- সাইবার হ্যাকিং এবং ইন্টিলিজেন্স
- লেখক : আরিফ মঈনুদ্দিন
- প্রকাশনী : অদম্য প্রকাশ
- বিষয় : কম্পিউটার প্রোগ্রামিং
- কম্পিউটার হ্যাকিং
- পৃষ্ঠা : 198,
একবিংশ শতাব্দীর সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হচ্ছে সাইবার আক্রমণ প্রতিরোধ। প্রতিদিন কোন না কোন প্রতিষ্ঠান সাইবার এট্যাকের সম্মুখীন হচ্ছে। ইন্টারনেট এর সহজলভ্যতা যেমন আমাদের দৈনন্দিন জীবন ব্যবস্থা কে সহজ করে দিয়েছে, তেমনি অনেকের জন্য তা হয়ে উঠেছে অভিশপ্ত।
আমরা আমাদের ব্যক্তিগত তথ্য বিভিন্ন প্ল্যাটফর্ম এ দিয়ে রেখেছি যা এক প্রকার ঝুঁকিপূর্ণ। এই ঝুঁকি থেকে মুক্তি পেতে হলে কম্পিউটার এর নিরাপত্তা সম্পর্কে সবাই কে জানতে হবে। এই বইটি তে একজন হ্যাকার এর মেধা, কৌশল ও পদ্ধতি সম্পর্কে তুলে ধরা হয়েছে।
বই থেকে আপনি জানতে পারবেন কোথায় থেকে টার্গেট ব্যক্তির তথ্য হ্যাকাররা সহজে খুঁজে পায়, সাইবার প্রতারণার বিভিন্ন ধরন, সাইবার প্রতারণার শিকার হলে কি করবেন এবং কোথায় গেলে সমাধান পাবেন।
বিগ জায়েন্ট কোম্পানির তথ্য কিভাবে হ্যাক হয়েছিল। ম্যালওয়্যার কিভাবে কম্পিউটারে ছড়ায় এবং হ্যাকিং এর বিভিন্ন কৌশল। বইটি তে কঠিন বিষয় গুলো এমন ভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে যা আপনার বুঝতে সুবিধা হবে, নিজেকে এবং নিজের প্রতিষ্ঠান কে সাইবার হ্যাকিং থেকে মুক্ত রাখতে সচেষ্ট হতে পারবেন।
সাইবার জগৎ সম্পর্কে ধারণা
সাইবার ক্রাইম বা অপরাধ কী?
সাইবার ক্রাইম কথাটা ইন্টারনেট, কম্পিউটার এবং কম্পিউটার নেটওয়ার্কের সাথে সম্পর্কিত, ইন্টারনেট ব্যবহার করে যেসব অপরাধ সংঘটিত হয় তাই সাইবার ক্রাইম বা সাইবার অপরাধ নামে পরিচিত। সাইবার ক্রাইমের ক্ষেত্রে ডিজিটাল ডিভাইস হলো অপরাধ সংঘটনের মাধ্যম অথবা অপরাধ সংঘটনের টার্গেট।
সাইবার ক্রাইমের শ্রেণিবিভাগ
- ব্যক্তির বিরুদ্ধে অপরাধ
- সম্পদের বিরুদ্ধে অপরাধ
- রাষ্ট্র বা দেশের বিরুদ্ধে অপরাধ
- সামাজের বিরুদ্ধে অপরাধ
সাইবার সিকিউরিটি
সাইবার সিকিউরিটি হচ্ছে যেকোনো ধরনের সাইবার অ্যাটাক থেকে কম্পিউটার, নেটওয়ার্ক, ডিভাইস এবং প্রোগ্রাম সুরক্ষিত রাখার প্রক্রিয়া। হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার অ্যাটাক থেকে বাঁচার জন্য যেসব ব্যবস্থা গ্রহণ করা হয় তা হচ্ছে সাইবার সিকিউরিটি বা সাইবার নিরাপত্তা।