- দোস্ত, জানেমান
- লেখক : মুহাম্মাদ আতীক উল্লাহ
- প্রকাশনী : মাকতাবাতুল আযহার
- বিষয় : ইসলামী সাহিত্য
- পৃষ্ঠা : 480, কভার : হার্ড কভার
- ভাষা : বাংলা
১. বইয়ের কলেবরটা অযাচিতভাবে বড় হয়ে গেছে। আসলে একটি না ধরে কয়েকটি বইয়ের সমাহার ধরে নিলে আর বড় মনে হবে না। বইয়ে আমরা কয়েকটি দিকের সমাবেশ ঘটানোর চেষ্টা করেছি। আমরা তুমুল পরিবর্তনের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। দ্রুতলয়ে ঘটে চলা যেসব বিষয় না জানলেই নয়, যেসব মূল্যবোধ চর্চায় না আনলেই নয়, গল্পের মোড়কে মুড়িয়ে সেগুলোর কয়েকটি সামনে আনার চেষ্টা করেছি।
২. আমাদের গল্পে বসনিয়াকে কেন টেনে আনলাম? তার কারণ আছে। চরম প্রতিকূল বিপর্যস্ত পরিস্থিতিতে উম্মাহর অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখতে বসনিয়ায় অনুসৃত রীতিটি একটি ‘মডেল’ হিসেবে বিবেচিত। সেটি কতটা শরীয়াহসম্মত আর কতটুকু শরীয়াহবহির্ভূত, অভিজ্ঞ ওলামায়ে কেরামই তা নির্ধারণ করবেন। বসনীয় মুসলিম সমাজে আচরিত ধর্মের উদারনৈতিক রূপ, কুরআন ও সুন্নাহর দৃষ্টিতে কতটা বিশুদ্ধ আর কতটা অশুদ্ধ, সেটি নির্ণয়ের ভারও মুহাক্কিক ওলামায়ে কেরামের। আমরা শুধু ঘটে যাওয়া নির্মম অতীতকে সামনে এনে ভবিষ্যতে পথ চলার পাথেয় সংগ্রহ করার উপাদান তুলে ধরেছি। কোঁচড় ভরে কুড়িয়ে নেয়ার দায়িত্ব বিজ্ঞ পাঠকের।
৩. এ কথা ঠিক, ডেটন শান্তিচুক্তির কিছু ধারা বসনীয় মুসলমানদের জন্য অত্যন্ত লজ্জাজনক আর অপমানজনক ছিল। তারপরও মরহুম আলী ইজ্জত বেগোভিচ কেন এই চুক্তিতে স্বাক্ষর করেছিলেন? আপাতদৃষ্টিতে মনে হয়, প্রথমত জাতিসংঘ ও ন্যাটোর একচোখা নীতির বিরুদ্ধে নিজেদের অস্তিত্ব টিকিয়ে রাখাই ছিল প্রধান উদ্দেশ্য। একটি মুসলিম রাষ্ট্রের অস্তিত্বই ইউরোপের সব পক্ষ মেনে নিতে পারছিল না, সেখানে তাদের সবাইকে চুক্তির টেবিলে বসাতে পারাই বসনীয় মুসলমানদের বড় বিজয় ছিল। দ্বিতীয়ত, মার্কিনি মধ্যস্থতার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি দেখিয়ে বসনীয় কর্তৃপক্ষ যদি যুদ্ধ চালিয়ে যাওয়ার গোঁ ধরে থাকতেন, ফলে কী হত? বসনীয় রাষ্ট্রপ্রতিষ্ঠাই হুমকির মুখে পড়ত। আলী ইজ্জত রহ. দূরদর্শী চিন্তায় বিষয়টি বুঝতে পেরেছিলেন। ফলও মিলতে শুরু করেছে। এখন রাজধানী সারায়েভোর ৮০% অধিবাসী মুসলমান।
