মদীনা সনদ
লেখক : আহমাদ আবদুল হালিম
প্রকাশনী : শোভা প্রকাশ
বিষয় : ইসলামি শাসনব্যবস্থা ও রাজনীতি
পৃষ্ঠা : 128, কভার : হার্ড কভার
আইএসবিএন : 9789849228868, ভাষা : বাংলা
‘মদিনা সনদ’ নিয়ে অনেকের মধ্যে কৌতূহল ও উৎসুক্য রয়েছে আসলে এটা কি? কতিপয় বুদ্ধিজীবী মদিনা সনদ এর মধ্যে ধর্মনিরপেক্ষতা খুঁজে বেড়ানোর প্রয়াস পাচ্ছেন। ধর্ম নিরপেক্ষতা হলো মূলত নাস্তিক্যবাদের আধুনিক রূপ। ধর্মশ্রায়ী কোন মানুষ ধর্মনিরপেক্ষ সেকুলার হতে পারে না। কারণ ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ ও নাস্তিকতা সমর্থক। “Secularism the belief that the religion should not be involved in the organisation of society education etc” সমাজ সংগঠন, শিক্ষা প্রভৃতি বিষয়ে ধর্ম সংশ্লিষ্ট হতে পারবে না, এমন বিশ্বাসী হলো ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ।
Secularism is a code of duty pertaining to this life founded on consideration Purely human, and indeed mainly for those who find theology indefinite, an nearable or unbelievable, ‘ধর্মনিরপেক্ষতাবাদ একটি কর্তব্য পালন পদ্ধতি, যা এই জীবনের সাথে সংশ্লিষ্ট, কেবল মানবীয় বিবেচনার ওপর প্রতিষ্ঠিত এবং যারা ধর্মতত্ত্ব কে আস্থা ও বিশ্বাসযোগ্য মনে করে না তাদের জন্য প্রণীত’ (জর্জ জ্যাকব হোলিয়ক,)
সাম্প্রতিক সময়ে পত্র পত্রিকা ও টিভি টকশোতে একশ্রেণীর বুদ্ধিজীবী জোরেশোরে বলেছেন মহানবী হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম কর্তৃক প্রদত্ত মদিনা সনদ ছিল ধর্মনিরপেক্ষ। এটা বলে ধর্মনিরপেক্ষতাকে জায়েজ করার সুযোগ খোঁজা হচ্ছে বলে অনুমিত হয়। বুদ্ধিজীবীদের এ বক্তব্য ঐতিহাসিক সত্যের সম্পূর্ণ বিপরীত।
মদিনা সনদ এর চার জায়গায় মহান আল্লাহর ওপর আস্থা বিশ্বাস ও জবাবদিহির কথা লিপিবদ্ধ আছে। এসো আমাদের সাক্ষী আল্লাহ, তিনি এর রক্ষণাবেক্ষণকারী এবং অমান্যকারীর উপর আল্লাহর অভিসম্পাত বর্ষিত হবে। একথাও উল্লেখ্য আছে। মদিনা সনদ এর মাধ্যমে যে রাষ্ট্র ও সমাজ ব্যবস্থা প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল তা ছিল সম্পূর্ণ ধর্মভিত্তিক।
সনদের 24 এবং 26 নং ধারায় উল্লেখিত রয়েছে, স্বাক্ষরকারী সম্প্রদায়ের মধ্যে কোন বিরোধ দেখা দিলে হযরত মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আল্লাহর বিধান অনুযায়ী ফায়সালা দেবেন। ব্যক্তি থেকে শুরু করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পবিত্র কোরআনের বিধানসমূহ মদিনা রাষ্ট্রের কার্যকর ছিল।
আল্লাহ তাআলার নির্দেশনা অনুযায়ী সুদ, মজুতদারী ও পটকাবাজি, নিষিদ্ধ করে যাকাত, উশর,ফাই, গোনিমাহ ও খারাজ ভিত্তিক অর্থনীতি চালু করা হয়। বিচার কার্যক্রম পরিচালিত হয় শরীয়তের বিধান অনুযায়ী। সেখানে কিসাস, হুদুদ, তা’জিরাত ইত্যাদি দন্ডবিধি ছিল পুরোপুরি কার্যকর। এই কারণে ইতিহাসবিদ প্রফেশ্বর পি,কে হিট্রি এর মন্তব্য প্রণিধানযোগ্য,
মদীনা সনদ একটি সংবিধানই নয়, একটি ছন্নছাড়া জাতির উম্মাহ হয়ে ওঠার উপাখ্যান। জাহেলিয়াতকে অতিক্রম করা পরিশোধিত রাষ্ট্রের লিখিত ইশতেহার। পৃথিবীর মানুষের প্রতি মানবিক এবং সহিষ্ণু রাষ্ট্রের ঘোষণাপত্র! বইটি লেখা হয়েছে মদীনা সনদকে উপজীব্য করে। প্রিয় নবীজী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের রাষ্ট্রচিন্তার ব্যাপ্তিটা বোঝার ক্ষেত্রে বইটি সহায়ক ভূমিকা রাখবে। স্বতন্ত্র ভাষাশৈলী আর তথ্যকে নির্ভর করেই লেখা হয়েছে প্রতিটি লাইন। গ্রন্থের সর্বশেষ অক্ষরটিতে চোখ রাখার প্রাক্কালে পাঠক একটি সারাংশের মুখোমুখি হবেন বলেই বিশ্বাস করি।
সাপ্লায়ার জানিয়েছেন এই পণ্যটি 20 January প্রকাশিত হতে পারে। প্রকাশিত হওয়ার সাথে সাথে পণ্যটি পেতে আগেই অর্ডার করে রাখুন ।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?