মুহাম্মদ বদরুজ্জামান-এর ইশতেহার | কলরব শিল্পীগোষ্ঠী নির্বাচন ২০২২

কলরবের নির্বাহী পরিষদের নির্বাহী পরিচালক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতাকারী প্রার্থী মুহাম্মদ বদরুজ্জামান-এর 
ইশতেহার

আমার ইশতেহারে অগ্রাধিকার পেয়েছে যেসব বিষয়
—————————————–
*বিগত ১৮বছরে কলরবে আমার ভুমিকা 
*শিল্পীদের জন্য যা করতে চাই
*স্টুডেন্ট এবং নবীন শিল্পীদের বিকাশে পদক্ষেপ 
*সংগীতকে বিভাগকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা 
*কলরবকে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সংগঠনে পরিণত করার পরিকল্পনা 
*উস্তাদ আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ: এর সন্তান এবং মাদরাসার বিষয়ে তদারকি 
*কলরবকে আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করতে কার্যকর পদক্ষেপ 
*আরও বেশিকিছু পরিকল্পনা 
বিগত ১৮বছরে কলরবে আমার ভুমিকা 
আসসালামু আলাইকুম ওয়া রহমাতুল্লাহ, 
আমি মুহাম্মদ বদরুজ্জামান। কলরবের স্থায়ী পরিষদের সদস্য, সকল শিল্পী এবং তালিকাভুক্ত সদস্যদের জানাই আমার পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। 
প্রিয় ভাইয়েরা, আমি কলরবের শুরুর কাছাকাছি সময় থেকে এর সাথে সম্পৃক্ত। কলরবে আমার আগমন বিশেষ কোন শিল্পী হিসেবে নয়, তবে গুরুত্বপূর্ণ দশজন সদস্যের মতো এখানে আমার অন্তর্ভূক্তি হয়। পরবর্তীতে আমার মেধার বিকাশ এবং পরিশ্রমের কারণে কলরবের প্রতিষ্ঠাতা উস্তাদ আইনুদ্দীন আল আজাদ রহিমাহুল্লাহ-এর সান্নিধ্য পেয়েছি। উনার একান্ত সহচর হয়েছি। তার কাছে কলরব নিয়ে নিত্যনতুন চিন্তা, স্বপ্ন এবং নানামুখী কাজ বাস্তবায়ন করে বিশ্বস্ততা অর্জন করে তার সহযোদ্ধা হিসেবে কাজ করতে পেরেছি। আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর সাথে এভাবেই কলরবের হয়ে আমার কাজ করার সুযোগ হয়েছে। এর মধ্যেই ২০১০ সালের ১৮ই জুন আমাদের ছেড়ে পরপারে পাড়ি জমান প্রিয় আইনুদ্দীন ভাই। মহান আল্লহ উনাকে জান্নাত দান করুন। 
এরপর আমরা অভিভাবকহারা হলাম। শুরু হল কলরবের নতুন যাত্রা। যখন সম্মুখে শুধু অন্ধকার । অন্ধকার পথে অনেকে তখন আলো নিয়ে আমাদের পথ দেখিয়েছেন আবার অনেকে আলো দেখিয়ে গভীর অন্ধকারে নিপতিত করার চেষ্টা করেছেন। এভাবে চলে যায় আজাদ ভাই বিহীন আমাদের প্রায় ১ বছর। একটু একটু করে তখন আমরা জানতে শুরু করলাম বাস্তবতার পৃথিবী। শিখতে শুরু করলাম কিভাবে দাঁড়াতে হয়। কলরব নতুন করে সংগঠিত হবে হবে ভাব এমন সময় আমাদের বড় ভাইতুল্য পরিচালক কলরব ছেড়ে চলে যান। নতুন করে ২০১২ সালে এ কারণে আমরা সংকটে পরে যাই। তখন কূল কিনারাহীন আমরা ৩ তরুণ সংকল্প নিয়ে দাঁড়িয়ে যাই। ছায়া হিসেবে