৪. বইয়ের দীর্ঘ কলেবর জুড়ে ডা. আবদুর রহমান সুমাইত রহ.-এর কথা আলোচিত হয়েছে। এই মানুষটার প্রতি সেই ছেলেবেলা থেকেই ভীষণ মুগ্ধতা ছিল। তার জীবনাদর্শকে বিস্তারিত পরিসরে তুলে ধরার ইচ্ছা ছিল দীর্ঘদিনের। তাকে নিয়ে এত বেশি পড়েছি, শুনেছি, দেখেছি, মনে হয়েছে তিনি আমার অতি আপন কেউ। বাঙালি পাঠকের কাছে এমন একজন মহৎ মানুষকে তুলে ধরার তাগিদ ছিল। কর্তব্য ছিল। আমাদের দেশ থেকে প্রতিবছর গড়ে আট হাজারের মতো নবীন ডাক্তার পাশ করে বের হন। তাদের একজনের কাছেও যদি ডা. সুমাইতের আদর্শ অনুকরণীয় মনে হয়, আমাদের মেহনত সার্থক। ডা. সুমাইত সারা জীবনে অসংখ্য সাক্ষাৎকার দিয়েছেন। অগণিত টিভি-রেডিওতে তাকে নিয়ে অনুষ্ঠান হয়েছে। তাকে নিয়ে লেখা হয়েছে অসংখ্য বই। নানা পত্র-পত্রিকায় তাকে নিয়ে প্রবন্ধ-নিবন্ধ ছাপা হয়েছে। যেখানে যা পেয়েছি, বছরের পর বছর ধরে সংগ্রহ করেছি। একটা একটা করে পড়েছি, দেখেছি, শুনেছি। সাক্ষাৎকারের অনেক জায়গায় কুয়েতি একসেন্টের আরবি বুঝতে সমস্যা হওয়াতে বারবার রিওয়াইন্ড করে শুনতে বা দেখতে হয়েছে। তিল তিল করে তত্ত্ব-তথ্য সংগ্রহ করেছি। ডা. সুমাইতকে নিয়ে পড়তে গিয়ে বারবার মনে হয়েছে, এর অর্ধেক পড়াশোনা করে অনায়াসে হয়তো আস্ত একটি ডক্টরেট থিসিসই লিখে ফেলা যেত। দ্বিতীয় পর্বে ছিল খসড়া নোট থেকে ঝাড়াই-মাড়াই করে তথ্যগুলো সাজিয়ে গুছিয়ে নেয়া। প্রথম পর্বের চেয়ে দ্বিতীয় পর্ব আরও বেশি কঠিন ছিল। তৃতীয় ধাপে বাছাই করা তথ্যগুলোকে শব্দের বুননে গেঁথে ফেলা। এই পর্বে আগের দুই পর্বের সম্মিলিত মেহনতের চেয়ে বেশি কষ্ট হয়েছে।
৫. উপন্যাসে ঘটনার ধারাবাহিকতা থাকে। চরিত্রের বিকাশে পরম্পরা থাকে। আমাদের এই উপন্যাসে তেমনটা নেই। কতগুলো বিষয়কে কোনও রকমে একটি সূত্রে গেঁথে দেয়া হয়েছে। আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, উপন্যাসে আলোচিত বিষয়গুলো নিয়ে আগ্রহী পাঠক সময়-সুযোগ করে আরও পড়াশোনা করবেন। আমরা শুধু কৌতূহল জাগাতে চেয়েছি। দৃষ্টি আকর্ষণের চেষ্টা করেছি। উপন্যাসে বেশ কিছু প্রসঙ্গের অবতারণা করা হয়েছে। প্রতিটি বিষয় গুছিয়ে আনতে হিমশিম খেতে হয়েছে। ‘সেপালকার ইন লাভ’ বইয়ের গল্পগুলো লেখার সময়ও এমন হয়েছিল। পড়তে পড়তে দুচোখ ঝাপসা হয়ে আসত। এত তথ্য, এত তত্ত্ব, গোছাব কী করে। ‘ইশকুল অব লাভ’ উপন্যাসেও এমন হয়েছে। শেষতক এটা কতটা উপন্যাস হয়েছে, আর কতটা ইতিহাসাশ্রিত প্রবন্ধ হয়ে গেছে, বিচারের ভার বিজ্ঞ পাঠকের কাঠগড়ায় তোলা রইল। ভুলত্রুটি ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টিতে দেখার করজোেড় অনুরোধ রইল।
৬. বইটা ঠিক উপন্যাস হয়ে উঠতে পেরেছে কি না, এ নিয়ে আমাদের ঘোরতর সন্দেহ আছে। বলা যেতে পারে, বইটি আমাদের কয়েকটি উদ্দেশ্য পূরণের নিমিত্ত হয়েছে। কিছু কথা বলার জন্য আমরা উপন্যাসের খোলসের আশ্রয় গ্রহণ করেছি। নিজের কিছু কথা অন্যের মুখ দিয়ে বলানো হয়েছে। ‘ইশকুল অব লাভ’ লেখার সময়ও প্রশ্নটা জেগেছে,
লেখক কি কখনও তার সৃষ্ট চরিত্রের প্রতি দুর্বলতা অনুভব করেন?
