগ্যতা আপনার মধ্যে থাকলে অথবা চাকরি সম্পর্কে কোন ধরনের বিশেষ দক্ষতা ও যোগ্যতা থাকলে তা বায়োডাটা ও সিভির মধ্যে উল্লেখ করতে পারেন । 

 

শিক্ষাগত যোগ্যতা ( Educational Qualification  )

 

বায়োডাটা লেখার নিয়ম এর মধ্যে অন্যতম একটি পয়েন্ট হচ্ছে শিক্ষাগত যোগ্যতা বায়োডাটাতে উল্লেখ করা ।  আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা এর উপর নির্ভর করে চাকরিদাতারা অন্যদের সাথে আপনাকে তুলনা করে থাকবে ।  

 

এবং বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই আপনাকে আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা দেখেই চাকরিতে নিয়োগ করা হবে ।

 

তাই অবশ্যই আপনার শিক্ষাগত যোগ্যতা সুন্দরভাবে উল্লেখ করে দেওয়ার চেষ্টা করতে হবে ।

 

প্রশিক্ষণ ( Training )

 

আপনি আপনার শিক্ষাজীবনে ও বিশ্ববিদ্যালয় থাকাকালীন যেসব প্রশিক্ষণ অংশগ্রহণ করেছিলেন তা এই অংশে উল্লেখ করতে পারেন ।  অতিরিক্ত তথ্যাবলী যুক্ত না করে চাকরি সম্পর্কিত যেসব প্রশিক্ষণ আপনার রয়েছে তা উল্লেখ করার চেষ্টা করবেন ।  প্রশিক্ষণের নাম এবং আয়োজকের তথ্য সংক্ষিপ্ত আকারে উল্লেখ করে দিতে হবে ।

 

চাকরির অভিজ্ঞতা ( Job Experience )

 

সাধারণত উত্তীর্ণ হওয়া শিক্ষার্থীদের কোন ধরনের চাকরির অভিজ্ঞতা থাকে না  তবে যেই চাকরির জন্য সিভি বা বায়োডাটা লিখতেছেন সেই কাজ সম্পর্কিত পূর্ব অভিজ্ঞতা যদি আপনার থাকে তাহলে তা চাকরির অভিজ্ঞতা সেকশনে যুক্ত করে দিবেন ।

 

ভাষাগত দক্ষতা ( Language Skill )

 

 সাধারনত বাংলাদেশের চাকরি করার ক্ষেত্রে আপনাকে দুটি ভাষা অবশ্যই জানা প্রয়োজন হয়ে থাকে ।  যেমন : ইংরেজি ও বাংলা ভাষা জানা আবশ্যক ।  ইংরেজি ভাষার উপর যদি আপনি কোন ধরনের পরীক্ষায় অংশগ্রহণ করে থাকেন তার স্কোর উল্লেখ করে দিতে পারেন । 

 

যেমন : IELTS OR TOEFL । আপনি যদি বাংলা ও ইংরেজি ভাষার পাশাপাশি অন্য কোন ভাষা সম্পর্কে দক্ষ হয়ে থাকেন তাহলে তাও উল্লেখ করে দিতে পারেন ।

 

আপনার ব্যক্তিগত তথ্য ( Personal Information )

 

আপনার বিভিন্য ব্যক্তিগত তথ্য যেমন : আপনার পিতা ও মাতার নাম, আপনার জন্ম তারিখ, ধর্ম, আপনার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানা, আপনার সখ, ভ্রমণ ইত্যাদি ব্যক্তিগত বিষয় গুলো এই অংশে আপনি উল্লেখ করে দিতে পারেন ।

 

নিজের সম্পর্কে বায়োডাটা লেখা ( write biodata about yourself )

 

আপনি আপনার বায়োডাটাতে নিজের সম্পর্কেও কিছু কথা উল্লেখ করে দিতে পারেন যেমন : আপনি কতটা পরিশ্রমী , চাকরি পেলে আপনি কিভাবে প্রতিষ্ঠানকে সহযোগিতা করবেন, 

 

কাজের প্রতি আপনি কি ধরনের মনোযোগ ও গুরুত্ব  দিয়ে থাকবেন এই বিষয়গুলো সুন্দরভাবে বায়োডাটাতে উপস্থাপন করতে পারেন।

 

চাকরির বায়োডাটা লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতা সমূহ :

 

সাধারণত আমরা বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে সঠিক ধারণা না থাকার কারণে বায়োডাটা লিখতে গিয়ে নানান ধরনের ভুলভ্রান্তি করে থাকি ।  কিন্তু আপনি এমনও অনেক মানুষ খুঁজে পাবেন যারা বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে ভালো জ্ঞান রাখে তার পরও ভুল করে থাকেন । 

 

 

এজন্য অবশ্যই বায়োডাটা লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে আমাদের কিছু বিষয় সম্পর্কে অতিরিক্ত সর্তকতা অবলম্বন করতে হবে ।  তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যায় চাকরির বায়োডাটা লেখার ক্ষেত্রে সতর্কতাগুলো :

