ইউকিও মিশিমা জাপানে যিনি খুবই জনপ্রিয় একজন গল্পকার। আর বাইরের জগতে তিনি পরিচিত তার উপন্যাসের জন্য। মিশিমা তার উন্মেষ-লগ্নে যখন গল্প লিখতেন পড়তে দিতেন তার গুরু আরেকজন জাপানি সাহিত্যিক ইয়াসুনারি কাওয়াবাতার কাছে। যিনি সাহিত্যে নোবেল পেয়েছিলেন ১৯৬৮ সালে প্রথম জাপানি সাহিত্যিক হিসেবে। কাওয়াবাতা তার অনেক লেখাই দেখে দিয়েছেন।
মিশিমা জাপানের পুরাতন ঐতিহ্যে বিশ্বাস করতেন। তিনি মনে করতেন জাপানের উচিত আবার তার পুরাতন ঐতিহ্যে ফিরে যাওয়া। আত্মহত্যার পূর্বাপর আর বিপ্রতীপ গল্প দুটোতে ফুটে উঠেছে চিরকালীন জাপানের ঐতিহ্য।
বইতে মোট গল্প আছে নয়টা আর একটা নাটক।
বিপ্রতীপ যে গল্পটা সেটার ইংরেজি নাম The priest of Siga temple and his love, আর আত্মহত্যার পূর্বাপর যেটার ইংরেজি নাম Patriotism. এই দুইটা গল্প ছুঁয়ে গেছে জাপানি জীবন। একটা গল্পের মূল জাপানের ঐতিহ্যবাহী ‘হারাকিরি’ আত্মহত্যা। এর বর্ণনা এতই জীবন্ত যে, ভয়ে কেঁপে ওঠার মতো। আর আরেকটাতে দেখি এক বৃদ্ধ পুরোহিত জীবনের একেবারে শেষে এসে প্রেমে পড়ে যান এক অসাধারণ সুন্দরী রমণীর, তার সমস্ত সাধনাকে বিসর্জন দিয়ে। রমণী তখন জানলা দিয়ে বৃদ্ধের দিকে তাকিয়ে ভাবেন, বহু মানুষ তিনি দেখেছেন যারা দুনিয়াকে ত্যাগ করেছে কিন্তু পরকালকে ত্যাগ করতে তিনি এই প্রথম দেখলেন। -Mahmoud Milu
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?