রাজদ্রোহী : রবিন জামান খান | Rajdrohi By Robin Zaman Khan

AT A GLACE OF RAJDROHI

  • Title রাজদ্রোহী
  • Author রবিন জামান খান
  • Publisher অন্যধারা
  • ISBN 9789849626015
  • Edition 1st Published, 2022
  • Number of Pages 416
  • Country বাংলাদেশ
  • Language বাংলা
রাজদ্রোহী  রবিন জামান খান

রাজদ্রোহী – রবিন জামান খান
‘মশালের আলোতে চারপাশ আলোকিত হলেও, মশালের নিচেই অন্ধকার থাকে।’ 

১৫৯৬ খ্রিস্টাব্দ। মোঘল সম্রাট আকবর দিল্লির সিংহাসনে অধিষ্ঠিত। তাঁর আমলে ভারতবর্ষের সবচেয়ে বেশি এলাকা মোঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত হয়। তবে বাংলা তখনো স্বাধীন অঞ্চল। এই অঞ্চলে প্রায়ই যুদ্ধ বিগ্রহ লেগে থাকতো বলে এই অঞ্চলকে ‘বিদ্রোহের দেশ’ বলে ডাকা হতো।১৫৭৬ খ্রিস্টাব্দে রাজমহলের যুদ্ধে বাংলার শেষ স্বাধীন সুলতান দাউদ খান কররানী মোঘল বাহিনীর সাথে যুদ্ধে পরাজিত এবং নিহত হন। তখন সম্রাট আকবর বাংলাকে মোঘল সাম্রাজ্যভুক্ত করলেও কার্যত বাংলার একটি ক্ষুদ্র অংশের উপর কর্তৃত্ব প্রতিষ্ঠা করতে পেরেছিলেন। কারণ বাংলার বিভিন্ন অংশে তখন স্বাধীনচেতা বারো ভূঁইয়ারা শাসন পরিচালনা করছিলেন এবং তারা মোঘল বশ্যতা মেনে নেন নি। বারো ভূঁইয়াদের প্রধান ঈশা খাঁ তখন সোনারগাঁ অঞ্চলের শাসক। 
নানা ঘাত প্রতিঘাত সহ্য করে এই ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হয়েছিলেন। মোঘলদের সাথে কয়েকবার যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে, তাঁর অঞ্চলে স্বাধীন শাসন বজায় রেখেছেন। মোঘল শাসক আকবর ক্ষিপ্ত হয়ে সেনাপতি মানসিংহকে পাঠান বাংলা অঞ্চলকে মোঘল সাম্রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করতে। মানসিংহের অগ্রবর্তী বাহিনীর প্রধান বাহরাম খাঁ জঙ্গলমহাল আক্রমণ করে। এই জঙ্গলমহালের সুবাদার ছিলেন ঈশা খাঁ’র মিত্র আসলাম শেঠ। একসময় জঙ্গলমহাল দূর্গের পতন ঘটে, আসলাম শেঠ নিহত হন এবং আসলাম শেঠের স্ত্রী মাত্র কয়েকজন সহচর নিয়ে পালাতে সক্ষম হয়। 
জঙ্গলমহাল দূর্গ আক্রান্ত হওয়ার আগে আসলাম শেঠ দেখা করেছিলেন ঈশা খাঁ’র সাথে। আসলাম শেঠ জানান তাঁর কাছে এমন এক শক্তির আধার আছে, যা কিনা মোঘলদের সাথে যুদ্ধের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারে। কিন্তু সেই শক্তি ঈশা খা’র হাতে আসার আগেই জঙ্গলমহালের পতন হয়। তবে বিশ্বস্ত সূত্রে খবর পাওয়া গিয়েছে সেই অদ্ভুত শক্তি আসলাম শেঠের ভিনদেশী স্ত্রী সঙ্গে নিয়ে পালাতে পেরেছিলেন।
