মাওলানা সাইয়েদ আবুল আ’লা মওদূদী রহঃ-এর বিখ্যাত তাফসীর গ্রন্থ “তাফহীমুল কুরআন” হচ্ছে তাঁর অনবদ্য কীর্তি। বিভিন্ন কারণে এই গ্রন্থটি স্বতন্ত্র বৈশিষ্টের অধিকারী। তার মধ্যে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে, কুরআনের বিষয়বস্তু, এর কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় এবং লক্ষ্যবিন্দুর সাথে প্রত্যেকটি সূরা এবং প্রতিটি আয়াতকে সম্পর্কিত ও সংযুক্ত করা হয়েছে তাফহীমুল কুরআনে। এখানে দেখানো হয়েছে এই কিতাবটি তার সমগ্র পরিসরে কোথাও তার বিষয়বস্তু, কেন্দ্রীয় আলোচ্য বিষয় এবং মূল লক্ষ্য ও বক্তব্য থেকে এক চুল পরিমাণও সরে পড়েনি। তার পাশাপাশি একটি সুগভীর ঐক্য ও একাত্মতা সহকারে তার সমস্ত আলোচনা ‘ইসলামী দাওয়াত’-এর কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়েছে।
,
মওদূদী রহ. তাঁর আলোচনায় যথাসম্ভব পরিভাষাগত জটিল শব্দ ব্যবহার পরিত্যাগ করেছেন কিন্তু তার রচিত তাফসীর এক অনন্য স্বতন্ত্র স্বাচ্ছন্দ্য পরিভাষার জন্ম দিয়েছে। ভাষার শৈল্পিকতা, কথার বাগ্নিতা, অত্যন্ত হৃদয়গ্রাহী যুক্তিপূর্ণ লেখনি এবং টীকাসমূহের জ্ঞানগর্ভ বিশ্লেষণে কুরআনের নান্দনিকতা তাৎপর্যপূর্ণভাবে ফুটে উঠেছে। কোরআনের আয়াতের মর্মার্থের গভীরে পৌঁছে বিজ্ঞান ও দর্শনকে এর অনুকুলে দাঁড় করিয়ে কোরআন বিরোধী বামপন্থীদের সকল অভিযোগের মূলোৎপাটন করা হয়েছে এই মহা গ্রন্থটিতে।
তাই বামপন্থী কিংবা কাফেরদেরকে ইসলাম বোঝানোর ক্ষেত্রে এই গ্রন্থটির কোনো তুলনা নেই। কোনো মুসলমান যদি কুরআনের গভীর জ্ঞান অর্জন করতে চান তাহলে তাকে পরামর্শ দিই তাফসির ইবনে কাসির পড়ার জন্য। বা তাফসীরে কুরতুবী ও আহকামুল কুরআন সহ আরো অনেক তাফসির গ্রন্থ রয়েছে যেগুলো পড়া যেতে পারে কিন্তু যারা বিজ্ঞান ও দর্শন দিয়ে কোরআন বুঝতে চায় তাদের ক্ষেত্রে তাফহীমুল কুরআনের কোনো বিকল্প নেই। এটা যেন একটা মহা ঔষধ। ডঃ জাফর উল্লাহ স্যারের হাতে যিনি tafhim-ul-quran তুলে দিয়েছেন, তিনি যুগোপযোগী সঠিক কাজটি করেছেন।
,
এটা নিয়েও দেখছি কারো কারো মাথা ব্যাথা শুরু হয়ে গেছে। মনে হচ্ছে তাফহীমুল কুরআন পড়ে ইসলাম বুঝার চাইতে নাস্তিক থাকাই ভালো। শাইখ হারুন ইজহার সাহেবের মতো ব্যক্তিকেও দেখেছি tafhim-ul-quran দেওয়ার কারণে মনঃক্ষুন্ন হয়েছেন। এক্ষেত্রে আমরা বলব, অন্তত এই সময় হিংসা না করে উনাকে ইসলাম বোঝার সুযোগ করে দিন। পরে আপনাদের পছন্দনীয় তাফসীর “মাআরিফুল কুরআন” না হয় উনাকে গিফট করে দিবেন। আমরা মনঃক্ষুন্ন হব না বরং খুশীই হবো।
তাফহীমুল কুরআন ডাউনলোড করুন পিডিএফ