- বই : যে নারী নয়ন জুড়ায়
- লেখক : আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ আল জুদাঈ
- অনুবাদক : মুফতি মুহাম্মাদ ফিরদাউস
- সম্পাদক : প্রসেসর ডঃ আবু বকর যাকারিয়া
- মু্দ্রিত মূল্য : ১৮০ টাকা
- প্রকাশনায় : কাশফুল প্রকাশনি
- রিভিউ লিখেছেন 💕 তামান্না বিনতে ইদ্রিস
❝যে নারী নয়ন জুড়ায়❞
লেখক আব্দুল্লাহ ইবনে ইউসুফ আল জুদাঈ
সংসার নামের ছোট্ট প্রতিষ্ঠানের মধ্যমণি হলো একজন স্ত্রী। এই নারীকে ঘিরেই সংসারের সব কিছু আবর্তিত হয়। নারী হলো সৌভাগ্যের সোপান।
তিনটি জিনিস মানুষের সৌভাগ্যের লক্ষণ সচ্চরিত্রা স্ত্রী, প্রসস্ত আবাসন ও অনুকূল বাহন। কেননা বৈবাহিক জীবনের সামগ্রিক প্রশান্তি নিশ্চিত করতে প্রধান ভূমিকা রাখে একজন পণ্যবতী স্ত্রী।
অপরদিকে দুশ্চরিত্রা স্ত্রী হতভাগ্যের নিদর্শন। রাসূল সল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, হতভাগ্যের নিদর্শন তিনটিঃ দুশ্চরিত্রা স্ত্রী, সংকীর্ণ আবাস ও অপ্রতিকূল বাহন।
বর্তমানে তথাকথিত আধুনিক নারীরা তাদের দায়িত্ব ভুলতে বসেছে। নারীত্ব ও নারীর স্বভাবজাত বৈশিষ্ট্যে দেখা দিয়েছে বিরাট এক শূণ্যতা ও ফারাক। পূণ্যবতী স্ত্রী যে গুণাগুণ অবলম্বনে জান্নাত কিনতে পারতো, সংসার সুখ – শান্তির সু বাতাস বইয়ে দিতে পারতো।
কিন্তু আজ নারীরা সেগুলো বাদ দিয়ে বেপর্দা দুনিয়া দাপিয়ে বেড়াচ্ছে। পুরুষকে প্রতিপক্ষ বানিয়ে প্রতিযোগিতায় নামার উগ্র মানসিকতা তৈরি হয়েছে। যার ফলে একদিকে যেমন নরীরা জান্নাতে হারিয়ে জাহান্নামের দিকে যাচ্ছে, অপরদিকে সংসারে ছড়াচ্ছে বিষবাষ্প। ফলে ভেঙে পড়েছে সমাজ ব্যবস্থা, ফাটল ধরেছে পরিবারে।আর পথ হারা হচ্ছে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম।
আমাদের সমাজের এই করুন অবস্থা থেকে পুনরায় সুন্দর আদর্শ সমাজ গঠনে ভূমিকা রাখতে পারে পূণ্যবতী নারী। নারী উগ্রতা ছেড়ে দিয়ে হতে পারে নয়ন জুড়ানো নারী। আর নয়ন জুড়ানো স্ত্রী ও আদর্শ স্বামীর জান্নাতে কেটে যাবে অনন্তকাল। তারা লক্ষ কোটি বছরের বৃষ্টি বিলাশ করব এবং নরম রোদ পোহাতে কেটে যাবে অনন্তকাল।
‘যে নারী নয়ন জুড়ায়’ বইটিতে লেখক তুলে ধরেছেন পূণ্যবতী নারীদের বৈশিষ্ট্য, দায়িত্ব এবং কর্তব্য। যা অনুসরণে একজন নারী হয়ে উঠতে পারে পূণ্যবতী স্ত্রী। আর পূণ্যবতী স্ত্রী হওয়ার মাধ্যমে মসৃণ হবে জান্নাতের রাস্তা, দূরে সরে যাবে জাহান্নাম থেকে। একজন নারী থেকে পূণ্যবতী নারী হওয়ার জন্য বইটি পাঠিকার জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে ইনশাআল্লাহ।