তখন আমরা পাশে পাই আমাদের প্রধান পরিচালক রশিদ আহমদ ফেরদৌস ভাইকে। ধিরে ধিরে কলরবের পথচলা আবারও শুরু হয় দুরন্তভাবে। এরপর আল্লাহর মেহেরবানীতে কোন কিছুই আমাদের হার মানাতে পারেনি। সাঈদ আহমাদের সংগীত, আমার সংগঠন পরিচালনা এবং আরেক ভাইয়ের পরিশ্রমে কলরব হয়ে হয়ে ওঠে অপ্রতিদ্বন্দ্বী। সহযোগী হয়ে অনেকেই আমাদের পাশে ছিলেন, কাছ থেকে দেখেছেন আমাদের পরিশ্রম। কলরবের জন্য তখন  আমাদের রাত দিন একাকার হয়ে ওঠেছিল। যে কারণে ডিজিটাল দুনিয়ায় নিত্যনতুন আইডিয়া এবং সংগীতে কলরব ছড়িয়ে পড়ে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে। এভাবেই নতুন সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে আজাদ ভাই বিহীন কলরবে।
২০১৫ সাল । আমরা তখন অনেকটা পরিপক্ক। এ সময়ে আমাদের তিনজনের মধ্যে এক ভাই ছোট খাটো বিষয়ে মতের ভিন্নতাকে ধরে নতুন করে সমস্যা শুরু করে। বিষয়টা এমন যে সব কার্যক্রমে তার মতামতকেই যেন প্রাধান্য দিতে হবে; যদি সেটা সংগঠনের স্বার্থ বিরোধীও হয়। ২৭জন সদস্যের মিটিং এ ১০ ভাগের ১ ভাগ মতামত তার পক্ষে যেখানে থাকতো না এমন বিষয়েও সে নানারকম প্রোপাগান্ডা  চালিয়েছে। দুর্দান্ত ছুটে চলা কলরবে তার এ আচরণে কিছুটা গতিরোধ হয়। আলহামদুলিল্লাহ আমাদের ঐক্যবদ্ধ পথচলার কারণে তার সকল অনৈতিক চিন্তা ভেস্তে যায়। এক সময় কলরব থেকে সাংগঠনিক সিদ্ধান্তক্রমে ছিটকে পড়েন তিনি।
এরপর ২০১৭ এ গঠন হয় নতুন কমিটি। এ কমিটি কলরবকে অনন্য উচ্চতায় নিয়ে যায়। এতে আমি যুগ্ন নির্বাহী পরিচালক হই। আমি যুগ্ম নির্বাহী পরিচালক হলেও সংগঠন, শিল্পী পরিচালনা এবং অফিস ব্যবস্থাপনা থেকে শুরু করে সকল কাজে আমার ভূমিকা ছিল সর্বোচ্চ । যা এখন অবধি চলমান আলহামদুলিল্লাহ। এ দীর্ঘ সময় ধরে কলরবের হয়ে কাজ করতে পেরে আমি আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করছি, পাশাপাশি কলরবের সকল শিল্পী, গীতিকার, সুরকার এবং শুভাকাঙ্খীদের প্রতি কৃতজ্ঞতা আদায় করছি। বিশেষ করে কৃতজ্ঞতা আদায় করছি কলরবের প্রধান পরিচালক রশিদ আহমদ ফেরদৌস ভাই, শাহ ইফতেখার তারিক ভাই, বন্ধুবর সাঈদ আহমাদ, ইমতিয়াজ মাসরুর ভাই, আবু রায়হান, আহমদ আব্দুল্লাহ, ইলিয়াস হাসান এবং ইয়াসিন হায়দারের প্রতি।  
সম্প্রতি কলরবের নীতিমালা প্রণীত হয়েছে। যেটা কলরবের আগামীর জন্য মাইলফলক। নীতিমালা অনুযায়ী ইতোমধ্যে কলরবের সর্বোচ্চ অথরিটি স্থায়ী পরিষদ গঠিত হয়েছে। এখন চলছে নির্বাহী পরিষদ গঠনের কার্যক্রম। সে লক্ষে আগামী ৭ই অক্টোবর নির্বাহী পরিষদের নির্বাহী পরিচালক পদে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। এ নির্বাচনে আমি প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছি। আমি যদি বিজয় লাভ করি পূর্বের চেয়েও একনিষ্ঠভাবে দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ। পাশাপাশি আমি ২৩- ২৪ সেশনের উল্লেখযোগ্য যেসব কাজ গুরুত্ব দিয়ে পরিচালনা করবো সে বিষয়ে আমার কার্যক্রমের ইশতেহার ঘোষণা করছি…
