রুকইয়ায়ে সালাফ pdf for pre order লেখক : ছানা উল্লাহ সিরাজী | Rukyaye Salaf by Sanaullah Shiraji

রুকইয়ায়ে সালাফ
লেখক : ছানা উল্লাহ সিরাজী
প্রকাশনী : বইপল্লি
বিষয় : ইসলামী চিকিৎসা
পৃষ্ঠা : 192, কভার : হার্ড কভার, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849392552, ভাষা : আরবী, বাংলা


মুসলমানদের বিরুদ্ধে অগণিত শয়তান কাজ করে। প্রত্যেক শয়তানের কাজ এবং দায়িত্ব পৃথক পৃথক। তার মুকাবেলায় আল্লাহ তাআলা মুসলমানদের নিরাপত্তার জন্য তাঁর ফেরেশতাগণের মাধ্যমে রহমানি বলয় প্রতিষ্ঠা করে রেখেছেন। কিন্তু এই রহমানি নিরাপত্তা নেহায়তই স্পর্শকাতর বিষয়। তার স্পর্শকাতরতার অনুমান নামাজি ব্যক্তির সামনে দিয়ে অতিক্রম না করার হুকুম থেকে করা যেতে পারে। নামাজি নামাজ পড়ছেন। তার সামনে দিয়ে যদি কেউ চলে যায়, তাহলে নামাজের কী ক্ষতি হবে? নামাজি তো আগের মতোই নামাজ পড়ছে। অথচ হাদিসে নামাজির সামনে দিয়ে যাওয়ার ব্যাপারে কত কঠোর নিষেধাজ্ঞা এসেছে।

এই রুহানি নিরাপত্তা পাক-পবিত্রতা, সত্য-সততা, এখলাস-একনিষ্টতা এবং আল্লাহর সাথে সম্পর্কের ওপর প্রতিষ্ঠিত। যখনই এই সম্পর্ক দুর্বল হয়ে পড়বে, তখন মুসলমানের রহমানি প্রতিরক্ষাব্যবস্থাও দুর্বল হয়ে পড়বে। ইসলামের দুশমনরা আমাদের এই রহমানি নিরাপত্তাকে গভীরতার সাথে পর্যবেক্ষণ করেছে। তারা জানে মুসলমানদেরকে আল্লাহর রহমত থেকে দূরে সরানোর জন্য কোন কোন বিষয় থেকে বিরত রাখতে হবে এবং কোন কোন বিষয়ে লিপ্ত রাখতে হবে। আল্লাহর এই দুশমনরা রুহানি নিরাপত্তায় এমন ধ্বংসযজ্ঞ চালিয়েছে যে, রহমতের জায়গাগুলোও তাদের শয়তানি হস্তক্ষেপ থেকে নিরাপদ নয়। সাধারণ ব্যবহারিক জিনিসগুলোও নষ্ট করে মুসলমানের সামনে উপস্থিত করছে।

নতুন শিক্ষা, সাইন্স, টেকনোলজি এবং সভ্যতার মধ্যেও তাদের বিষাক্ত ছোবল স্পষ্ট পরীলক্ষিত হচ্ছে।রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদেরকে রহমানি বলয়ের সাথে সম্পৃক্ত সবগুলো বিষয়ে আগাম সতর্ক করেছেন। কোন আমল করে, কোন কথা থেকে নিজেদের বাঁচিয়ে আমরা শয়তান, জিন এবং জাদু থেকে নিজেদের প্রতিরক্ষা করতে পারি। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেন- لَا تَدْخُلُ الْمَلَائِكَةُ بَيْتًا فِيْهِ كَلْبٌ وَلَا صُوْرَةٌ.
অর্থ : ওই ঘরে রহমতের ফেরেশতা প্রবেশ করে না, যার মধ্যে কুকুর অথবা কোনো প্রাণীর ছবি আছে।মুসতাদরাকে হাকিমের বর্ণনায় জুনুবী (নাপাক ব্যক্তি) লোকের কথাও উল্লেখ আছে। আর আবু দাউদ শরিফের বর্ণনায় ঘন্টির কথাও উল্লেখ আছে। হাদিসে বর্ণিত এই রহমানি নিরাপত্তা বলয় দেখুন এবং বর্তমান মুসলমানদের ঘরের অবস্থা দেখুন। ছবি দিয়ে তো আগেই ঘর ভর্তি ছিলো, আর এখন কুকুর এবং শুকরের কার্টুন ঘরগুলো এমনভাবে দখল করেছে যে, শিশুরা তো কোলে নিয়েই ঘুরে বেড়ায়। হিন্দুদের মতো ঘরের দরজায় ঘন্টি ঝুলিয়ে দেয়া হয়েছে। এটা সেই ঘন্টি, যেটি ছাদ থেকে ঝুলিয়ে দেয়া হয় এবং হাতে বাজানো হয়, কলিং বেল নয়। যাতে কোনো ফেরেশতা যদি দরজায় এসেও যায়, তাহলে সে দূর থেকেই পালায়।