মোঘল বাহিনীর তুলনায় বারো ভূঁইয়াদের সৈন্যবাহিনী অপ্রতুল হওয়ায় বাড়তি শক্তি হিসেবে আসলাম শেঠের বর্নিত শক্তির অপরিহার্যতা উপলব্ধি করতে পারেন ঈশা খাঁ। তাই তিনি একসময়ের বন্ধু আসলাম শেঠের স্ত্রী ও সেই শক্তিকে খুঁজে ফিরিয়ে আনার জন্য উপযুক্ত ব্যক্তি হিসেবে মাসুম খাঁ কাবুলিকে নির্বাচন করেন। যে কিনা মোঘল দরবারের আইনের বিরোধিতা করে মোঘল সেনাবাহিনীর চাকরি ছেড়ে চলে এসেছে এবং পরবর্তীতে যাকে রাজদ্রোহী ঘোষণা দেওয়া হয়েছে। এমন একজন ব্যক্তিকে এই কাজের জন্য নির্বাচন করায় অনেকেই অবাক হয়েছিল। তবে ঈশা খাঁ জানেন তিনি যোগ্য ব্যক্তিকেই বেছে নিয়েছেন। মাসুম কি পারবে যোগ্যতার পরিচয় দিতে নাকি মাসুমের ব্যর্থতা বাংলায় বারো ভূঁইয়াদের স্বাধীনতার সূর্য ডুবিয়ে দেবে?
সিলেটে পিবিআই স্পেশাল উইংয়ের এজেন্ট তানভীর মালিকের ব্ল্যাক বুদ্ধা এবং চট্টগ্রামে শারহান শারিয়ারের মগ জলদস্যুর রহস্যের অপারেশনের পর সবাই জানতে পারে এক ভয়ংকর সংগঠনের ব্যাপারে। যারা কিনা বাংলাদেশে বসে দীর্ঘদিন যাবত কাজ করে যাচ্ছিল, অথচ আইনের লোকেরা এই ব্যাপারে পুরোপুরি অজ্ঞ ছিল তাদের অপারেশনের পূর্বে। এমনই সময় ময়মনসিংহে টুইন কালী কেসের সমাধান করায় বেশ জনপ্রিয়তা পেয়েছেন ইন্সপেক্টর আহমেদ বাশার। সেই জনপ্রিয়তা চোখ এড়ায়নি পিবিআইয়ের স্পেশাল উইংয়ের পরিচালক হাবিব আনোয়ার পাশা স্যারের। 
তাই এবার বাশারের ডাক পড়লো পিবিআইয়ের স্পেশাল উইংয়ের হয়ে কাজ করার জন্য। মাথার মধ্যে একটাই চিন্তা হুট করে তাকেই কেন এই কাজের জন্য আনা হলো! তবে কিছুটা হলেও আঁচ করতে পেরেছে সে। সম্প্রতি চট্টগ্রামে প্রফেসর আবদেলের গাড়ি দূর্ঘটনায় মৃত্যু এবং পরবর্তীতে শারহান শারিয়ার যে রাজদ্রোহী নামক একটি রহস্যের খোঁজ পায় তার সমাধান করা জরুরি হয়ে পড়ে। এই রহস্যের সমাধান জানেন প্রফেসর আবদেলের সহকর্মী প্রফেসর ইফতেখার মাহমুদ। কিন্তু তিনিও তিন বছর যাবত নিখোঁজ। একেবারে হাওয়ার মতো উবে গেছেন মনে হচ্ছে। তাকেই খুঁজে বের করার দায়িত্ব পড়ে ইন্সপেক্টর বাশারের উপর। 
কাজে নেমেই বুঝতে পারে যতটা কঠিন ভেবেছিল, কাজটা তার থেকেও অনেক বেশি কঠিন এবং বিপদজনক। ইন্সপেক্টর বাশার কি পারবে প্রফেসর ইফতেখার মাহমুদকে খুঁজে বের করে রাজদ্রোহীর অমিমাংসিত রহস্যের সমাধান করতে? নাকি কালের গর্ভে হারিয়ে যাওয়া সেই রহস্য লোকচক্ষুর আড়ালেই থেকে যাবে?