শিল্পীদের জন্য যা যা করতে চাই –
•কলরবের সকল শিল্পী কলা-কুশলীরা আমার কাছে আপনজনের মত । আমি সর্বদা চেষ্টা করবো তাদের উন্নতিকল্পে কাজ করতে। প্রত্যেক শিল্পীর জন্য কর্মসংস্থান বিষয়ে যথাযোগ্য পদক্ষেপ নেয়া হবে আমার প্রথম টার্গেট। এবং শিল্পীদের আর্থিকভাবে স্বাবলম্বী করে তুলতে স্থায়ী পরিষদ এবং পরিচালকের অনুমোদন সাপেক্ষে যা যা করতে হয় তা করতে আমি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবো।
•কলরবের নিয়মিত কার্যক্রম পরিচালনাকারী এবং অবদান রাখা শিল্পীদের জন্য মাসিক সম্মানির ব্যবস্থা করা। 
•অন্তত ২০ বছর ধরে কলরবের সাথে নিঃস্বার্থভাবে লেগে থাকা শিল্পীদের জন্য ঢাকায় স্থায়ী আবাসনের জন্য জমিক্রয়ের প্রস্তাবনা করবো এবং তা বাস্তবায়নে যথাযথ পদক্ষেপ নেবো ।
•অন্তত ৩০বছর কলরবের সাথে সম্পৃক্ত থাকা শিল্পীদের জন্য পেনশন চালু করার প্রস্তাবনা করবো স্থায়ী পরিষদের কাছে। অনুমোদন সাপেক্ষে তা বাস্তবায়নের সর্বাত্মক চেষ্টা চালাবো 
•কলরবের শিশুশিল্পীদের শিক্ষা কার্যক্রম বিষয়ে নির্দিষ্ট রুপরেখা তৈরি করে প্রত্যেক শিল্পীকে যোগ্য এবং ভালো রেজাল্টধারী করে গড়ে তোলার সর্বোচ্চ ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
•প্রোগ্রাম মওসুমে প্রত্যেক শিল্পীকে কলরব নীতিমালা অনুসারে রোটেশন পদ্ধতিতে প্রোগ্রামে উপস্থিত রাখা এবং নীতিমালা অনুসারে যথাযোগ্য প্রোগ্রাম সম্মানি দেয়ার ব্যবস্থা নেবো। 
•চুক্তিবদ্ধ শিল্পীদের অন্তত দুটি ভালো ভিডিও এবং নিয়মতান্ত্রিকভাবে সংগীত রিলিজ করে তাদের ক্যারিয়ার গঠনে গুরুত্বারোপ করবো 
•শিল্পীদের যে কোন ব্যক্তিগত সংকটে তাদের পাশে থাকার সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো। বিশেষ করে শিল্পীদের যে কোন আর্থিক সংকটে তাদের জন্য কলরবের পক্ষ থেকে সহায়তামূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
•কলরবকে আন্তর্জাতিকভাবে আরও পরিচিত করে তুলতে জনপ্রিয় শিল্পীদের নিয়ে বিদেশ ভ্রমণ এবং বিদেশে ইসলামি নাশিদ প্রোগ্রাম আয়োজনের সর্বোচ্চ চেষ্টা করবো।
•অফিসে থাকা সিনিয়র শিল্পীদের জন্য আলাদা আবাসনের ব্যবস্থা করবো। 
•অন্তত মাসে একবার সকল শিল্পীরা একসাথে বসবো, সামগ্রিক কার্যক্রম সম্পর্কে তাদের অবহিত করবো। 
•শিল্পীদের মান উন্নয়ের জন্য বিভিন্ন সময় তালিম তারবিয়ত, পাঠচক্র ও শিক্ষামূলক কার্যক্রম পরিচালনা করবো ।
