- বইঃ- শেষটা সুন্দর ছিল
- লেখকঃ- তানভীর আহমেদ
- বইয়ের ধরনঃ- এক পতিতার জীবন কাহিনী
- বইয়ের প্রচ্ছদ মূল্যঃ- ২৩০ টাকা
- রিভিউ দাতার নাম : শ্রাবন্তী পাল
এটি একটি বেস্ট সেলার বই। একজন পতিতার জীবনে সত্য কাহিনী অবলম্বনে লেখা। পতিতার জীবনে ঘটে যাওয়া কাহিনি তুলে ধরা হয়েছে বইটিতে।
সারসংক্ষেপ : গল্পের নায়িকার নাম ” সাথী ” যদিও এটা তার নিজের দেওয়া নাম। নায়িকার আসল নাম হল ” লক্ষ্মী “। গল্পের নায়ক এর নাম হলো ” নিলয় “, আর ভিলেন হলো ” তপন কুমার “।
সাথী ছোটবেলা থেকেই বড়লোক হওয়ার স্বপ্ন দেখতো। কিন্তু এই স্বপ্নটা পূরণ করা তার পক্ষে সহজ ছিল না। সাথে নিয়মিত স্কুলে যেত, আর রাস্তার পাশে তপন কুমার দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে তাকে দেখতো। অবশেষে একদিন তপন কুমার তার মনের কথা সাথীকে বলল, যে সাথী আমি তোমাকে ভালোবাসি। অবশ্য এ কথায় সাথী প্রথমে রাজি হয়নি কিন্তু পরে তপন কুমার এর সব কথা শুনে সাথী রাজি হয়ে যাই। তপন কুমার সাথীকে মিথ্যা আশ্বাস দিয়ে কয়েক মাসের মধ্যেই সাথীকে নিয়ে পালিয়ে ঢাকা চলে যায়। তপন কুমার সাথী কে বলেছিল, ঢাকা শহরে তার বাড়ি, গাড়ি সব আছে। আর সাথীকে ঢাকা নিয়ে আসার পরে তপন কুমার একটা রাজ প্রাসাদের মতো বাড়িতে সাথীকে নিয়ে আসে। কিন্তু এটা তার নিজের বাড়ি ছিল না। সাথীর তপন কুমারের মিথ্যা জালে ফেঁসে যাই। অবশেষে সাথী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়। দিনের পর দিন রাতের পর রাত এমন নির্যাতন তাকে সহ্য করতে হতো। যদিও প্রথমে সে এগুলো কিছুই বুঝতে পারতো না যে, এমন তার সাথে কে করছে। আর এগুলো বুঝতে না পারার একমাত্র কারণ হল তপন কুমার সাথীকে রাতের পর রাত কিছু ঔষধ খাওয়াতো। হঠাৎ একদিন সাথী মনে মনে ভাবলো যে, আজ তখন কুমারের দেওয়া ঔষধ সে খাবেনা। আর দেখবে আজ রাতে তার সাথে কি কি হয়?! অবশেষে সাথী সব বুঝতে পারল। তারপরের দিনই সে ওই বাড়ি থেকে পালিয়ে গেল। ঢাকা শহরে সাথী কিছুই চিনতো না জানতো না। রাস্তায় হাঁটতে হাঁটতে তার একজনের সাথে দেখা হয়, সেই লোকটাকে বিশ্বাস করে সাথী সেই লোকটার বাসায় যাই। লোকটার উপরে বিশ্বাস করে তার সাথে ( সাথী ) ঘটে যাওয়া সব কিছু বলে দেয়। কিন্তু পরে দেখা গেল, সেই লোকটাও তার বিশ্বাস ভেঙে দিল। সাথে আবার যৌন নির্যাতনের শিকার হলো। সমাজের এসব পরিহাসে সাথীকে পতিতার জীবন বেছে নিতে হলো। আর এভাবেই তার জীবন চলতে লাগলো।
ভাগ্যের পরিহাসে সাথীর সাথে দেখা হল গল্পের নায়ক ” নিলয় ” – এর সাথে। আর তারপরেই সাথীর জীবন পাল্টে গেল। সাথী নিলয় কে সব কিছু খুলে বলল। নিলয় ও সবকিছু বুঝতে পারল এবং সাথীকে বলল আমি সবকিছু জেনেই তোমাকে বিয়ে করতে চাই। কিন্তু শর্ত হলো – তোমাকে এই পতিতার জীবন ছেড়ে দিতে হবে এবং একজন আদর্শ মুসলিম নারী হতে হবে। সাথী ও নিলয়ের এই শর্তে রাজী হয়ে গেল। তারপরে নিলয় সাথী কে বিয়ে করল এবং বিয়ের পরে নিলয় সাথীকে তার বাসায় নিতে পারেনি। অবশেষে নিলয় ৮ – ৯ মাস পরে সাথীকে তার বাসায় নিয়ে গেল। অবশেষে তাদের একটা ছেলে হল। তারা ছেলের নাম রাখল ” আলিফ “। এখন তারা সবাই সুখেই আছে।
গল্পে আরো বিভিন্ন কিছু তুলে ধরা হয়েছে সেগুলো আমি স্কিপ করে গেছি। আপনাদের সবকিছু জানতে চাইলে অবশ্যই ” শেষটা সুন্দর ছিল ” বইটি পড়তে হবে।
বিশেষ দ্রষ্টব্য : ভুল ত্রুটি ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। কারণ জীবনের প্রথম বুক রিভিউ দিলাম।
Review Credit 💕 Srabonti Pal
আল্লাহর পথে চলো
তানভীর আহমেদ
বই পড়তে ভালোবাসি – তানভীর আহমেদ
মুহুর্তে ই ভুলে যাও তুমি
আমার অতি ভালোবাসা।
কী চাও তুমি প্রিয়তমা?
দ্বীনের পথে চলো — বলো- মনের আশা।
শয়তানের ধোঁকায় পরে হচ্ছ পথভ্রষ্ট
ভালোবাসার মানুষকে কেন দিচ্ছ এত কষ্ট?
তুমি হয়তো ভুলেই গেছ- আল্লাহ সর্ব শ্রেষ্ঠ
নামাজ রোজা ছেড়ে দিয়ে ঈমান করছ নষ্ট।
ভালো তোমাকে সবাই বাসে
তুমি সেটা বুঝ না
সুখ বলতে তুমি বুঝ– ধন সম্পদ?
অথচ সুখের জন্য — ভালোবাসা খোঁজ না।
কুরআন হাদিস সবই বুঝ
শয়তানের ধোঁকায় তা তুমি খোঁজ না।
নামাজ, রোজা, কুরআন তেলওয়াত করো
শয়তান দূরে যাবে- বুঝবে আল্লাহ সবচেয়ে বড়ো।
সুখ শান্তি সবই- আছে দ্বীনের পথে
এই কথাটার প্রমাণ পাবে আল-কুরআনের মতে।
ফিরে আসো আল্লাহর পথে- তাহার ইবাদত করো
পরকালের জন্য সুখ শান্তি– নিশ্চিত করে তুমি মরো।
যেভাবে আছ, যেখানে আছ, শুকরিয়া আদায় করো
দুনিয়াতে সুখ শান্তি পাবে- আল্লাহ বরকত দিবেন আরো।
দিন চলে যায়, মাস চলে যায়– বছর চলে যায় বারো
শয়তানের ধোঁকায় তুমি ভাবো– আমি অন্য কারো।
সমাপ্তি
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?