গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং পর্ব -৫ || © মারুফ হুসাইন

Post ID 111604

গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং পর্ব -৫ || © মারুফ হুসাইন

  ✋এক নজরে ব্লাড পেইন্টিং পর্ব সমূহ💕


  1. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং প্রথম পর্ব ।

  2. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং দ্বিতীয় পর্ব ।

  3. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং তৃতীয় পর্ব ।

  4. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং চতুর্থ পর্ব ।

  5. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং পঞ্চম পর্ব ।

  6. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং ষষ্ঠ পর্ব ।

  7. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং সপ্তম পর্ব ।

  8. গল্পঃ ব্লাড পেইন্টিং অষ্টম ও শেষ পর্ব। 

৯.
সায়মা জানে না, তার সাথে কী হচ্ছে৷ সে সম্মোহিত হয়ে পেইন্টিংটার দিকে তাকিয়ে আছে৷ নিজের নিয়ন্ত্রণ আর তার কাছে নেই। সে কী ভাবছে, আর কী করছে সে নিজেও জানে না৷ পেইন্টিংটা তাকে মোহিত করছে৷ তার নিয়ন্ত্রণ পেইন্টিংটা নিয়ে গেছে৷ পেইন্টিংটা সম্মুখে নিয়ে কেউ একা থাকলে তার সাথে যা হয়, সায়মার সাথেও ঠিক তাই হতে যাচ্ছে৷
রাস্তায় জ্যাম দেখে গোলাম মাওলা বিরক্ত হয়ে উঠল, ‘এতো রাতেও জ্যামে পড়তে হয়!’
‘স্যার! এখন মানুষজনের ঘরে ফেরার সময়। একটু-আধটু জ্যাম তো পড়বেই।’ রাফাত উত্তর দিল।
‘অন্য কোনো রাস্তা ধরে জ্যাম ছাড়া আগানো যায় কিনা দেইখো!’
‘স্যার! এই রোডটাতেই জ্যাম সবচেয়ে কম থাকে।’
গোলাম মাওলার কপালে বিরক্তির ছাপ ফুটে উঠেছে, ‘সায়মাকে তার বাসায় পাব বলে মনে হয়?’
‘জানি না স্যার!’ জ্যাম ছাড়তে শুরু করেছে৷ রাফাত এক্সিলেটরে চাপ দিল, ‘স্যার! আমার বুঝে আসছে না, সায়মা পেইন্টিংটা এভাবে চুরি করতে গেল কেন!’
‘আমারও বুঝে আসছে না।’ বলেই ভাবতে লাগল, ‘রাফাত! এই সুইসাইডগুলোর সাথে কোনোভাবে কী সায়মার সম্পৃক্ততা আছে বলে মনে হয়?’
‘না স্যার! আমার এমন কিছু মনে হয় না।’
ব্লেডের প্যাকেটটা সায়মা হাতে নিয়ে পেইন্টিংটার কাছ ঘেষে বসল। ফ্রেমের উপর থেকে পেইন্টিংটার উপর হাত বুলাতে লাগল। ফ্রেমের গ্লাসে সায়মার চেহারা ফুটে উঠেছে, সে চোখে কাজল, ঠোঁটে লিপস্টিক, লাল রঙের লিপ্সটিক। ঠিক লাল বলা যায় না। কালো খয়েরী বলা যেতে পারে। ঠিক পেইন্টিংয়ের কালারটা যেমন৷ তার লিপস্টিকের কালারটাও তেমন।