•বছরে অন্তত একবার শিল্পীদের নিয়ে বার্ষিক শিক্ষা সফরের আয়োজন করবো ।
•সংগীত বিষয়ে পারদর্শী করতে অভিজ্ঞ শিক্ষকের মাধ্যমে নিয়মিত প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করবো। 
•ঈদে শিল্পীদের জন্য বিশেষ সম্মানির ব্যবস্থা করবো। 
•শিল্পীদের স্বল্পমুল্যে চিকিৎসা সেবা পেতে আমাদের পরিচিত হসপিটালের সাথে চুক্তি সাক্ষরের চেষ্টা চালাবো। 
•সকল শিল্পীর মান বিবেচনা করে তাদের মতামতের গুরুত্ব দেয়ার চেষ্টা করবো। 
কলরবের স্টুডেন্ট এবং নবীন শিল্পীদের জন্য যা করতে চাই… 
•কলরবের বিশেষ ব্যাচসহ ১ম থেকে এখন পর্যন্ত ২৯তম ব্যাচ চলমান। এর প্রতিটা স্টুডেন্টই আমার কাছে গুরুত্বপূর্ণ। কারণ তাদের মধ্য থেকে তৈরি হতে পারে আগামীর নামিদামি শিল্পী বা সংগঠক। এ জন্য তাদের গুরুত্ব দিয়ে নিয়মিত প্রশিক্ষণের মাধ্যমে গড়ে তুলবো। 
•স্টুডেন্টদের মধ্যে যারা মেধাবী এবং বিভিন্ন বিষয়ে পারদর্শী তাদের বিশেষ প্রশিক্ষণের মাধ্যমে যোগ্য হিসেবে গড়ে তুলবো।
•স্টুডেন্টদের যেকোন সমস্যার সমাধানে তাদের পাশে থাকবো ।
•স্টুডেন্টদের ক্যারিয়ার গঠনে সার্বক্ষণিক পরামর্শ এবং সহযোগিতা দিয়ে পাশে থাকবো। 
•স্টুডেন্টদের কলরবের ‘চুক্তিবদ্ধ শিল্পী’ হতে সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো ।
•স্টুডেন্টদের মধ্যে যারা মেধাবী তাদেরকে সংগীত পরিবেশনায় অভ্যস্ত করে তুলতে মাঝে মাঝে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করাবো।
কলরবকে শক্তিশালী সাংস্কৃতিক সংগঠন হিসেবে দাঁড় করাতে যা করতে চাই –
•পল্টনে কলরবের স্থায়ী অফিসের পদক্ষেপ নেবো এবং স্থায়ী পরিষদের অনুমোদন সাপেক্ষে তা বাস্তবায়নের জন্য সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিবো।
•সাংগঠনিক দক্ষতা সম্পন্ন ব্যক্তিদের দিয়ে কলরবকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেবো, যাতে করে সময়ের বাস্তবতা পূরণে কলরব সবার চেয়ে এগিয়ে থাকে। 
•দেশ বিদেশে কলরবের আঞ্চলিক পরিষদ গঠনের লক্ষে বিভিন্ন কার্যক্রম হাতে নেবো। 
•দুই বছরে ২ হাজার তালিকাভুক্ত সদস্য বানানোর বাস্তবিক কর্মসূচি হাতে নেবো। 
•বছরে কলরবের আয়োজনে জাতীয় পর্যায়ে অন্তত দুটি সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান আয়োজন করবো। 
•দেশ ও মানুষের কল্যাণে প্রয়োজনীয় সামাজিক কর্মসূচি হাতে নেবো ।
•কলরবের অফিসিয়াল একটি ওয়েবসাইট তৈরি করবো, যেখানে আমাদের শিল্পীদের পরিচয় তুলে ধরাসহ কলরবের সামগ্রিক কার্যক্রম প্রকাশ করবো। 
•কলরবের একটি কার্যকর অফিসিয়াল ব্যবস্থাপনা তৈরি করাসহ অফিসে একটি সুন্দর পরিবেশ তৈরির বিষয়ে সচেষ্ট হবো।
