Title যেমন ছিলেন মুসলিম মহীয়সীরা
Author এনামুল হক মাসউদ
Publisher আল ইখলাস পাবলিকেশন্স
Quality হার্ডকভার
Edition 1st Published, 2022
Country বাংলাদেশ
Language বাংলা
আল্লাহ রাব্বুল আলামিন নারীজাতিকে অনেক মর্যাদা নসিব করেছেন । কারণ , নারীরা জাতির ভবিষ্যৎ গড়ার কারিগর, তাঁদের কোনেই প্রতিপালিত হয় ভবিষ্যতের বড় আলেম , মনীষী , জ্ঞানী – গুণী । তাই আদর্শ মানুষ গড়ে তোলার ক্ষেত্রে পুরুষের চেয়ে নারীর দায়িত্ব অনেক বেশি । সন্তান গর্ভে থাকা অবস্থায়ই শিশু বেড়ে উঠতে থাকে । মায়ের আচার – আচরণের প্রভাব শিশুর ওপর পড়তে থাকে এবং সে হিসাবেই দুনিয়ার মানুষ এখন বড় বড় মনীষী আলেম এবং ওলিকে চেনে । মূলত তাঁদের মায়েদের প্রচেষ্টায়ই আল্লাহ তায়ালা তাঁদেরকে এমন উঁচু মর্যাদায় সমাসীন করেছেন । তাঁরা এমন মা ছিলেন , যাঁরা ভোগ – বিলাসিতা পরিহার করে , ক্ষুধার যন্ত্রণা সহ্য করে নিজের সন্তানদের দীনের আলোয় আলোকিত করেছেন । শৈশব থেকেই অন্তরে সৃষ্টি করেছেন পরকালের ভাবনা ।
তাঁদের তালিম – তরবিয়ত পেয়ে স্বভাবগতভাবেই সস্তানরা ন্যায়পরায়ণ , আমানতদার , সত্যভাষী এবং শরিয়তের অনুসারী হয়ে গড়ে উঠেছে । এমন সতী – সাধ্বী নারীদের অনুসরণীয় ও অনুকরণীয় আলোচনাই করা হয়েছে ‘ কেমন ছিলেন মুসলিম মহিয়সীরা ‘ গ্রন্থে। নন্দিত লেখক অনুবাদক এনামুল হক মাসউদ- এর দক্ষ হাতের ছোঁয়ায় পাঠকদের কাছে এটি একটি মৌলিক গ্রন্থ হিসাবেই ধরা দিবে । গ্রন্থটি নারী – পুরুষ সবশ্রেণির পাঠকেরই পাথেয় হবে বলে আমাদের বিশ্বাস
এনামুল হক মাসউদ
মুহতারাম এনামুল হক মাসউদ। দীনে হানিফের একনিষ্ঠ অনুসারী একজন আলেমে দীন। জন্ম: ১৯৭৮ সালে। কুমিল্লা জেলার বরুড়া থানার মুড়াবাজাল গ্রামে। কিন্তু মহান আল্লাহ তা’আলার ফায়সালা, মাত্র তিন মাস বয়সে গুরুতর টাইফয়েড জ্বরের ফলে পথচলার সঙ্গী ডান পায়ের কার্য ক্ষমতা হারিয়ে ফেলেন। শৈশবের এই প্রতিবন্ধকতা তাকে থামিয়ে রাখতে পারেনি। এক পা’কে সম্বল করে ক্র্যাচে ভর করেই তিনি উচ্চশিক্ষার পথে হাঁটতে থাকেন। পড়াশোনার সূচনা হয় তার মহীয়সী মায়ের হাতে। তারপর নিজ গ্রামের ঐতিহ্যবাহী মুড়াবাজাল ইসলামিয়া ফয়জুল উলূম মাদরাসায় মক্তব থেকে শরহে বেকায়া পর্যন্ত পড়াশোনা করেন। তারপর বরুড়া দারুল উলূম মাদরাসায় হিদায়া।
