মুমিনের ৩৬৫ দিনের আমল : শাইখ হামদান আল হুমাইদি রহ – muminer 365diner amol

  • বই : মুমিনের ৩৬৫ দিনের আমল
  • লেখক : শাইখ হামদান আল হুমাইদি রহ., হজরত মাওলানা শাহ হাকিম মোহাম্মদ আখতার ছাহেব রহ.
  • প্রকাশনী : দারুত তিবইয়ান
  • বিষয় : সুন্নাত ও শিষ্টাচার, ইবাদত ও আমল
  • পৃষ্ঠা : 592, কভার : হার্ড কভার
  • ভাষা : বাংলা

রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের দৈনন্দিন জীবন কীভাবে কাটত, বাৎসরিক জীবন কীভাবে কাটত, ৩৬৫ দিন তিনি কীভাবে অতিবাহিত করতেন, বিশেষায়িত করতেন কোন দিনগুলোকে, কোন দিনগুলোতে আনন্দ উদযাপন করতেন, কীভাবে করতেন, মাধ্যম কী হত, তার পরিমাণ কতটুকু হত—এর সবই পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনের জন্য আবশ্যকীয়।

রাসুলুল্লাহর জীবনের ৩৬৫ দিনকে তুলে আনা হয়েছে এ বইটিতে। একজন মুমিনের জীবনের গোটা সময়টা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পরিচালনার একটি নকশা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটিতে। সে অনুযায়ী জীবন গড়ে তুলতে পারলে, নবিজির মতো করে বছরের ৩৬৫ দিন অতিবাহিত করতে পারলেই তা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ মুমিনচরিত।

মুমিনের ৩৬৫ দিনের আমল বইটিকে আমরা দুটি ভাগে বিভক্ত করেছি। প্রথম অধ্যায়ে দৈনন্দিন জীবনে নবিজির দিনলিপির অনুকূলে অর্থাৎ সারাদিনে নবিজির সুন্নাত অনুযায়ী মুমিনের দিনযাপন কেমন হবে তা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে বারো মাস যাপনের জন্য আমাদের করণীয়-বর্জনীয় ও আমল কী, তার সাথে সম্পৃক্ত নানান বিষয়াদি, শরিয়তের বিভিন্ন জরুরি রুকন, নবিজির সাধারণ আচরণ, চালচলন, ব্যক্তিত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরা হয়েছে এ বইটিতে।