•কলরব অফিসে সকল শিল্পীদের জন্য খাবারের উন্নত ব্যবস্থাপনা করবো। খাবার ও অফিস বিষয়ক যে কোন অভিযোগ গুরুত্ব সহকারে আমলে নিয়ে তরিত ব্যবস্থা গ্রহণ করবো।
সংগীত বিভাগের উন্নতিকল্পে যা করবো –
•কলরব একটি সংগীত সংগঠন হিসেবে পরিচিত। সংগীতই এখানে মূল চালিকাশক্তি। তাই অভিজ্ঞ, মেধাবী এবং পরিশ্রমী শিল্পীদের সমন্বয়ে সংগীত বিভাগকে ঢেলে সাজাবো। যারা সময়ের চাহিদা অনুযায়ী মানসম্মত ও সৃজনশীল  সংগীত তৈরিতে নিয়োজিত থাকবে।
•নতুন নতুন সুরকার এবং গীতিকারদের এখানে সংযুক্ত করবো। এবং তাদের যথাযথ মর্যাদা নিশ্চিত করবো।
•নতুন শিল্পীদের জন্য বিশেষ প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা গ্রহণ করবো। 
•নতুন শিক্ষার্থীদের নিয়ে বছরে অন্তত ৩টি কর্মশালার আয়োজন করবো।
•প্রফেশনাল সংগীত পরিচালক এবং সংগীত বিষয়ে অভিজ্ঞ ব্যক্তিদের এখানে সংযুক্ত করবো।
•মাসে কমপক্ষে ১০টি নতুন সংগীত সৃষ্টির সর্বাত্মক চেষ্টা করবো। 
•মেধাবী, প্রতিভাবান শিল্পীদের কলরবের ব্যানারে ঐক্যবদ্ধ করবো। 
•শিশু প্রতিভা সৃষ্টির লক্ষে নানা পদক্ষেপ চলমান রাখবো ।
আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ: এর পরিবার ও মাদরাসা বিষয়ে যা করতে চাই…
•কলরবের প্রতিষ্ঠাতা আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ. আমাদের মাঝে স্মরণীয় হয়ে আছেন। ২০১০ সালে তিনি ইন্তেকাল করার পর আমি কলরবের পক্ষ থেকে সর্বদা উনার পরিবারের বিশেষ করে উনার ছেলে আসাদুল্লাহিল গালিব (১৪) এবং মেয়ে তুহফা আজাদ রুহির (১৭) সর্বদা খোজ খবর রেখে আসছি আলহামদুলিল্লাহ, এখনো তারা আমার ব্যবস্থাপনায় পড়াশোনা করছে। আমি নির্বাচিত হই বা না হই তাদের দুজনকে আজাদ রহ. এর স্বপ্নের মত করে বড় করে গড়ে তোলার চেষ্টা অব্যাহত রাখবো।
•আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ.-এর জন্য ইতিপূর্বে বিভিন্ন সামাজিক কার্যক্রম পরিচালনা করেছি, সামনেও আরও বেশি করে বিভিন্ন জনসেবামূলক কার্যক্রম হাতে নিবো। 
•আইনুদ্দীন আল আজাদ রহ: এর বাড়িতে উনার নামে একটি মাদরাসা প্রতিষ্ঠা হয়েছে, মাদ্রাসার জমির এতদিন আমরা ওয়াকফ দলিল পাইনি। সম্প্রতি তা আমার হাতে এসেছে । মাদরাসার পড়াশোনা এবং উন্নয়নের জন্য বেশকিছু পদক্ষেপও নেয়া হয়েছে, সামনে আরও বেশকিছু কার্যকর পদক্ষেপ নেয়া হবে।  আমি নির্বাচিত হই বা না হই দুই বছরের মধ্যে সেই মাদরাসার জায়গায় একটি বিল্ডিং করতে সচেষ্ট হবো। 
•এছাড়াও আইনুদ্দীন আল রহ: এর নামে বিভিন্ন প্রোগ্রাম আয়োজন করাসহ তাকে নিয়ে আরও ব্যাপকভাবে কি কি কাজ করা যায় তার পদক্ষেপ নেবো ইনশাআল্লাহ ।
•এছাড়াও কলরব শিল্পী ‘মাহফুজুল আলম রহ.’-কে স্বরণীয় করে রাখার জন্য বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবো। 
