“বাঙালির মস্তিস্ক ও এর অপব্যবহার” প্রবন্ধটি সর্বপ্রথম কুমুদিনী মিত্র(বসু) সম্পাদিত সুপ্রভাত পত্রিকায় ১৯১০ সালে প্রথম প্রকাশিত হয়।
এই তথ্য নিয়ে একটু বিতর্ক থাকলেও সেটা আলোচনার বিষয় নয়।
[ এতটুকু তথ্য বইটির সম্পাদকীয় অংশ থেকে তুলে দিয়েছি]
৪২ পৃষ্ঠার পুরো বইটিই সাধু ভাষায় লেখা হয়েছে। বইয়ের নাম দেখে নিশ্চয় আন্দাজ করতে পারছেন যে বইটি কি সম্পর্কিত।
বাঙালির আলস্য, দৈন্যতা, দাসত্ব, হীনমন্যতা, চাকরি-প্রিয়তা নিয়ে লেখা, এটিই যে বাংলা ভাষার প্রথম প্রবন্ধ সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই।
অথচ, অতীতের কোনো এক সময়ে বাঙালির কোনো কিছুরই অভাব ছিলো না।
গোলাভরা ধান, গোয়াল ভরা গরু , দেহ-জোরা স্বাস্থ্য; সবই ছিলো বাঙালির।
বাঙালির মস্তিস্কের উৎকর্ষের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হতে হতো। কিন্তু একটা প্রজন্মের পর বাঙালি কেন এগুলো হারিয়ে দাসে পরিনত হয়েছিলো?
আচার্য বলছেন, মস্তিস্কের উৎকর্ষতার মাত্রাতিরিক্ত অপব্যবহার বাঙালির দুর্দশা ডেকে এনেছিলো।
বাঙালির রাজত্বের ইতিহাস, দাসত্বের ইতিহাসে পরিনত হয়েছিল।
শিল্প বিপ্লব কিংবা বিজ্ঞান-বিপ্লবের বেশিরভাগই কেন ইউরোপ ভিত্তিক?!
বাঙালিরা কেন এসব দিক থেকে পিছিয়ে ছিলো?!
বাংলায় ৪০ এর মতো পাটকল থাকলেও একটারও মালিকানা বাঙালির হাতে ছিলো না!
কিন্তু কেন?!
জ্ঞান-বিজ্ঞানে বাঙালিরা কেন পিছিয়ে ছিলো?!
সব গুলো প্রশ্নের উত্তর উনি ১৯১০ দশকের প্রেক্ষাপটে বসে লিখেছিলেন।
কিন্তু বিষয়গুলো এখনো প্রাসঙ্গিক!
আপনি পুরো প্রবন্ধ পড়ার পর বর্তমান সময়ের সাথে তুলনা করলেই বুঝবেন।
তৎকালীন রক্ষনশীল হিন্দু সমাজের প্রতি উনি প্রতিবাদী ভাষায় অনেক গুলো সত্যি কথা বলেছেন, যেগুলো সবার ভালো নাও লাগতে পারে।
বাঙালি চরিত্রের কোন কোন দিকগুলো শিল্প কিংবা বিজ্ঞান বিপ্লবের অন্তরায় হয়ে দাঁড়িয়েছিলো ;
সে সম্পর্কে আচার্য অনেক কথা বলেছেন ৪২ পৃষ্ঠার এই মাস্টারপিস এ।
আচার্য; এতো ছোট একটা প্রবন্ধে, এতো এতো বিষয়ের প্রতি দৃষ্টিপাত করেছেন যে অবাক হতে হয়।
আমি সবাইকে একবার বইটা পড়ে দেখতে বলবো । বইটা পড়লে, আমাদের দাসত্ব, দৈন্যতা এবং কুসংস্কারের ইতিহাস সম্পর্কে ভালো ধারনা পাবেন।
সাথে আচার্যের দুরদর্শিতার সাথেও পরিচিত হয়ে যাবেন।
[বইটার পিডিএফ পাওয়া যায়। কমেন্ট বক্সে পিডিএফ ডাউনলোডের লিংক দেওয়া থাকবে। ]
হ্যাপি রিডিং 💖 Review Credit 💕 Yusuf Akondo Sujon
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?