মিরাকুলাস প্রেয়ারস PDF for Pre order লেখক : খালিদ বিন সুলাইমান আর-রাবয়ী

মিরাকুলাস প্রেয়ারস
লেখক : খালিদ বিন সুলাইমান আর-রাবয়ী
প্রকাশনী : ওয়াফি পাবলিকেশন
বিষয় : দুআ ও যিকির, আত্মশুদ্ধি ও অনুপ্রেরণা
পৃষ্ঠা : 160, কভার : পেপার ব্যাক, সংস্করণ : 1st Published, 2021
আইএসবিএন : 9789849501398

image

আমাদের আর পূর্বসূরীদের মাঝে অন্যতম পার্থক্য হচ্ছে, দুআ। যেখানে আমরা কালেভদ্রে দুআ করি, সেখানে দুআ ছিল তাদের নিত্যদিনের সঙ্গী। সুদিনে কি দুর্দিনে, হরহামেশা তাদের জিহ্বা ভেজা থাকত দুআয়। দিনের শুরু থেকে দিনান্তে, দুআ কখনও মিস যেত না। রবের সঙ্গে একান্ত আলাপে যে স্বাদ তারা পেতেন, কোনো তুলনা হয় না।
.
দুআ কোনো জাদুমন্ত্র নয় যে, করা মাত্রই চোখধাঁধানো ফল মিলবে। আবার দুআ বিড়বিড় করে পড়া কিছু অবোধ্য শব্দকণাও নয়, যার সাথে যাপিত জীবনের কোনো সম্পর্ক থাকবে না। দুআর কবুলের জন্য কিছু আদবকেতা দরকার, কিছু কৌশল। যেসব কৌশল ব্যবহার করলে তীরন্দাজের তীর লক্ষ্যচ্যুত হবে না। আমাদের পূর্বসূরীরা এগুলো জানতেন। এজন্য তাদের দুআগুলো হতো তাদের মতই ‘মিরাকুলাস’!
.
তাদের সেসব দুআ কবুলের বিস্ময়কর কাহিনীমালা নিয়েই আমাদের আপকামিং বই ‘মিরাকুলাস প্রেয়ারস: দুআ কবুলের আশ্চর্য ঘটনা।’
.
লেখক খালিদ বিন সুলাইমান আর-রাবয়ী শুরুতে দুআর গুরুত্ব, মর্যাদা ও আনুষঙ্গিক আলোচনা এনেছেন। এরপর প্রবেশ করেছেন মূল বিষয়ে—দুআ কবুলের যত বিস্ময়কর কাহিনি। পূর্ববতী নবি-রাসুল থেকে শুরু করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন হয়ে যুগের সিঁড়ি ভেঙে ক্রমশ নেমে এসেছে তার কাহিনির আস্তিন। এভাবে সবশেষে স্থান পেয়েছে লেখকের নিজ দেখা বা শোনা থেকে প্রাপ্ত ঘটনাবলি।
.
আশা করি আল্লাহ তায়ালার কুদরতের মহিমায় ভাস্বর এসব ঘটনা পাঠকের মনে আল্লাহ-ভরসা ও দুআ-মুনাজাতের উদ্দীপনা জাগাবে।
অনুবদিকের কথা تحمده وصلى علي رؤله الكريم، أما بعد_____________________
 মিন আজায়িবিদ দুয়া কিতাবটির অনুবাদ সমাপ্ত করতে পেরে আল্লাহ তায়ালার শুকরিয়া আদায় করছি। মুমিনের জীবনে দুআর গুরুত্ব অপরিসীম। হাদিসের ভাষায় তা সকল ইবাদতের প্রাণ। আল্লাহর সঙ্গে বান্দার সম্পর্কের অন্যতম প্রধান স্তম্ভ দুআ। কুরআনে কারিমে ইরশাদ হয়েছে, 'আমাকে ডাক, আমি সাড়া দেব। বান্দার মতাে ক্ষুদ্র সৃষ্টি মহান মালিক আল্লাহকে ডাকতে পারে, তাই তাে পরম সৌভাগ্য; তার ওপর আবার মালিক যদি সে ডাকে সাড়া দেন, যদি বান্দার চাওয়া পূরণ করেন, তবে তা মালিকের অসীম দয়া ছাড়া আর কী! বক্ষ্যমাণ গ্রন্থটি লেখক সংকলন করেছেন শুধুই দুআর কথা ও কাহিনি নিয়ে। শুরুতে দুআর গুরুত্ব, মর্যাদা ও আনুষঙ্গিক জ্ঞাতব্যে তথ্যবহুল আলােকপাত করে প্রবেশ করেছেন মূল বিষয়ে-দুআ কবুলের যত বিস্ময়কর কাহিনি।