সে তার কোনো প্রিয় মানুষের জন্য সেঁজেছিল। এখন হয়তো সে তার ঐ প্রিয় মানুষটার সাথে বসে থাকত অথবা তার সাথে ডিনার শেষে বাড়ি ফিরত৷ কিংবা তার দেখা না পেয়ে সে তাকে কল্পনা করে একাই একাই নিজের জন্মদিন উৎযাপন কর‍ত৷ কিন্তু তার কিছুই হয়নি৷ সে নিজের ঘরেই বসে আছে। অভিশপ্ত পেইন্টিংটার দিকে তাকিয়ে সম্মোহনী দৃষ্টিতে তাকিয়ে বসে আছে। অভিশপ্ত পেইন্টিংটা তার সমস্ত পরিকল্পনা ভেস্তে দিয়েছে৷
গোলাম মাওলা ঘড়ির দিকে তাকাল, এগারোটা বেজে ছত্রিশ মিনিট।
‘রাফাত! আর কতক্ষণ লাগবে?’
‘স্যার! এই জ্যামটা ছাড়লে ১৫-২০মিনিট।’
‘ধুর! কোনো জরূরী কাজ পড়লেই সবসময় জ্যাম ঝামেলা পাকিয়ে রাখে৷’ বিড়বিড় করে বলেই গোলাম মাওলা মোবাইল বের করল। সায়মার নাম্বার ডায়াল লিস্টের উপরেই আছে। কল করলো৷ রিং হচ্ছে৷  কিন্তু কোনো রেস্পন্স পাওয়া যাচ্ছে না। 
‘রাফাত!’
‘জি স্যার!’
‘সায়মা পেইন্টিংটা কাউকে কিছু না বলে নিয়ে গেছে। পেইন্টিংটার জন্য যদি তার কোনো কুমতলব থাকত অথবা সুইসাইডগুলোর সাথে তার কোন সম্পৃক্ততা থাকত তাহলে তো এতোক্ষণে মোবাইল বন্ধ করে দেয়ার কথা!’
‘হ্যাঁ স্যার!’
‘কিন্তু সে মোবাইল বন্ধ করেনি। রিং হচ্ছে৷ রেস্পন্স করছে না।’
‘আমার কিছু বুঝে আসছে না স্যার!’
সায়মা ব্লেডের প্যাকেটটা ফ্লোরে রেখে দিয়েছে৷ কিন্তু প্যাকেটটা খোলা। সে যে হাতে পেইন্টিংয়ে হাত বুলাচ্ছিল। তার সে হাতের বুড়ো আর তর্জনি আঙ্গুল মিলে একটা ব্লেড চেপে রেখেছে। সে এখনো পেইন্টিংটার দিকে তাকিয়ে আছে৷ ব্লেডটা উঁচু করে ধরে রাখা। ঘরের লাইটের আলো সোজা ব্লেডে এসে পড়ছে বলে ব্লেডটা চিকচিক করছে।
সায়মা যে বিল্ডিংয়ে থাকে, তার সামনে এসে রাফাত গাড়ি ব্রেক করল। রাফাত আর গোলাম মাওলা গাড়ি থেকে নেমে গেটের সামনে যেতেই একটা লোক ভিতর থেকে উঁকি মেরে বলল, ‘কী চাই?’
‘সায়মার বাসায় যাব!’ রাফাত বলল।
‘পুলিশ যেই ম্যাডামডা ঐ ম্যাডামের বাসায়?’
‘হ্যাঁ!’
‘দাঁড়ান!’ বলে গেটম্যান ভিতরে গেল। ইন্টারকম চেপে কিছুক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফিরে এসে বলল, ‘ম্যাডাম তো ফোন ধরে না!’
‘ম্যাডাম বাসায় আছে তো?’ রাফাত জিজ্ঞাসা করল।
‘হ, সন্ধ্যায় আইসে। এরপর তো আর যায় নাই।’
‘তুমি সিউর তো!’
‘হ, সিউর না মানে, এই বিল্ডিংয়েরতে কেউ বাইরাইলে এই মতিনের চোখ ফাঁকি দিয়া বাইরাইতে পারে না।’
গোলাম মাওলার কপালে চিন্তার ভাঁজ দেখা গেল, ‘ঠিক আছে গেট খুলুন!’ 