‘সময়’ সিরিজের অন্যান্য বইয়ের মতো এটাতেও দুইটি সময়কাল নিয়ে গল্প সৃষ্টি করেছেন লেখক। দুই গল্পকে মেলানোর দিকে লক্ষ করলে দেখা যাবে লেখক যথেষ্ট বুদ্ধিমত্তার ছাপ রেখেছেন। গল্প একটু একটু এগিয়েছে আর চরিত্রগুলো যেন পরিপক্ক হয়েছে। সপ্তরিপুতে আহমেদ বাশারের এক কলঙ্কিত অতীতের আভাস ছিল, সেই অতীতের একটি বিস্তারিত গল্প বলেছেন লেখক। যা আহমেদ বাশারের মানসিক অবস্থান স্পষ্ট করে। আলীম পাটোয়ারীর স্বভাবসুলভ আঞ্চলিক ভাষার কথাবার্তা উপভোগ্য ছিল। সাথে হাবিব আনোয়ার পাশার ব্যক্তিত্ব যেন একটি আইনপ্রয়োগকারী সংস্থার প্রধানের প্রতিনিধিত্ব করে, অথচ তার বন্ধুসুলভ আচরণ জুনিয়রদের কাজের গতি বাড়িয়ে দেয়। যখন কোনো লেখক দুইটা সমান্তরাল গল্প কিন্তু ভিন্ন সময়ের প্রেক্ষাপটে বলতে চান, তখন তাকে খেয়াল রাখতে হয় যেন গল্পের প্রবাহ নিজ ধারা বজায় রাখে এবং একটি নির্দিষ্ট জায়গায় মিলিত হয়। এক্ষেত্রে বলা যায় রবিন জামান খান যথেষ্ট সচেতনতার সাথে সমাপ্তি টেনেছেন।
ঈশা খাঁ ছিলেন বাংলা অঞ্চলের অন্যতম স্বাধীন শাসক, যিনি কিনা মোঘল বাহিনীকে ঠেকিয়ে রেখেছিলেন দীর্ঘদিন। মানসিংহকে দ্বৈত-যুদ্ধের আহবান জানিয়ে বাঙালিদের প্রতি মানসিংহের দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করেছিলেন। বইটিতে আমরা পাঙ্গু নামক এক শ্রেণির ঠগীদের পরিচয় পাই। পাঙ্গুরা ছিল দুর্ধর্ষ এবং এরা জলদেবীর পূজা করতো যেখানে সাধারণ ঠগীরা কালীদেবীর পূজা করতো। এরা জলে অর্থাৎ নৌকায় শিকার করে বেড়াত এবং শিকারের মেরুদন্ড এমনভাবে ভেঙে পানিতে ডুবিয়ে দিত যাতে ভেসে না উঠে। 
এদের প্রধান শিকার ছিল সওদাগরি নৌকার ব্যবসায়ীরা। নৌকার পাটাতনে বৈঠা দিয়ে তিনবার ঠক ঠক আওয়াজ করলেই সেই নৌকার মালিকের আর বাঁচার উপায় ছিল না। পাঙ্গুদের হিংস্রতার জন্য তাদের জ্ঞাতি ভাই তুসুমবাজ ও ভাগিনারাও তাদের এড়িয়ে চলতো।
সপ্তরিপু ও ব্ল্যাকবুদ্ধায় বানান ভুলের যে উৎসব ছিল তা মগরাজে এসে যেন মহোৎসবে পরিণত হয়েছিল। তবে রাজদ্রোহীতে সেই তুলনায় বানান ভুল কম। একেবারে যে নেই, তা না। বইয়ের মান উন্নয়নের দিকে নজর দেওয়াতে প্রকাশনী এবং লেখককে সাধুবাদ জানাই।
 
