অদ্ভুতুড়ে সিরিজের বই পড়েছে অথচ ভালো লাগেনি, এমন মানুষ আসলে আমি পাইনি। শীর্ষেন্দু বাবু মূলত কিশোরদের উপযোগী লেখলেও আসলে সব বয়সীদের জন্য সমান উপভোগ্য। মজার মজার কান্ড-কারখানার সাথে রসাত্ববোধক কথোপকথন। একদম হাসতে হাসতে পেটে খিল ধরে যায়। বরাবরই আমি উপভোগ করি সিরিজের প্রত্যেকটা বই। নির্মল এক আনন্দ মিলে পড়ার সময়।
🔳 ফটিক ঘোষ তার বন্ধু নিতাইকে নিয়ে চললো তার পিসির বাড়ি। পিসির বাড়ি তো দূরের কথা পিসিকে সে কম্মিককালেও দেখেনি। শুধু শুনে এসেছে নাম-পরিচয়। পিসির বাড়িতে যাওয়ার পাসপোর্ট বলতে পিসির হাতে লেখা চিঠি, চিঠিখানা সঙ্গে না নিলেই নই। পিসি পই পই করে লিখে দিয়েছেন চিঠিতে।
ভীন গাঁয়ের অজানা পথে, বিস্তর টাকা পয়সা খরচ করে, ভূতুড়ে মস্ত বাঁশবন ডিঙ্গিয়ে, নরবলির হাত গলে, ডাইনী বুড়ির খপ্পরে না পরে, কুমির ভরা নদী বাদরের মতো ঝুলে যখন পৌছালো পিসির বাড়িতে, তখন…
তখন জানতে পারলো ফটিক ঘোষ নাকি আগেই পৌছে গেছে!
তা-ও এক/দু জন নয়, ও নিজে হচ্ছে ষোলো নম্বর ফটিক ঘোষ!! এর আগে ফটিক বলে পরিচয় নিয়ে এসেছে পনেরো জন।
এখন কি করা। পথিমধ্যে যে হারিয়ে ফেলেছে পিসিমার সতর্কবাণী দেয়া চিঠিখানা। এখন কি করে প্রমাণ করবে, ও-যে আসল ফটিক ঘোষ। শেষে কি এতো বাধাবিপত্তি পেরোনো কষ্টটুকু বিফলে যাবে?
🔳ষোলো নম্বর ফটিক ঘোষ
🔳শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায়
🔳অদ্ভুতুড়ে সিরিজ
🔳পেজ – ৭৮
🔳আনন্দ পাবলিশার্স