জামিয়া হামিদিয়া বটগ্রাম মাদরাসায় মেশকাত জামাতে অধ্যয়ন করেন। তারপর ২০০৫ সালে বাংলাদেশের সুপরিচিত ইসলামি বিদ্যাপীঠ, চট্রগ্রামের ঐতিহ্যবাহী দারুল উলূম মুঈনুল ইসলাম হাটহাজারী মাদরাসা থেকে দাওরায়ে হাদীস সম্পন্ন করেন। শুরু হয় কর্মজীবন। কিন্তু জীবনের পথচলা আরও একবার থামিয়ে দেয়। ২০১৯ সালে ভালো-পা’টির কার্যক্ষমতাও হারিয়ে ফেলেন। ফলে তিনি হয়ে যান একদম বিছানাবন্দি। তবে তিনি সন্তুষ্টচিত্তে মহান রবের ফায়সালা হাসিমুখে বরণ করে নেন। একজন কর্মঠ মানুষের জীবনে এটা অনেক বড় একটি পরীক্ষা। তবুও তিনি থেমে থাকেননি। উদ্যম ও কর্ম-তৎপর এ মানুষটি বিছানায় বন্দি থেকেই দীনী গবেষণায় নিজেকে নিরলস ব্যস্ত রেখেছেন। সকল প্রতিবন্ধকতা ও শারীরিক অক্ষমতা এক পাশে রেখে স্রোতস্রীনি ঝর্ণার মতোই যেন তিনি বহমান। উম্মাহর দরদে দরদি হয়ে ইমানের অপরিহার্য বিষয় ইমান-আকিদা ও তাওহিদ বিষয়ে একের পর এক মূল্যবান গ্রন্থ আমাদেরকে উপহার দিয়ে চলেছেন। মূলত তিনি একজন লেখক-অনুবাদক ও দীনের মুখলিস দায়ী। কুরআন শিক্ষা গবেষক ও মু’আল্লিম প্রশিক্ষক ।
তার অনুদিত বইগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল- আল ওয়ালা ওয়াল বারা, কিতাবুত তাওহিদ, হারামাইনের আর্তনাদ ও বিশুদ্ধ তাওহিদ ইত্যাদি। ব্যক্তিজীবনে তিনি স্ত্রী ও ৪ সন্তানের জনক। দুই মেয়ে ও দুই ছেলে এবং বাবা-মাকে নিয়ে তার সংসার। কোন এক ক্লান্ত দুপুরে প্রথম দেখা হয়েছিল। সেদিন থেকে তিনি মুগ্ধতা বাড়িয়ে যাচ্ছেন। গুণমুগ্ধ আমি অবাক বিস্ময়ে তাকিয়ে তার কাজগুলো দেখছি। শারীরিক বাধা থাকা স্বত্ত্বেও তিনি অবদান রেখে যাচ্ছেন অনাগত উম্মাহর জন্যে। কর্ম প্রিয় ভাইটির জন্য হৃদয় থেকে দু’আ ও শুভ কামনা। ইন শা আল্লাহ সাময়িক এই কষ্ট শেষে একদিন সবাই আমরা মিলিত হবো চিরসুখের জান্নাতে । আল্লাহ তা’আলা তাঁকে সুস্থ্যতা ও ইমানি অবিচলতা দান করুন । তার কর্মে দান করুন বারাকাহ ।
কুরআন ও হাদীস অনুযায়ী বিয়ের জন্য যে সমস্ত বিষয়গুলো দেখে নারীদেরকে বাছাই করা উচিত, সে সম্পর্কে কিছু বিষয় বর্ণনা করা হলো।
“ঈমান”
বিবাহের জন্য সবার প্রথম পাত্র ও পাত্রী উভয়ের ঈমানকে অগ্রাধিকার দিতে হবে। তাওহীদে বিশ্বাসী, নামাযী এবং সুন্নতের অনুসারী এমন কারো জন্য বেনামাযী, কবর, মাযার আর পীর পূজারী, মনপূজারী অথবা দুনিয়া পূজারী, ধর্মনিরপেক্ষতা, গণতন্ত্র বা প্রচলিত শিরকি-কুফুরীর রাজনীতির সাথে জড়িত এমন কাউকে বিয়ে করা যাবেনা। মহান আল্লাহ তাআ’লা বলেন, “আর তোমরা মুশরেক নারীদেরকে বিয়ে করোনা, যতক্ষণ পর্যন্ত না তারা ঈমান গ্রহণ করে। নিশ্চয়ই একজন মুসলমান ক্রীতদাসী, মুশরেক স্বাধীনা নারী অপেক্ষা উত্তম, যদিও (দুনিয়ার চাকচিক্য, সৌন্দর্য