‘না স্যার! ম্যাডাম  ধইরা না কইলে আমি গেট খুলতে পারুম না।’
গেট খোলার জন্য রাফাত সুন্দর করে কয়েকবার বলল। তারা সায়মার কলিগ, এক সাথেই পুলিশে চাকরী করে তাও বলল। তারপরও মতিন গেট খুলতে চাইল না। তার একটাই কথা, ‘ম্যাডাম ফোন ধইরা না কইলে গেইট খুইল্লা দিতে পারুম না!’
রাফাতের রাগ উঠে গেল। সে মতিনকে ধমক দিয়ে বলল, ‘ঐ তুই গেট খোল! পুলিশের লগে ডাল্টিফাল্টি করলে কী হয় জানস না!’
মতিন ভয় পেয়ে গেল। গেট খুলতে খুলতে কাপা স্বরে বলতে লাগল ‘স্যার! আপনেরা আগে কইবেন তো আপনেরাও পুলিশের লোক!’
গোলাম মাওলা সায়মার ফ্ল্যাটের কলিং বেল চাপল। একবার দুবার করে বেশ কয়েক বার চাপা হলো। ভিতর থেকে কোনো সাড়া-শব্দ নেই।
‘স্যার! আমার মনে হয়, আমাদের লক ভেঙ্গে ঢুকা দরকার৷’
গোলাম মাওলা কয়েক মুহুর্ত ভেবে বলল, ‘জলদি লোক ডেকে আনো!’
রাফাত চলে গেল৷ মিনিট দশেকের মধ্যে লোক নিয়ে চলে আসল। লোকটা প্রথমে গেটের লক খোলার চেষ্টা করে, না পেরে লক ভাঙ্গার সিদ্ধান্ত নিল৷
তারা সায়মার ঘরে ঢুকল। সায়মার কোনো সাড়া-শব্দ নেই৷ ড্রয়িং রুম পার হয়ে বেডরুমের দিকে এগুতেই তারা যা দেখল, তা দেখার জন্য মোটেও প্রস্তুত ছিল না। বেড রুম থেকে ফ্লোর ঘেষে তাজা রক্তের ধারা বেডরুমের দরজা অবধি এসে থেমেছে৷ গোলাম মাওলা দ্রুত পায়ে রুমে প্রবেশ করল।  খাটের পাশেই ফ্লোরে সায়মার সাজুগুজু করা নিথর দেহ পড়ে আছে৷ তার ডান হাতের আঙ্গুল দুটো এখনো ব্লেডটা ধরে রেখেছে৷ তার দেহ থেকে আধ হাত দূরত্বে পেইন্টিংটা পড়ে আছে।
গোলাম মাওলা এগিয়ে গেল। এখনো হাত থেকে রক্তক্ষরণ হচ্ছে। সে এদিক-ওদিক তাকাল। খাটের উপর কিছু কাপড় ছড়ানো৷ সেখান থেকে একটা কাপড় নিয়ে সায়মার হাতের কাটা জায়গায় টাইট করে বেঁধে দিল যেন আর বেশি রক্তক্ষরণ না হয়৷  নার্ভ চেক করে দেখল, বেঁচে আছে৷
গোলাম মাওলা দেরী করল না। সায়মাকে কোলপাজা করে উঠিয়ে নিল। রাফাত দ্রুত পায়ে এগিয়ে গিয়ে গাড়ির দরজা খুলে দিল। গোলাম মাওলা সায়মাকে নিয়ে বসতেই দরজার লাগিয়ে রাফাত ড্রাইভিং সিটে বসে গাড়ি স্টার্ট করল।
সায়মাকে হাসপাতালে রাফাতের দায়িত্বে ছেড়ে গোলাম মাওলা সায়মার বাসার দিকে রওনা করল৷ 
১০.
পেইন্টিংটা এখনো সায়মার ঘরে পড়ে আছে৷ গোলাম মাওলা পকেট থেকে গ্লোভস বের করে হাতে পরে নিল। সায়মার ঘর ভালো করে সার্চ করে দেখল, কেসটার ব্যপারে কোনো ক্লু পাওয়া যায় কিনা! কিন্তু তেমন কিছুই পাওয়া গেল না৷