 

  •  কোন ধরনের মিথ্যা তথ্য দেওয়া
  •  বায়োডাটা লিখতে বানান ভুল করা
  •  বাক্যে  ব্যাকরণে ভুল থাকা

 

বায়োডাটা লেখার ক্ষেত্রে আমাদেরকে উপরের বিষয়গুলো সম্পর্কে অধিক সতর্কতার সহিত বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে ।

 

জীবন বৃত্তান্ত pdf file বা বায়োডাটা বাংলায় pdf 

বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে উপরে ইতিমধ্যে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করেছি ।  এবং আমরা বিস্তারিত জেনেছি কিভাবে একটি  সঠিক উপায়ে বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করতে হয় । 

 

তবে আমাদের মত অনেকে রয়েছেন যারা এই নিয়মগুলো ভুলে যাওয়ার ভয়ে বায়োডাটা বা জীবন বৃত্তান্ত এর পিডিএফ বা  বায়োডাটা বাংলা পিডিএফ করে থাকেন ।

 

তাদের জন্য আজকের পোস্টের এই অংশে জীবন বৃত্তান্ত পিডিএফ ফাইলটি যুক্ত করে দেওয়া হল ।  তাই চাইলেই পিডিএফ ফাইলটি এখান থেকে দেখে আপনার মোবাইল বা কম্পিউটারে সেভ করে রাখতে পারেন ।

এছাড়াও যারা সহজে বায়োডাটা ও  সিভি তৈরি করে নিতে চান তাদের জন্য কয়েকটি দারুন ওয়েবসাইট এড্রেস দেওয়া হল ।  যার মাধ্যমে সহজেই সুন্দর সুন্দর বায়োডাটা ও সিভি তৈরি করে নিতে পারবেন ।

 

১/ https://biodatamaker.com/

 

২/ https://createmybiodata.com/ 

 

৩/ https://blank-biodata-form.pdffiller.com/ 

 

ইংরেজিতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম ( how to write biodata in english )

 

বায়োডাটা  এর অর্থ হচ্ছে জীবন বৃত্তান্ত এই বায়োডাটা আমাদের চাকরি ও বিয়ের ক্ষেত্রে প্রয়োজন হয়ে থাকে ।  আপনাদের চাকরি ও বিয়ের ক্ষেত্রে বায়োডাটা প্রয়োজন  হলে যাতে সহজেই বায়োডাটা  লিখতে পারেন এজন্য বায়োডাটা লেখার নিয়ম এই কী-ওয়ার্ড দিয়ে আজকের পোস্টটি সাজানো হয়েছে ।

 

তবে অনেকেই ইংরেজিতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চান ।  বায়োডাটা বলতে সাধারণত জীবন বৃত্তান্ত বুঝায় তবে আপনি এটিকে সিভি এর সাথেও তুলনা করতে পারেন । 

 

আপনি যদি একটি সিভি লিখতে পারেন তাহলে অবশ্যই একটি বায়োডাটা ও তৈরি করে নিতে পারবেন । 

 

বাংলা এবং ইংরেজিতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পূর্ণ একই সিস্টেম ।  শুধুমাত্র এই দুটির মধ্যে  ভাষাগত পার্থক্য রয়েছে । 

 

 আপনি যদি ইংরেজিতে বায়োডাটা লিখতে চান সেক্ষেত্রে আপনাকে প্রথমে বায়োডাটা লেখার নিয়ম জেনে নিতে হবে যা আপনাদের সাথে আজকে আর্টিকেল এর উপরে আলোচনা করা হয়েছে ।  

 

একই নিয়ম অনুসরণ করে বাংলা ভাষায় পরিবর্তে আপনাকে ইংরেজি ভাষা ব্যবহার করে ইংরেজিতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম অনুসরণ করতে হবে । 

 

বিবাহের বায়োডাটা ফরমেট লেখার নিয়ম / বিয়ের বায়োডাটা pdf

 

আমাদের বাংলাদেশের সবচেয়ে বেশি বায়োডাটা এর ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় বিবাহের ও চাকরির ক্ষেত্রে । আজকের এই অংশে আমরা আপনাদেরকে জানাবো বিবাহের বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে ।  

 

আমরা বিভিন্ন টুলস এর তথ্যর মাধ্যমে জানতে পেরেছি ইন্টারনেটে অনেকেই বিবাহের বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে সার্চ করে থাকেন ।

 

আজকের এই অংশে আমরা বিবাহের বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে জানতে চলেছি ।  আপনাকে অবশ্যই বিয়ে করার পূর্বে বিভিন্ন জায়গায় পাত্র  বা পাত্রী এর সন্ধান করতে হবে ।   তাই সে ক্ষেত্রে সরাসরি পাত্র বা পাত্রী এর সাথে সাক্ষাৎ না করে তার সম্পর্কে কিছু গুরুত্বপূর্ণ তথ্য সবার জানা উচিত ।