সুতরাং আমাদের প্রিয় নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আমাদের শিক্ষা দিয়েছেন আমরা নিজেদের, শিশুদের এবং আমাদের ঘরকে কীভাবে জাদু, জিন এবং শয়তান থেকে রক্ষা করব। যে কোনো কাজ শুরু করার সময়, ঘরে প্রবেশের সময়, সকাল-সন্ধ্যায় অথবা সফরে বের হওয়ার সময় মাসনুন দুআসমূহ শিখিয়েছেন, যাতে রহমানি প্রতিরক্ষা বলয় শক্তিশালী থাকে। রাতে ঘুমানোর দুআ, বাথরুমে প্রবেশের দুআ, বাজারে প্রবেশের দুআ সবগুলোই হাদিসের কিতাবসমূহে মজুদ রয়েছে। আপনি হাদিসে বর্ণিত দুআগুলোতেই ফিকির করুন, তাহলে আপনিই জানতে পারবেন শয়তান কোন কোন জায়গায় থাকে এবং তাদের থেকে কীভাবে আল্লাহর কাছে আশ্রয় চাইতে হয়।

সকল প্রশংসা আল্লাহ তাআলার। যিনি পবিত্র কুরআনকে আমাদের সকল সমস্যার সমাধান হিসেবে মনােনীত করেছেন। অসংখ্য দরুদ ও সালাম বর্ষিত হােক পবিত্র ও উত্তম আদর্শের ধারক; মুহাম্মাদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ওপর। যিনি আমাদের জন্য কুরআনের প্রতিটি বিধানের বাস্তবিক প্রয়ােগ দেখিয়েছেন। পরকথা হলাে, নবুয়াতি ধারা বিলুপ্ত হয়েছে প্রায় সাড়ে চৌদ্দশত বছর পূর্বে। এ দীর্ঘ সময়ে নবুয়াতি রীতি-নীতি হতে দূরে সরে গেছে মুসলিম সমাজ। মুসলমানদের মধ্যে আজ পশ্চিমা আদর্শ অনুসরণের প্রতিযাোগীতা। সামান্য থেকে সামান্য সমস্যাতেই দুনিয়ার কৃত্রিম সরঞ্জামের দিকে দৌড়াচ্ছে।

এ জাতি যেন ভুলেই গেছে সকল সমস্যার সমাধান আল্লাহ তাআলার হাতে। ভুলে গেছে নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামও মানুষ নানা সমস্যার সম্মুখীন হতেন এবং সেগুলাের সমাধান আল্লাহর কাছ থেকে চেয়ে নিতেন। তিনি সেগুলাে উম্মতকে শিক্ষাও দিয়ে গেছেন। আমাদের উচিত ছিল নিজেদের সমস্যার সমাধান নবিজির বাতলানাে পদ্ধতির ভিত্তিতে । তিনিও করা। আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- ونزل من القزان ما و شقاء و رم يلؤمنين، ولا يزيد القالمين إلا خسارا. অর্থ : আর আমি কুরআন নাজিল করি; যা মুমিনদের জন্য শিফা ও রহমত, কিন্তু তা জালেমদের ক্ষতিই বাড়িয়ে দেয়।