সংকলকের কথা

সমুদয় প্রশংসা কেবলই আল্লাহ তাআলার জন্য। যিনি প্রতিটি প্রহর, দিন, মাস, বছরের মালিক। তিনি সত্যকে মিথ্যা থেকে পৃথক করেছেন, সত্যকে দিয়েছেন পবিত্রতা এবং সৌন্দর্য। তিনিই কলম সৃষ্টির পর তাকে লেখার কাজে নিবিষ্ট করেছেন।
আমাদের জীবন মূলত কিছু সময়ের সমষ্টি। সময় প্রবাহিত হয় আর আমরা আমাদের জীবন হারাতে থাকি। জীবনের মূল্যবান অংশ হারাতে থাকি। এভাবে শিশু-কিশোর-যুবক-বৃদ্ধ হয়ে অথবা এরও আগে আমরা এই জগৎকে বিদায় জানাই অজ্ঞাতসারে।
কিন্তু আমাদের জীবনের মূল্যবান এই সময় ব্যয়ের মাধ্যম কী? কেমন হবে সেই মাধ্যম? জগতের নানান বাদ-তন্ত্রের অনুসরণ আমাদের গুমরাহির দিকে নিয়ে যাচ্ছে, জীবনকে ধ্বংস করে জাহান্নামে নিক্ষেপের অব্যাহত চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। যা আমাদের জন্য কেবল আফসোসেরই বিষয়।
কিছু মুহূর্ত অতিবাহিত হচ্ছে— জীবন থেকে হারাচ্ছে কিছুটা অংশ। এভাবে সময় আমাদের নিয়ে যাচ্ছে আমাদের জীবনের শেষাংশে। আমরা হারাচ্ছি আমাদের জীবন, আমাদের জীবনের বিশেষাংশ।
আমরা যদি আমাদের এ জীবনকে ধ্বংসের মাধ্যম না বানিয়ে আমাদের শ্রেষ্ঠত্বের মাধ্যম বানাতে চাই, তাহলে আমাদের এমন জীবন যাপন করতে হবে—যা আমাদের মুক্তি দিতে সক্ষম। স্বস্তি দিতে সক্ষম।
এমন সুখময় জীবনের জন্যই আল্লাহ তাআলা দিয়েছেন এক ঐশী জীবনব্যবস্থা। সেই ঐশী জীবনব্যবস্থারই বাস্তব রূপ নবিচরিত। নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের জীবনচরিতের মধ্যেই রয়েছে আমাদের জন্য মুক্তির পথ ও পাথেয়। যার অনুসরণ আমাদের চূড়ান্ত সফলতা এনে দিতে পারে নিশ্চিতভাবে।
কী নেই সে জীবনচরিতে? দৈনন্দিন জীবন, পারিবারিক জীবন, রাজনৈতিক জীবন, হতাশা, নিরাশা, আনন্দ, উদযাপন—সব কিছুর এক পূর্ণাঙ্গ সমন্বয় সে জীবন। এর অনুসরই কেবল আমাদের দিতে পারে নাজাত, স্বস্তি এবং
সুখ
মহানবির দৈনন্দিন জীবন কীভাবে কাটত, বাৎসরিক জীবন কীভাবে কাটত, ৩৬৫ দিন তিনি কীভাবে অতিবাহিত করতেন, বিশেষায়িত করতেন কোন দিনগুলোকে, কোন দিনগুলোতে আনন্দ উদযাপন করতেন, কীভাবে করতেন, মাধ্যম কী হত, তার পরিমাণ কতটুকু হত—এর সবই পূর্ণাঙ্গ একটি জীবনের জন্য আবশ্যকীয়।
রাসুলুল্লাহর জীবনের ৩৬৫ দিনকে তুলে আনা হয়েছে এ বইটিতে। একজন মুমিনের জীবনের গোটা সময়টা স্বয়ংসম্পূর্ণভাবে পরিচালনার একটি নকশা তৈরি করে দেওয়া হয়েছে বক্ষ্যমাণ রচনাটিতে। সে অনুযায়ী জীবন গড়ে তুলতে পারলে, নবিজির মতো করে বছরের ৩৬৫ দিন অতিবাহিত করতে পারলেই তা হবে একটি পূর্ণাঙ্গ মুমিনচরিত।
এ বিষয়ে বাজারে নানা বিভ্রান্তিমূলক বইয়ের ছড়াছড়ি বহু আগ থেকেই। যে বইগুলোর পাঠ প্রায় সময় বিদআতি কর্মকাণ্ডের দিকে আকৃষ্ট করে। আমরা চেয়েছি সেসব বিভ্রান্তিকে দূর করে কুরআন এবং হাদিসের মূল বার্তা মানুষের নিকট পৌঁছে দিতে।
এ পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে গিয়ে প্রাজ্ঞ উলামায়ে কিরামের সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে। অনুবাদ করতে হয়েছে বিভিন্ন অংশ। বইটিতে আলোচনার বড় একটি অংশে স্থান পেয়েছে শাহ হাকিম মুহাম্মদ আখতার, শাইখ হামদান আল-হুমাইদি রাহিমাহুমাল্লাহ এবং মুফতি তাকি উসমানি দামাত বরকাতুহুমের নবিজিকে নিয়ে লেখা নানান আলোচনার অংশ।
জিলহজ মাসে মুফতি মহিউদ্দিন কাসেমি সাহেবের বেশকিছু আলোচনা অংশ করে নিয়েছে বইটিতে। এ ছাড়াও বিভিন্ন কিতাব, কিতাবের অংশ বিশেষ থেকে সহযোগিতা নেওয়া হয়েছে বা অনুবাদের পথ ধরতে হয়েছে। সবকিছুর সমন্বয়ে আমরা চেয়েছি বইটিকে পূর্ণাঙ্গ একটি রূপ দিতে। সংকলনের এ পুরো কাজটিই হয়েছে তিবইয়ান টিমের কয়েকজন দক্ষ ও প্রাজ্ঞ লেখক ও অনুবাদকের হাতে।
বইটিকে আমরা দুটি ভাগে বিভক্ত করেছি। প্রথম অধ্যায়ে দৈনন্দিন জীবনে নবিজির দিনলিপির অনুকূলে মুমিনের দিনযাপন কেমন হবে তা তুলে ধরা হয়েছে। দ্বিতীয় অধ্যায়ে বারো মাস যাপনের জন্য আমাদের করণীয়-বর্জনীয় ও আমল কী, তার সাথে সম্পৃক্ত নানান বিষয়াদি, শরিয়তের বিভিন্ন জরুরি রুকন, নবিজির সাধারণ আচরণ, চালচলন, ব্যক্তিত্ব, শ্রেষ্ঠত্ব তুলে ধরার চেষ্টা করেছি।
আমরা নিজেদের সাধ্যের সবটুকু একত্র করে বইটিকে পাঠকদের উপযোগী ও উপকারী করে তোলার চেষ্টা করেছি। এতদসত্ত্বেও নিজেদের সীমাবদ্ধতার জ্ঞান রাখি এবং নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের স্বয়ংসম্পূর্ণতার বিশ্বাস ধারণ করি। বইটির মাঝে যত ভুল আছে সব আমাদের সীমাবদ্ধতার কারণে, উত্তম এবং সঠিক বিষয়গুলো আল্লাহর পক্ষ থেকে।
বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?