হোমো স্যাপিয়েন্স, রিটেলিং আওয়ার স্টরি। Book review ll bookpoint24

  • বইঃ হোমো স্যাপিয়েন্স, রিটেলিং আওয়ার স্টরি।
  • লেখকঃ ডাঃ রাফান আহমেদ।
  • বিষয়ঃ বিবর্তনবাদ, বিজ্ঞানের সংক্ষিপ্ত ইতিহাস।
  • প্রকাশনীঃ সমর্পণ প্রকাশন।
  • পৃষ্ঠাঃ ১৮৪,
  • (৪ কালারের হার্ডকভার)

আনুমানিক সাড়ে পাঁচশ মিলিয়ন বছরের কাছাকাছি সময়ে জীবজগতে এক অভুতপূর্ব ঘটনা ঘটে।

এই সময়কাল ক্যামব্রিয়ান পিরিয়ড নামে পরিচিত।এই কালের শুরুতে অল্প সময়ের মাঝে বিস্ময়কর পরিমাণ প্রাণের উদ্ভব হয়,যাদের পূর্ব ফসিলের নমুনা আগের শিলাস্তরে পাওয়া যায় না! ফসিলবিদ যে. গোল্ডের-এর ভাষায়, ‘প্রাণের ইতিহাসে সবচেয়ে উল্লেখযোগ্য ও হতবাক করে দেওয়ার মত ঘটনা হলো ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ।’ অল্প সময়ের মাঝেই মলাস্কা,আর্থ্রোপড,মেরুদন্ড সহ অধিকাংশ প্রাণি পর্ব ও বহুশ্রেণীর উৎপত্তি হয়! 

ডারউইন এই ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ সম্পর্কে জানতেন। তাই ফসিলের এহেন প্রমাণ তিনি বেশ বর রকমের সমস্যা মনে করেছিলেন।ডারউইন ধারণা অনুযায়ী হঠাৎ করে জটিল প্রাণ/অঙ্গ তৈরী হয়ে যাওয়ার কথা না,ক্রমান্বয়ে খাপ খাইয়ে নেওয়া ও বদলের মাধ্যমে ধারাবাহিকভাবে জটিল প্রাণ/অঙ্গ তৈরী হওয়ার কথা।ডারউন অরিজিন অফ স্পিসিস বইতে (৬ষ্ঠ অধ্যায়) মত দিয়েছিলেন : যে কোনো জটিল অঙ্গ ক্রমান্বয়ে ,ধাপে ধাপে অল্প বদলের দ্বারা তৈরী না হয়ে , হঠাৎ করে তৈরী হয়ে যাওয়ার প্রমাণ পাওইয়া গেলে তার বিবর্তন তত্ত্ব ভেঙে চুরমার হয়ে যাবে! মজার ব্যাপার হলো ফসিল আমাদের সেই প্রমাণই দিচ্ছে।

“[ক্যামব্রিয়ান বিস্ফোরণ] দেখে মনে হয়, [এত বিপুল পরিমাণ] প্রাণ কোনোরূপ ক্রমবিবর্তন ছাড়াই প্রস্ফুটিত হয়েছে।”   

                                                                                                                                          

-রিচার্ড ডকিন্স (বিবর্তনবাদী জীববিদ)

ক্যামব্রিয়ান যে একমাত্র ঘটনা তা কিন্তু নয়।হঠাৎ করে প্রাণবৈচিত্র্যের এমন আবির্ভাবের আরও ঘটনার প্রমাণ পেয়েছেন বিজ্ঞানীরা( যেমন,এভালন এক্সপ্লেশন,অর্ডোভিসিয়ান এক্সপ্লোশন,ওডোন্টোড এক্সপ্লোশন,ট্রায়াসিকহঠাৎ,এক্সপ্লোশন ইত্যাদি)।তাই ফসিলবিদ বইয়ের মতে,ফসিল প্রমাণের মাঝে ধারাবাহিক ক্রমবদলের নজির পাওয়া যায় না!

-হোমো স্যাপিয়েন্স :RETELLING OUR STORY (পৃষ্ঠাঃ ১০১-১০২)

-ডা. রাফান আহমেদ

ডা রাফান এই বইটিতে মহাবিশ্বের উৎপত্তি,প্রাণের উৎপত্তি,প্রজাতির বিবর্তন নিয়ে মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যবিক পাঠ্যপুস্তক এবং প্রচলিত বিজ্ঞান বইগুলোতে যত তথ্যগত কারচুঁপি করা আছে এবং কিভাবে নাস্তিকতার প্রচারে বিজ্ঞানকে হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করা হয়, তিনি সেগুলোকে প্রমাণ ও যুক্তির নিরিখে যাচাই বাছাই করেছেন।এবং বইতে তিনি প্রচুর রেফারেন্স এনেছেন।রেফারেন্স গুলো অ্যাকাডেমিক বইপত্র,পিয়ার রিভিউড গবেষণাপত্র,বিবর্তনবাদ ও বস্তুবাদী দের বাণী।তাই বিজ্ঞানপ্রেমীদের বইটি পড়া দরকার।

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?