 পূর্ববর্তী নবি- রাসুল থেকে শুরু করে রাসুলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম, সাহাবায়ে কেরাম ও তাবেয়ীন হয়ে যুগের সিঁড়ি ভাঙে ক্রমশ নেমে এসেছে তার কাহিনির আস্তিন। এভাবে সবশেষে স্থান পেয়েছে লেখকের নিজ দেখা বা শােনা থেকে প্রাপ্ত ঘটনাবলি। আশা করি আল্লাহ তায়ালার কুদরতের মহিমায় ভাস্বর এসব ঘটনা পাঠকের মনে আল্লাহ-ভরসা ও দুআ-মুনাজাতের উদ্দীপনা জাগাবে। অনুবাদ সম্পর্কে দুয়েকটি কথা। লেখক সাধারণত সকল তথ্য ও ঘটনার সূত্র উল্লেখ করেছেন। অনুবাদে সেসব সূত্র হুবহু রাখা হয়েছে।ম কোথাও কোথাও প্রয়ােজনমাফিক নতুন সূত্রও সংযােজন করা হয়েছে। মূল গ্রন্থটির মুদ্রণ নিখুঁত ছিল। না। স্থানে-স্থানে মুদ্রণ-প্রমাদের কারণে অনুবাদে বেশ বেগ পেতে হয়েছে। প্রায় প্রতিটি ঘটনায় মূল সূত্রের দ্বারস্থ হতে হয়েছে। কোথাও কোথাও অতিসংক্ষেপণে
মিরাকুলাস প্রেয়ারস أذعوأ ربكم ترعا وخفية إنه لا يجب التعتدين * ولا فسدوأ في الأرض بعد إصلاجها آوه حوفا وطمعا إن رحمة ال له قريب من الحسنين
 তােমরা বিনীতভাবে ও গােপনে তামাদের প্রতিপালককে ডাক; তিনি জালিমদেরকে পছন্দ করেন না। দুনিয়ায় শান্তি স্থাপনের পর তােমরা তাতে বিপর্যয় ঘটিয়াে না, তাঁকে ভয় ও আশা-সহকারে ডাকবে। নিশ্চয় আল্লাহর অনুগ্রহ সৎকর্মপরায়ণদের নিকটবর্তী। (সুরা আরাফ: ৫৫-৫৬) সুন্নাহ থেকে: ১। হজরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণিত-রাসুল বলেন,আল্লাহ তায়ালার নিকট দুআর চেয়ে মর্যাদাপূর্ণ আর কিছু নেই।২  হজরত আবু হুরাইরা রাযি. থেকে বর্ণত রাসুলুল্লাহ বলেন, যে আল্লাহ তায়ালার নিকট প্রার্থনা করে না, আল্লাহ তার ওপর রাগান্বিত হন।
৩ । হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাযি. থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ বলেন, কোনাে মুসলমান যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ ও আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদমুক্ত নির্দোষ কোনাে দুআ করে, তাহলে আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাকে তিন বিষয়ের যেকোনো একটি দান করবেন-হয়তাে প্রার্থিত বস্তু নগদ দান করবেন, অথবা তা আখিরাতের জন্য সঞ্চিত রাখবেন, কিংবা তৎপরিবর্তে তাকে সমপরিমাণ অনিষ্ট থেকে মুক্তি দেবেন। সাহাবায়ে কেরাম বললেন, তাহলে তাে আমরা অধিকহারে দুআ করব। রাসুল বললেন, আল্লাহর দান তার চেয়েও অধিক।৪। হজরত সালমান ফারসি রাযি. থেকে বর্ণিত-রাসুলুল্লাহ বলেন, নিশ্চয় তােমাদের রব লজ্জাশীল ও উদার; বান্দা তাঁর সমীপে হাত তুললে তা শূন্য ফিরিয়ে দিতে লজ্জাবােধ করেন। ২. তিরমিজি ৩৩৭০, ইবনে মাজাহ ৩৮২৯। ৩. তিরমিজি ৩৩৭৩। ৪. মুসনাদে আহমদ ১১১৩৩ ও জাবির ও উবাদা রাযি.-এর সূত্রে তিরমিজি ৩৫৭৩। ৫. আবু দাউদ ১৪৮৮।