সায়মার ব্যাপারটা গোলাম মাওলার ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। সায়মা সেজেগুজে ছিল, তার রুমের দিকে তাকালেও বুঝা যাচ্ছে, অনেক বেছে বেছে পছন্দ করে সে সেজেছে। 
গোলাম মাওলা মনে করার চেষ্টা করল, আগের দুই জন সেজেগুজে সুইসাইড করেছে কিনা! কিন্তু সেজেছে বলে মনে হচ্ছে না৷ তাহলে সায়মার সেজেগুজে সুইসাইড এটেম্প নেয়াটা তাকে ভাবাতে লাগল। আবার মেয়েটাকে সে অনেক দিন ধরে চিনে। কখনো মনে হয়নি, মেয়েটার ভিতর এমন কিছু চলছে, যার জন্য সুইসাইড এটেম্প নিতে পারে৷
গোলাম মাওলা আর কিছু ভাবতে পারছে না, একে একে তিনটা ঘটনা ঘটে গেল। এখনো কেসের কোনো কুল-কিনারা করতে পারেনি৷ তাহলে কী তার এমন আরো দূর্ঘটনা দেখতে হবে৷ 
ভাবতেই গোলাম মাওলার ক্লান্তি অনুভব হচ্ছে। সায়মার রুমের খাটের উপর সে বসে পড়ল। তখনি মোবাইলটা তার হাতে লাগে। সায়মার মোবাইলটা তুলে নেয়৷ লক করা৷ তার সামনেই সায়মা বেশ কয়েকবার মোবাইলের লক খুলেছে৷ তখন পাসওয়ার্ড দেখলেও কখনো খেয়াল করেনি৷ পাসওয়ার্ডটা মনে করার চেষ্টা করল। কোনোভাবেই মনে পড়ছে না৷ অনেক্ষণ মনে করার চেষ্টা করেও যখন মনে করতে পারল না, তখন হাল ছেড়ে দিল। 
গোলাম মাওলার মোবাইল বেজে উঠল। রাফাতের কল, ‘হ্যাঁ রাফাত বলো! কী অবস্থা ওদিকের?’
‘স্যার! এখনো কিছু বলা যাচ্ছে না। ২ব্যাগ ব্লাড লাগবে।  এক ব্যাগ ম্যানেজ করে দিয়েছি। ঘন্টাখানেকের মধ্যেই আরো এক ব্যাগ লাগবে। পরিচিত যাদের ও পজেটিভ তারা সবাই দূরে। কেউই এক ঘন্টার মধ্যে এসে দিতে পারবে না।’
‘আমার ও পজেটিভ। আসছি আমি।’ বলে গোলাম মাওলা কল কেটে পেইন্টিংটা নিয়ে বেরিয়ে পড়ল। 
যাওয়ার আগে গার্ডকে সায়মার ফ্ল্যাট দেখে রাখতে বলল। 
গোলাম মাওলা হাসপাতালে পৌছে ব্লাড দিয়ে ডাক্তার সাথে কথা বলে জানতে পেরেছে, এখন আর ভয়ের তেমন কোনো কারণ নেই৷ ভয়ংকর কিছু হবে না। তারা একদম ঠিক সময়ে নিয়ে এসেছে৷ আরেকটু দেরী হলে ভয়ংকর কিছু ঘটে যেতে পারত৷
‘সায়মার মা-বাবাকে খবর দিয়েছো?’ ডাক্তারের চেম্বার থেকে বেরিয়ে গোলাম মাওলা রাফাতকে ডেকে জিজ্ঞাসা করল। 
‘না স্যার! এখনো দেইনি।’
‘ঠিক আছে খবর দিও না। শুধু শুধু উনাদের পেরেশানিতে ফেলা দরকার নেই৷’
‘ঠিক আছে স্যার!’
‘তুমি তো খাওয়া-দাওয়া করোনি! যাও খাওয়া-দাওয়া করে আসো। আর টায়ার্ড লাগলে চলে যেতে চাইলে চলে যেতে পারো। সকালে এসো আবার!’
‘না স্যার সমস্যা নেই। আমি থাকতে পারব।’
‘তাহলে যাও খেয়ে আসো!’
