- বইঃ দ্য চেস্টনাট ম্যান
- লেখকঃ সোরেন ভেইস্ত্রাপ
- অনুবাদকঃ সালমান হক
- প্রকাশনীঃ চিরকুট
- মলাট মূল্যঃ ৬০০/=
দ্য চেস্টনাট ম্যান বইটা বইদিবসে অনলাইন একটা পেজে অর্ডার করা হয়। তারপর হাতে পাই অল্প কিছুদিনের ব্যবধানে গ্রামে যাবার আগেই। ঢাকায় যেরকম ব্যস্ত একটা সময় কাটে ভার্সিটি,টিউশন সবকিছু নিয়ে একেকটা বই পড়তে তাই এখন অনেকটা সময় লেগে যায়। এসবের মধ্যে হুট করে গ্রামে যাওয়ায় পেয়ে গেলাম অখণ্ড অবসর। চারদিকে কর্মহীনতায় ঘেরা অনেক অনেক সময় আর হাতে
“রবীন্দ্রনাথ এখানে কখনো আসেননি”, ” দ্য চেস্টনাট ম্যান” আর “যাওপাখি”। চেস্টনাট ম্যানের নাম গ্রুপে ঘুরেফিরে অনেকবার চোখে পড়লেও পড়া হয়নি পোস্টগুলো। সেদিক থেকে বইটা একমাত্র সিরিয়াল কিলিং বেইজড এছাড়া আর কিছু জানতাম না।
অনেক অপ্রয়োজনীয় কথা বললাম এবার রিভিউতে চলে যাই।
কাহিনী সংক্ষেপঃ গল্পের শুরুটা হয় একজন মহিলার খুন হওয়া দিয়ে।লরা কেজেয়ার নামক একপ্রকার নির্বিরোধী ও শত্রুহীন মেয়েটির মৃত্যু হয় নৃশংসভাবে তার নিজ বাড়িতেই।হত্যাকাণ্ড তদন্তের দায়িত্ব যেয়ে পড়ে হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের উপর।
তদন্ত চলাকালীন সময়ে অল্প সময়ের ব্যবধানে একই ধাচে হয় আরো তিন তিনটি খুন এবং প্রতিটি লাশের পাশেই খুনি রেখে যায় চেস্টনাট বাদাম আর ম্যাচের কাঠি দিয়ে তৈরি পুতুল।তবে কি কোনো খুনি ইচ্ছাকৃতভাবেই জানান দিচ্ছে তার নৃশংসতার?
যেনো পুলিশ ডিপার্টমেন্টের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিচ্ছে ” খোঁজো আমাকে,বের করে খুঁজে।দেখো তোমাদের চেয়ে কতোটা এগিয়ে আমি” প্রতিটা মূহুর্তে প্রতিটা ধাপে ডিটেকটিভদের চেয়ে অনেকটা এগিয়ে এই খুনি এবং খুনির বুদ্ধি পাঠককে মুগ্ধ করবে নিঃসন্দেহে।
মার্ক হেস(যাকে আমার প্রথম থেকেই অসম্ভব পছন্দ),নাইয়া থুলিনে এবং সাইমন গেঞ্জের মতো তিন ক্ষুরধার মস্তিষ্কের ডিটেকটিভ কি শেষ পর্যন্ত থামাতে পারবে খুনগুলো?
আর এই খুনের সাথে হঠাৎ করেই পাওয়া যায় এক বছর আগে হারানো এবং মৃত সমাজকল্যাণমন্ত্রী রোজা হারটাং এর মেয়ে ক্রিস্টিন হারটাং এর সম্পৃক্ততা। একবছর আগে নিখোঁজ রোজা হারটাং এর খুনি লিনাস বেক্কারকে অনেক কাঠখড় পুড়িয়েই জেলে ঢোকায় হোমিসাইড ডিপার্টমেন্টের দুই ডিটেকটিভ রিকস ও জনসন।সাইকো ওই খুনি নিজে স্বীকার করে ক্রিস্টিনকে হত্যার পর লাশ টুকরো করে বনের মধ্যে পুতে ফেলেছে সে।কিন্তু লাশের পাশে রাখা চেস্টনাট পুতুলগুলোতেও পাওয়া যায় ক্রিস্টিনের হাতের ছাপ।
এই হত্যাকাণ্ডের সাথে তাহলে কি সম্পর্ক রোজা হারটাং এর?
প্রশ্নগুলোর উত্তর পেতে অবশ্যই বইটা পড়তে হবে এবং ক্রাইম থ্রিলার প্রেমীদের পছন্দের তালিকায় এই বইটি যুক্ত হবে নিঃসন্দেহে। পড়া শুরু করার পর থামার কোনো সূযোগই দেয়নি লেখক।একদমে পড়ে যাওয়ার মতো একটা বই।
**প্রাণ লাচ্ছি আরাম পাচ্ছির সাথে ছাড়া বইটির আর কোনো ছবি ছিলো না।তবে সেই ছবিটিতে লাচ্ছি বিষয়ক বিতর্কতার পর আর সাহস হলো না আগের ছবিটা দেয়ার**
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?