এই আয়াতের ভাবার্থের প্রতি লক্ষ্য করলে বুঝা যায়, বিশ্বাসীদের জন্য এই কুরআন দৈহিক ও আত্মিক রােগের চিকিৎসা এবং রহমত। আল্লামা আনওয়ার শাহ কাশ্মিরী রহ. বলেন, যদি পূর্ণ বিশ্বাসের সাথে সঠিক পন্থায় ব্যবহার করা হয়, তাহলে পবিত্র কুরআনের একটি হরফই সকল সমস্যা সমাধানের জন্য যথেষ্ট। হযরত আবু সায়িদ রাযি, হতে বর্ণিত। জিবরাইল আলাইহিস সালাম রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের কাছে এসে বললেন, হে মুহাম্মাদ! আপনি কি অসুস্থ? তিনি বললেন হ্যা। তখন জিবরাইল আলাইহিস সালাম এই দুআ পড়ে তাঁকে ঝেড়ে দেন- ১. সুরা আল ইসরা।

হযরত আব্দুল্লাহ ইবনু আমর রাযি, তাঁর প্রাপ্তবয়স্ক সন্তানকে দুআটি শিক্ষা দেন এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক সন্তানের জন্য দুআটি লিখে গলায় ঝুলিয়ে দেন। عن عوف بن مالك، قال گنا نزقي في الجاهلية فلنا يا رسول ال له گيف ترى في ذلك؟ فقال : آغرضوا على قاكم لا بأس بالرق ما لم تكُن شتگًا۔ অর্থ : আউফ ইবনু মালেক রাযি, হতে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমরা ইসলামপূর্ব যুগে ঝাড়-ফুক করতাম। সুতরাং আমরা বললাম; হে আল্লাহর রাসুল! এ ব্যাপারে আপনার কী অভিমত? তখন তিনি বললেন, তােমাদের ঝাড়-ফুঁকের কিছু নমুনা আমার সামনে উপস্থিত কর। আর যতক্ষণ না কোনাে শিরকের মিশ্রণ ঘটবে, ততক্ষণ ঝাড়-ফুকে কোনাে সমস্যা নেই। একদা নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম আয়েশা রাযি.- এসে দেখেন, তিনি এক নারীকে কিছু একটা পড়ে ফুঁক দিচ্ছেন। তখন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কুরআন দ্বারা তার চিকিৎসা এর ঘরে কর। এমন অসংখ্য বর্ণনা বিশুদ্ধ হাদিসসমূহে বর্ণিত হয়েছে।

সুতরাং কুরআন ও হাদিসের উপ্যুক্ত বর্ণনাসমূহ দ্বারা এ কথা স্পষ্ট প্রমাণিত হয় যে, আরােগ্য কিংবা বিপদমুক্তির উদ্দেশ্যে ঝাড়-ফুক এবং তাবিজ ব্যবহার করা শরিয়তসম্মত একটি ব্যবস্থা। যা অস্বীকার করার কোনাে সুযােগ নেই। তবে এ ক্ষেত্রে কিছু শর্ত এবং সীমারেখা অবশ্যই রয়েছে। কেননা আল্লাহ তাআলা পবিত্র কুরআনে ইরশাদ করেন- من أضل من يدعو من دون ال له من لا يتجيب له إلى يوم القيامة وهم عن دعائهم غافون. অর্থ : তার চাইতে বেশি বিভ্রান্ত আর কে হতে পারে, যে আল্লাহকে বাদ দিয়ে এমন কাউকে ডাকে, যাকে কিয়ামত পর্যন্ত ডাকলেও তার ডাকে সাড়া দিতে পারবে না? কারণ তারা তাদের অনুসারীদের আহ্বান সম্পর্কে সম্পূর্ণ বে-খবর।

কেননা, আল্লামা ইবনু হাজার আসকালানি রহ. বুখারী শরিফের ব্যাখ্যাগ্রন্থ; ফাতনহুল বারিতে লেখেন- তামায়েম শব্দটি তামিমা শব্দের বহুবচন। যা পুঁতি বা মালা সাদৃশ্য। মাথায় লটকানাে হয়। জাহেলি যুগে বিশ্বাস করা হতাে এর দ্বারা বিপদমুক্ত হওয়া যায়। নারীরা এসব ব্যবহার করত স্বামীর ভালােবাসা অর্জন করতে। এটি মূলত জাদুরই একটি প্রকার। এটি শিরকের অন্তর্ভুক্ত। কেননা এর দ্বারা আল্লাহ ছাড়া অন্যের থেকে বিপদমুক্ত হওয়া ও উপকার অর্জন করা উদ্দেশ্য হয়ে থাকে। কিন্তু যেসব তাবিজে আল্লাহর নাম বা কালাম থাকে তা শিরকের অন্তর্ভুক্ত হবে না। মােল্লা আলি কারি রহ. বলেন, যদি তাবিজের মতাে কাগজ লিখা হয়।

(রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের বাণী এটি শয়তানী কর্ম-এর দ্বারা উদ্দেশ্য হলাে জাহেলি যুগে যার দ্বারা চিকিৎসা করা হতাে ও যার ওপর নির্ভর করা হতাে) আর যা কুরআনের আয়াত, আল্লাহর নাম, আল্লাহর সিফাত, ও দুআয়ে মাছুরা সম্বলিত হয়, তাতে কোনাে সমস্যা নেই। বরং এটি মুস্তাহাব। চাই সেটি তাবিজ হােক, বা ঝাড়-ফুক হােক বা কাগজে লিখা হােক। আর যেসব ইবরানি ও অন্যান্য ভাষায় লিখা হয়, তা নিষিদ্ধ। কারণ তাতে শিরকের সম্ভাবনা আছে। আল্লামা ইবনু আবেদিন শামি রহ. বর্ণনা করেন, নিশ্চয়ই নিষিদ্ধ তাবিজ হলাে যা আরবি ছাড়া অন্য ভাষায় লিখা হয়, বুঝা যায় না তাতে কী আছে? অথবা যাতে জাদু, কুফরি ইত্যাদি কথা থাকে। আর যেসব তাবিজ কুরআন বা দুআ সম্বলিত হয়, তা ব্যবহারে কোনাে সমস্যা নেই।

শাইখুল ইসলাম ইবনু তাইমিয়া রহ. বলেন- يجوز أن يكتب لمصائب و غيره من المرض شيئا من كتاب ال له باليدادِ الباج ويغسل ويقِی. অর্থ : বিপদগ্রস্ত বা অসুস্থ লােকদের জন্য কালি দ্বারা আল্লাহর কিতাব, আল্লাহর জিকির লিখে দেয়া এবং ধুয়ে পান করা জায়েয। তারপর এ আলােচনার শেষদিকে তিনি তাবিজ বৈধ হওয়ার পক্ষে হযরত ইবনু আব্বাস রাযি.-এর একটি বাণী পেশ করেন। ইবনু আব্বাস রাযি, ১.ফাতহুল বারি : ২৯০-২৯১/১০, ঝার-ফুঁক অধ্যায়। ২. মিরকাতুল মাফাতিহ : ৮/৩৭৩, বর্ণনা নং-৪৫৫৩। ৩. ফাতওয়ায়ে শামি : ৩৬৩/৬। রুকইয়ায়ে সালাফ

ব্যবমা, চাকরি ও অভাব-অনটনের মমাধান ব্যবসায় বরকতের তদবির ১. এই আয়াতগুলাে লিখে ব্যবসার পণ্যের মধ্যে রেখে দিলে, তা বরকতের কারণ হবে। إن ال له اشتری من الؤمنين أنفسهم و أموالهم بان لهم الجنة يقاتلون في سبيل ال له فيفنلون و يفتلون وغدا عليه حقا في التورية و الإنجيل و الفزاأن و من أوفي بعهده من ال له قاستبيوا بيعكم الذي بایعتم به و ذلك و لقوز العظيم. ২. বৃহস্পতিবার দিনের বেলা ওজুর সাথে এই আয়াত লিখে ঘর অথবা দোকানের দরজায় টানানাের দ্বারা অনেক বরকত হয়। فل إن الفَضْلَ بيد ال له ؤتبيه من اء ال له واسع عليم. يختص برمته من شاء ال له ذو الفضل العظيم ৩. যদি আয়াতুল কুরসি লিখে ব্যবসার পণ্যের মধ্যে রেখে দেয় এবং পাঠ করে, তাহলে শয়তানের প্ররােচনা ও যাবতীয় অনিষ্ট থেকে রক্ষা পাবে। দরিদ্র থাকলে ধনাঢ্য হবে এবং কল্পনাধিক রিজিক লাভ করবে।