অথবা সম্পদের কারণে) তাদেরকে তোমাদের কাছে ভালো লাগে। এবং তোমরা (নারীরা) কোন মুশরেক পুরুষের সাথে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়ো না, যে পর্যন্ত না সে ঈমান আনে। একজন মুসলমান ক্রীতদাস একজন স্বাধীন মুশরেকের তুলনায় অনেক ভাল, যদিও তোমরা তাদের দেখে মোহিত হও। তারা (কাফের/মুশরেক) তোমাদেরকে জাহান্নামের দিকে আহবান করে, আর আল্লাহ তাঁর আদেশের মাধ্যমে তোমাদেরকে জান্নাত ও ক্ষমার দিকে আহবান করেন। আর তিনি মানুষকে নিজের নির্দেশ বাতলে দেন, যাতে করে তারা উপদেশ গ্রহণ করে।” [সুরা আল-বাক্বারাহ, আয়াত ২২১ এর তর্জমা]
.
“দ্বীনদারী বা ধার্মিকতা”
দুনিয়াতে মুসলমান অনেক ধরণেরই আছে কিন্তু, এই দুনিয়ার মাঝে শ্রেষ্ঠ সম্পদ হচ্ছে একজন নেককার স্ত্রী। সম্পদ বা সৌন্দর্যের লোভে বেদ্বীন বা দ্বীনের মাঝে ত্রুটি আছে এমন কাউকে বিয়ে করলে দুনিয়া ও আখেরাত উভয় জাহানের অনেক কল্যান ও শান্তি থেকে বঞ্চিত হতে হবে। এ প্রসংগে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এরশাদ করেছেন, “মানুষ সাধারণত নারীদের মাঝে চারটি গুণ দেখে বিবাহ করে, তার ধন-সম্পদ, বংশ-মর্যাদা, সৌন্দর্য এবং ধর্ম। (কিন্তু এমন করবেনা), তোমরা বিয়ের জন্য ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার দাও। তোমরা যদি ধার্মিক নারীদেরকে অগ্রাধিকার না দাও, তাহলে অবশ্যই তোমাদের দুই হাত ধূলায় ধূসরিত হবে (অর্থাৎ, নিশ্চয়ই সেটা তোমাদের জন্য মন্দ ও অকল্যান ডেকে আনবে)।
[সহীহ বুখারী, সহীহ মুসলিম, মিশকাতঃ ৩০৮২, ৩০৯০, ‘বিবাহ’ অধ্যায়।]
.
“পর্দানশীল ও বিনয়ী”
বেপর্দা নারী মানেই অহংকারী, অহংকারী কারো জন্য স্বামীর আনুগত্য বজায় রাখা খুবই কষ্টকর, আর এদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে। অথচ শিক্ষিত/অশিক্ষিত, আলেম হোক আর জালেম হোক, শতকরা ১০০ ভাগ পুরুষ স্ত্রীর কাছ থেকে আনুগত্য কামনা করে, এবং স্ত্রীর অবাধ্যতাকে ঘৃণা করে।
.
“একবার এক সফরে রাসুল (সাঃ) সাহাবাদেরকে নিয়ে একটা পাহাড়ে উঠলেন। সেখানে হঠাত তারা একটা কাক দেখতে পেলেন, যার পা ও ঠোট ছিলো লাল। এই ধরণের কাক আসলে খুবই বিরল, দেখতে পাওয়া যায়না বললেই চলে। সাহাবারা এতো বিরল একটা জিনিস দেখে আশ্চর্য হয়ে বলাবলি করতে লাগলেন। রাসুল সাঃ তখন বললেন, এইরকম কাকের মাঝে লাল পয ও লাল ঠোটওয়ালা কাক যেমন অত্যন্ত বিরল, তেমনি নারীদের মাঝে যারা বেপর্দা চলাফেরা করবে তাদের মাঝে খুব কম সংখ্যক নারীই জান্নাতে প্রবেশ করবে।”
.
