মহান আল্লাহ পর্দার আয়াতে পুরুষকে দৃষ্টি অবনত করতে বলেছেন,তারপর নারীদেরকে নারীদেরকে পর্দার আদেশ দিয়েছেন।পুরুষ যদি তাঁর দৃষ্টি অবনত রাখত,তাহলে একজন নারীর পর্দা করার কোন প্রয়োজন পড়ত না।পুরুষের চোখ নিচে থাকলে নারী কি পরছে না পরছে,কোন অঙ্গ দেখা যাচ্ছে না যাচ্ছে,সেটা বিবেচনাধীন থাকত না।কিন্তু ম্পহান আল্লাহ তাআলা মনবপ্রকৃতি সম্পর্কে সর্বোচ্চ অবগত।সব পুরুষের পক্ষে পর্দার এ নিয়ম মেনে চলা সম্ভব নয়।এজন্য মহান আল্লাহ তাআলা পুরুষের পাশাপাশি নারীদেরও সমান গুরুত্বের সঙ্গে পর্দা করতে বলেছেন।
পর্দা হচ্ছে একজন নারীর নিজেকে রক্ষার মাধ্যম।একজন নারী যখন রাস্তায় চলে, সে আশা করতে পারে যে,পুরুষ তাকে দেখে চোখ অবনত করবে।কিন্তু রাস্তায় চলার সময় সে কিভাবে জানবে যে,তার সামনে যে বা যারা রয়েছে,তারা ভালো মুসলিম।রাস্তাইয় চলার পথে পুরুষদের মধ্যে যেমন ভালো মুসলিম রয়েছে,তেমনি রয়েছে মুনাফিক ,ফাসেক,মুশরিক, এবং কাফের।ভালো মুসলিমরা হয়ত নিজেকে সংযত করবে কিন্তু বাকিরা তো করবে না ।এজন্য একজন নারী পুরুষ এর উপর নির্ভরশীল থাকবে না,বরং নিজের প্রতিরক্ষার ব্যবস্থা নিজেই গ্রহন করবে।সে ব্যবস্থাটিই হচ্ছে পর্দা।
সমাজে কোন নারী যৌন হেনস্থার অভিযোগ করলে তাঁর চরিত্র নিয়ে নানান আলাপ শুরু হয়।কিন্তু ছেলেদের চরিত্র-স্বভাব নিয়ে কোন আলোচনা হয় না। সমাজের সবাই মেয়েদের পর্দার সবক দিতে শুরু করে।কিন্তু ছেলেদেরকে চোখ নিচে রাখার উপদেশ দিতে কাউকে দেখা যায় না।সংশোধনের এই লিঙ্গগত বৈষম্যের দরুণ একপর্যায়ে নারীরা ইসলামকেই ভুল ভাবতে শুরু করে।এজন্য সকলকে সংশোধনের ভাষা ও প্রক্রিয়া শিখতে হবে।আমাদের সামান্য বিচ্যুতি সমাজে বড় ধরণের সমস্যার জম্ম দিতে পারে।
সেক্যুলার সমাজ যৌন নিপীড়ন ও হেনস্থার দায়ভার পুরুষতান্ত্রিক সমাজের উপর চাপিয়ে দিয়ে নারীর সকল অবস্থানকে ত্রুটিমুক্ত গন্য করে।তাঁর এটা করে মেয়েদের সমর্থন আদায়ের জন্য।কিন্তু ইসলাম ভক্ত-ভক্তির তোয়াক্কা না করে সত্য প্রকাশে সদা প্রস্তুত থাকে।সব কিছু সমাজের উপর চাপিয়ে দিয়ে আত্নতুষ্টিতে থাকার মাধ্যে গৌরবের কিছু নেই।সমস্যার কারণ এবং সমাধান খুঁজে বের করে তা বাস্তবায়ন করা জরুরি।
ইসলামে আত্নসংশোধন এবং আত্ন্ররক্ষা ফরয।আত্নসংশোধন এবং আত্ন্ররক্ষার সুযোগকে উপেক্ষা করে সকল দোষ এবং দায়ভার সমাজ-রাষ্ট ধর্ম তথা অন্যের উপর চাপিয়ে দেওয়া নির্বুদ্ধিতা ছাড়া কিছুই না।এর চেয়ে বড় ডাবল স্ট্যাডিং আর কী হতে পারে যে,আমি নিজে ধর্ম বা আইন মানব না,অথচ চাইব যে অন্যরা তা মেনে চলুক।পর্দা না করে , না মেনে,এটা আশা করা বোকামি যে,পুরুষ সব ধার্মিক মহাপুরুষদের মতো ঞ্জের চোখ নিচে নামিয়ে ফেলবে।বুদ্ধিমান তো সেই, যে অন্যের আশায় থাকে না, বরং নিজের ভালো টা নিজে বুঝে নেয়।
বইঃপ্রাক্টিসিং মুসলিম
লেখকঃনাদিউজ্জামান রিজভী
প্রকাশনাঃমুভমেন্ট পাবলিকেশন্স
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?