বৃত্তের একদম বাইরে গিয়ে পরকালের পরম সফলতা ও চরম ব্যর্থতাকে উপজীব্য বানিয়ে কুরআন- হাদীসের আলোকে, দুনিয়ার মোহে ভুলে যাওয়া কবর, হাশর, কিয়ামত, জান্নাত এবং জাহান্নামের বর্ননাকে উপন্যাসের ছায়ায় উপস্থাপন করা হয়েছে এই বইটিতে।
উপন্যাসটির অভিনব বিষয়বস্তু, উত্তম বিন্যাস এবং প্রতিটি বিষয়ের চমৎকার দৃশ্যায়ন পাঠকের ভাবনার জগতে ঝড় তুলবে নিঃসন্দেহে। এ ঝড়ে মূলোৎপাটিত হবে অবিশ্বাসী পাঠকের ঠুনকো সব আপত্তি ও অভিযোগ। একই সাথে তার হৃদয়ের উর্বর ভূমিতে রোপিত হবে বিশ্বাসের চারা।
বইটি মনে করিয়ে দেবে আল্লাহর আনুগত্যের কথা— নবিজী (সা.) এর প্রতি ভালোবাসার কথা। অন্তরে জাগিয়ে তুলবে আখিরাতের অতুল স্বপ্ন—জান্নাতের অমিত সম্ভাবনা । চোখে আঙ্গুল দিয়ে দেখিয়ে দেবে তুচ্ছ দুনিয়ার অসারতা। উপন্যাসের ভেতরে বিচরণ করতে গিয়ে উপলব্ধি করতে পারবেন, আপনার হৃদয়ে বাসা বেঁধেছে আল্লাহর ভয় আর পরকালের প্রস্তুতির দুর্নিবার বাসনা। পড়তে গিয়ে হঠাৎ চোখের কোনে অজান্তেই পানির ফোয়াড়া এসে ভীড় করবে হয়তো। মনে হবে সময়-কাল-পাত্রের উর্দ্ধে উঠে গেছেন আপনি। অন্য এক জগতে হারিয়ে যাবেন।
–
● বইটি আসলে কাদের জন্য??
উত্তরে বলব– গুনাহের সাগরে হাবুডুবু খাওয়া ও গাফেলতির জীবনে যারা অভ্যস্ত, যাদের অন্তর প্রতিনিয়ত কলুষিত হচ্ছে রবের অবাধ্যতায় বিশেষ করে কলেজ-ভার্সিটি পড়ুয়াদের জন্য এই বইটি।
● শুধুই কি তাদের জন্য?
আসলে তা-না। দ্বীনের পথে আসার পর অন্তরে মাঝে মাঝে কাঠিন্যতা অনুভব হলে, অন্তরে আল্লাহর ভয় ও আশা কমে যাওয়ার মতো অবস্থা অনুভূত হলে, এই বইটা তাদের জন্যেও। এই বইয়ের প্রতিটি পাতায় পাতায় অনেকগুলাে ঝাঁকুনি অপেক্ষা করছে পাঠকদের জন্য। যান্ত্রিক জীবনের পার্থিব যে চক্রে আটকে গেছে আমাদের পুরো যুব সমাজ, ভোগবিলাস ও উদাসীনতায় যারা মত্ত হয়ে থাকে প্রতিক্ষণ, তাদের জন্য অসাধারণ একটি রিমাইন্ডার।