“ইলম ও আমল”
ইলম ছাড়া বিভিন্ন পরীক্ষা বা বিপদ-আপদ ও ফেতনার সময়ে ঈমান নিয়ে টিকে থাকা খুবই কষ্টকর, যা বর্তমান যুগে খুব বেশি অনুভূত হচ্ছে। সংগী/সংগিনীর যদি ইলমের ব্যপারে ত্রুটি থাকে, তাহলে তার প্রভাব আপনার উপরেও পড়বে। রাসুল সাঃ বলেছেন, “একজন মানুষ তার বন্ধুর দ্বীনের উপরেই আছে।”
.
থিওরিটিক্যালি স্বামী/স্ত্রী একজন অপরজনের শ্রেষ্ঠ বন্ধু হওয়ার কথা। সুতরাং, জ্ঞানী, ইসলামী জীবন-যাপনে আগ্রহী ও অভ্যস্ত এমন কাউকে বিয়ে করতে চেষ্টা করুন যে আপনার দ্বীনের ব্যপারে সাহায্যকারী হবে, বাঁধা হয়ে দাঁড়াবেনা।
.
“প্রেমময়ী” এবং “অধিক সন্তান জন্মদানকারী”
“এক ব্যক্তি নবী করীম (সাঃ) এর খিদমতে উপস্থিত হয়ে বলল, আমি একজন সুন্দরী এবং উঁচু বংশের রমনীর সন্ধান পেয়েছি, কিন্তু সে কোন সন্তান প্রসব করে না (বন্ধ্যা) । আমি কি তাকে বিবাহ করব? তিনি বলেন, না। অতঃপর, সে ব্যক্তি দ্বিতীয়বার এসে একই প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করলো, তিনি পুনরায় তাকে নিষেধ করলেন। পরে তৃতীয়বার সে ব্যক্তি এলে তিনি বলেন, তোমরা এমন স্ত্রীলোকদের বিবাহ করবে, যারা স্বামীদের অধিক মহব্বত করে এবং অধিক সন্তান প্রসব করে। কেননা আমি (কিয়ামতের দিন) তোমাদের সংখ্যাধিক্যের কারণে (পূর্ববর্তী উম্মতের উপর) গর্ব প্রকাশ করব।”
.
“প্রেমময়ী”
মানুষ স্বামী/স্ত্রীর কাছ থেকে যা কামনা করে, তা না পেলে অনেকেই পরকীয়ায় জড়িয়ে পড়ে। আর এই কুপথে না গেলেও, সারাজীবনের জন্য সেটা একটা অভিশাপ হিসেবেই থেকে যাবে। তাই, নারী পুরুষ উভয়ের উচিত সংগির হক্ক পূর্ণভাবে আদায় করার ব্যপারে সজাগ থাকে।
.
“অধিক সন্তান জন্মদানকারী”
রাসুল সাঃ পুরুষদেরকে অধিক সন্তান জন্মদানকারী নারীদেরকে বিয়ে করার উতসাহিত করেছেন, এর দ্বারা উম্মতের সংখ্যা বৃদ্ধি পাবে যা নিয়ে কেয়ামতের দিন রাসুল সাঃ গর্ব করবেন। এছাড়া সন্তানদেরকে হাদিসে #রিযক হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছে। কিছু ওলামা বলেছেন, কোন নারী অধিক সন্তানদানকারী হবে কিনা, সেটা বোঝার জন্য তার মা ও খালার সন্তানের সংখ্যা কত, তার দিকে লক্ষ্য করতে বলেছেন। কোন মেয়ের মা ও খালা যদি অধিক সন্তান জন্মদানকারী হয়ে থাকে, তাহলে আশা করা যেতে পারে সেও অধিক সন্তান জন্মদানকারী
.
“কুফু বা সমতা”
রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “তোমরা বিবাহের জন্য উপযুক্ত পাত্রী নির্বাচন কর এবং ‘কুফু’ (সমতা) দেখে বিবাহ কর।”
[ইবনু মাজাহঃ ১৯৬৮; হাদীসটি সহীহ শায়খ আলবানী। সিলসিলা সহীহাহঃ ১০৬৭]
.
