উপন্যাস : দিব্যপুরুষ
লেখক : পলাশ মজুমদার
প্রকাশক: বিদ্যাপ্রকাশ
প্রচ্ছদ: ধ্রুব এষ
প্রকাশকালঃ ফেব্রুয়ারি ২০২১
_________________________________________
তখন মুসলমানরা এই দেশে আসতে শুরু করেছে। কারো উদ্দেশ্য ধনসম্পদ লুণ্ঠন ও রাজ্য বিস্তার; আবার কারও উদ্দেশ্য নিজেদের ধর্মের প্রচার ও অনুসারীর সংখ্যা বৃদ্ধি।
ধীরে ধীরে মানুষ দীক্ষিত হয় আরবদেশীয় ধর্মে। এই ধর্মান্তর প্রক্রিয়া চলে দীর্ঘদিন ধরে। বিভিন্ন পন্থায় ও কৌশলে। কখনো অস্ত্রের জোরে, কখনো ভালোবাসা দিয়ে। কখনো রাজনৈতিক চাপে। আবার কখনো মানুষ ধর্মান্তরিত হয়েছে ব্রাহ্মণ ও সামন্ত শ্রেণির অত্যাচার থেকে মুক্তি পেতে।
সেই ক্রান্তিকালের কিছু ঘটনা এবং ক্রমবিবর্তনশীল সমাজজীবন উপন্যাসটির পরতে পরতে ছড়িয়ে আছে। একই সঙ্গে স্থান পেয়েছে ওই সময়ের সামাজিক, অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক পরিপ্রেক্ষিত। এমনকি উঠে এসেছে শিল্পকলা ও সাহিত্যের নানা বিষয়। সবকিছুকে ছাপিয়ে যায় প্রেম। শেষ পর্যন্ত প্রেমই জয়ী হয়। মানবপ্রেম। নর-নারীর প্রেম।
……………………………………………………………………
বাংলা শিল্প-সাহিত্যের এক ক্রান্তিকাল ‘দিব্যপুরুষ’ উপন্যাসটির পটভূমি। ওই সময়ে উল্লেখযোগ্য কোনো সাহিত্য রচিত হয়নি। কারণ, শিল্প-সাধনার অনুকূল পরিবেশ তখন বাংলায় ছিল না; তুর্কি আক্রমণে তটস্থ ছিল বঙ্গ-বরেন্দ্রভূমির প্রতিটি জনপদ; হত্যা, ধর্ষণ আর লুটতরাজে জীবনধারণ হয়ে উঠেছিল দুর্বিষহ। থেমে ছিল সাহিত্য-সংস্কৃতির বিকাশ।
ল²ণ সেনের রাজত্বের শেষ পর্বে শাসনব্যবস্থা যখন ভেঙে পড়ে, সনাতন ব্রাহ্মণ্যবাদী শোষকদের নিগ্রহ ও সামন্ত-মহাসামন্তদের অত্যাচারে অন্ত্যজ শ্রেণি আর বৌদ্ধ ভিক্ষুদের প্রাণ বিষিয়ে ওঠে, তখন তাদের জীবন আরও বিপন্ন করে তোলে তুর্কি ও সুযোগসন্ধানী এ দেশীয় সৈন্যরা। সমূহ বিপদ থেকে পরিত্রাণ পেতে তারা মুসলমান দিব্যপুরুষদের শরণাপন্ন হয়; দীক্ষা নেয় নতুন ধর্মে। কারণ, তুর্কিরা স্বধর্মীদের ওপর নির্যাতন করে না, বরং রক্ষা করে।
সেই অন্ধকার সময়ে কেন ঝরে পড়েছিল শিল্পসুষমা এবং রুদ্ধ ছিল জ্ঞানচর্চা ও শিল্প-সাহিত্যের দরজা—ইতিহাসের সরোবরে অবগাহন করে কথাশিল্পী পলাশ মজুমদার এই উপন্যাসে তা তুলে আনতে প্রয়াসী হয়েছেন। একই সমান্তরালে বিশাল ক্যানভাসে এঁকেছেন তৎকালীন সমাজের এক খণ্ডচিত্র।
……………………………………………………………………..
‘দিব্যপুরুষ’ পাওয়ার জন্য আপনারা এখন অর্ডার করতে পারেন সরাসরি বিদ্যাপ্রকাশে (১৬২৯৭ এই ফোন নম্বরে)। তাছাড়া বইটি পেতে পারেন রকমারি ও বাতিঘরে অর্ডার করে; এমনকি পাওয়া যাবে বাতিঘরের সব শাখায়।
review by ll writer palash mazumdar