 

তাই বিয়ের সময় এই বিবাহের বায়োডাটা ব্যবহার লক্ষ্য করা যায় । আপনাদের জন্য বিয়ের বায়োডাটা একটি পিডিএফ ফাইল সংযুক্ত করে দেওয়া হলো যার ফলে সহজেই ফাইলটি কাস্টমাইজেশন করে আপনারা নিজেদের মতো করে  বিয়ের বায়োডাটা তৈরি করে নিতে পারবেন ।

পাত্রের বায়োডাটা নমুনা

 

বিয়ে একজন পুরুষ ও নারীকে আমাদের সমাজে একসঙ্গে থাকার অনুমতি প্রদান করে থাকে ।  ছেলে এর ফ্যামিলির সকল তথ্য কনেপক্ষকে দিয়ে থাকে অন্যদিকে মেয়ে পক্ষ তার পরিবারের সকল তথ্য ছেলেপক্ষ বা বরপক্ষকে দিয়ে থাকে এই বিয়ের বায়োডাটা মাধ্যমে ।

 

তবে অনেকেই জানিয়েছেন কিভাবে একটি পাত্রের বায়োডাটা লিখতে হয় তার সম্পর্কে আর্টিকেল প্রকাশ করার জন্য ।  তবে বিষয়টি ছোট হওয়ার কারণে আলাদা করে এটি নিয়ে আর্টিকেল লেখা যুক্তিসঙ্গত বলে আমার কাছে মনে হয় নি ।  

 

তাই বায়োডাটা লেখার নিয়ম এই আর্টিকেলের  মধ্যেই পাত্রের বায়োডাটা সম্পর্কে আলোচনা করা হলো ।

 

একটি পাত্রের বায়োডাটা লেখার নিয়ম এর ক্ষেত্রে যেসব বিষয় গুলো উল্লেখ করা প্রয়োজন তা নিচে দেওয়া হল :

 

  •  পাত্রের নাম
  •  তার শিক্ষাগত যোগ্যতা
  •  পাত্রের উচ্চতা
  •  জন্ম তারিখ
  •  গায়ের রং
  •  পাত্রের পেশা
  •  তার পিতা ও মাতার নাম সমূহ
  •  তার ভাই বোন
  •  বর্তমান ঠিকানা
  •  স্থায়ী ঠিকানা
  •  তার বড় চাচা
  •  মেজ চাচা
  •  ছোট চাচা
  •  দাদা
  •  মামা
  •  নানা ও
  •  যোগাযোগের জন্য মোবাইল ও ইমেইল ঠিকানা

 

পাত্রের বায়োডাটা ক্ষেত্রে উক্ত বিষয়গুলো উল্লেখ করে একটি বিয়ের বায়োডাটা তৈরি করা যায় । তাহলে এবার চলুন পাত্রীর জন্য একটি বায়োডাটা লেখার নিয়ম সম্পর্কে ।

 

পাত্রীর বায়োডাটা লেখার নিয়ম

 

কনে পক্ষকে বিবাহের বায়োডাটা তৈরি করার ক্ষেত্রে পাত্রীর বায়োডাটাতে যেসব বিষয়গুলো উল্লেখ করতে হবে তা দেওয়া হল :

 

  • পাত্রীর নাম
  •  তার শিক্ষাগত যোগ্যতা
  •  তার গায়ের রং
  •  জন্ম তারিখ
  •  তার পিতা ও মাতার নাম
  •  তার বড় ভাই, মেজ ভাই, ছোট ভাই
  •  বর্তমান ঠিকানা
  •  স্থায়ী ঠিকানা
  •  বড় চাচা, মেজ চাচা, ছোট চাচা
  •  বড় মামা, ছোটমামা
  •  দাদা, নানা, ও
  •  যোগাযোগের জন্য ইমেইল ও একটি সক্রিয় মোবাইল নাম্বার

 

পরিশেষে – Conclusions

 

আশা করি বন্ধুরা আজকের এই আর্টিকেলটিতে বিয়ের বায়োডাটা লেখার নিয়ম, বায়োডাটা লেখার নিয়ম , ইংরেজিতে বায়োডাটা লেখার নিয়ম, চাকরির জন্য বায়োডাটা লেখার নিয়ম, সিভি, রিজিউমসহ পাত্র-পাত্রীর বিবাহের বায়োডাটা লেখার নিয়ম ইত্যাদি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা করা হয়েছে । 

 

আজকের এই আর্টিকেলটি যদি বায়োডাটা লেখার ক্ষেত্রে আপনাকে সহায়তা করে থাকে তাহলে অবশ্যই আপনার পছন্দনীয় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাদের আগে থেকেই শেয়ার করবেন ।  এবং আমাদের আর্টিকেলটি আপনার কাছে কেমন লেগেছে তার নিচে কমেন্ট বক্সে জানাবেন । 

 

Leave a Reply 0

Your email address will not be published. Required fields are marked *