কলরবকে আর্থিক ভাবে স্বাবলম্বী করতে যা করতে চাই… 
•কলরবের নীতিমালায় উল্লিখিত আর্থিক খাতের পাশাপাশি বেশ কিছু নতুন খাত তৈরি করবো। 
•কলরবের পক্ষ থেকে একটি পরিকল্পিত মডেল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান করার পদক্ষেপ নেবো। এটাকে লাভজনক পর্যায়ে নিয়ে আসার সর্বাত্মক চেষ্টা করবো।
•কলরবের মাধ্যমে বিভিন্ন প্রোগ্রাম ব্যবস্থাপনা করে এর থেকে আর্থিক সুবিধা লাভ করার চেষ্টা করবো। 
•২ হাজার তালিকাভুক্ত সদস্য বানাবো।
•সারাদেশে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে বিশেষ সংগীত কোর্স পরিচালনা করবো।
•বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রচারণায় কলরব শিল্পীদের ব্রান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে কাজে লাগিয়ে কলরবের স্থায়ী আয়ের ব্যবস্থা করবো। 
•এছাড়াও সময় উপযোগী বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান রাখবো।
তালিকাভুক্ত সদস্যদের জন্য যা করতে চাই… 
•নীতিমালা অনুযায়ী তালিকাভুক্ত সদস্যরা যেসব সুবিধা লাভ করবেন তার পরিপূর্ণ বাস্তবায়ন করবো। 
•বছরে অন্তত একবার তালিকাভুক্ত সদস্যদের নিয়ে একটি মিলনমেলার আয়োজন করবো। যেখানে দিনব্যাপী বিভিন্ন আনন্দমূলক কার্যক্রম থাকবে।  
•তালিকাভুক্ত সদস্যদের থেকে মেধাবী এবং পরিশ্রমীদের নির্বাহী পরিষদের কার্যক্রমে সম্পৃক্ত করবো।। 
•তালিকাভুক্ত সদস্যরা কেউ যদি কর্মশালায় অংশগ্রহণ বা চুক্তিবদ্ধ শিল্পী হতে চায় তাদের সর্বাত্মক সহযোগিতা করবো। 
•তালিকাভুক্ত সদস্যদের যে কোন অভিযোগ বা মতামত গুরুত্ব দিয়ে বিবেচনা করবো। 
কলরবের জন্য আরও যে পদক্ষেপ নিতে চাই… 
•কলরবের চুক্তিবদ্ধ কোন শিল্পী বা দায়িত্বশীল কেউ যদি অনাকাঙ্খিত কোন দুর্ঘটনার শিকার হয় বা মৃত্যুবরণ করে তাহলে সার্বিক অবস্থা বিবেচনায় আর্থিক সহায়তা প্রদান করার জন্য একটি শক্তিশালী ফান্ড গঠন করবো। 
•সংগীত ছাড়াও আবৃত্তি ও উপস্থাপনার কোর্সসহ আলাদা টিম তৈরি করবো। যারা সংগীতের মতোই ধাপে ধাপে বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করবে । 
•থিয়েটার কর্মী তৈরির পদক্ষেপ নেয়া। এ লক্ষে প্রশিক্ষণ এবং মঞ্চ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা করবো। 
•তরুণদের নিয়ে বিশুদ্ধ কুরআন ও হাদিস শিক্ষার কোর্স চালু করবো। 
আল্লাহ যদি সুযোগ দান করেন, স্থায়ী পরিষদের মতামতের ভিত্তিতে এবং নির্বাহী পরিষদের পরিচালকের নেতৃতে এবং পূর্ণাঙ্গ পরিষদের সহায়তায় কলরবের উন্নতিকল্পে বিভিন্ন কার্যক্রম চলমান থাকবে ইনশাআল্লাহ। 
আমার ইশতেহার বাস্তবায়নে সকলের দোয়া, সহযোগিতা এবং সমর্থন কামনা করছি।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?