ব্ল্যাকবুদ্ধাতে প্রফেসর মিতায়ন ওরফে মাস্টার জেডকে গ্রেফতার করা হয় এবং সে জেলেই ছিল। কিন্তু রাজদ্রোহীতে সেই মাস্টার জেডের নাম মাস্টার ডি হয়ে গিয়েছে। এদিকে রাজদ্রোহীর প্রধান খলনায়ককে পুরো বইতে মাস্টার জেড বলে উল্লেখ করা হয়েছে, যা বইটির সবচেয়ে বড় ভুল।
অধ্যায়ের শিরোনাম যেহেতু বড় অক্ষরে থাকে তাই ওই ভুলটা সবার আগে চোখে পড়ে। পিবিআই এর জায়গায় পিবিআইএস আছে একটি অধ্যায়তে। তাছাড়া একই জায়গার ঘটনা হওয়া সত্ত্বেও ভিন্ন অধ্যায়ে জায়গার নামের শিরোনাম ভিন্ন নাম দেওয়া আছে, অভিন্ন হওয়া উচিৎ ছিল।
প্রমিত বাংলায় বর্ননা দেওয়ার সময় বাবা/পিতাকে বাপ বলে উল্লেখ করাটা ভুল কিনা আমি নিশ্চিত নই। তারপর আঞ্চলিক ভাষার সংলাপে ‘তোকে’ এর পরিবর্তে ‘তোরে’ শব্দটা যৌক্তিক। রসুল খাঁ’র জমিদারিতে যখন বাসিম বিভিন্ন উপায় বাতলে দিচ্ছিল তখন তার কাজগুলো বাচ্চাসুলভ মনে হয়েছে। অথচ এই চরিত্রটা আরো পরিপক্ক হওয়া উচিৎ ছিল। এক চরিত্র মনে মনে যা ভাবছে অন্য চরিত্র সেটা বুঝে যাচ্ছে এবং তার উত্তর দিয়ে দিচ্ছে, এটা কি কালোজাদু!
 
বইয়ের শুরুর দিকে পায়ামের দাদা যেখানে রাজ্য প্রতিষ্ঠা করেন, সেখানে আরেক জায়গায় পরদাদা কিংবা আসলাম শেঠের জায়গায় আসলাম শেখের উল্লেখ ছিল। প্রফেসর ইফতেখার মাহমুদের সহকারী চৌধুরী হাসান শেখ তাঁর সাথে কাজ শুরু করেন হারিয়ে যাওয়ার একবছর আগে থেকে। সেই হিসেবে চার বছর আগে থেকে তিনি ইফতেখার মাহমুদের সাথে যুক্ত, কিন্তু বইতে তিন বছর উল্লেখ করা।
নৌকাকে বারবার জাহাজ বলা, মাসুম একই কথা কয়েকবার বলেছে ও সেটা কয়বার বলেছে তার ভুল হিসাব এবং একটি ঐতিহাসিক চরিত্রের ভুল সময়ের মৃত্যু( লেখকের স্বাধীনতা আছে ঐতিহাসিক চরিত্র নিয়ে নিজ ইচ্ছেমতো লেখার। কিন্তু ঐতিহাসিক চরিত্রের পরিণতি নিয়ে স্বাধীনতা খাটানো পছন্দ হয়নি।) সহ আরো কিছু ছোটখাটো ভুল আছে।
রাজদ্রোহী বইটি পড়তে হলে অবশ্যই আপনাকে সিরিজের পূর্বের তিনটি বই(সপ্তরিপু, ব্ল্যাক বুদ্ধা, মগরাজ) পড়তে হবে। আবার এই বইতে সিরিজের পরবর্তী দুই বই(সিপাহী, অশ্বারোহী) সম্পর্কে আভাস দেওয়া হয়েছে। ‘সময়’ সিরিজের চতুর্থ বই ও একটি রাজদ্রোহীর আখ্যানে আপনাকে স্বাগত।

