বইয়ের নাম : প্রিয়তমা
লেখক : সালাউদ্দিন জাহাঙ্গীর
প্রকাশক : নবপ্রকাশ
Review Credit 💕 শেখ ইসরাত
” প্রিয়তমা ” শব্দটা পড়তেই মনে হয় হবে হয়তো কোনো আধুনিক প্রেম -কাহিনি..।
অনেকে নামটা শুনতেই হেসে দেয়।
এমন কি যখন আমি এই বইটি পড়ছিলাম তখন আমায় বলা হলো এইসব বই পড়তে হয় না।
সে দেখে হতবাক..! সে লজ্জায় পড়ে গেলো।
কেনো সে লজ্জায় পড়ল জানতে চান?
সূচিপত্রে সে একের পর এক দেখতে লাগলো উম্মুল মুমিমিনদের নাম।
১.হযরত খাদিজাতুল কুবরা বিনতে খুওয়াইলিদ ২.সওদা বিনতে যামআহ ৩. আয়িশা বিনতে আবু বকর ৪. হাফসা বিনতে উমর ৫. যয়নব বিনতে খুযায়মা ৬. উম্মে সালামাহ ৭.যয়নাব বিনতে জাহাশ ৮. জুয়াইরিয়া বিনতুল হারিশ ৯.উম্মে হাবিবা বিনতে আবু সুফিয়ান।
১০.সাফিয়া বিনতে হুয়াই
১১. মাইমুনা বিনতুল হারিশ।
এবং একদম শেষে ২ জন দাসির নাম দেখে সে আমায় জিজ্ঞাস করল দাসিকে কেনো বিয়ে করেছিলো..?
আপনারা ও জানতে চান?
তাহলে কুরআনের সেই আয়াতটা মনে করুন ” তোমাদের অধিকারভুক্ত দাস-দাসীদের তোমাদের জন্য বৈধ করা হলো”..।
সে আমায় এবার আর প্রশ্ন করলো না সে বিস্ময়ের সাথে বলতে লাগল, বিশ্বনবী (স.) এতো গুলো বিয়ে করেছেন..!
আমি তাকে মুচকি হেসে উত্তর দিলাম, তোমার সন্দেহ হচ্ছে?
আমি তাকে প্রশ্ন করলাম আচ্ছা বলতো: ছেলে এক দেশে মেয়ে এক দেশে, এইভাবে যে বিয়ে হয় এইটা কোথায় থেকে এসেছে?
অনেকে মনে করে,বিশ্বননবী (স.) এর দুইটা স্ত্রী ছিলেন [খাদিজা ও আয়িশা (রা.) ]..
আমরা নবী সম্পর্কে জানলেও তার প্রিয়তমা স্ত্রীদের ব্যাপারে ধারণা খুবই কম।
লেখক খুব সুন্দর ভাবে একের পর এক উম্মুল মুমিমিনদের বিশেষ ঘটনা সমূহ উল্লেখ করেছন।
খাদিজা (রা.) এর কাহিনিতেই আপনি মক্কার অবস্থা থেকে বুঝেই যাবেন কেমন ছিল কুরাইশদের অত্যাচার আর এই কঠিন মূহুর্তে কিভাবে তিনি বটবৃক্ষর মতো ছায়া হয়ে দাঁড়িয়েছিল প্রাণপ্রিয় স্বামীর পাশে। এই অধ্যায়ে একজন স্বামী-স্ত্রীর সম্পর্ক কেমন হওয়া উচিত তা খুব ভালোভাবেই উপলব্ধি করবেন। পরবর্তী আয়িশা রা. এর অধ্যায়ে একজন স্বামীর তার স্ত্রীর প্রতি কেমন আচরণ করা উচিত। এই ব্যাপারে খুব সুন্দরভাবে বুঝতে পারবেন।
কখনো কি মনে প্রশ্ন জাগে না?
তাদের মধ্যে সম্পর্ক কেমন ছিলো..?
তারা একে অপরের প্রতি ঈর্ষা প্রকাশ করলেও কিছুক্ষেত্রে দেখা গেছে যে তারা অন্তরঙ্গ বান্ধবীর মতো।
লেখক প্রতিটা অধ্যায়ে উম্মুল মুমিনিনদের বৈশিষ্ট্য নিখুঁত ভাবে দিয়েছেন।
রাসুল (স.) এর ১১ জন স্ত্রীর দাম্পত্যজীবনের অসংখ্য গল্প নিয়ে বইটি লেখা।
এই একটি বই পড়েই আমরা তাদের ব্যাপরে খুব ভালো ভাবেই জানতে পারবো।
★এই বই যেকারনে পড়া উচিত:
আমাদের নানা রকম প্রশ্ন থাকে যেমন: কেনোই বা এত গুলো বিয়ে করেছিলেন? আর কেনো তিনি ৬ বছর বয়সি ছোট আয়িশা (রা.) কে বিয়ে করেছিলেন?কেনো ৪০ বছর বয়সী খাদিজাকে তিনি প্রাণের চেয়ে বেশি ভালোবাসতেন?
কেনো তিনি খাদিজার মৃত্যুর বছরকে শোকের বছর বলেছিলেন?
কেনো তিনি ইহুদীর মেয়ে সাফিয়া কে স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন?..যখন ইহুদীরা খাবারে বিষ মিশিয়ে নবী (স.) কে হত্যা করতে চেয়েছিল..!
যার জন্য বদরপ্রান্তে যুদ্ধের দামামা বেজেছিল সেই আবু সুফিয়ানের কন্যা উম্মে হাবিবাকে কেনো বিয়ে করেছিলেন?
কেনো তিনি পালকপুত্রর তালাকপ্রাপ্ত স্ত্রীকে নিজের স্ত্রীর মর্যাদা দিলেন.?
কেনোই বা জুয়াইরিয়া (রা.) কে বিয়ে করায় তার গোত্রের ৬০০ লোক মুসলিম হয়ে গেছিল?
উম্মুল মুমিনিনদের জন্য আজ আমরা সাংসারিক হাদিস গুলো আয়ত্ত করতে পারি পড়তে পারি। তাদের ব্যাপারে কি আমাদের জানা উচিত না?
তারা ছিল ইসলামের এক একটি নক্ষত্র।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?