জি, করেন।
গল্পের চরিত্রের দুঃখ-কষ্টে তাদের চোখ ভিজে ওঠে?
ওঠে তো।
৭. কেউ কেউ দেখা হলেই গল্পের চরিত্রগুলোর পরিচয় জানতে চান। কী মুশকিল! ওটা জানা এত জরুরি কেন? প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে চুপ থাকলে, মনগড়া কল্পনা থেকেই বলে, “ও আচ্ছা, তিনি অমুক না’? কখনও কখনও তাদের অনুমান সত্যিও হয়ে যায়। বিপাকে পড়তে হয় লেখককে। হাঁ বা না কোনওটাই বলা যায় না। কী দরকার এত সুলুকসন্ধানে নেমে পড়ার। গল্পের বাস্তব চরিত্রের পরিচয় না জানলে কিইবা অমন ক্ষতি হবে শুনি?
৮. ‘দোস্ত’ মানে দুটি ‘অস্তি’ । দুটি অস্তিত্ব। দুটি সত্তা। ‘জানেমান’ মানে আমার জান। আমাদের ছেলেবেলা কেটেছে উর্দু-ফারসির ঘোরতর আবহে। উর্দু-ফারসি বলতে লিখতে যেমনই পারি আর না পারি, ‘মাগার’ পড়তে ও শুনতে বেশ লাগে। আমরা যারা মাদরাসার আবহে বেড়ে উঠেছি, মাদরাসার আবহে যাপিত জীবন গুজরাচ্ছি, তাদের সাথে উর্দু-ফারসির ‘তাআল্লুক’ খানিকটা ‘তালুকদারির মতোই। এ বইয়ের নামেও উর্দু-ফারসির প্রভাবই প্রকট হয়ে উঠেছে।
৯. গল্পের চরিত্র বড় ভাই, দোস্ত হুজুর, হাফেয সাহেব হুজুর, রফিক, নাবিলার মতো অসংখ্য মানুষ বাংলাদেশের গ্রামেগঞ্জের কওমি মাদরাসাগুলোতে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছেন। আমরা প্রতিনিয়ত এমন অসংখ্য বাস্তব মানুষের দেখা পেয়েছি। তাদের সাথে দিন গুজরান করেছি। তাদের কথাই আমাদের এ বইয়ে চিত্রিত হয়েছে।
১০. উপন্যাসটির প্রায় ৯৯% কাজ শেষ করা ছিল। বিশেষ মাদরাসায় ‘হাজিরা দিতে গিয়ে মাঝে একটি বছর লেখালেখির সাথে বিচ্ছেদ ঘটেছিল। আগের লেখার ফাইলপত্রও হাতছাড়া হয়ে গিয়েছিল। এ বইয়ের বড় একটি অংশ আবার নতুন করে লিখতে হয়েছে। একটি লেখাকে যত বেশি ঘষামাজা করা হবে, লেখাটারও তত খোলতাই হতে থাকবে। এই মূলনীতি মহৎ লেখকদের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য। আমাদের মতো ছাপোষা আটপৌরে শৌখিন লেখকের জন্য ওসব বিলাসিতা সাজে না। হজমও হয় না। কোনও লেখাকে প্রথমবারে লিখতেই কেয়ামত হয়ে যায়, সেখানে একাধিকবার! একবার ভেবেছিলাম, থাক যা গেছে গেছে, সেটা নিয়ে আবার বসার কসরত করার দরকার নেই। মনের সাথে তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধ করে লেখাটা কোনও রকমে দাঁড় করানো গেছে। বর্ণনায় আগের সেই গতি এসেছে কি না, বুঝতে পারছি না। তবে লিখতে বসে আগের সেই স্বতঃস্ফূর্ত ভাব ছিল না, এটা কবুল করতেই হবে।