মিরাকুলাস প্রেয়ারস পাঁচ. দৃঢ়তার সঙ্গে দুআ করা। হজরত আনাস রাযি. থেকে বর্ণিত রাসুলুল্লাহ বলেন, তােমরা কেউ যখন দুআ কর, তখন দৃঢ়ভাবে প্রার্থনা করবে, এমন বলবে না-হে আল্লাহ, আপনি চাইলে দিন! কারণ, আল্লাহকে বাধ্য করার কেউ নেই।৯ দুআ কবুলের বাধাসমূহ এক. হারাম খাওয়া ও হারাম পরা। যেমন হাদিসে এসেছে, কোনাে কোনাে ব্যক্তি মলিন বেশ ও এলােমেলাে কেশে দীর্ঘ সফরে ঘুরতে থাকে আর আকাশের দিকে হাত তুলে বলতে থাকে ইয়া রব, ইয়া রব, অথচ তার খাদ্য হারাম, পানীয় হারাম এবং সে প্রতিপালিতও হয়েছে হারামে; কীভাবে তার দুআ কবুল হবে!১০ দুই. তাড়াহুড়াে ও দুআ বর্জন। হজরত আবু হুরাইরা রাযি, থেকে বর্ণিতরাসুল বলেন, বান্দার দুআ কবুল করা হয় যতক্ষণ না সে তাড়াহুড়াে করে বলতে থাকে আমি তাে দুআ করেছি, কিন্তু কবুল হয়নি। তিন. গুনাহ ও পাপাচার। 
কবি বলেন বিপদে আল্লাহকে জপি, বিপদ গেলেই বেমালুম ভুলে যাই! কীভাবে কবুল হবে দুআ, গুনাহ দিয়ে রুদ্ধ যে তার দুয়ার! চার. আল্লাহ তায়ালার হুকুম পালন ছেড়ে দেওয়া। হজরত হুযাইফা রাযি. থেকে বর্ণিতরাসুলুল্লাহ বলেন, যার হাতে আমার প্রাণ, সে সত্তার কসম, তােমরা অবশ্যই সৎকর্মের আদেশ ও অসৎকর্ম থেকে নিষেধ করবে, অন্যথায় আল্লাহ তায়ালার পক্ষ থেকে তােমাদের ওপর আপতিত হবে শাস্তি। অতঃপর তােমরা তাকে ডাকবে, কিন্তু তা কবুল হবে না।১২ পাঁচ, গুনাহ কিংবা আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদের দুআ করা। 
হজরত আবু সাঈদ খুদরি রাযি, থেকে বর্ণিতরাসুলুল্লাহ বলেন, কোনো মুসলমান যদি আল্লাহ তায়ালার কাছে গুনাহ ও আত্মীয়তার সম্পর্কচ্ছেদমুক্ত দুআ করে, আল্লাহ তায়ালা অবশ্যই তাকে তিন বিষয়ের যেকোনাে একটি দান করবেনহয়তাে প্রার্থিত বস্তু নগদ দান করবেন, অথবা তা আখিরাতের জন্য সঞ্চিত রাখবেন, কিংবা তৎপরিবর্তে তাকে ৯. বুখারি ৬৩৩৮ ও মুসলিম ২৬৭৮। ১০. মুসলিম ১০১৫। ১১. বুখারি ৬৩৪০ ও মুসলিম ২৭৩৫। ১২. তিরমিজি ২১৬৯।
২৭ ১৭ দুআ কবুল হােক, সে যেন সুসময়েও বেশি বেশি দুআ করে। ৩। নিম্নস্বরে দুআ করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, آذعوا ربكم ترع وخية إنه لا يجب التعتدين তিনি জালিমদের তােমরা বিনীতভাবে ও চুপিসারে তােমাদের প্রতিপালককে ডাক; পছন্দ করেন না। (সুরা আরাফ: ৫৫) ৪। দুআয় আল্লাহর কাছে কাকুতি-মিনতি করা। আল্লাহ তায়ালা বলেন, فلولا إذ جاءهم بأسا ضَروا ولكن قست قلوبهم وزين لهم الشيطان ما كالوأ يعملون 
আমার শাস্তি যখন তাদের ওপর আপতিত হলাে তখন তারা কেন বিনীত হলাে না? অধিকন্তু তাদের হৃদয় কঠিন হয়েছিল এবং তারা যা করছিল, শয়তান তা তাদের দৃষ্টিতে শােভন করেছিল।(সুরা আনআম: ৪৩) ৫। পীড়াপীড়ি করে দুআ করা। হজরত আনাস রাযি. থেকে রাসুলুল্লাহ -এর উক্তি (মারফু) হিসেবে বর্ণিততােমরা ইয়া যাল জালালি ওয়াল ইকরাম বলে পীড়াপীড়ি করাে।১৮ ৬। শরিয়তসম্মত উসিলা দেওয়া। আল্লাহ তায়ালা বলেন, بتعوا ليه الوسِلَةَ 
তােমরা তাঁর নৈকট্য লাভের উপায় অন্বেষণ করোে। (সুরা মাইদা: ৩৫) এখানে উপায় অন্বেষণদ্বারা উদ্দেশ্য, আনুগত্য ও নেক আমল দ্বারা নৈকট্য অর্জন। ৭। দুআয় আল্লাহর নিয়ামত ও নিজ গুনাহ স্বীকার করা। যেমন হজরত শাদ্দাদ বিন ১৭. তিরমিজি ৩৩৮২ ও হাকিম। ১৮. তিরমিজি ৩৫২। দুআ কবুলের আশ্চর্য ঘটনা |

PDF Short For Pre Order Hardcopy

বইপাও থেকে আপনি আর কি কি কন্টেন্ট পেতে চান?