খুব সাধারণ একটা মিসিং পারসোনের কেস, প্রফেসর ইফতেখার মাহমুদ নামে তিন বছর আগে হারিয়ে যাওয়া এক আর্কিওলজিস্টকে খুঁজে বের করতে হবে। কিন্তু কাজে নামার সাথে সাথেই ইন্সপেক্টর আহমেদ বাশার সে বুঝতে পারলো কাজটা সহজ তো নয়ই বরং এটা সাধারণ কিছুও নয়। খড়ের গাঁদা থেকে তাকে সূঁচ খুঁজে বের করতে হবে, যেখানে একদিকে সূচটা অত্যন্ত বুদ্ধিমান, তার ওপরে আবার সূচটাকে খুঁজে বেড়াচ্ছে একাধিক মানুষ। কেসে নামার সাথে সাথেই সে এমন এক ঝুঁকি নিয়ে নিলো যা তাকে নিয়ে যেতে পারে লক্ষ্যের খুব কাছে অথবা পুরোপুরি শেষ করে দিতে পারে সদ্য ধ্বংসস্তুপ থেকে তুলে নিয়ে আসা পুলিশি ক্যারিয়ারকে। কিন্তু ঝুঁকি নিয়েই সে বুঝতে পারলো, বিরাট ভুল হয়ে গেছে।

 
সময় : ষোড়ষ শতকের শেষভাগ। মোঘল সম্রাট আকবর বাংলাকে বিদ্রোহী প্রদেশ হিসেবে ঘোষণা করে নিজের সবচেয়ে শক্তিশালী সেনাপতিদের একজন মানসিংহকে বাংলায় পাঠালো বারো ভূইয়াদের প্রধান ঈশা খাঁকে যুদ্ধে পরাজিত করে বন্দি হিসেবে আগ্রা নিয়ে যাওয়ার জন্য। বীর ঈশা খাঁ রুখে দাড়ানোর প্রস্তুতি নিতে শুরু করলো। কিন্তু সৈন্য সংখ্যা থেকে শুরু করে সবকিছুই মোঘলদের প্রতিহত করার জন্যে অপ্রতুল। বাধ্য হয়ে সে নিজের বীর সেনাদের একজন মাসুম কাবুলী, যাকে পাঠান সেনাপতি শহবাজ খাঁ রাজদ্রোহী হিসেবে ঘোষণা করেছে, তাকে ভাওয়ালের জমিদার ফজল গাজীর আশ্রয় থেকে ডেকে পাঠালো বিশেষ এক উদ্দেশ্য নিয়ে। 
মাসুম খাঁ কাবুলীকে পানি-জঙ্গল আর হাওর বিধৌত এলাকা থেকে খুঁজে বের করতে হবে সদ্য বিধাব হওয়া এক সুবাদারের স্ত্রীকে। এই সুবাদারের স্ত্রীর কাছে আছে এমন কিছু যা বদলে দিতে পারে মোঘলদের সাথে বারো ভূইয়াদের যুদ্ধের গতিপথ। কাজে নেমেই মাসুম কাবুলী বুঝতে পারলো এই বিশেষ মানুষটিকে খুঁজে বের করে ঈশা খাঁর নিকটে পৌছাতে হলে তাকে মোকাবেলা করতে হবে মোঘলদের শক্তিশালী বাহিনী, স্থানীয় বিদ্রোহী ডাকাত এবং ভয়ঙ্কর পানির ঠগী হিসেবে পরিচিত পাঙ্গুদের।
অতীত ও বর্তমানের মেলবন্ধন হিসেবে সুপরিচিত রবিন জামান খানের
ইতিহাস আশ্রিত থ্রিলার সিরিজের বই সপ্তরিপু- ব্ল্যাক বুদ্ধা- মগরাজের ব্যাপক সাফলের পর এবার প্রকাশিত হতে যাচ্ছে সময় উপাখ্যান সিরিজের চতুর্থ বই রাজদ্রোহী, যেখানে ইতিহাসের পাতা থেকে উঠে এসেছে বাংলার বুকে রাজত্ব করা বীর সেনানী বারো ভূইয়াদের বীরগাঁথা।
CREDIT : SANOWAR HOSSAIN
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?