১১. আগের লেখাগুলো স্মৃতি থেকে খুঁজে খুঁজে উদ্ধারাভিযানে নামব, নাকি নতুন করে নতুন বিষয়াশয় নিয়ে লিখতে শুরু করব, এ নিয়ে দ্বন্দ্ব কাটিয়ে উঠতেই সময় কেটে গেছে বহুত। শেষতক দফরফা হলো, নতুন প্রয়াস চলতে থাকুক, পুরাতনের খোঁজ-খবরও সময়ে সুযোগে সচল থাকুক। চেষ্টা কসরত ছাড়া যা উদ্ধার করা যায়, তা নিয়ে সন্তুষ্ট থাকব। বাকিগুলো আল্লাহর হাওয়ালা করে দেব। যা প্রকাশিত হয়েছে, তার চেয়ে বহু-বহুগুণ বেশি লেখা ল্যাপটপে জমা হয়ে ছিল। সব ভোগে চলে গেছে। আল্লাহর ইচ্ছাই চূড়ান্ত। গল্পটি নতুন করে সাজাতে গিয়ে মনের অগোচরেই একটি ছক তৈরি হয়ে গেল। নতুন করে শুরু করাতে এক অর্থে ভালোই হয়েছে। আবদুর রহমান সুমাইতকে এই গল্পে জুড়ব, এটা ছিল প্রথম প্রয়াসের মাঝামাঝির কথা। শেষে যখন ডা. সুমাইতকে ছাড়াই উপন্যাসের কলেবর পরিকল্পনার চাইতে বেশি বড় হয়ে গিয়েছিল, বাধ্য হয়ে ডা. সুমাইতকে অন্য কোনও উদ্যোগের জন্য স্থগিত রেখেছিলাম। পরিবর্তিত পরিকল্পনায় আল্লাহর ইচ্ছায় শেষতক ডা. সুমাইতকে কিছুটা হলেও এ বইয়ে তুলে ধরতে পেরেছি। আলহামদুলিল্লাহ।
১২. এ বই আসলে বাস্তব ও কল্পনার সংমিশ্রণে গড়ে ওঠা কিছু গল্প, কিছু কল্প। চারদেয়ালের মধ্যে বন্দি থাকতে থাকতে এই গল্পটার বিভিন্ন চরিত্র নিয়ে অনেক অনেক ভেবেছি। বিশেষ করে ‘নাবিলা’। কীভাবে যেন এই চরিত্র বড় আপন হয়ে উঠেছিল। সুন্নতে ইউসুফিতে এক ভাই বলতেন, আমাদের গল্পগুলো বড্ড মাদরাসাকেন্দ্রীক। আসলেই তাই। আমরা যেভাবে বেড়ে উঠেছি, সে অভিজ্ঞতার বাইরে বেরিয়ে নতুন ফ্রেমে কিছু লেখার মতো যোগ্যতা আমাদের নেই। ওটা মহাপ্রতিভাবানদের পক্ষে সম্ভব। নিজের এই সীমাবদ্ধতা মেনে নেয়ার মধ্যে লজ্জার কিছু নেই। কাকতালীয় ব্যাপার হলো, আমাদের নাবিলার গল্প শুনে এক ভাই তার জীবন থেকে আরেক নাবিলার গল্প শুনিয়েছেন। আমাদের প্রকাশিতব্য ‘বুকপকেটে প্রেমপত্র’ গল্পের বইয়ে সে নাবিলার গল্প শোনার আগাম আমন্ত্রণ রইল। ইনশাআল্লাহ।
১৩. বাংলাদেশ-পাকিস্তানের মতো বসনিয়াও লাখো মুসলিমের রক্তের বিনিময়ে বিনির্মিত হয়েছে। বাংলা-পাকের মতো বসনিয়াও জন্মলগ্ন থেকে নানামুখী বৈরী শত্রুর মোকাবেলা করে আসছে। বসনিয়া সংকটকালে ইরাক কুয়েতেও সংকট দেখা দিল। আফ্রিকার রুয়ান্ডাতে গণহত্যা হলো। ইতিহাসের এই বাঁকগুলো জানা থাকা দরকার।
