“কাব্য জীবন নয়।
জীবন থেকে কাব্য জন্মায়,
কাব্য থেকে জীবন নয়।”
মহেন্দ্র মুখুয্যে পরিবারের ছেলে।গ্রামের স্কুল থেকে ম্যাট্রিক পাস করেছে মহেন্দ্র। পরিবারের মধ্যে দাদা ছিলো একমাত্র আয়ের উৎস। মহেন্দ্রের দাদা হঠাৎ এক রোগে আক্রান্ত হয়,অসুখে তার চোখ দুটো নষ্ট হয়ে যায়। যার কারণে তাদের পরিবারটিকে পড়তে নানা প্রতিকূলতায়। মহেন্দ্রের পড়ালেখা বন্ধ হয়ে যায়।নিরুপায় হয়ে সে কলকাতায় গিয়ে কাজ খুঁজতে থাকে। কাজের খোঁজে অবশেষে মহেন্দ্রের বাবার বন্ধু উমেশবাবুর বাড়িতে আশ্রয় নেয়।সেখানেই সাক্ষাৎ হয় মাধুরী নামের এক নারীর।এরপর গল্পটি নেয় নতুন মোড়।
গল্পের প্লট একদমই সাধারন। কিন্তু ফাল্গুনী মুখোপাধ্যায় অনেক চমৎকার করে চরিত্রগুলো উপস্থাপন করেছে। লেখকের শব্দচয়ন,লেখার ধরন আমার ব্যাক্তিগতভাবে অনেক ভালো লেগেছে। গল্পের একটা ধারাবাহিকতা বজায় ছিলো। কিন্তু শেষের দিকে একটু অপ্রয়োজনীয়ভাবে গল্প টেনেছে বলে আমার ব্যাক্তিগতভাবে মনে হয়েছে।অনেক সুন্দর করে অনুভূতিগুলো উপস্থাপন করা হয়েছে। যা অনেক উপন্যাসে অনুপস্থিত। ‘শাপমোচন’ উপন্যাসের এই দিকটি আমার অনেক ভালো লেগেছে।দুটো চরিত্রের মধ্যে মাধুরী চরিত্র বেশ ভালো লেগেছে।মাধুরী বেশ বুদ্ধিমান ও স্পষ্টভাষী নারী।
“মানুষ বড় অসহায় মাধুরী,
যার জীবনে মধু থেকে জল বেশি,
তার বিষ মধুকেই শুধু নষ্ট করে না
মৌচাককেও শত ছিদ্র করে দেয়।”
Review Credit : Lamia Reza
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?