রাফাত চলে গেল। গোলাম মাওলা হাসপাতালের কোরিডোরের একটা চেয়ারে হেলান দিয়ে চোখ বন্ধ করে আরাম করে বসল। তার পকেটে ভাইব্রেট করে উঠল। নিজের মোবাইল বের করল৷ কিন্তু কোনো ফোন আসেনি। এখনো পকেটে ভাইব্রেট হচ্ছে। নিজের মোবাইলটা পাশে রেখে, পকেট থেকে সায়মার মোবাইল বের করল। সিম কম্পানির ফোন। গোলাম মাওলা বিরক্ত হয়ে কলটা কেটে দিল। লক স্ক্রিণ আসতেই সে লক খোলার চেষ্টা করতে লাগল, অনুমান করে তিন-বার দেয়ার পরই লক খুলে সোজা মেসেজ বক্সে চলে গেল। কাউকে মেসেজ টাইপ করা। গোলাম মাওলা নাম্বারের দিকে তাকাল, তার নাম্বারে মেসেজ লেখা।
‘স্যার! আজ আমার জন্মদিন। এই জন্যই দুপুরে ছুটি নিয়েছি৷ আপনি ফ্রি আছেন? আমার সাথে বসে রাতের ডিনার করবেন স্যার? প্লিজ স্যার না করবেন না৷ অনেক ধরেই ভাবছি, আপনার সাথে একদিন ডিনার করব। কিন্তু বলার সাহস হচ্ছিল না। তাই আজ আমার জন্মদিনে সাহস জুগিয়ে বলে ফেললাম। প্লিজ স্যার! না করবেন না!’
মেসেজটা পড়ে গোলাম মাওলা ভাবল, ‘প্রায় সময় তো অফিসের কাজে দেরী হয়ে গেলে এক সাথে ডিনার করি। এটার জন্য আবার সাহস না হওয়ার কী আছে!’ পর মুহুর্তেই সায়মার সাজুগুজু করে থাকার বিষয়টা মনে পড়ল, এছাড়া যেকোনো কেসে সায়মা তার সাথে লেগে থাকার, অধিক উৎসাহ নিয়ে তাকে এসিস্ট করার ব্যপারগুলো ক্লিয়ার হয়ে গেল,
‘মেয়েটা আমাকে নিয়ে এতো পরিকল্পনা করে রাখলে আবার বাজে কাজটা করতে গেল কেন?’ গোলাম মাওলা ভাবতে লাগল৷ তখন তার মনে হলো, ‘তাহলে এই সুইসাইডগুলোর পিছনে ভিক্টিমের কোনো হাত নেই। কেউ সুইসাইডগুলো করাচ্ছে৷ আবার যার কাছে এই এই পেইন্টিংটা যাচ্ছে৷ তাকেই সুইসাইড করাচ্ছে৷ একই ভাবেই। এর শেষ স্বীকার সায়মা। তাহলে এর পিছনে মোটিভ কী? কে আর কেনই বা এমন করাচ্ছে? এই পেইন্টিংয়ের পিছনেই বা কী রহস্য?’ গোলাম মাওলা গুছিয়ে ভাবতে পারছে না। সুইসাইড, পেইন্টিং, সায়মা সব কিছু মিলিয়ে চিন্তা-ভাবনা এলোমেলো হয়ে যাচ্ছে৷ তার বিশ্রাম দরকার।
গোলাম মাওলা সায়মার মোবাইলের মেসেজ অপশন থেকে বেরিয়ে গেল। মোবাইলটা চেক করার দরকার ছিল, যদি কোনো ক্লু পাওয়া যায়! কিন্তু এখন  ইচ্ছা করছে না৷ মোবাইল রেখে দিবে যখন ভাবছিল তখন তার আঙ্গুলের চাপে একটা অডিও চালু হয়ে যায়৷ শোনার ইচ্ছা না থাকলেও অডিওর কয়েক সেকেন্ড কানে যেতেই তার বিশ্রামের ইচ্ছা দূর হয়ে যায়, অডিওটা একটা কল রেকর্ড৷ সে নাম্বার এবং রেকর্ডের সময় দেখে, তাহলে সায়মা নিজ থেকে ল্যাবে যায়নি। তাকে ডেকে নেয়া হয়েছিল!
চলবে…..
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?