১৪. পড়তে বসে শুরুতে পড়ায় টান অনুভব না করলেও জোর করে চালিয়ে যাওয়ার বিনীত অনুরোধ রইল। আমাদের বিশ্বাস, কিছুদূর যাওয়ার পর ভালো লাগতে শুরু করবে। ইনশাআল্লাহ।
১৫. বইটি দুই ভাগে বিভক্ত। প্রথমাংশে দুজন মহান মানুষ— ডা. আবদুর রহমান সুমাইত ও আলী ইজ্জত বেগোভিচের জীবন ও আদর্শ তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয়াংশে মূল গল্প উপস্থাপন করা হয়েছে। প্রথম অংশ পড়া থাকলে দ্বিতীয়াংশ পড়াটা অর্থবহ হবে, ইনশাআল্লাহ। প্রথমাংশ পড়ার প্রতি আগ্রহ বোধ না করলে এড়িয়ে গিয়ে পরের অধ্যায়ে চলে গেলেও মূল গল্পের ধারাবাহিকতায় কোনও অঙ্গহানি ঘটবে না। আমাদের বিনীত অনুরোধ থাকবে, মনের ওপর জোর খাটিয়ে হলেও দুই মহান মানুষ সম্পর্কে সাজানো অধ্যায়গুলোতে একবার চোখ বুলিয়ে যেতে। মূল উপন্যাস সম্পর্কেও একটি তথ্য জানা থাকলে, পড়া এগিয়ে নিতে সুবিধা হবে। উপন্যাসের শুরুতে তিন পর্বে দোস্ত হুজুরের কথা বলা হয়েছে। তারপর ঘটনা শাখা বিস্তার করেছে। উপন্যাসের শেষদিকে এক অসহায় বোনের গল্প বলা হয়েছে। তার গল্পটি একটি ইংরেজি সাইট থেকে নেয়া। ওটার বাংলা অনুবাদও আমাদের সামনে ছিল। রব্বে কারীম উভয় লেখককে উত্তম বিনিময় দান করুন।
১৬. বইয়ে বর্ণিত সব আদর্শ আমরা ধারণ করি বা সমর্থন করি এমন নয়। কিছু আদর্শ আমরা ধারণ করার স্বপ্ন দেখি, কিছু আদর্শ আমরা শুধু সময় ও কালের বর্ণনার প্রেক্ষিতে তুলে ধরেছি। উপন্যাসটিতে যে স্থানের গল্প বলা হয়েছে, বইয়ের কাজ শেষ যখন শেষ পর্যায়ে, কাকতালীয়ভাবে সেখানে যাওয়ার সুযোগ হয়েছিল। পুরোনো স্মৃতি নতুন করে ঝালিয়ে নেয়ার কারণে, বইয়ে সংযোজন ও বিয়োজনে সুবিধা হয়েছে।
১৭. বইটিতে অনেকের শ্রম, মেধা জড়িয়ে আছে। রব্বে কারীম লেখক, পাঠক ও সংশ্লিষ্ট সবাইকে উত্তম বিনিময় দান করুন। বইয়ে ক্ষতিকর কিছু থাকলে সংশোধন করে দিন। পাঠককে হেফাজত করুন। বইয়ের উপকারী দিকগুলো লেখক-পাঠকের জীবনে বাস্তবায়িত করে দিন। আমিন। আমাদের মাদরাসাতুল কুরআনিল কারীমের জন্য রব্বে কারীম যেন একটি বরকতময় জায়গার ব্যবস্থা করে দেন, এজন্য সম্মানিত পাঠকের কাছে দোয়ার বিনীত দরখাস্ত রইল। রব্বে কারীম কবুল করুন। আমীন।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?