আর যে ব্যক্তি সকাল-সন্ধ্যা, ঘরে প্রবেশকালে এবং বিছানায় শয়নকালে পাঠ করবে, তার সম্পদ চুরি হবে না, আগুনে জ্বলবে না, পানিতে নিমজ্জিত হবে না এবং সে সদা সুস্থ থাকবে। ৪. জুমার নামাজ শেষ করে এই আয়াত লিখে ঘর বা দোকানে রাখার দ্বারা অনেক বরকত হয় এবং রিজিক বৃদ্ধি পায়। ولقد مگنكم في الأرض جعلنا لكم فيها معا قليلا ما تشكرون. ৫. এই আয়াত আপেলের টুকরায় লিখে পণ্যের গােডাউনে রাখলে ইনশাআল্লাহ অনেক বরকত হবে।

প্রত্যেক নামাজের পর নিম্নের আয়াত তিলাওয়াত করা রিজিক বৃদ্ধির জন্য খুবই উপকারী। لقد جاءكم رسول من أنفسكم عزير عليه ما عنم حري عليكم بالؤمين رهوف رحيم. فإن تلوا قل حسيال له لا إلة إلا هو عليه تولت وهورب العزش العظيم ১৩. ফজর নামাজের পর শুরুতে এবং শেষে চৌদ্দ বার দরূদ শরিফ পাঠ করে চৌদ্দশতবার পড়বে। ইনশাআল্লাহ কখনা রিজিকের সংকট থাকবে না। বুজুর্গগণ বলেন, তার আগামী প্রজন্মও রিজিক দ্বারা ভরপুর থাকবে। ১৪. হযরত যুবায়ের ইবনু মুতয়িম রাযি, বলেন, রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম তাকে বলেছেন, তুমি কি চাও, যখন তুমি ভ্রমণে যাবে, সেখানে তােমার সাথীদের মধ্যে সবচেয়ে হাসি-খুশি থাকতে? উদ্দেশ্যে সফল হতে? অর্থাৎ ভ্রমণ কল্যাণময় করতে এবং তােমার সামানপত্র পর্যাপ্ত করতে? তিনি বলেন, হে আল্লাহর রাসুল! আমার মাতা-পিতা আপনার জন্য কুরবান হােক, অবশ্যই আমি এমনটি চাই। রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বললেন, কুরআন শরিফের শেষ পাঁচটি সুরা; সুরায়ে কাফিরুন, সুরায়ে নাস্র, সুরায়ে ইখলাছ, সুরায়ে ফালাক এবং সুরায়ে নাস তিলাওয়াত করবে।

প্রত্যেক সুরা বিসমিল্লাহ পড়ে শুরু করবে এবং বিসমিল্লাহ বলে শেষ করবে। যুবায়ের রাযি, বলেন, প্রথমে আমার অবস্থা এমন ছিল যে, ভ্রমণে অন্যান্য সাথীদের তুলনায় অপর্যাপ্ত সরঞ্জাম এবং নিরানন্দ থাকত। যখন থেকে রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের এই শিক্ষার ওপর আমল করেছি, তখন থেকে আমার অবস্থা সবচেয়ে ভালাে হয়ে গেল। ভ্ৰমণে যাওয়ার সময় ছয়বার বিসমিল্লাহ এবং উল্লেখিত পাঁচটি সুরা তিলাওয়াত করে ঘর থেকে বের হবে। ১৫. যে ব্যক্তি প্রতিদিন মাগরিবের নামাজের পর একবার সুরা ওয়াকিয়া তিলাওয়াত করবে, তার অভাব-অনটন দূর হয়ে যাবে। ১. গাঞ্জিনায়ে আসরার : ২৩, সুরা তাওবা : ১২৮-১২৯। ২. গাঞ্জিনায়ে আসরার : ২৩। ৩. আবু ইয়ালার সূত্রে তাফসিরে মাজহারি। ৪. মাআরিফুল কুরআন : ২৩৮/৮। ৫. আমালে কুরআনি। রুকইয়ায়ে সালাফ

short PDF for Pre order

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?