বিয়ের সময় নারী ও পুরুষের মাঝে অবশ্যই কুফু বা সমতার দিকে লক্ষ্য রাখা উচিৎ। দাড়ী কামাতে অভ্যস্ত, হারাম ইনকাম এমন কোন পুরুষের সাথে যদি ক্বুরানের হা’ফিজাহ কোন নারীকে বিয়ে দেওয়া হয়, আর বিয়ের পরে স্বামী তাকে মডার্ণ ড্রেস পড়তে বাধ্য করে, হিন্দী গান শোনানোর বায়না ধরে তাহলেতো প্রবলেম। আবার কোন নারী যদি বিয়ের পরে যেকোন উপায়ে স্বামীকে অঢেল সম্পত্তি অর্জন করতে চাপ দেয়, দাঁড়ি রাখা যাবেনা বায়না ধরে, মা-বাবার হক্ক আদায়ে বাঁধা দেয়…এই সংসারে আর যাই হোক সুখ নামক নামক অচিন পাখিটা কখনো ধরা দেবেনা। তাই বিয়ের পূর্বে সার্বিক দিক বিবেচনা করে কুফু রক্ষা করা উচিৎ।
.
“কুমারী”
নারীদেরকে আল্লাহ তাআ’লা প্রেমময়ী, সহজাত লজ্জাবোধ ও কমনীয়তা দিয়ে সৃষ্টি করেছেন, যা পর্দানশীল কুমারী নারীদের মাঝে সবচাইতে বেশি থাকে। এইজন্য আল্লাহ তাআ’লা জান্নাতী নারীদেরকে চিরকুমারী করে সৃষ্টি করেছেন। রাসুল সাঃ বলেছেন, “তোমরা কুমারী মেয়েদেরকে বিয়ে করো, কারণ তারা মিষ্টিভাষী, অধিক সন্তান জন্মদানকারী এবং অল্পে তুষ্ট হয়ে থাকে।” [তাবারানি, হাদীসটি হাসান সহীহ]
.
পূর্বে বিয়ে হয়েছে, এমন কেউ স্বভাবতই ম্যাচিউরড হবে এবং অনেক হিসাবী হবে। তবে অকুমারী মেয়েদের বিয়ে করা নিষিদ্ধ বা অপছন্দনীয় কোন বিষয়, এমন নয়। স্বয়ং রাসুল সাঃ এর স্ত্রীদের মাঝে মা আয়িশাহ রাঃ ছাড়া অন্য সব স্ত্রী ছিলেন অকুমারী। এছাড়া একজন সাহাবী অকুমারী মেয়েকে বিয়ে করেছিলেন যাতে করে সে তার ৭ জন ছোট বোনদের দেখাশোনা করতে পারে।
.
জাবির ইবনু আবদুল্লাহ্ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি রসূলুল্লাহ সাঃ এর যুগে এক মহিলাকে বিবাহ করলাম। অতঃপর আমি রসূলুল্লাহ সাঃ এর সাথে সাক্ষাত করলে তিনি বলেন, হে জাবির! তুমি কি বিবাহ করেছো? আমি বললাম, হাঁ। তিনি বললেন, কুমারী না বিধবা? আমি বললাম, বিধবা। তিনি বললেন, কেন তুমি কুমারী মেয়ে বিবাহ করলে না, তাহলে তার সাথে তুমি রসিকতা ও কৌতুক করতে পারতে? আমি বললাম, আমার কয়েকটি বোন আছে। তাই আমি আমার ও আমার বোনদের মধ্যে একটি কুমারী মেয়ের প্রবেশ করাকে সংকটজনক বোধ করলাম। তিনি বলেন, তাতো ভালো কথা।
[বুখারীঃ ২০৯৭, মুসলিমঃ ৭১৫, তিরমিযীঃ ১১০০]
যেমন ছিলেন মুসলিম মহীয়সীরা এনামুল হক মাসউদ বইটির Hardcover ক্রয় করুন Wafilife থেকে।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?